এক ফোঁটা জল - তৃতীয়াংশ

লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ১৬ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:২০:১২ সকাল



৫/

ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়েছে দু’বোন। সকালে উঠে সায়রা দেখে এখনও রুহির চোখের কোণে পানি চিক চিক করছে, ঘুমের মধ্যেও কাঁদছে সে! রুহির মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দেয় সায়রা, কেন যে এমন করছে মেয়েটা! দাদার ভয়েই কি’না কে জানে। ওর হাতের ছোঁয়ায় জেগে ওঠে রুহি। রাতের ঘটনা মনে পড়তেই ওর চেহারাটা আবার দুমরে মুচড়ে আসে। দ্রুত নিজেকে সামলায় সে। উঠে বসে সায়রার দু’হাত ধরে বলে, ‘লক্ষ্মী বোন আমার, গতরাতের ঘটনাটা কাউকে বলবি না, কাউকে না, চাচীকেও না, ওয়াদা কর!’

ওর চোখে গভীরভাবে তাকিয়ে সায়রা বলে, ‘আচ্ছা। কিন্তু আমাকে বলবি তুই এমন করছিস কেন?’

রুহির দু’গাল বেয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হয়, ‘আমার বাবামায়ের কথা আমার তেমন বিশেষ কিছুই মনে পড়েনা। শুধু আবছা আবছা মনে পড়ে আমার মাথা নীচে, পা ওপরে, ভীষণ ব্যাথা সারা গায়ে, মায়ের মুখটা আমার কাছাকাছি, চোখ দু’টো স্থির নিশ্চল, আমার দিকে চেয়ে রয়েছে, পুরো মুখে রক্ত, বাবা গোঙ্গাচ্ছে, হাত বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে আমার দিকে, কিন্তু বাবাও ঝুলে আছে আমার মত, কিছুতেই নাগাল পাচ্ছেনা আমার। সেই পাঁচ বছর বয়সে গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টে এতিম হয়ে আমি ঘুরতে লাগলাম একবার নানীর বাসায়, একবার খালার বাসায়, একবার মামার বাসায়। ওদের মায়া ছিল, কিন্তু সামর্থ্য ছিলোনা আমাকে প্রতিপালনের, নিজেরাই যেখানে জীবনযুদ্ধে পিছু হটে যাচ্ছে বার বার সেখানে আমার জন্য ওরা কি করতে পারত? একদিন এক মায়াবতী এলেন। তখন আমার বয়স সাত, তাই কিছু কিছু মনে পড়ে। উনি আমার নানী, খালা, মামীদের সাথে অনেক কথা বললেন, বার বার তাঁদের আশ্বস্ত করলেন, তারপর আমাকে নিয়ে এলেন এই বাড়ীতে। বাড়ীতে এসে পৌঁছনোর সাথে সাথে দাদার সে কি হুঙ্কার! মায়াবতী কোন জবাব দিলেন না, পুরো সময়টা আমাকে জড়িয়ে রাখলেন তাঁর বুকের ভেতর। এভাবেই তিনি আমাকে আগলে রেখে চলেছেন এতগুলো বছর ধরে। তাহলে আমি কিভাবে তাঁর বুকে ছুরি বসাতে পারি? তাঁর একটাই ছেলে। তাঁর অধিকার রয়েছে নিজের একমাত্র ছেলেকে নিজের পছন্দমত মেয়ে দেখে বিয়ে করানোর। এই অধিকারে আমি কিছুতেই হাত দিতে পারিনা, তাতে যার বুক ফাটে ফাটুক। তোকে আবার অনুরোধ করছি, তুই কোনভাবেই গতরাতের কথা কাউকে বলবিনা, চাচীকে তো অবশ্যই না। কি, এটুকু করতে পারবিনা আমার জন্য?’

