ক্যাল্গেরীর বসন্তকাল

লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ০১ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:৪৪:৩০ সকাল



বিকালে রান্নাঘরে কাজ করতে করতে হাফিজ সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, ‘কি ব্যাপার? বাচ্চারা কেউ আজ স্কুলে যায়নি কেন?’

পৃথিবীতে একমাত্র ওনার পক্ষেই সম্ভব এই প্রশ্নের জবাব জানার জন্য সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা। ওনার ধারণা অনুযায়ী বাড়ীঘর, সংসার, সন্তান সব আমার; আর এই সব কিছুর সাথে ওনার একমাত্র সংযোগ আমি। এখন আর অবাকও হইনা। স্বাভাবিকভাবেই বললাম, ‘আজ থেকে ওদের বসন্তকালীন ছুটি, এই সপ্তাহ পুরোটা ওরা বাসায় থাকবে’।

উনি খুব অবাক হলেন। বিস্ফারিতনেত্রে একবার আমার দিকে আরেকবার বাইরে তাকিয়ে বললেন, ‘তাই?’

অবাক হবার কারণ হোল, তখন বাইরে অঝোরে তুষারপাত হচ্ছে যা আজ সাত আটদিন হতে চলল একইহারে চলমান। এবারের শীত ছিল দীর্ঘ, প্রচন্ড শীতল এবং অত্যধিক তুষারপাতযুক্ত। শীতের শেষ সপ্তাহ তাপমাত্রা ৭-১১ সেলসিয়াসে চলে আসতেই স্তুপীকৃত তুষার গলে রাস্তাঘাট একাকার অবস্থা। ক্যাল্গেরীবাসী ভয় পেয়ে গেল, সব তুষার একসাথে গলে আবার না গতবছরের মত বন্যা হয়! এক হাজার স্বেচ্ছাসেবী নদীর পাড় থেকে ট্রাকে ভরে জমাট তুষার স্থানান্তর করল যেন বরফ গলে নদীর পানি উপচে না পড়ে। প্রায় সব বরফ গলে যাবার পর বসন্তের প্রথমদিন থেকে আবার এক সপ্তাহের তুষারপাতে প্রায় হাঁটুসমান বরফ জমে গিয়েছে। তাপমাত্রা ধাঁ করে চলে এসেছে মাইনাস ২০ সেলসিয়াসে। শীতকালে আবহাওয়া শুকনো থাকে বলে মাইনাস ৪০ সেলসিয়াসেও তেমন কষ্ট হয়না, যদি বাতাস না থাকে বা বাতাসে আর্দ্রতা না থাকে। কিন্তু এখন বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকজন কেবল চোখ দু’টো বাদ দিয়ে সব ঢেকে চলাফেরা করছে, তবু চামড়া কেটে কেটে যাচ্ছে জলো বাতাসে। এখন যে তুষার ঝরছে তা আকারে শীতকালীন তুষারের চেয়ে বড়। তবে ক্যাল্গেরীর তুষার বালি বালি ধরনের, তাতেই রক্ষা, নইলে জামাকাপড় ভিজে গেলে সবাই মারা পড়ত। ভোরে যখন কাজে যাই তখন অন্ধকারে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা যায়। আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় কোটি কোটি হীরের কুচি ঝরে ঝরে পড়ছে, অন্ধকারে তুষারস্তুপ হীরের স্তুপের মত চিক চিক করে জ্বলে। কি যে অদ্ভুত সুন্দর সে দৃশ্য!

