প্রতিযোগিতা
লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ১৭ মার্চ, ২০১৪, ১১:৪২:৪০ সকাল
ছবিটা দেখে সূরা তাকাসুরের কথা মনে হোল। এটি ছিল আমার সহপাঠিনী এবং আরবীর শিক্ষিকা সাইফুন্নাহারের প্রিয় সূরা। ওর কাছে শুনে শুনে সেই নবম শ্রেনী থেকেই এর অর্থটা মাথায় গেঁথে গেছিল যদিও এই সূরাটি আমার বিশেষ পছন্দ নয়। পছন্দ হবে কি করে? এতে যে আমার দুর্বলতাকে তুলে ধরা হয়েছে, আবার এর পরিণতিও জানিয়ে দেয়া হয়েছে! মানুষ স্বভাবতই বাস্তববিমুখ। সে কোন অবস্থাতেই নিজের ভুল স্বীকার করতে চায়না। তাই সে সবসময় সত্যকে এড়িয়ে চলে, আর কালেভদ্রে মুখোমুখি দর্শন হয়ে গেলে বিরক্ত হয়। এই সূরার প্রতি আমার ভীতি এটাই প্রমাণ করে যে আমি একজন মানুষ মাত্র, একজন ‘ইনসান’, যার নামের মধ্যেই নিহিত আছে তার দুর্বলতা, সে যে বার বার ভুল করে ভুলে যায়!
মাত্র আটটি আয়াত নিয়ে এই আপাত নিরীহদর্শন সূরাটি যে প্রকৃতপক্ষে কতখানি ভয়ানক তা কেউ আরবী না বুঝলে ধারণাও করতে পারবেনা। তাই তো আমরা সকাল বিকাল সুর করে পড়ি ‘আলহা কুমুত তাকাসুর ...’, তবু আমাদের মাঝে কোন পরিবর্তন আসেনা! দয়াময় আল্লাহর অপার করুনা যে তিনি আমাদের সুস্থ সবল দেহ দান করেছেন; দিয়েছেন সৌন্দর্য, মেধা, জ্ঞান; দিয়েছেন পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব; দিয়েছেন গৃহ, জীবিকা, সম্পদ- যেন আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। কিন্তু এই উপরকরণগুলোই কিভাবে যেন আমাদের জীবনে মুখ্য উপাদানে পরিণত হয়েছে আর আমরা ভুলে রয়েছি সেই স্রষ্টার অধিকারের কথা, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের কথা, তাঁর আদেশ মেনে চলার কথা, তাঁর সাথে সাক্ষাতের কথা যা অবশ্যম্ভাবী। আমাদের লোভ আমাদের এই উপকরণগুলো আরো অধিক হারে সংগ্রহ করতে আগ্রহী করে তোলে- সুন্দর চায় আরো সুন্দর হতে, ধনী চায় আরো ধনী হতে, ক্ষমতাবান চায় আরো ক্ষমতা- আমরা স্রষ্টাকে ফেলে সৃষ্টিকে নিয়ে মেতে উঠি, ভুলে যাই স্রষ্টা আমাদের নির্দিষ্ট সময় দিয়ে পাঠিয়েছেন অনন্ত জীবনের পাথেয় সংগ্রহ করতে, আমরা অবুঝ শিশুর মত হীরা ফেলে নুড়ি কুড়িয়ে সেই সময় ব্যায় করে ফেলি। এই প্রতিযোগিতা একপর্যায়ে আমাদের হিংসাত্মক করে তোলে, পশুদের মত আমরা সবকিছুই ওপরই সীল মেরে দিতে চাই ‘আমার’, আমাদের আশেপাশে আর কারো প্রয়োজন আমাদের নজরে তো পড়েইনা বরং আমরা চলে যাই ‘রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গালের ধন চুরি’ মোডে, এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবার জন্য এমন কোন সৎ বা অসৎ কাজ নেই যা আমরা করিনা- সুদ, ঘুষ, চুরি, হত্যা, লুটপাট ... কিছুই আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়না, ‘এ’ তুমি কি করছ? কেন করছ?’ বরং এই প্রতিযোগিতায় নিজের অবস্থানকে কেন্দ্র করে জন্ম নেয় অহংকার, ইবলিসের রোগ, কেটে যায় স্রষ্টার সাথে শেষ বন্ধনটুকুও। অথচ এই জগতে কিছুই ‘আমার’ নয়, এমনকি আমার শরীরটিও আমার প্রতিপালকের দান- সেই প্রতিপালক- অর্থ, সম্পদ, বিত্ত, প্রতিষ্ঠা, ক্ষমতা, খ্যাতি, ফূর্তির মত তুচ্ছ জিনিস নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে যাকে আমরা ভুলেই গেছি অথচ তিনি আমাদের দিয়ে যাচ্ছেন অকাতরে!