সায়রার চোখে তখন প্লাবন, বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে সে কান্নায়, শুধু রুহিকে জড়িয়ে ধরে মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দিলো, বলতে পারলনা কিছুই।

৬/

‘বাবা, আজ থেকে বারো বছর আগে আপনি জিজ্ঞেস করেছিলেন আমি কোন সাহসে মেয়েটাকে আপনার বাসায় নিয়ে এলাম। আমি কোন জবাব দেইনি। আজ বলব। আজ আমাকে বলতেই হবে। শুনবেন?’

শ্বশুরমশায় নড়েচড়ে বসেন, ‘বল।’

‘আচ্ছা বলুন তো, ফারুককে আমি কত দিনই বা দেখেছি। আমার বিয়ের বছর দুই পরেই তো সে লেখাপড়া করতে শহরে চলে গেল। গিয়ে মুনিরাকে বিয়ে করল’।

‘খবরদার!’, ধমকে ওঠেন বৃদ্ধ, ‘ঐ মেয়ের নাম আমার সামনে নেবেনা!’

পিছিয়ে যায় বড় বৌ, কিন্তু বড় ছেলে এগিয়ে আসে, ‘কেন বাবা? সে গরীবের মেয়ে বলে? সে কি একদম ফেলনা টাইপের মেয়ে ছিল? না, সে ছিল মেধাবী এবং লেখাপড়া জানা, শুধু পয়সা ছিলোনা ওদের। সে তো আমার ভাইয়ের সাথে প্রেম করেনি বাবা। ফারুক নিজেই ওর বাবার কাছে প্রস্তাব দিয়ে ওকে বিয়ে করেছে। আপনাকে জানায়নি কেন? হয়ত আপনি যদি বুঝদার হতেন সে নির্ভয়ে আপনাকে জানাতে পারত। কেন জানায়নি সেটা তো আপনি নিজেই পদে পদে প্রমান করেছেন’।

বৃদ্ধ মুখ নীচু করে রাখেন।

‘বাবা, আপনি বলুন, আপনি বিয়ের খবর শুনে কি করলেন? আপনি বললেন কেউ ওদের সাথে কোন যোগাযোগ রাখবেনা। আপনি আর কোনদিন ওদের মুখ দেখবেন না। ব্যাস, দেখলেন না। ওরা অর্থকষ্টে জর্জরিত ছিলো, আপনি জেনেও সাহায্য করেননি। ওদের সন্তান হোল, কিন্তু আপনার মন গললনা, আপনি নিজেও গেলেন না, আমাদেরও কাউকে যেতে দিলেন না। ওদের গাড়ী অ্যাক্সিডেন্ট হোল, মুনিরা ঘটনাস্থলে মারা গেল, ফারুক গুরুতর আহত হোল, হয়ত ভাল চিকিৎসা পেলে ওকে বাঁচানো যেত, কিন্তু আপনি আপনার জেদের ওপর অটল রইলেন। আমি লুকিয়ে কিছু টাকা পাঠালাম, আপনি জানতে পেরে আমার টাকাপয়সা বন্ধ করে দিলেন। যেটুকু পাঠিয়েছিলাম সেটা ওকে বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট ছিলোনা। আমার ভাইটা মরে গেল। আপনার টাকা পথের কুকুরে খায়, অথচ আমার ভাইটা টাকার অভাবে মারা গেল’, গলা ধরে আসে তাঁর, তবু বলতে থাকেন, ‘ওদের মেয়েটার প্রতি পর্যন্ত আপনার কোন মায়াদয়া হোলনা। মেয়েটা একেকবার একেকজনের বাসায় ঘুরতে লাগল। বাবা, ওদের পয়সা ছিলোনা, কিন্তু ওদের আত্মা ছিল। ওদের সন্তানকে ওরা কষ্ট হলেও ফেলে দেয়নি’।

বাবা খোঁচাটা ধরতে পারলেন, কিন্তু কথা সত্য, সুতরাং তিনি কোন উত্তর দিলেন না।

স্বামীর রুদ্ধকন্ঠ দেখে সাহস করে বড়বৌ আবার এগিয়ে এলেন, ‘বাবা, আমি ওদের মেয়েটাকে নিয়ে এলাম দু’বছর পর। মুনিরাকে আমি কোনদিন দেখিনি, ফারুকের সাথেও আমার সেভাবে ভাব হয়নি কোনদিন। তাহলে আমি ওকে কেন নিয়ে এসেছিলাম আপনি জানেন?’

