এক ফোঁটা জল - শেষাংশ
লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ১৭ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:৩৪:১০ রাত
৭/
‘রুহি আপু, চাচীমা তোমাকে ডাকে’, আঙ্গিনায় এক্কা দোক্কা খেলতে খেলতে খবর দেয় ছোট চাচীর ছ’বছর বয়সী মেয়ে সুমি।
‘বড়চাচী কোথায় রে?’, চাউলের কুলাটা নামিয়ে রাখতে রাখতে জিজ্ঞেস করে রুহি।
‘চাচীর ঘরে’, এক পায়ে লাফাতে লাফাতে উত্তর দেয় সুমি।
ওড়নার আঁচলে হাত মুছতে মুছতে বড়চাচীর দরজায় নক করে রুহি। ভেতর থেকে ডাক শোনা যায়, ‘রুহি, দরজা খোলা, ভেতরে আয় মা’।
রুহি ঘরে ঢুকে হাসতে হাসতে বলে, ‘চাচীমা, আমি যেভাবেই নক করি, তুমি সবসময় ধরে ফেল কিভাবে বল তো? সুমিও তো নক করতে পারত!’
চাচীও হাসতে হাসতে উত্তর দেন, ‘তোর হাতের শব্দ আমি এত বছরে না বুঝলে ত্রিশ বছর সংসার করে আর বুঝলাম কি?’
চাচী বিছানায় বসে ছিলেন। রুহি গিয়ে তাঁর পায়ের কাছে বসে যায়। হঠাৎ ঘরের অন্য পাশ থেকে সামান্য ক্যাঁচক্যাঁচ আওয়াজ শুনে সচকিত হয়ে যায় রুহি, চোখের কোণ থেকে লক্ষ্য করে সা’দ চাচার আরামকেদারায় বসে নিজেকে নিজে জড়িয়ে ধরে সামনে পেছনে দুলছে, চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। সায়রা বসে আছে ভাইয়ের পায়ের কাছে, চেহারায় সহানুভূতি। দু’জনই চুপচাপ।
চাচী বলেন, ‘আমরা তো আর বসার সময় পেলাম না। তুই বিয়ের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা কিছু করেছিস? বায়োডাটাগুলো দেখতে দিয়েছিলাম, দেখেছিলি?’
রুহি মাথা নাড়ে, ‘চাচীমা, আমি বিয়ে করতে চাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’।
চাচীকে চিন্তিত দেখায়, ‘তোর কি কোন বায়োডাটা পছন্দ হয়েছে?’
রুহি বলে, ‘একটা হলেই হোল’।
চাচী আশ্চর্য হোন, ‘মানে?’
রুহি হাল্কা হেসে বলে, ‘যোগ্যতা না থাকলে কি আর এরা দাদার কাছে অ্যাপ্লিকেশান পাঠাত? সুতরাং, যেকোন একটার সাথে দিলেই হয়, তোমার যাকে পছন্দ’।
রুহির নির্লিপ্ততায় চাচীর চেহারায় চিন্তার ছাপ আরো স্পষ্ট হয়, ‘রুহি, বিয়েটা সারা জীবনের ব্যাপার। এভাবে হেলাফেলা করিস না’।
রুহি জোর করে হেসে বলে, ‘হেলাফেলা কোথায় করলাম চাচীমা? আমি বিয়ে করতে চাই। তুমি তোমার পছন্দমত যেটা এনে হাজির করবে আমি সেটার সাথেই বসে যাব। রাস্তা থেকে যেকোন কাউকে ধরে এনে বিয়ে দিয়ে দিলেও আমি আপত্তি করবনা। শুধু তাড়াতাড়ি কর’।
রুহির ব্যাস্ততার কারণ আন্দাজ করে মনে মনে ওর জন্য কষ্ট পান চাচী। বলেন, ‘এত তাড়াহুড়ার কি আছে? আমরা দেখি সা’দের জন্য দাদা যে দাওয়াত আয়োজন করছেন সেটা হয়ে গেলে একবার বসতে পারি কিনা সবাই মিলে’।
রুহি অনড়।