তাপমাত্রা মাইনাস পঁচিশের নীচে গেলে আরেকটা অদ্ভুত জিনিস ঘটে। কেউ যদি এক গ্লাস পানি বাইরে ছুঁড়ে মারে তাহলে তা মাটিতে পড়ার আগেই বরফে রূপান্তরিত হয়ে ঝুর ঝুর করে ঝরে পড়ে! ব্যাপারটা অনেক বছর আগে দেখা একটা দৃশ্য বুঝতে সাহায্য করল। বিয়ের কিছুদিন পর কলকাতা বেড়াতে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম দার্জিলিং ঘুরে আসব। দার্জিলিং গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার ওপর সুর্যোদয় এত ভাল লাগল, মনে হোল সত্যজিৎ রায় এর যে বর্ণনা দিয়েছেন এটি বাস্তবে তার চেয়েও সুন্দর। কিন্তু প্রচুর পর্যটক যাবার ফলে দার্জিলিং বলতে গেলে একটি বাজারে পরিণত হয়েছে। একটি ভারতীয় বাঙ্গালী পরিবারের সাথে কথাগুলো শেয়ার করতে তারা বলল তাহলে আমাদের সাথে সিকিম চল, ওখানে ভাল লাগবে। সিকিম আসলেই অসাধারন লেগেছে যদিও সিকিমের প্রবেশপথে ‘ভারতীয় আগ্রাসন থেকে সিকিমকে মুক্ত করার আন্দোলন’-এর অফিস আর বিশাল সাইনবোর্ড দেখে বুকটা অজানা আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে। ক্ষুদ্র প্রতিবেশীদের সাথে আগ্রাসী আচরন করার এমন প্রচুর ইতিহাস আছে যার, তার প্রতিবেশী আমরা। তাহলে আমরা কতটুকু নিরাপদ? যাই হোক, পরদিন তিস্তা নদীর জন্মস্থান সাঙ্গু লেক দেখতে পাহাড়ে চড়ে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখলাম। নিজের দেশেই রিফিউজি বনে যাওয়া প্রচুর সিকিমি পরিবার পাহাড়ের ঢালে ছাপড়া ঘর বানিয়ে বসবাস করছে, চট্টগ্রামের বাটালী হিলের মত। মহিলারা ঘরের বাইরে হাঁড়িতে পানি গরম করছে, তারপর সেই টগবগ করে ফুটন্ত পানি মাথায় ঢেলে গোসল করছে, আর সেই পানি মাটিতে গড়িয়ে পড়তে পড়তে বরফ হয়ে যাচ্ছে! টগবগে ফুটন্ত পানি মাথায় ঢালতে দেখে আতঙ্কে শিউড়ে উঠেছিলাম তখন। সেই প্রথম আমার এমন আবহাওয়া দেখার অভিজ্ঞতা। তাই বুঝতে পারিনি পানি ঢালার আগেই তো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে! সারা জীবন চরম উষ্ণ আবহাওয়ায় কাটিয়ে এখানে মনে হচ্ছিল ফ্রিজারে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী এক জায়গায় দু’পাশে ফাঁকা থাকায় হু হু করে বায়ু প্রবাহিত হচ্ছিল, মনে হোল যেন হাড়সহ কেটে নিয়ে গেল! ব্যাস, এক ঝলক মৃদুমন্দ হাওয়া! কিন্তু এই আবহাওয়ায় একদিন বসবাস করব তা ভাবিনি কোনদিন।

এই প্রসঙ্গে আরেকটা মজার ঘটনা মনে পড়ল। মাস্টার্স পাশ করার আগে চট্টগ্রামের প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াতাম। একবার ক্লাস ফাইভে ভূগোল পড়াতে গিয়ে ক্যাল্গেরী নামে এক শহরের প্রসঙ্গ এলো যেখানে বছরের অর্ধেক সময়ই মাইনাস তাপমাত্রা থাকে এবং শীতগ্রীষ্ম সবসময়ই তুষারপাত হতে পারে। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু যখন পড়লাম মাইনাস ৪০ সেলসিয়াস বা এর নীচে খালি হাতে ধাতব কিছু স্পর্শ করলে তা আর বিশেষ পদ্ধতি প্রয়োগ ব্যাতীত ছুটানো যায়না, অনেক সময় চামড়া কেটে ছাড়াতে হতে পারে, তখন সিদ্ধান্ত নিলাম পৃথিবীর যে জায়গায়ই যাইনা কেন, ক্যাল্গেরী জীবনেও আসবনা। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কি কিছু হয়? তাই পৃথিবীর এত জায়গা ফেলে এই ক্যাল্গেরীতেই বসবাস করছি গত পাঁচবছর!