বৃদ্ধ কৌতুহলী হয়ে মুখ তুলে তাকালেন, ‘কেন?’

‘আপনার জন্য!’

শ্বশুরমশায় হা হয়ে গেলেন, ‘মানে?’

‘বাবা, ওর শরীরে আপনার রক্ত। আপনার সন্তানের শেষ স্মৃতিচিহ্ন সে। আপনি যতই অস্বীকার করুন, আপনার ওপর আমার সা’দ বা সায়রার যেমন অধিকার আছে, রুহিরও অধিকার আছে। আপনি সকাল বিকাল মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েন, বসে বসে তিলাওয়াত করেন, ‘ফাজালিকাল্লাজি ইয়াদু’উল ইয়াতীম’। তারপর ঘরে ফিরে আপনি একজন অসহায় এতিমকে বঞ্চিত করেন, তার প্রতি সামান্য সহানুভূতিও দেখান না। আপনি কি মনে করেন এর জন্য আপনাকে জবাবদিহি করতে হবেনা? আমি আপনাকে রক্ষা করার জন্য ওকে নিয়ে এসেছি। এখানে আমার কোন স্বার্থ নেই’।

বৃদ্ধের চোখের দু’কোণে অশ্রু জমে। পেছন ফিরে নিজের জীবনের দিকে তাকিয়ে তিনি শুধু টাকা আর অহংকার ছাড়া কিছুই খুঁজে পাননা। তাঁর ছেলেরা পারতপক্ষে তাঁর সাথে কথা বলতে চায়না, বৌরা লুকিয়ে লুকিয়ে থাকে, নাতিনাতনীরা থাকে দূরে দূরে। ছেলে এবং বৌয়ের দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে তিনি বুঝতে পারেন এর জন্য তিনিই দায়ী।

সত্য মনে মনে স্বীকার করে নিলেও, স্বভাব কি সহজে বদলানো যায়? তিনি চেহারায় ঈষৎ বিরক্তির ভাব এনে বড় বৌয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তাহলে বল, তুমি এখন কি মনে করে আজ এত বছর পর এই প্রসঙ্গ তুললে?’

বড় বৌ বললেন, ‘বাবা, রুহি আপনার নিজের রক্ত, অথচ এতিম বলে আপনি ওর প্রতি একটুও মায়া করেননি। আজ বারো বছরেও আপনি কোনদিন ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দেননি, সায়রা ওকে ভালবাসে বলে আপনি সায়রার ওপরেও বিরক্ত। ক’দিন পর মেয়েটার বিয়ে হবে। নিজের বাড়ীতেই যদি ওর কোন আদর না থাকে, শ্বশুরবাড়ীতে ওকে কতটুকু কদর করবে? আপনিই যদি ওর সাথে এমন ব্যাবহার করেন, তাহলে ওর শ্বশুরবাড়ীর লোকজন ওর সাথে কেমন ব্যাবহার করবে? ...’