শেষে চাচী বলেন, ‘আচ্ছা, তোর যখন এত বিয়ে করার শখ, তোকে আমি যেখান থেকে পারি ছেলে জোগাড় করে সাতদিনের মধ্যেই বিয়ে দেব, আমার পছন্দের ছেলের সাথেই দেব, তখন কিন্তু বলতে পারবিনা আমি তোকে পছন্দ করার সুযোগ দেইনি’।
বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে রুহি বলে, ‘বলবনা, কখনোই বলবনা’।
চাচীর ঘরে থেকে বেরিয়ে যাবার সময় রুহি দেখে সায়রা ভাইয়ের হাঁটুর ওপর মুখ গুঁজে কাঁদতে শুরু করেছে।
৮/
দাদার মাঝে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিয়েবাড়ীর প্রস্তুতি, আত্মীয় স্বজনের আগমন, হই হল্লার মাঝে তিনি একদিন ডেকে নিয়ে রুহি আর সায়রার সাথে পুরো পনেরো মিনিট কথা বললেন! কথা শেষে ওরা চলে আসার সময় রুহির মাথার দিকে হাত উঠালেন, কিন্তু নিজের অহংবোধকে ঠেলে হাতটা ওর মাথায় রাখতে পারলেন না। তবে ওনার এতটুকু প্রচেষ্টাতেই ওরা দু’জন এত উচ্ছ্বসিত হয়ে গেল যে সবকিছু বাদ দিয়ে এই নিয়েই ওরা জল্পনা কল্পনা করল সারা রাত।
বিয়ে নিয়ে বাইরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও রুহি ভেতরে ভেতরে কষ্ট পাচ্ছিল প্রচন্ডভাবে। নিজের বেদনাকে সে মাটিচাপা দিয়ে দিয়েছে, ঠিক যেমন সে চাচীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কষ্ট পাচ্ছিল সা’দের কষ্টের কথা ভেবে। ভেবেছিল বিয়ের দিন আসার আগেই সা’দ চলে যাবে, ওকে আর রুহির বিয়ে দেখতে হবেনা। কিন্তু রুহির বিয়ে উপলক্ষ্যে সা’দের যাওয়া পিছানো হোল। বিয়ে আর ওর পাশ করা উপলক্ষ্যে দাওয়াত একই সাথে হচ্ছে। চাচীকে জিজ্ঞেস করলে উনি বললেন, ‘দূর দূরান্ত থেকে একই লোকজন এক বাড়ীতে ক’বার পয়সা খরচ করে আসা যাওয়া করবে? একসাথে হলে একবারে ঘুরে চলে গেল!’ সা’দ সারাদিন হই হল্লা করে, ভাই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। রুহি মনে মনে কামনা করে সা’দ বুঝি ওর প্রতি আকর্ষন কাটিয়ে উঠেছে- হলে ভাল হয়। তবে এটা যদি হয় ভাল থাকার অভিনয় তাহলে রুহির মনে কষ্টের সীমা থাকবেনা।
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন এসে গেল। রুহি একবারও জিজ্ঞেস করেনি ছেলের নাম কি, ছেলে কি করে, ছেলের বাড়ী কোথায়, ছেলের মা বাবা ভাইবোন কি অবস্থা, কিছুই না। চাচীমা ওর নির্লিপ্ততা দেখে কি ভাববেন নিজেই বুঝে পান না।
বিয়ের আসর লোকে লোকারণ্য। সব চাচা চাচী ভাইবোনেরা রঙ্গিন প্রজাপতির মত বাড়ীময় উড়ে বেড়াচ্ছে যেন। সা’দকেও দেখা যাচ্ছে বেশ ভাল জামাকাপড় পরে উচ্ছ্বসিত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বেড়াক, সে খুশি থাকলেই রুহি খুশি।
