স্বল্প গল্প
লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ১১ মার্চ, ২০১৪, ১১:০১:১৬ সকাল
অনেকদিন পর হাফিজ সাহেব আর আমি গল্প করছিলাম। আমাদের সচরাচর গল্প করার সুযোগ হয়না, যেহেতু উনি কাজ করেন রাতে আর আমি দিনে, তাই মাঝে মাঝে সুযোগ পেলে নানাবিধ বিষয়ে আলাপ হয়। কথাপ্রসঙ্গে উনি এক ব্যাক্তির ব্যাপারে আমার মতামত জানতে চাইলেন। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেন? আপনি তো তাকে আমার চেয়ে ভাল চেনেন। আপনিই বরং আমাকে বলতে পারবেন তিনি কেমন’।
হাফিজ সাহেব বললেন, ‘আমি আসলে কনফিউজড, তাই তোমার মতামত জানতে চাইলাম’।
‘কনফিউজড কেন?’
‘কেউ কেউ বলেন উনি খুব ভাল মানুষ, আবার কেউ বলেন খুব খারাপ। একই মানুষের ব্যাপারে এমন বিপরীত মতামত আমাকে বিভ্রান্ত করছে যদিও আমার সাথে তিনি খুবই অন্তরঙ্গ এবং উত্তম আচরণ করেন’।
‘ব্যাপারটা খুবই সহজ’।
‘কেমন?’
‘দেখেন, আপনি যদি এমন কাউকে আমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন, যে আমাকে পছন্দ করে তার মুখে আমার বর্ণনা শুনে আপনার মনে হবে আমি ফেরেস্তা; আর যদি এমন কাউকে জিজ্ঞেস করেন যে আমাকে পছন্দ করেনা, তার ভাষ্য শুনে আপনার মনে হবে আমি শয়তানের গুরু। এর সাথে আমি কতটুকু ভাল বা মন্দ তার তেমন কোন সম্পর্ক নেই। বরং এটা প্রত্যেক ব্যাক্তির স্বীয় দৃষ্টিকোণ এবং বিবেচনার ব্যাপার। রাসূল (সা) এর মত মহামানবেরও শত্রুর অভাব ছিলোনা, আবার হিটলারের মত লোকেরও অনেক অনুগত শাগরেদ ছিল। আবু বকর (রা) কর্তৃক উপকারপ্রাপ্ত এবং তাঁর দাক্ষিণ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়েও মিসতাহ তাঁর মেয়ের ব্যাপারে মিথ্যা বদনাম ছড়িয়েছে, আবার অনেকেই নীতিগত কারণে শত্রুরও দুর্নাম করবেনা যদিও তা সত্যি হয়’।
‘বুঝলাম’।
‘আপনার আমিনা আন্টির কথা মনে আছেনা?’
‘ঐ যে অ্যামেরিকান মহিলা, বাংলাদেশী বিয়ে করেছিলেন?’