দাদার ঘরে চেঁচামেচি শুনে ঘরের লোকজন তাঁর ঘরের সামনে থেকে ছুটে পালাতে থাকে, দাদা কার সাথে চিৎকার করছেন সেটা বোঝা যাচ্ছেনা, কারণ অন্য পক্ষ এত শান্ত গলায় কথা বলছে যে বাইরে থেকে শোনা যাচ্ছেনা। বেশ কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে বড়চাচা আর বড়চাচী বেরিয়ে আসেন। দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা যায় দাদা মাথা নুইয়ে বসে আছেন, জানালা থেকে আলো এসে তাঁর গাল বেয়ে চুঁইয়ে পড়া অশ্রুবিন্দুতে ঠিকরে পড়ে ঝিলিক তুলেছে। এমন দৃশ্য এর আগে কেউ কোনদিন দেখেনি, তাই সবাই ভয় ভুলে চেয়ে থাকে এই অভাবনীয় দৃশ্যের দিকে।

(চলবে ইনশা আল্লাহ)

বিষয়: বিবিধ

১৮৫১ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

208614
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:২৭
এহসান সাবরী লিখেছেন : অনেক সুন্দর হচ্ছে।ভালো লাগল!
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:০২
157327
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। Good Luck
আপনার প্রোফাইল ছবিটি বেশ সুন্দর! আমার ভীষণ কলমের শখ। এস এস সি পর্যন্ত আমি এমনই ফাউন্টেন পেন ব্যাবহার করতাম Happy
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:১৮
157390
এহসান সাবরী লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপু!
দু'আ করবেন যাতে কলম না থামে আমাদের
সকলের!!
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
157401
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Praying Praying Praying
208628
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:১৭
Sada Kalo Mon লিখেছেন : সবাই চেয়ে আছে এই অভাবনীয় দৃশ্যের দিকে! আর আমি চেয়ে আছি আপনার পরের পর্বের দিকে....
অনেক ভালো লাগলো, দাদাটা বেশি অহংকারী, কিন্তু মনে হলো তার মধ্যে অনুসুচনা তৈরি হলো।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:০৩
157328
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম Good Luck
প্রথম এসেই বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ Happy
208637
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৩২
ডাঃ নোমান লিখেছেন : আগের পর্বগুলো পড়ে আসি আগে তারপর কমেন্ট করব।ধারাবাহিক কোন কিছুর এক পর্ব পড়িলে পরের পর্ব পড়ার ইচ্ছে করে আর এইটা পড়ে আমার সামনে পিছনে সব পর্বই পড়ার ইচ্ছে করছে!
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:০৪
157329
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ Happy
208648
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:০৩
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, জাজাকাল্লাহুল খাইরান, অনেক সুন্দর পোস্ট
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:০৮
157333
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনার রেডিমেড মন্তব্যটিও সুন্দর।
208669
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো চলুক।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৫১
157804
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy Good Luck
208674
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
নীল জোছনা লিখেছেন : জাজাকাল্লা খায়রান. অনেক ভালো লাগলো পড়ে, আরো বেশী বেশী লিখুন
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৫২
157805
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ Happy
208677
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : হুম। শেষটা জানতে খুব কৌতুহল হলেও বুঝতে পারছি এত তাড়াতাড়ি জানাবেননা। প্রেম, রোমান্স, হাহাকার, হাসি কান্না সব মিলিয়ে লাগছে ভাল, চলছে......চলুক।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৫২
157806
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : বেশি দেরী করিনি ভাই, পরের পর্বের পরিণতি জানিয়ে দিয়েছি Happy
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৫৩
157807
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : বেশি দেরী করিনি ভাই, পরের পর্বেই পরিণতি জানিয়ে দিয়েছি Happy
208678
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : ভালো লাগলো বরাবরের মতই Rose Rose
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৫৫
157808
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : বরাবরের নীচে না নামাতে আশ্বস্ত বোধ করছি, কিন্তু বরাবরের ওপরে কিছুতেই উঠতে পারছিনা দেখছি :Thinking
বরাবর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ Happy Good Luck
208709
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪২
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : মন ভারাক্রান্ত হবার মত কাহিনী। রুহীর বাবার মত বৃদ্ধ আমিও দেখেছি, এদের চোখ গুলো মাছের মত কোন ভাষা নাই, হৃদয়টা পাথরের মত কোন অনুভুতি নাই। সুন্দর কাহিনীর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৫৫
157809
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সাথে থাকার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ Happy Good Luck
১০
208710
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
পবিত্র লিখেছেন : খুবি সুন্দর শিক্ষণীয় গল্প। অনেক অনেক ভালো লাগলো। Happy পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। Waiting
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৫৬
157810
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনিই একমাত্র শিক্ষাটা লক্ষ্য করলেন, বাকী সবাই রসায়নে নিমজ্জিত Crying Crying
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
১১
208727
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : কী বলবো ঠিক বুঝতে পারতিছিনা, নস্টালজিক হয়েপড়লাম৤ কারও মানসিক কষ্ট হচ্ছে দেখলেই সাথে সাথেই কান্না চলে আসে আমার৤ হয়তো আমিও মানসিকভাবে অনেক কষ্ট পেয়েই বড়হয়েছি, তাই৤ রুহীর উপরে দাদার আচরনদেখেও অশ্রু আসলো দুচোখে৤ (ছেলেদের ক্ষেত্রে এত্ত ইমোশ্যানাল হয়েপড়া নাকি ভালোও নয়)৤