মৌলভী সাহেব এসে সম্মতি নিয়ে গেলেন, সায়রার, ‘কবুল বল, কবুল বল’ ফিসফিসের জ্বালায় সে শুনতেই পেলোনা কার সাথে বিয়ে হচ্ছে, কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সম্মতি দিয়ে দিলো। এরপর সচরাচর অনুষ্ঠানের আর কিছুই হোলনা। দাদা বললেন, ‘এগুলো বিদ’আত, এগুলো থেকে দূরে থাকাই উত্তম। আমাদের লক্ষ্য দুই দিনের আনন্দ ফূর্তি নয় বরং এক জীবনের সাহচর্য’। সবাই মিলে বরবধূর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিত প্রার্থনা করল, নেতৃত্ব দিলেন দাদা নিজেই। ব্যাস, অনুষ্ঠান শেষ।
রাতে খাওয়াদাওয়ার পর রুহিকে ওদের বাসায়ই একটা ঘরে থাকতে দেয়া হোল। পুরাতন বাড়ীতে অনেক ঘর থাকে। এই কামরায় কেউ থাকতনা। বেশ বড় একটা রুম। এটাই গুছিয়ে ফুল দিয়ে সাজিয়ে ওর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সব বোনরা চারিদিকে ঘিরে বসে গল্প করছে। চুপচাপ পড়ুয়া মেয়ে সায়রার গলাটা শোনা যাচ্ছে সবার ওপরে। রুহি জানে সায়রার কাছে ওর খুশি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বুঝি মন খারাপের মাঝেও এই উচ্ছ্বাস।
একটু পর এই ঘরে থাকবে শুধু রুহি আর একটা অপরিচিত মানুষ যার সম্পর্কে সে কিছুই জানেনা। রুহি মনে মনে ভাবছে এতটা পাগলামী করা মনে হয় ঠিক হয়নি, কে জানে ওর কপালে কি আছে! হঠাৎ সা’দকে ঘরে ঢুকতে দেখে বোনগুলো দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দৌড়ে পালাল। সায়রা যেতে গিয়ে দেখে রুহি শক্ত করে ওর হাতটা ধরে রেখেছে। সা’দ ওকে একা পেলে কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে ভেবে চিন্তিত বোধ করে রুহি, সা’দের যে অগ্নিমূর্তি সে রাতে সে দেখেছে, আজ সে নিজেই বিধ্বস্ত, এই অবস্থায় সে সা’দকে একা সামাল দিতে পারবেনা। সা’দের পেছন পেছন বড়চাচী এসে ঢোকেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে রুহি। মায়ের সামনে সে পাগলামী করতে পারবেনা।
চাচী এসে রুহির পাশে বসেন। সা’দ দরজার পাশে দাঁড়িয়ে, সায়রার হাত এখনো রুহির হাতে আবদ্ধ। চাচী হেসে বলেন, ‘কি রে, আমার পছন্দের পাত্র তোর পছন্দ হোল?’
রুহি ভাবে এটাই সুযোগ, চাচীমাকে দিয়ে যদি সা’দকে এখানে থেকে বিদায় করানো যায়। সে মুচকি হেসে বলে, ‘পাত্রই তো দেখলাম না, পছন্দ অপছন্দ বলব কি করে?’
চাচী আশ্চর্য হয়ে বলেন, ‘বলিস কি? আমার এত্তবড় ঢ্যাঙ্গা ছেলেটাকে তুই চোখেই দেখলিনা?’
এবার পুরাই হতভম্ব রুহি। চাচী এসব কি বলছেন?!
সায়রা বুঝতে পারে রুহি নিজের চিন্তার জগতে ডুবে থাকার কারণে খেয়ালই করেনি নিজেদের পরিবারের বাইরে কেউ ছিলোনা অনুষ্ঠানে, কোন বরপক্ষ আসেনি, মৌলভী সাহেব সম্মতি নিতে এলে রুহি যে পাত্রের নাম শোনেনি সেটা অবশ্য সায়রার দোষ। তাড়াতাড়ি কবুল বলানোর জন্য খুব জ্বালাতন করছিল সে রুহিকে। সে বলে, ‘তুই আজ থেকে আমার ভাবী হলি, কি এখনও বুঝিসনি?’