এবারের তুষারপাত শুরু হবার আগে একদিন ঝকঝকে রোদ উঠতে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে হাফিজ সাহেবকে বললাম, ‘দেখেন, কি সুন্দর রোদ উঠেছে মাশাল্লাহ!’

উনি বাইরে দেখে বললেন, ‘গত সপ্তাহেও একবার রোদ উঠেছিল’।

পৃথিবীর আর যেকোন জায়গায় এই কথোপকথন শুনলে লোকে মনে করত উনি ঠাট্টা করছেন। কিন্তু এখানে এটা কেবল নিরেট বাস্তুবতা।

ক্যাল্গেরীবাসীদের মধ্যে যাদের পক্ষে সম্ভব তারা শীতে বিভিন্ন উষ্ণ স্থানে বেড়াতে যায়। ফিরে এসে হা হুতাশ করে। শীতপ্রধান দেশগুলোতে আবহাওয়াজনিত ডিপ্রেশনে আত্মহত্যার মত ঘটনাও বিরল নয়। হাফিজ সাহেব তো প্রতিবার শীত এলে ক্যাল্গেরী ছেড়ে চলে যেতে চান। আবার গ্রীষ্মকাল এলে ক্যাল্গেরীর মোহনীয় সৌন্দর্য অভিভূত হয়ে শীতের কথা ভুলে যান। তবে আমি আমার জীবনপরিক্রমায় মরুভূমিতে থেকেছি, সাগরপাড়ে থেকেছি, পাহাড়ে থেকেছি, নিম্নভূমিতে থেকেছি, দাবদাহে প্রান অতিষ্ঠ হবার মত আবহাওয়ায় বেড়ে উঠে ক্যাল্গেরীর ফ্রিজারে ঢুকেছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমার এই তুষার কিংবা শীত ভালই লাগে। সবচেয়ে বড় কথা আল্লাহ স্বয়ং যা আমার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা কি কখনো আমার জন্য অমঙ্গলজনক হতে পারে? আমরা যখন মাদ্রাজ থাকতাম তখন প্রায়ই মাদ্রাজে পড়াশোনারত ছেলেমেয়েরা ওখানকার খাবার নিয়ে নালিশ করত, কিন্তু সত্যি কথা ওদের খাবার আমার খুবই পছন্দ! আমরা যখন যে অবস্থায় থাকি সেটাকেই জীবনের একেকটি উপভোগ্য অধ্যায় মনে করে অ্যাপ্রিশিয়েট করে নিলে প্রতিটি মূহূর্ত, প্রতিটি অভিজ্ঞতাই আনন্দদায়ক হতে পারে। কিন্তু এই কৃতজ্ঞতাবোধের অভাবই জীবনকে করে তোলে বিস্বাদ এবং নিরানন্দ। মাতৃভাষায় অ্যাপ্রিশিয়েট শব্দটার একটা যুৎসই প্রতিশব্দের অভাবে একবার আক্ষেপ করেছিলাম এই গুনটিই সম্ভবত আমাদের নেই। আজও মনে হচ্ছে এই শব্দটার সাথে পরিচিত হওয়া আমাদের জন্য একান্ত জরুরী। আফ্রিকার উত্তপ্ত গাছপালাবিহীন প্রান্তরে খাদ্য ও পানির অভাবে মৃত্যুপথযাত্রী শিশুটিকে খাবার জন্য অপেক্ষারত শকুনের সেই বিখ্যাত ছবিটি দেখেও কি আমরা একবার ভাবিনা আমরা কত ভাল আছি।