পৃথিবীর যে সত্যকেই আমরা পাশ কাটিয়ে যাইনা কেন, আমাদের জন্মের মূহূর্তে থেকে আমাদের জীবনে একটি সত্যই ধ্রুব- মৃত্যু। সে হানা দিতে পারে মাতৃগর্ভের নিরাপদ আশ্রয়ে, মায়ের কোলের উষ্ণতায় হিমশীতল শৈত্যপ্রবাহ হয়ে, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসকে নিভিয়ে দিতে, যৌবনের বলিষ্ঠ পদেক্ষেপকে থামিয়ে দিতে, চুলে প্রথম পাক ধরার সাথে সাথেই কিংবা বলিরেখাঙ্কিত মুখের কাঙ্খিত গন্তব্য হয়ে- কিন্তু সে আসবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। এর জন্য আমরা কি প্রস্তুতি গ্রহণ করি? কিছুই না! পার্থিব উপকরণাদি নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে করতে মৃত্যুর কথা ভুলে যাই আমরা। যখন মৃত্যু এসে সামনাসামনি দাঁড়ায়, তখন আমাদের টনক নড়ে, আমরা আক্ষেপ করতে শুরু করি, ‘আহা! এখনই যাবার সময় হয়ে গিয়েছে? আরেকটু সময় দিতে আমায়! একটি মূহূর্ত আর! আমার যে কিছুই সঞ্চয় করা হয়নি!’ কিন্তু একটি মূহূর্তও এক্সটেনশন হয়না এই কন্ট্র্যাক্ট। হবেই বা কেন? লীজের কোথাও তো আমরা চুক্তির শর্ত রক্ষা করার সদিচ্ছা প্রদর্শন করিনি! তাহলে সময় বর্ধিত করলে যে আমরা চুক্তির সম্মান রক্ষা করব তার কি নিশ্চয়তা আছে? পরিশেষে নির্ধারিত সময়েই মৃত্যু আমাদের স্থানান্তরিত করে একটি অস্থায়ী আবাস থেকে আরেকটি অস্থায়ী বাসস্থানে। যেকোন ইন্টারভিউর আগে যেমন আমরা মনের ভেতর আশা আর ভীতি, বুকের ভেতর ঢিপ ঢিপ শব্দ, কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম নিয়ে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করি। সেভাবেই কিছু সময় কাটে কবরে। কিন্তু ওয়েটিং রুমের মতই কবরেও আর কিছু করার উপায় থাকেনা, অপেক্ষা ছাড়া। থাকবে কি করে, হিসেবের খাতাই যে বন্ধ হয়ে যায়, শরীরটাও তো আর অস্তিত্বে থাকেনা। কপালও থাকেনা যে চাপড়ে আক্ষেপ করব- এস এস সি, এইচ এস সি, অনার্স, মাস্টার্স, পি এইচ ডি, চাকরী সব ইন্টারভিউতেই পাশ করলাম কিন্তু আসল পরীক্ষার প্রস্তুতিটাও নেয়া হোলনা! ছবির এই সম্ভ্রান্ত ব্যাক্তিটি এত্ত এত্ত সোনাদানার মাঝে শুয়ে শুয়ে হয়ত এই কথাই ভাবছেন।
তাঁর অপেক্ষা অচিরেই শেষ হবে, আমাদেরও। আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের বারংবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন- অবশ্যই, অতি অবশ্যই, শীঘ্রই এবং নিশ্চিতভাবেই আমরা জানতে পারব আমাদের এই ভুলে থাকার পরিণতি। প্রথমে তিনি আমাদের নিশ্চিত করছেন এই কবর থেকে আমাদের অবশ্যই পুণরুত্থিত করা হবে। অতঃপর তিনি নিশ্চয়তা দিচ্ছেন আমাদের কর্মফল আমরা সচক্ষে পরিদর্শন করব। এই দু’টোর কোনটির ব্যাপারেই সন্দেহের ন্যূনতম অবকাশ নেই, কারণ এই কথা তিনি বলছেন যিনি সব জানেন এবং সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। আজ আমাদের শরীর বলিষ্ঠ, মস্তিষ্ক সচল, মন সবল- কল্পনা করতেও কষ্ট হয় যে একদিন এগুলো কিছুই আমাদের থাকবেনা। এই ছবিটি সেই কঠোর বাস্তবতাকেই চোখের সামনে তুলে ধরছে।