রুহি ওর দিকে এমনভাবে তাকায় যেন ভস্ম করে ফেলবে, সায়রা বলে, ‘বিশ্বাস কর, আমি কাউকে কিছুই বলিনি। ভাইয়াও বলেনি। মা নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে’।
কিছুই বুঝতে পারেনা রুহি। জিজ্ঞাসে দৃষ্টিতে চাচীর দিকে তাকায়। চাচী বলেন, ‘ওরে, সেই ছোটবেলা থেকে থেকে তোকে আমি নিজের সন্তানের মত করে মানুষ করেছি। তারপর আমি কি করে তোকে আরেকজনের হাতে তুলে দেই? তাই ভাবলাম তোকে আমার কাছেই রেখে দেই!’
রুহির চোখে অশ্রুর বান ডাকে, তবু ওর জানা প্রয়োজন, ‘চাচীমা, তাহলে এই কথা সরাসরি না বলে বায়োডাটাগুলোর কথা জিজ্ঞেস করেছিলে কেন?’
‘মা বল মা! এতদিনে এই অধিকার আমার হোল। অধিকার হলেই অধিকার খাটাতে হবে এমন কথা আছে নাকি? যদি এমন হত যে আমার সা’দকে তোর পছন্দ নয়, তখন আমি জোর খাটালে তোর ভাল লাগতনা নিশ্চয়ই। একই কথা আমি সা’দকেও জিজ্ঞেস করেছি, তোকে ঘরে রেখে দিতে ওর কোন আপত্তি আছে কি’না। সে কথা শুনে ছেলে আমার যেভাবে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল তাতে আমার আর বুঝতে বাকী রইলোনা আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শুধু তোর নির্লিপ্ততাটা আমি বুঝতে পারছিলাম না। আজ কবুল পড়ানোর পর সায়রা আমার কাছে সব স্বীকার করল। মা’রে এত ভালবেসেছি তোকে, কিন্তু তোর মত করে ভালবাসতে পারিনি’।
বাকরুদ্ধ হয়ে রুহি চাচীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। ঋনের বোঝা যে বাড়তেই রয়েছে!
৯/
‘তুমি আমাকে মিথ্যা বলেছিলে কেন?’
‘চাচীমার আদরস্নেহের প্রতিদানে আমি তাঁর সন্তানের প্রতি তাঁর অধিকার ক্ষুন্ন করতে পারতাম না। সেটা বিশ্বাসঘাতকতা হত। আমার আর কোন উপায় ছিলোনা। আমাকে মাফ করে দিয়ো’।
‘মাফ এত সহজে করবনা’।
‘তাহলে বল, কি শর্তে মাফ করবে?’
‘আমিও তোমাকে কম কথা শোনাইনি। সেজন্য আমাকে মাফ করে দিতে হবে আগে’।
দু’জনেই হেসে ফেলে। কষ্টের সময় অতীত হয়ে গেলে পেছনে ফিরে তাকিয়ে হাসা যায় যদি সমাপ্তিটা ভাল হয়।
‘জানো রুহি, তোমার চোখের ঐ একফোঁটা জল আমাকে সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রণহারা করে ফেলেছিল। আমি ওয়াদা করছি আমি তোমাকে কখনো কাঁদাব না’।
‘আমি ওয়াদা করছি আমি আর কখনো কাঁদবনা’।
অতীতের ভুলগুলো ভুলে গিয়ে দু’জন হাসিমুখে এগিয়ে যাবার সংকল্প করে একটি সুন্দর আগামীর পথে।
(সমাপ্ত)
এক ফোঁটা জল - প্রথমাংশ
এক ফোঁটা জল - দ্বিতীয়াংশ
এক ফোঁটা জল - তৃতীয়াংশ
বিষয়: বিবিধ
৩১২৮ বার পঠিত, ৬৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
aager part gulor link add korle notun pathok der jonno upokar hobe.