বিষয়: বিবিধ

১৬৩০ বার পঠিত, ৪৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

201228
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:০২
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : এক কথায় অসাধারন! অসাধারন!! অসাধারন!!! Thumbs Up Thumbs Up
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩১
151163
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ধন্যবাদ আপা Happy আবহাওয়া বিষয়ক খুচরা লেখাটা দেখছি অনেকেরই ভাল লাগছে! ভাবছি সিরিয়াস লেখালেখি বাদ দিয়ে হুমায়ূন আহমেদ হয়ে যাব কিনা Winking
প্রথম উপস্থিতির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ Love Struck Good Luck
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:০১
151179
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : সুমাইয়াপু রান্না বাদ দিয়ে মন্তব্য করেদিছে, নয়তো আমিই ফার্স্ট হতাম, আমি কালকে দেখছি পোস্টিটা কিন্তু মন্তব্য করিনাই কারন সবাই সন্দেহ করে, না পড়ে মন্তব্য করি বলে Frustrated Surprised
০২ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:০৪
151295
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আমি এমনটা ভাবিনা মি.হ্যারি! Winking
০২ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:০৪
151296
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আমি এমনটা ভাবিনা মি.হ্যারি! Winking
০২ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:০৭
151297
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আমি আসলে বিশিষ্ট প্রকৃতি প্রেমিক প্রকৃতির যে কোন কথাই আমাকে ছুঁয়ে যায়। Happy Love Struck
201229
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:০২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : শেষ ছবিটি অনেক মন খারাপ করা। ওদের জীবনে কি কখনো বসন্ত আসবেনা?
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩২
151164
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এই বিষয়ে আপনার সাথে সামনাসামনি বসে আলাপ করতে হবে, তবে কয়ঘন্টা আলাপ করলে বিষয়টা সম্যকভাবে আলোচনা করা সম্ভব সেটা বিতর্কের বিষয় :Thinking
201231
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বসন্তের ই এই অবস্থা!!!
শিতের অবস্থা তাহলে কি রকম?
তবে প্রকৃতির এই বৈচিত্রময়তাই পৃথিবীকে করে তুলেছে বাসযোগ্য। পৃথিবীর সজিব অঞ্চলগুলি সবগুলিই একটি অন্যটির থেকে আলাদা। কিন্তু মরুভুমি সবখানেই এক। আরব, সাহারা, রাজস্থান, কি আরিজোনা সবই একই রকম। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা আমাদের চারপাশের এক নিয়ামত দেখেও কৃতজ্ঞ হইনা সেই মহান সত্বার প্রতি।
ধন্যবাদ সুন্দর লিখাটির জন্য।
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩২
151165
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy Good Luck Good Luck
201235
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১১
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ফুটন্ত পানি দিয়ে গোসল করছে- এটা পড়ে সত্যিই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! তারপরের লাইন পড়ে ভয়টা কেটে গেছে।

চমৎকার বর্ণনাসমৃদ্ধ লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে।
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩৫
151166
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমিও ভয় পেয়েছিলাম Worried Worried
আপনার ভাল লাগায় আপ্লুত হলাম আপা, আপনার লেখাও আমার খুব ভাল লাগে Happy Love Struck
তবে আপনার পরিবারের এক সদস্যের ব্যাপারে নালিশ আছে, মেধা আল্লাহ সবাইকে দেন না, যাকে দেন তার মেধার অপচয় ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ Waiting
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
151202
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এখনতো পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত। তবে কেন জানি এখন আর ব্লগে লিখতেই চায়না।
০৩ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
151785
বইয়ের পাতায় রোদের আলো লিখেছেন : দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা শুধিতে হইবে ঋণ ... Worried Worried

হৃদয়ের ভেতর পিনপতন নীরবতা।

অযোগ্যকে আবারো দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিলেন। বৃথা যাবে না আশাকরি। ইনশা আল্লাহ।
201259
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:১৬
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : চানাচুর আমার খুব পছন্দ। এ লেখাটা তার চেয়েও মজা লেগেছে।
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩৬
151167
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : লেখাটা চানাচুর মার্কাই হয়েছে মনে হয় ভাইজান Worried
201278
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : আসলেই আপু নিজের অবস্থানে খুশি থাকতে না পারলে জীবনে সুখী হওয়াটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়। আল্লাহ আমাদেরকে শোকর গোজারী বান্দা হিসেবে কবুল করে নিন। আমীন। Praying Praying