এর পরের কয়েকটি আয়াতে ব্যাবহৃত ‘ইলমাল ইয়াক্কীন’ এবং ‘আইনাল ইয়াক্কীন’ ব্যাক্যাংশ দু’টি ব্যাখ্যার দাবী রাখে। কুর’আনের বিভিন্ন জায়গায় ইলমাল ইয়াক্কীন, আইনাল ইয়াক্কীন এবং হাক্কাল ইয়াক্কীনের কথা বলা হয়েছে। ইয়াক্কীন শব্দটি আমরা সবাই জানি- প্রত্যয় বা প্রতিতি। এই তিনটি ব্যাক্যাংশ তিনপ্রকার প্রত্যয়ের কথা বলে। হাক্কাল ইয়াক্কীন হোল সেই প্রত্যয় যার সাথে বুদ্ধির কোন সম্পৃক্ততা থাকেনা। যেমন একটি শিশু আগুনে হাত দিয়ে, হাত পুড়িয়ে, হাতের জ্বালাপোড়া অনুভব করার পর টের পায় আগুন বড় ভয়ানক জিনিস। আইনাল ইয়াক্কীন হোল সেই বিশ্বাস যা নিজ চোখে দেখার পর আসে, যেমন কেউ আগুন দেখে দৌড়ে পালালো। এটুকু বুদ্ধি বনের পশুপাখীদেরও থাকে। ইলমাল ইয়াক্কীন হোল বুদ্ধির জোরে না দেখেই বিশ্বাস, যেমন ধোঁয়া দেখেই আগুনের অস্তিত্ব টের পেয়ে যাওয়া। পশুপাখীর মত আমরা প্রকৃত আগুন দেখে নিশ্চিত হবার আশায় বসে থাকিনা। এই বুদ্ধির জোরেই আমরা নিজেদের উন্নত শ্রেনীর প্রানী বলে দাবী করে থাকি। তাই আল্লাহ্ চান আমরা ইলমাল ইয়াক্কীন ব্যাবহার করে তাঁকে না দেখেও, তাঁর সৃষ্টিকে দেখে তাঁর অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হই। কিন্তু অবিশ্বাসীরা কুতর্ক করে, ‘নিজ চোখে দেখে তবেই বিশ্বাস করব’। কিন্তু যারা না দেখে তাঁকে বিশ্বাস করেনা, তাদের সাথে তিনি কোনপ্রকার সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নন। তিনি তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদের দর্শন দেবেন না, এমনকি তাদের নামও উচ্চারণ করেন না। বরং তিনি বলছেন, ‘ঠিক আছে, সেদিন আমি সেই আগুনকেই তোমাদের সামনে উপস্থিত করব যেন তোমরা নিজ চোখে তাকে দেখতে পাও, যার অস্তিত্ব তোমরা অস্বীকার করতে’। হায় আল্লাহ্! আমরা যার দয়ার ওপর ভেসে থেকেও তাঁকে ভুলে ছিলাম, তিনি আমাদের সাথে সাক্ষাত পর্যন্ত না করে আমাদের সেই আগুন দেখিয়ে দেবেন যার ভয় দেখিয়ে হলেও তিনি আমাদের কাছে টেনে নিতে চেয়েছিলেন! এই ভয়ানক প্রতিশ্রুতি শুনে বাস্তববিমুখ মন ভাবে, যদি কোনক্রমে তাঁর রাজত্ব ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারতাম কিংবা মাটি ফুঁড়ে লুকিয়ে যেতে পারতাম কোথাও! কিন্তু যাব কোথায়? এই মহাবিশ্বের সবকিছুর মালিক তো তিনিই, এর প্রতিটি ধূলিকণার হিসেব তাঁর নখদর্পনে, এমনকি আমার প্রানটাও!