‘হ্যাঁ। উনি প্রায়ই বলতেন, ‘বাংলাদেশের সবকিছু আমার ভাল লাগে। তোমরা অতিথিপরায়ন, উদার, সহযোগি মনোভাবাপন্ন। কিন্তু একটা জিনিস খুবই কষ্ট লাগে, বাংলাদেশীরা অসম্ভব ‘জাজমেন্টাল’। একটা মানুষের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে এরা ত্রুটি অনুসন্ধান করে এবং প্রান্তিক মন্তব্য প্রকাশ করে বসে। অথচ মানুষকে বিচার করার অধিকার আল্লাহ্ মানুষকে দেননি যেহেতু কোন মানুষই ত্রুটির উর্ধ্বে নয়, যেহেতু এই অধিকার আল্লাহর জন্যই বরাদ্দ, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ নিজেই প্রত্যেক ব্যাক্তিকে পরিমাপ করবেন’।
‘কিন্তু মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হোল প্রথম দেখাতেই কোন ব্যাক্তিকে পরিমাপ করা, তার ব্যাপারে একটি ধারণায় উপনীত হওয়া। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। কখনও মনে হয় প্রথম দেখায় যে ধারণা হয়েছিল তা ভুল, আবার কখনও মনে হয় তা সঠিক ছিল, আবার কখনও মনে হয় ব্যাক্তি বদলে যাচ্ছে যা ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক উভয়প্রকার হতে পারে’।
‘হুমম। ঠিক আছে তো। আল্লাহ্ আমাদের মধ্যে এই প্রবণতা দিয়ে দিয়েছেন যেন আমরা সঠিক ব্যাক্তির সাথে বন্ধুত্ব করি, ভুল জায়গায় বিশ্বাস স্থাপন না করি, যেন আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি, নিজের জীবন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট না করি। কিন্তু সমস্যাটা ভাবা নিয়ে নয়, বলা নিয়ে। ভেবে দেখেছেন গীবত এত বড় গুনাহ কেন? কারণ আমার ধারণা যতক্ষন আমার মনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে ততক্ষণ তা আমার সাবধানতার হাতিয়ার ব্যাতীত আর কিছুই নয়। কিন্তু যে মূহূর্তে আমার ধারণা অন্যের মনে কোনপ্রকার সন্দেহ বা কুধারণা সৃষ্টি করছে সেই মূহূর্তে তা অন্যের জন্য বিধ্বংসী অস্ত্রে পরিণত হচ্ছে। আমার নিজেকে রক্ষা করার অধিকার অবশ্যই রয়েছে, কিন্তু অন্যের আত্মসম্মান রক্ষার অধিকার ছিনিয়ে নেয়ার হক তো আমাকে কেউ দেয়নি!’
‘তোমার কথায় যুক্তি আছে’।
‘তবে জাজমেন্টাল লোকজনের সবচেয়ে বড় সমস্যা কি জানেন?’
‘কি?’
‘ওরা সবকিছুকে নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। অথচ প্রতিটি মানুষ একটি স্বতন্ত্র এবং একান্তই নিজস্ব পরিস্থিতির বলয়ে আবদ্ধ যা আর কারো পক্ষে অনুধাবন বা উপলব্ধি করা সম্ভব নয়, শুধু বুঝার চেষ্টাই করা যেতে পারে। আবার একই মানুষ তখনকার শারীরিক বা মানসিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্নভাবে কিংবা একই পরিস্থিতিতে পৃথক সময়ে বিভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করতে পারে, তার পরিস্থিতির অনেক কিছুই তার পাশে দাঁড়ানো ব্যাক্তিটিরও বোধগম্য না হতে পারে। এমতাবস্থায় যে খেলোয়াড় মাঠে নেমে ব্যাট করছে- তার ওপর তার সমর্থকদের আকাঙ্খার বিশাল মানসিক চাপ, তার দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার বিরাট দায়িত্ব, ঘণ্টার পর ঘন্টা তীব্র গরমে ক্রিজে দাঁড়িয়ে ঘেমে ভিজে ক্লান্ত শরীরে মাথা ঠান্ডা রাখার কল্পনাতীত কঠিন কাজ, বিভিন্ন ইনজুরিকে উপেক্ষা করে খেলা চালিয়ে যাওয়ার দুঃসাধ্য প্রচেষ্টা কিছুই না বুঝে আমি যদি এসি রুমে আরামদায়ক চেয়ারে বসে আইসক্রীম খেতে খেতে বিশ্লেষণ করি ঐ বলে ছক্কা না উড়িয়ে সে এক রান নিলো কেন, নিশ্চয়ই সে বাজে খালোয়াড়, সেটা হবে যেমন হাস্যকর তেমনই দুঃখজনক’।