আমাদের এখানে বসন্তের ছুটি শুরু হবে আগামী সপ্তাহ থেকে। কিন্তু সারাদিন টিপটিপ বৃষ্টি ঝরেই যাচ্ছে। ঠাণ্ডা কমারও কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। Sad

অনেক ভালো লাগলো লেখাটা আপু। Rose Rose Rose

আপু আমি নিজে আরেকটা গল্প লেখা শুরু করেছি। Big Grin আফ্রুকে দেখায় দেব আমিও কম না ওর চেয়ে। Cool
০২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:০৯
151124
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : এই আমার কাশি আসে ক্যান?Tongue হি হি ! আরু আপু তুমি অবশ্যই পারবে ইনশা আল্লাহ! আমরা আছি তো আশেপাশেই!Love Struck Good Luck
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩৮
151168
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমীন Praying Praying
দেখিয়ে দেয়ার কিছু নেই আপু Happy তোমাদের মধ্যে কি প্রতিযোগিতা হতে পারে? দু'জনের স্টাইল দু'রকম। কিন্তু দু'জনেই ভাল লেখ। আমরা উভয়প্রকার লেখার স্বাদ উপভোগ করতে চাই HappyLove Struck
০৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
154177
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আমি প্রতীক্ষিত আছি ভগ্নী। Smug Tongue Love Struck Angel
201318
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:১১
বিন হারুন লিখেছেন : "আমরা যখন যে অবস্থায় থাকি সেটাকেই জীবনের একেকটি উপভোগ্য অধ্যায় মনে করে অ্যাপ্রিশিয়েট করে নিলে প্রতিটি মূহূর্ত, প্রতিটি অভিজ্ঞতাই আনন্দদায়ক হতে পারে".
খুব ভাল লাগল. পরিস্থিতির শিকার হলে মানুষ অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে Rose
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩৯
151169
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ঠিক, সব পরিস্থিতিতে শোকর করাই আসল কথা Happy
201327
০১ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৯
রাইয়ান লিখেছেন : ক্যালগেরীর বৈচিত্রময় ঋতুর বর্ণনা পড়ে মন এক ছুটে চলে গেল সেখানে , যেখানে এক গ্লাস পানি বাইরে ছুঁড়ে মারলে পড়তে পড়তে বরফ হয়ে যায় , সুবহান আল্লাহ ! দয়াময় প্রভু কত সুন্দর করেই না সৃষ্টি করেছেন এ পৃথিবী !

বসন্তের আগমনী সঙ্গীত প্রকৃতিতে খুঁজে না পেয়ে ভাইয়ার ' তাই ? ' এবং ' গত সপ্তাহেও একবার রোদ উঠেছিল ' .... পড়ে কি যে মজা পেয়েছি !! শুকরিয়া আপু , অধরা প্রকৃতিকে আপনার লেখায় এত্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য !
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৪০
151170
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনার মত করে তো লিখতে পারিনা Crying যাকে বলে একেবারে জীবন্ত লেখা!Love Struck আমার জন্য একটু দু'আ করে দেবেন তো আপু Praying Praying Praying Happy
201373
০১ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৪২
নীল জোছনা লিখেছেন : অনেক সুন্দর হয়েছে ... চালিয়ে যান। আরো বেশী বেশী লিখুন
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:৩৮
151184
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পড়ার এবং উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ Happy Good Luck
১০
201458
০২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২১
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপু আমার তো আমপনাদের এখানে চলে আসতে মন চাইছে! শীত আমার ভীষন পছন্দ!আপু যেভাবে আমাদের দার্জিলিং, কাঞ্চনজঙ্ঘা, সিকিম এবং চট্টগ্রামের বাটালী হিল ঘুরিয়ে আনলেন এতো বিনা পয়সায় মজার আনন্দ ভ্রমন হয়ে গেলো!