সেই প্রভুই আমাদের বলছেন- সেদিন সেই ভীত, সন্ত্রস্ত, কুন্ঠিত, বিবস্ত্র, অসহায় অবস্থায় তিনি আমাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহের হিসেবে নেবেন- সেই অনুগ্রহ যা যখন আমাদের হাতে ছিল তখন আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিনি। অথচ প্রতিটি জিনিসই একেকটি নিয়ামত- প্রতিটি চোখ, মুখ, নাক, প্রতিটি হাত, প্রতিটি পা, প্রতিটি চুল, প্রতিটি জ্ঞান, প্রতিটি বুদ্ধি, পরিবারের প্রত্যেক সদস্য, প্রত্যেক বন্ধু, প্রতিটি পয়সা, প্রতিটি ভাতের দানা, শীতল পানি, গাছের ছায়া থেকে শুরু করে আমাদের ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, প্রতিটি পোশাক, প্রতিটি গহনা, গাড়ী, বাড়ী প্রত্যেকটি এক একটি করে নিয়ামত। আমরা হিসেব করতে সদাতৎপর আমার কি নেই, কি থাকা উচিত ছিলো, কেন আল্লাহ্ আমাকে অমুক জিনিসটি দেবেন না, সুতরাং তাঁর প্রতি রাগ করে তাঁকে অবিশ্বাস করা আমাদের বৈধ অধিকার। একটিবার কি বসে হিসেব করা হয় তিনি আমাকে কি কি দিয়েছেন? ধন্যবাদ জানানো হয় কি এই সুস্থ ফুসফুস দু’টোর জন্য যেখানে এই মূহূর্তে এই পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ শুধু সুস্থভাবে শ্বাস নেয়ার জন্য তড়পাচ্ছে, ধন্যবাদ জানানো হয় কি মাথার ওপর ছাদটির জন্য যেখানে পৃথিবীতে লক্ষ কোটি মানুষ রাতদিন কাটায় খোলা আকাশের নীচে, ধন্যবাদ জানানো হয় কি এই দৃষ্টিশক্তি এবং জ্ঞানের জন্য যার মাধ্যমে আজ এই লেখাটি আমি পড়তে পারছি যেখানে পৃথিবীতে অনেক অনেক মানুষ অন্ধ অথবা জ্ঞানের দীপশিখা হতে বঞ্চিত? রাসূল (সা)বলেছেন, সেদিন কাউকে যদি আমার প্রভু কিছু জিজ্ঞেস না করে যেতে দেন তবে সে বেঁচে গেল। কিন্তু যদি কাউকে ডেকে নেন, ‘আচ্ছা, বল তো আমি তোমাকে যা দিয়েছিলাম তার জন্য তুমি কিভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছ?’, তবে তার আর রক্ষা নেই। ছবির মানুষটি হয়ত তাই হিসেব নিকেশ করছে, কি পরিমাণ সম্পদ হলে মহাবিশ্বের প্রতিপালককে ঘুষ দিয়ে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে যখন তাঁর কোন কিছুরই প্রয়োজন নেই যেহেতু সবকিছুর মালিক তিনি নিজেই।
এই ছবির লোকটি যেন আমাদের ডেকে ডেকে বলছে, ‘দেখ, আমি সম্পদের প্রতিযোগিতা করতে করতে কবর পর্যন্ত পৌঁছে গেছিলাম। আমাকে সমাহিত করা হয় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়, বিপুল পরিমাণ ধনসম্পদ সহকারে, যেন পরকালে আমার কোন কষ্ট না হয়। কিন্তু এখানে এসে টের পেলাম এই ফেরেস্তারা বড় বেরসিক, তাঁদের কাছে এগুলোর কোন মূল্য নেই। তাই ওঁদের কাছে এগুলোর বিনিময়ে কোন সুবিধা পাবার উপায় নেই। এই দেখোনা, আমার পোশাকটা তো মাটিতে মিশে গেছেই, আমার মাংসগুলো পর্যন্ত আমার হাড়গুলোকে উদোম করে দিয়ে মিলিয়ে গিয়েছে। কি লজ্জা বল তো! জানো আমি কত্ত বড় নেতা ছিলাম, কত্ত সম্মান ছিলো আমার জনসমাজে, মানুষ ভয়ে থরথর করে কাঁপত আমায় দেখলে! আর এখন দেখ, এই সম্পদের লোভে কতগুলো মানুষ আমার কবরটা পর্যন্ত উদোম করে রেখে গেছে, কুকুর এসে আমার কবর অপবিত্র করে দিয়ে যায় অথচ আমি টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করতে পারিনা। কিছুদিনের ভেতর আমাকে এবং তোমাকেও মহান প্রভুর সামনে উপস্থিত হতে হবে। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, ‘তুমি কিভাবে তোমার প্রতি আমার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছ?’ কিন্তু আমি তো এর সময়ই পাইনি! পাব কিভাবে? স্ত্রী, সন্তান, বাবামা, ভাইবোন, বন্ধুদের আড্ডা, সম্পদের মোহ, ক্ষমতার দাপট, বিনোদনের উপকরণ- এতকিছুর মাঝে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরন করার সময়ই তো ছিলোনা! হে আধুনিক মানুষ, তুমি তোমার জ্ঞানবুদ্ধি নিয়ে অহংকার কর। আমাকে অসভ্য, বর্বর বলে গালি দাও। কিন্তু তুমি কি করছ? আমার সময় শেষ। তোমার তো এখনও সময় আছে। তুমি কি সাবধান হবেনা?’