হুমম, জীবনকে এভাবে সাজানোর জন্য অনেক অনেক নাম না জানা বড়চাচী আর রুহিদের প্রয়োজন, কিন্তু আমরা সবাই যে শুধু নিজের কথাই ভাবি, অন্যের অধিকার নিয়ে ভাবতেই চাইনা!
বাসা বদলাচ্ছি, কথা হবে ইনশা আল্লাহ
ভাইজান কিছু মনে করিয়েন না কথা মনে হয় বেশি বলে ফেললাম নাকি ।
বেশি বলিফেলছি নাকি আঙ্কেল?
আমাদের কিছু ঘাটতি থাকতেই পারে, কিন্তু বড়রা যদি সঠিক নির্দেশনা দিতে পারে, সুন্দর উদাহরণ স্থাপন করতে পারে, আর ছোটরা যদি তা অনুসরণ করতে পারে, তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম একটি স্বপ্নীল সমাজ পেতে পারে
আপাতত টুইটুম্বুর আছি, সামলে সুমলে পরে নাহয় মন্তব্য করে যাবো..
রুহি ভাগ্যবতী, তার শ্বাশুড়ি তার মা হতে ব্যাকুল...
এ গল্পের নায়িকা রুহির শেষ অনুভুতি জানার সুযোগ নেই। কারণ যার সাথে দাম্পমত্য জীবনের পাল তুলেছে, তার সাথে বিরোধে জড়িয়ে লাভ কি। পছন্দ অপছন্দ আত্মহত্যার করা রুহিকে দেখতে সব কিছু সাবলীল মনে হলেও রুহি যে যাতনার আগুনকে গিলে ফেলতে বাধ্য হয়েছে এটা হয়তবা কোনদিন জানা যাবেনা। ভালা লাগা আর ভাল বাসার এ মিছে অভিনয়ে মেয়েরা দ্ক্ষ বলেই হয়বা ক্ষণিকের জন্য হলেও আমরা সুখী।
ধন্যবাদ।
রুহির দাদার মত মানুষগুলোর কারণে রুহিদের জীবন যখন থেমে যেতে চায় তখনই বড়চাচী বা এরকম কেউ এসে রুহিদের চলার পথকে মসৃণ করে দেয়।
চমৎকার শিক্ষণীয় গল্পের জন্য জন্য ধন্যবাদ। গল্পের পরিণতিটা বেশ ভালো হয়েছে।
তবে বাস্তবে কি এই রকম হয়??
নাকি হওয়া উচিৎ??
বিশেষ করে রুহি পাত্র সম্পর্কে কিছুই না জানা। যদি ও রুহী ঠকেনি। তবে আমাদের পালিত রুহীদের আমরা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিই সচরাচর। রুহিকে কেন্দ্র করে, তাকে সম্মানিত করে আপনার গল্প আমার খুবই ভাল লেগেছে। শুক্রিয়া আপুজ্বি.........
চমৎকার শিক্ষণীয় গল্পের জন্য জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ।
"ফিরে এস শান্তির পথ" আটকে গেছে কেন?
কেমন লাগল তা তো জানালেন না!
কখন মনে হয় শেষ হইয়াও বুঝি হইল না শেষ আশা করি বুঝবেন। তবে ঐ চাচীর মত মহিla সত্যিই বিরল।
আমি কি চাই জানেন? - পৃথিবীর সব মানুষ বড়চাচীর মত হোক। এটা একটা অবাস্তব স্বপ্ন, কিন্তু স্বপ্ন না দেখলে মানুষ বাস্তবকে হজম করতে পারতনা, তাকে পরিবর্তন করা তো অনেক দূরের কথা। স্বপ্নটা ৫০% পূরণ হলেও আমি খুশি অবশ্য, তখন অন্তত রুহির দাদার মত লোকরা স্বেচ্ছাচার করতে পারতনা
ব্লগে সম্ভবত নতুন এলেন, আপনাকে স্বাগতম
মন্তব্য করতে লগইন করুন