আপু শেষের ছবিটার কথা আমি প্রায় ভাবি! আল্লাহ'র কোন নিয়ামতের শুকরিয়া আমরা আদায় করে শেষ করতে পারব না আসলেই। কিন্তু এই কৃতজ্ঞতাবোধের অভাবই জীবনকে করে তোলে বিস্বাদ এবং নিরানন্দ। শুধু তাই নয় আল্লাহ অকৃতজ্ঞ দের পছন্দ করেন না!

আল্লাহ আমাদের সকলকে শুকরগোজার বান্দা বান্দীতে পরিনত করে নিন! আমীন।

সুন্দর মন ছুঁয়ে যাওয়া লিখনীর জন্য আবারো শুকরিয়া, শুভাকমান রইলো Love Struck Good Luck Rose
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:৩৯
151185
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সকলকে শুকরগোজার বান্দা বান্দীতে পরিনত করে নিন! আমীন। Praying Praying
১১
201489
০২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৩:৪২
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : অতিব চমৎকার বর্ণনাসমৃদ্ধ লেখাটি খুব ভালো লেগেছে।
০২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৩:৫২
151156
ভিশু লিখেছেন : Chatterbox ক্যাল্গেরীর কিচেন থেকে কোলকাতা, দার্জিলিং, সিকিম, চট্টগ্রাম, মাদ্রাজ হয়ে আফ্রিকা! আর মিডলইস্ট তো আছেই! খুব ভালো লাগ্লো - অনেকটা বুফে-ডিনার বা ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্যাকেজ ট্যুরের মতো! তবে ফিনিশিংটা বেশ হয়েছে, মাশাআল্লাহ...Praying Good Luck Happy Rose
০২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৩:৫৪
151157
ভিশু লিখেছেন : স্যরি, ভাইয়া! ভুলে প্রতিমন্তব্যে চলে গিয়েছে আমার মন্তব্যটি...Tongue Worried
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:০৩
151180
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : হিহি ভিশু Worried Love Struck
০৩ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:০৪
151589
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাদের তিনজনকেই ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
১২
201506
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৫:০০
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আহা! আজি এ বসন্তে Sad রবিন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে ক্যাল্গারীর বসন্ত নিয়ে কি পদ্য/গান রচনা করতেন জানিনা তবে আপনার লেখার মাধ্যমে কোলকাতা,দার্জিলিং,সিকিম, চট্টগ্রাম,মাদ্রাজ,আফ্রিকা হয়ে ক্যাল্গারিতে ঘুরে এসে ঋতু বৈচিত্র্যের আমেজ পেলাম। ছবি, বর্ণনা সবই ভালো লাগলো Good Luck Rose Star শুভকামনা রইলো সবার জন্য Love Struck Love Struck Good Luck
০৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:১১
151946
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমার ব্লগে বেড়াতে এসে আমার সাথে নির্দ্বিধায় বিশ্বভ্রমনে বেরিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু Love Struck Good Luck
১৩
201587
০২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমি কোনদিনও দেখিনি বরফপড়ার দৃশ্য Sad Sad খুব ইচ্ছে করে একবার হলেও দেখার! Day Dreaming
০৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:১২
151947
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আগামী শীতে ক্যাল্গেরী চলে আসুন, থাকাখাওয়া আমাদের দায়িত্ব ইনশা আল্লাহ Happy
১৪
201817
০২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫২
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : মাশাআল্লাহ্! খুবই সাধারণ বিষয়টিকে সুখপাঠ্য করে তোলা এবং সাথে শিক্ষা! এটি আল্লাহর বিশেষ দান।
০৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:১৩
151948
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই সামান্য লেখাতেও একটি প্রেরনাদায়ক মন্তব্য করার জন্য Happy Good Luck
১৫
202218
০৩ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৮
বইয়ের পাতায় রোদের আলো লিখেছেন : আমাদের একটা গুণ আছে বৈকি! মাইক্রোস্কপিক জিনিসপাতিকেও আমরা খালি চোখ দেখে ফেলি। ক্রিটিসাইজের ভালো বাংলা পেতে তো এক মুহূর্তও লাগবে না, রাইট?