‘বিখ্যাত লোকজনকে নিয়ে মানুষ একটু বেশিই চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ করে থাকে, এটা খ্যাতির বিড়ম্বনা’।
‘আমি আপনাকে বোঝাতে পারিনি। খেলোয়াড়ের কথা বললাম উদাহরণ হিসেবে। কিন্তু ধরুন একজন সাধারন মানুষের কথা। একই পরিস্থিতিতে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করে। যেমন ধরুন অনিলা। সে বোঝেনা কিছুই অথচ নিজেকে মহাবিজ্ঞ ভেবে বড্ড বেফাঁস কথাবার্তা বলে, সবাইকে মনে আঘাত দেয়, কিন্তু এই ব্যাপারে তার কোন অনুভূতি নেই। অথচ ক’দিন আগে তার ধারণা হোল আলিয়া ওর ব্যাপারে কিছু বলে থাকতে পারে, এই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সে কি গোলটা না বাঁধাল! আবার রাবেয়ার কথা ভাবুন, সে চুপচাপ নিজের কাজ করে যায়, সবার কথা শোনে কিন্তু কথা বলে কম, সাধ্যমত সবাইকে সাহায্য করে কিন্তু সে যে কার জন্য কি করে সেটা যার জন্য করল সে ছাড়া কেউ জানতেও পারেনা, আর ওর নিজের কষ্ট- সে তো কাউকেই বলেনা! এখন ধরুন, দু’জনই একই বিপদে পড়ল। অনিলা কি করবে?’
‘চিৎকার চেঁচামেচি করে উত্তর দক্ষিণ এক করে ফেলবে, নিজেকে ছাড়া পৃথিবীর তাবত জনগোষ্ঠীকে দায়ী করবে’।
হাসি পেয়ে গেল আমার, ‘ঠিক ধারণা করেছেন! রাবেয়া কি করবে বলেন তো?’
‘সে কাউকে বুঝতেই দেবেনা!’
‘ঠিক। এখন যদি এই প্রতিক্রিয়ার ভিন্নতার ব্যাপারে অনিলাকে রাবেয়ার ব্যাপারে মন্তব্য করতে বলা হয় তাহলে সে বলবে রাবেয়া বোকা। আর যদি রাবেয়াকে অনিলার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয় সে বলবে, ‘আমি জানিনা’। কিন্তু এর জন্য অনিলা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার পরিবর্তে বরং নিশ্চিত হবে যে রাবেয়া নিশ্চয়ই বোকা।’
‘বুঝলাম। সে রাবেয়ার ভদ্রতাকে দুর্বলতা ধরে নেবে এবং নিজেকেও পরিবর্তন করতে আগ্রহী হবেনা’। ‘হুমম, কিন্তু এই ধরনের একজন মানুষ সবচেয়ে ক্ষতি করে নিজের’।
‘সেটা কিভাবে?’
‘ধরুন, আমি আপনাকে বিশ্বাস করে একটা কথা বললাম। এর দু’টো উদ্দেশ্য থাকতে পারে – এক, আমি আপনার কাছে আমার কোন সমস্যার সমাধান আশা করি; অথবা, আমি জানি আপনি আমাকে সমাধান দিতে পারবেন না, কিন্তু সান্তনা দেবেন’।
‘হুমম, এটাই তো স্বাভাবিক’।
‘আপনার স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। কিন্তু একজন জাজমেন্টাল মানুষ কি করবে? প্রথম ক্ষেত্রে সে এই সুযোগ গ্রহণ করবে নিজের বড়ত্ব জাহির করতে, ‘আমি হলে কখনোই এমন ভুল করতাম না, আমি এই সমস্যায় পড়তামই না!’, অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে সাবধান মানুষটিও আল্লাহর পরীক্ষার আওতার বাইরে নয়! নতুবা সে কথাটাকে পুঁজি করে রাখবে পরবর্তীতে মোক্ষম সময়ে আঘাত হানার জন্য, ‘ও বিথী! সে তো একটা চরিত্রহীন মেয়ে। সে মনে মনে পাশের বাসার ছেলেটাকে পছন্দ করত’, অথচ আমরা কেউই ত্রুটিমুক্ত নই!’