আমিও দেখছি রুহীর দাদার মতো নামাজী মানুষ, নিজের রক্তের সম্পর্কের উপরও চরম অন্যায় করে৤ দুয়াকরি প্রভুর কাছে - আল্লাহ যাতে সবাইকে ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে জেনে বুঝে মেনেচলার তৌফিক দান করেন ৤
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১২
157813
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : রাসূল (সা) মানুষের দুঃখকষ্ট দেখে কাঁদতেন। পুরুষরা পাথরসদৃশ হতে হবে এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। আবার অনেকে স্বভাবগতভাবে অপারগ হতে পারে, সেক্ষেত্রে কিছু করার নেই। যেমন আমি মেয়ে হলেও কোনদিন কারো সামনে কাঁদিনি, এটা আমার কাছে দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ মনে হয়। পরিবারের বড় সন্তানরা এই অধিকার রাখেনা যেহেতু তাদের অন্যদের ওপর ছায়াবিস্তার করতে হয় Don't Tell Anyone
১২
208827
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৩
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : মাশাল্লাহ বেশ ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১৩
157814
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য Happy
১৩
208847
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:২৯
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : অবশেষে দাদা তার এতিম নাতনীকে বুকে নিবে..আদর করে খাওয়াবে..অতীতের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইবে...এটাই চাই..............কি আর বলব..আমাদের দেশে হাজারো রুহী বাবাকে হারিয়ে অসহায়..এই বাড়ী ঐ বাড়ী ঘুরে ঘুরেই ওরা বড় হয়।...............চলতে থাকুক।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১৫
157815
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আসলে ভাই জীবন অনেক বিচিত্র। বাংলা সিনেমার মত আপাদমস্তক পরিবর্তন কি আসলে সম্ভব? যে সারা জীবন ভিলেনগিরি করল সে শেষদৃশ্যে এসে তাওবা করে ভাল হয়ে যায় এমনটা মনে হয় বাস্তবে হয়না। ওদের বিবেক থাকলে ওরা অনেক আগেই সাড়া দিত। :Thinking
১৪
208918
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:২১
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। দারুন ক্লাইমেক্স ! শেষটার অপেক্ষায় আছি ।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১৬
157816
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ Happy
গতকাল ব্লগ আসছিলোনা, আজ দিয়েছি Happy
১৫
208991
১৭ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:২৫
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : রুহীর দাদা এত কঠিন? ছেলের উপর যে রাগ ছিলো তা রূহীর ওপর থাকা কি ঠিক হলো?