ভাবছি, আমি ছবির মানুষটিতে রূপান্তরিত হবার আগে আমার মাঝে উপলব্ধি কি আসবেনা?
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ ব্লগার বাংলার দামাল সন্তান
[আহমদ মুসা ভাই যদি এই লেখাটি পড়েন, প্লিজ খায়রুল ভাইকে বলবেন যেন সাইফুন্নাহারকে এই লেখাটির মাধ্যমে আমার কৃতজ্ঞতার কথা জানায়]
বিষয়: বিবিধ
৩১৪৩ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার বলা তিনটি শব্দের একটি ব্যাখ্যা চট্টগ্রামের বিখ্যাত সাহিত্যিক,সাংবাদিক মাহবুবুল আলম করেছেন। তিনি এই বিষয়গুলির ব্যাখ্যা করেছেন জড় দৃষ্টি,বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি ও সত্য দৃষ্টি নামে।
বর্তমানে আমরা পুরোপুরি জড়দৃষ্টি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছি। যেখানে কেবল পার্থিব লাভ-লোকসানই সকল কাজের উদ্দেশ্য। মিশরে অসংখ্য পিরামিড আছে। যা দেখতে আলিশান কিন্তু আসলে গোরস্থান। ফিরআউন এর লাশ চোখের সামনে নিয়েও মিশরের শাসকরা এর নিদর্শনটুক বুঝতে পারেনা। নিজেদের ফিরআউনের মত ক্ষমতাশালি মনে করে। কিন্তু তার সত্য দৃষ্টিতে এটা আসেনা যে সময় একদিন সমাপ্ত হবে।
ইয়া মুকাল্লিবাল ক্বুলব, ছাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিকা ।
ভাই, কষ্ট করে ওপরের প্রতিমন্তব্যটি দেখুন।
আপনার দু’আয় আমীন
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ
ইয়া মুকাল্লিবাল ক্বুলব, ছাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিকা ।
হে আল্লাহ, আমরা আপনার দরবারে নিরাপত্তার জন্য বিনীত মুনাজাত করছি দুনিয়া এবং আখেরাতে । হে মহাবিশ্বের সবকিছুর মালিক আমাদেরর জীবকে পরিচালিত করুন আপনার সন্তুষ্টির আলোকে, যে পর্যন্ত না আপনি আমাদেরর প্রতি প্রসন্ন হন। আপনার করুনা ছাড়া আমাদের আর কোনো শক্তি নেই ।
া অনেক ধন্যবাদ
সোবাতে আপনাকে প্রায়ই দেখতাম, এখানে মাঝে মাঝে, ভাল আছেন তো?
ছবি দিয়ে বাস্তব উদাহরণ দিয়ে আখিরাতমুখী লিখাটা বড়ই চমতকার। মন দিয়ে পড়লাম। ভাল লাগল। আবারও অনন্তের দিকে ফিরে যাওয়ার কথাটা মনে হল।
ধন্যবাদ।
দিনশেষের আগেই আমরা যেন প্রয়োজনীয় সব ভালো পাথেয় অর্জন করতে পারি!
সর্বজনাব বাংলার দামাল সন্তান, আহমদ মুসা, খায়রুল, সাইফুন্নাহার সহ শ্রদ্ধেয়া লেখিকাকে জানাই অসংখ্য শুকরিয়া! জযাকাল্লাহ খাইরান!
May Allah make us awake n understand our ultimate destination.
হে রহমানুর রাহিম,তুমি তো দয়ার ভান্ডার.....তুমি আমাদের সকলকে মাফ করে দিও,মাবুদ...!
আপনি আমার ব্লগে প্রথম এলেন। আপনাকে স্বাগতম
মন্তব্য করতে লগইন করুন