অন্তর থেকে 'আলহামদুলিল্লাহ' অনুভব করাটা অনেক বড় ব্যাপার!

আমি আমার জীবনপরিক্রমায় মরুভূমিতে থেকেছি, সাগরপাড়ে থেকেছি, পাহাড়ে থেকেছি, নিম্নভূমিতে থেকেছি, দাবদাহে প্রান অতিষ্ঠ হবার মত আবহাওয়ায় বেড়ে উঠে ক্যাল্গেরীর ফ্রিজারে ঢুকেছি।



আর আমি তো উপরে তাকালে দেখি আকাশটা নীল চাকতির যেন, আমাদের অবস্থা হয়ে গেছে ওই ব্যাঙের মতো। পাখিদের দেখি। আর একটু একটু করে ডানা বুনি। একদিন পাখির মত দুটো ডানা পাবো এই স্বপ্ন নিয়ে বাঁচি।
০৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:২৬
151949
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পথের পাঁচালীর শেষ দিকে একটা দৃশ্যে অপুদের পাশের বাড়ীর যে প্রতিবেশিনী সবসময় ওদের সাথে ঝামেলা করতেন তিনি অপুর মাকে বললেন ওদের শহরে যাওয়াই ভাল, গ্রামের মধ্যে থাকতে থাকতে তাঁর নিজের জীবন এবং মানসিকতা কুয়োর ব্যাঙের মতই সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে, অন্তত অপুরা এই সংকীর্ণতা থেকে রক্ষা পাক। এজন্যই হয়ত আল্লাহ বার বার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর পৃথিবীটাকে ঘুরে দেখার জন্য। কিন্তু আমাদের কবিরা বলেন বাংলার মুখ দেখার পর আর পৃথিবী দেখতে চান না আর আমরা তাই আঁকড়ে ধরে বসে আছি। তাকে যদি একবার এখানকার গরমকাল দেখাতে পারতাম তিনি আর দেশে ফিরে যাবার নাম নিতেন না।
অনেকদিন পর দেখলাম তোমাকে। এবার তোমার পোস্ট দেখতে চাই Happy Love Struck
০৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:৩৩
151950
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আস্-সালামু আলাইকুম ওয়ারাহ'মাতুল্লাহ
আপু কেমন আছেন? এত্তদিন পরে আসলেন? কেন, আমাদের আচরনে কষ্ট পেয়েছিলেন? তা যদি হয় নিঃশর্ত ক্ষমা চাই। আশাকরি মাফ করে দেবেন, আর নিয়মিত হবেন ব্লগে।

আপনি নাকি ফেবুতে নিয়মিত থাকেন, কিন্তু ব্লগে আসেন না। আমার আর 'আওণ' এর পক্ষথেকে সবিনয় বিষেশ অনুরোধ করছি, ব্লগে নিয়মিত লেখার জন্য। (দু'হাত জুড়ে অনুরোধ করার ইমো হবে এখানে)
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৫১
152898
বইয়ের পাতায় রোদের আলো লিখেছেন : @রেহনুমাপু, ইনশা আল্লাহ! লিখবো আপু। কবি তো তাও বাংলার মুখ দেখেছিলেন, এখন তো তা দেখার জন্যও দু'পা বাড়াতে রাজি না অনেকে। Worried Worried


@সূর্যের পাশে হারিকেন, ওয়ালাইকুম আসসালাম। আরেহ! কী যে বলেন!! Surprised Surprised

আপনার কোন আচরণে কেন কষ্ট পাবো? কিছুই বুঝলাম না। Worried

না ভাইয়া, আমি আসলে অনলাইনেই অনিয়মিত হয়ে গেছি বেশ অনেকদিন ধরে। ব্যস্ততার অজুহাত দিবো না, সবাইই ব্যস্ত! ইচ্ছাকৃত নীরবতা বলতে পারেন। তবে লিখবো ইনশা আল্লাহ।

উৎসাহ দেওয়ার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File