১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১৭
157817
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সবাই যদি ঠিক কাজটা করত তাহলে তো দুনিয়াতে কোন দুঃখ কষ্ট থাকতনা আপা Happy
১৬
209600
১৮ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৩
আমি আমার লিখেছেন : কষ্টের মাঝে গল্পটা অনেক ভাল লাগলো। বাস্তবে যেনো কারো জিবনে না ঘটে। Rose Rose Rose
১৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৫:১৭
158303
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : দেখুন, পরের পর্বে কষ্ট লাঘব হয় কি'না Happy
১৭
209930
১৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:২৯
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : চমৎকার.........
أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ﴾
১) তুমি কি তাকে দেখেছো৷১ যে আখেরাতের পুরস্কার ও শাস্তিকে২ মিথ্যা বলছে ?৩

১ . ' তুমি কি দেখেছো ' বাক্যে এখানে বাহ্যত সম্বোধন করা হয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে । কিন্তু কুরআনের বর্ণনাভংগী অনুযায়ী দেখা যায় , এসব ক্ষেত্রে সাধারণত প্রত্যেক জ্ঞান - বুদ্ধি ও বিচার - বিবেচনা সম্পন্ন লোকদেরকেই এ সম্বোধন করা হয়ে থাকে। আর দেকা মানে চোখ দিয়ে দেখাও হয়। কারণ সামনের দিকে লোকদের যে অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে তা প্রত্যেক প্রত্যক্ষকারী স্বচক্ষে দেখে নিতে পারে। আবার এর মানে জানা , বুঝা ও চিন্তা ভাবনা করাও হতে পারে। আরবী ছাড়া অন্যান্য ভাষায়ও এ শব্দটি এ অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন আমরা বলি , " আচ্ছা , ব্যাপারটা আমাকে দেখতে হবে। " অর্থাৎ আমাকে জানতে হবে। অথবা আমরা বলি , " এ দিকটাও তো একবার দেখো ।" এর অর্থ হয় , " এ দিকটা সম্পর্কে একটু চিন্তা করো । " কাজেই " আরাআইতা " ( আরবী -----------) শব্দটিকে দ্বিতীয় অর্থে ব্যবহার করলে আয়াতের অর্থ হবে , " তুমি কি জানো সে কেমন লোক যে শাস্তি ও পুরস্কারকে মিথ্যা বলে ৷ " অথবা " তুমি কি ভেবে দেখেছো সেই ব্যক্তির অবস্থা যে কর্মফলকে মিথ্যা বলে ৷ "

২ . আসলে বলা হয়েছে : ( আরবী ------------) । কুরআনের পরিভাষায় " আদ দীন " শব্দটি থেকে আখেরাতে কর্মফল দান বুঝায়। দীন ইসলাম অর্থেও এটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সামনের দিকে যে বিষয়ের আলোচনা হয়েছে তার সাথে প্রথম অর্থটিই বেশী খাপ খায় যদিও বক্তব্যের ধারাবাহিকতার দিক দিয়ে দ্বিতীয় অর্থটিও খাপছাড়া নয়। ইবনে আব্বাস ( রা)) দ্বিতীয় অর্থটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তবে অধিকাংশ তাফসীরকার প্রথম অর্থটিকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন। প্রথম অর্থটি গ্রহণ করলে সমগ্র সূরায় বক্তব্যের অর্থ হবে , আখেরাত অস্বীকারের আকীদা মানুষের মধ্যে এ ধরনের চরিত্র ও আচরণের জন্ম দেয়। আর দ্বিতীয় অর্থটি গ্রহণ করলে দীন ইসলামের নৈতিক গুরুত্ব সুস্পষ্ট করাটাই সমগ্র সূরাটির মূল বক্তব্যে পরিণত হবে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে বক্তব্যের অর্থ হবে , এ দীন অস্বীকারকারীদের মধ্যে যে চরিত্র ও আচরণ বিধি পাওয়া যায় ইসলাম তার বিপরীত চরিত্র সৃষ্টি করতে চায়।