‘তা তো বুঝলাম, এরা পরের ক্ষতি করে। কিন্তু নিজের ক্ষতি করে কিভাবে?’
‘সেটা এভাবে, আমি আপনাকে একবার বিশ্বাস করে কোন আঘাত পেলে আপনার কি মনে হয় আর কখনো বিশ্বাস করব?’
‘না’।
‘যে মানুষকে বিচার করেনা, তার পরিস্থিতি বুঝে তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করে, মানুষ অন্য সময় তাকে মনে না রাখলেও বিপদে পড়লে তার কাছেই ছুটে আসে। আপনার কি মনে হয় কোন জাজমেন্টাল ব্যাক্তির কাছে মানুষ বিপদে দূরে থাক, স্বাভাবিক অবস্থাতেও যাবে?’
‘না’।
‘কারণ মানুষ তাদের বিশ্বস্ত বা সহানুভূতিশীল ভাবেনা। এভাবেই তারা মানুষের মনে নিজের স্থান হারিয়ে ফেলে’।
‘বুঝলাম। তবু আমি অনিলা হতে চাই’।
আমি আশ্চর্য হয়ে বললাম, ‘সে কি! কেন?’
হাফিজ সাহেব চোখ টিপে বললেন, ‘কারণ রাবেয়া ভদ্র বলে ওকে কেউ খাতিরযত্ন করেনা। কিন্ত অনিলার মুখের ভয়ে সবাই তাকে আলাদা খাতির করে’।
আমাদের দু’জনের উচ্চস্বরে হাসির শব্দ শুনে বাচ্চারা ছুটে এলো, ‘কি হোল আম্মু, তোমরা এত হাসছ কেন?’
ওদের চিন্তিত চেহারা দেখে আমরা আরেক চোট হাসিতে ফেটে পড়লাম।
বিষয়: বিবিধ
১৯৮২ বার পঠিত, ১০২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।
accha mam , amra je politicians der criticize kori, oita ki gibot hobe ?
বাস্তবে তা চর্চা করা আসলেই কঠিন।
ওনার স্বভাবই তো হাসা এবং হাসানো!
সবাই মান সম্মানের ভয়ে সব সময় অনিলার কথাকে গুরুত্ব দিতে থাকে। রাবেয়া নামের যে কেউ একজন আছে, তার যে নিজস্ব কোন চাওয়াপাওয়া আছে তাও তারা ভুলে যায়। সব সময় পারিবারিক সকল সুবিধা যায় অনিলার ভাণ্ডারে। অথচ বিপদে আপদে সব সময় পাশে পায় রাবেয়াকে।
রাবেয়া ভদ্রতার কারণে, নিজস্ব শিক্ষা,মূল্যবোধ,রূচিবোধের কারণে এসব চুপচাপ দেখে যায়। কিন্তু ধীরেধীরে যদি সে সবার আচরণে এদের প্রতি ত্যক্ত-বিরক্ত হয় তবে কি আমরা তাকে দোষ দিতে পারি?