৩ . বক্তব্য যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে মনে হয় , এখানে এ প্রশ্ন দিয়ে কথা শুরু করার উদ্দেশ্য একথা জিজ্ঞেস করা নয় যে , তুমি সেই ব্যক্তিকে দেখেছো কি না। বরং আখেরাতের শাস্তি ও পুরস্কার অস্বীকার করার মনোবৃত্তি মানুষের মধ্যে কোন ধরনের চরিত্র সৃষ্টি করে শ্রোতাকে সে সম্পর্কে চিন্তা- ভাবনা করার দাওয়াত দেয়াই এর উদ্দেশ্য। এই ধরনের লোকেরা এ আকীদাকে মিথ্যা বলে সে কথা জানার আগ্রহ তার মধ্যে সৃষ্টি করাই এর লক্ষ। এভাবে সে আখেরাতের প্রতি ঈমান আনার নৈতিক গুরুত্ব বুঝার চেষ্টা করবে।

﴿فَذَٰلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ﴾
২) সে-ই তো ৪ এতিমকে ধাক্কা দেয় ৫

৪ . আসলে ( আরবী ----------) বলা হয়েছে। এ বাক্যে " ফা " অক্ষরটি একটি সম্পূর্ণ বাক্যের অর্থ পেশ করছে। এর মানে হচ্ছে , " যদি তুমি না জেনে থাকো তাহলে তুমি জেনে নাও " " সে - ই তো সেই ব্যক্তি " অথবা এটি এ অর্থে যে , " নিজের এ আখেরাত অস্বীকারের কারণে সে এমন এক ব্যক্তি যে ----------------"

৫ . মূলে ( আরবী --------) বলা হয়েছে এর কয়েকটি অর্থ হয়। এক , সে এতিমের হক মেরে খায় এবং তার বাপের পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে বেদখল করে তাকে সেখান থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। দুই , এতিম যদি তার কাছে সাহায্য চাইতে আসে তাহলে দয়া করার পরিবর্তে সে তাকে ধিক্কার দেয়। তারপরও যদি সে নিজের অসহায় ও কষ্টকর অবস্থার জন্য অনুগ্রহ লাভের আশায় দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় । তিন , সে এতিমের ওপর জুলুম করে। যেমন তার ঘরেই যদি তার কোন আত্মীয় কথায় গালমন্দ ও লাথি ঝাঁটা খাওয়া ছাড়া তার ভাগ্যে আর কিছুই জোটে না। তাছাড়া এ বাক্যের মধ্যে এ অর্থও নিহিত রয়েছে যে, সেই ব্যক্তি মাঝে মাঝে কখনো কখনো এ ধরনের জুলুম করে না বরং এটা তার অভ্যাস ও চিরাচরিত রীতি সে যে এটা একটা খারাপ কাজ করছে , এ অনুভূতিও তার থাকে না। বরং বড়ই নিশ্চিন্তে সে এ নীতি অবলম্বন করে যেতে থাকে। সে মনে করে , এতিম একটা অক্ষম ও অসহায় জীব। কাজেই তার হক মেরে নিলে , তার ওপর জুলুম - নির্যাতন চালালে অথবা সে সাহায্য চাইতে এলে তাকে ধাক্কা মেরে বের করে দিলে কোন ক্ষতি নেই।
এ প্রসংগে কাজী আবুল হাসান আল মাওয়ারদী তাঁর " আলামূন নুবুওয়াহ " কিতাবে একটি অদ্ভুত ঘটনা বর্ণনা করেছেন । ঘটনাটি হচ্ছে : আবু জেহেল ছিল একটি এতিম ছেলের অভিভাবক। ছেলেটি একদিন তার কাছে এলো । তার গায়ে একটুকরা কাপড়ও ছিল না। সে কাকুতি মিনতি করে তার বাপের পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে তাকে কিছু দিতে বললো। কিন্তু জালেম আবু জেহেল তার কথায় কানই দিল না। সে অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর শেষে নিরাশ হয়ে ফিরে গেলো । কুরাইশ সরদাররা দুষ্টুমি করে বললো , " যা মুহাম্মাদের ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) কাছে চলে যা। সেখানে গিয়ে তার কাছে নালিশ কর। সে আবু জেহেলের কাছে সুপারিশ করে তোর সম্পদ তোকে দেবার ব্যব্‌স্থা করবে । " ছেলেটি জানতো না আবু জেহেলের সাথে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কি সম্পর্ক এবং এ শয়তানরা তাকে কেন এ পরামর্শ দিচ্ছে। সে সোজা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে পৌঁছে গেলো এবং নিজের অবস্থা তাঁর কাছে বর্ণনা করলো। তার ঘটনা শুনে নবী ( সা) তখনই দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তাকে সংগে নিয়ে নিজের নিকৃষ্টতম শত্রু আবু জেহেলের কাছে চলে গেলেন। তাঁকে দেখে আবু জেহেল তাঁকে অভ্যর্থনা জানালো। তারপর যখন তিনি বললেন , এ ছেলেটির হক একে ফিরিয়ে দাও তখন সে সংগে সংগেই তাঁর কথা মেনে নিল এবং তার ধন - সম্পদ এনে তার সামনে রেখে দিল । ঘটনার পরিণতি কি হয় এবং পানি কোন দিকে গড়ায় তা দেখার জন্য কুরাইশ সরদাররা ওঁৎ পেতে বসেছিল। তারা আশা করছিল দু' জনের মধ্যে বেশ একটা মজার কলহ জমে উঠবে। কিন্তু এ অবস্থা দেখে তারা অবাক হয়ে গেলো। তারা আবু জেহেলের কাছে এসে তাকে ধিক্কার দিতে লাগলো। তাকে বলতে লাগলো , তুমিও নিজের ধর্ম ত্যাগ করেছে। আবু জেহেল জবাব দিল , আল্লাহর কসম ! আমি নিজের ধর্ম ত্যাগ করিনি। কিন্তু আমি অনুভব করলাম , মুহাম্মাদের ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) ডাইনে ও বাঁয়ে এক একটি অস্ত্র রয়েছে। আমি তার ইচ্ছার সামান্যতম বিরুদ্ধাচরণ করলে সেগুলো সোজা আমার শরীরের মধ্যে ঢুকে যাবে। এ ঘটনাটি থেকে শুধু এতটুকুই জানা যায় না যে ,সে যুগে আরবের সবচেয়ে বেশী উন্নত ও মর্যাদা গোত্রের বড় বড় সরদাররা পর্যন্ত এতিম ও সহায় - সম্বলহীন লোকদের সাথে কেমন ব্যবহার করতো বরং এই সংগে একথাও জানা যায় যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কত উন্নত নৈতিক প্রভাব কতটুকু কার্যকর হয়েছিল। ইতিপূর্বে তাফহীমূল কুরআন সূরা আল আম্বিয়া ৫ টীকায় আমি এ ধরনের একটি ঘটনা বর্ণনা করেছি।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে জবরদস্ত নৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে কুরাইশরা তাঁকে যাদুকর বলতো এ ঘটনাটি তারই মূর্ত প্রকাশ।
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:৪৪
159922
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ব্যাখ্যা দিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, যদিও আমি চাচ্ছিলাম সবাই নিজ দায়িত্বে জেনে নিক Good Luck Good Luck
১৮
211664
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:২৯
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : মাশাআল্লাহ্‌! আলহামদুলিল্লাহ্‌! Happy
২৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৪১
160819
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ্‌! Happy
১৯
211765
২২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৩৯
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : সুন্দর করে ফুটিয়ে তুললেন বড়বৌ এর চরিত্র........সাথে আছি।
২৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৪২
160821
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এটা আমার গল্পের একটা মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল, খেয়াল করার জন্য ধন্যবাদ Happy অনেক পাঠক রুহি আর সা'দকে কেন্দ্রীয় চরিত্র ধরে নিয়েছেন Sad

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File