অবশ্য এই ক্ষোভ মনেমনে রেখে সে পরিবারের প্রতি তার সমস্ত দায়িত্ব অকাতরে পালন করে যাচ্ছে।
চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টটির জন্য।
‘হ্যাঁ। উনি প্রায়ই বলতেন, ‘বাংলাদেশের সবকিছু আমার ভাল লাগে। তোমরা অতিথিপরায়ন, উদার, সহযোগি মনোভাবাপন্ন। কিন্তু একটা জিনিস খুবই কষ্ট লাগে, বাংলাদেশীরা অসম্ভব ‘জাজমেন্টাল’। একটা মানুষের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে এরা ত্রুটি অনুসন্ধান করে এবং প্রান্তিক মন্তব্য প্রকাশ করে বসে।
এ গল্পে শিক্ষণীয় অনেক কিছূই রয়েছে। ভাল লাগার মত। জীবনে থেকে নেয়া এসব কথার মাঝে আপনার শিক্ষনীয় বিয়গুলো হৃদয়গ্রাহী করে তোলে পাঠককে।
ধন্যবাদ। সাথে আছি। দাওয়াত না দিলেও আসব যদি কিলাকিলি করে সময়ের সাথে সুযোগ করে নিতে পারি।
আমিও কিন্তু আপনার সাথেই আছি, আপনার সিরিজের প্রত্যেকটি পড়েছি এবং মন্তব্য করব বলে লিঙ্ক সংগ্রহ করে রেখেছি, কিন্তু সময়ের সাথে কিলাকিলি করে কিছুতেই পেরে উঠছিনা
তোমার লেখা পাচ্ছি না অনেকদিন ধরে। ঘটনা কি? : :
এটা আমার রেহনুমা আপুর লিখা না? তা হলে তো ভালো না হয়ে যায় না.....
ভালো লাগলো আপু লেখাটা। ধন্যবাদ আপনাকে
শেষ অংশ পড়ে হাসি থামছিল না হাহাহা
আশা করি ভাবনার ডানা মেলা বন্ধ হবেনা, এই ভাবনাগুলোই তো আনবে কাঙ্খিত পরিবর্তন
পড়ার এবং উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ
বিয়ে করার সময় নিশ্চিত হয়ে নেবেন বৌ যেন শিক্ষিকা না হয়। নইলে আপনাকেও এমন ফোকাসের বাইরে থাকতে হবে। কারণ অন্য ব্যাক্তি জানুক বা না জানুক, শিক্ষকরা কথা বলতে পছন্দ করে। যারা শিক্ষকদের পছন্দ করে তারা তাদের কথা শুনতে পছন্দ করে।
তবে বিয়ে করার আগে একটা জিনিস জেনে নিন, একজন পুরুষ সারা পৃথিবীর সামনে শক্ত সমর্থ গম্ভীর হবার ভান করে যায়। সেখানেই সে নিজেকে মেলে ধরে যেখানে সে মুখোশটা সরিয়ে রাখা নিরাপদ মনে করে। স্ত্রীকে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে বন্ধু ভাবলে আপনিই জিতবেন। >-
স্টিকি পোস্টের জন্য অভিনন্দন...
[even it's nothing special to you, Madam!]
And you are wrong. It IS special for me, because I know I am not a good writer, but even I need this kind of encouragement once in a while.
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানানোর জন্য।
ওহ! ছবিটা অসম্ভব সুন্দর! চুরি করলাম, কোন একদিন অন্য কারো মন ভাল করে দিতে কাজে লাগবে
তবে যার পড়লুম না !...অনেক দারুন বিশ্লেষণ...সুপার....। হাফিজ সাহেব ধন্য...
দোয়া করবেন আপু।
আমাদের জন্যও দু'আ করবেন
অত্যন্ত বাস্তবধর্মী বিশ্লেষণ। যদিও আপনার গোটা ব্লগটাই একটি উচ্চ মার্গের সুখ পাঠ্য। গিবত মানুষের যাবতীয় অর্জনকে ধ্বংস করে দেয়। অন্যের ভূল ও দোষ খুজে তারাই যাদের পশ্চাতে দুর্গন্ধ বেশী। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাকওয়া অর্জনের তাওফীক দিয়ে ইনসানে কামেল হওয়ার দিক।
প্রশংসাটুকু আল্লাহর প্রাপ্য, তাই আলহামদুলিল্লাহ্।
ভাই, খায়রুল ভাইয়ের সাথে দেখা হলে জানাবেন যেন সাইফুন্নাহারকে এই লেখার মাধ্যমে আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কথা জানান
সরি, প্রতিযোগিতা পোস্টের কথা এখানে বলে ফেললাম
আপুর লেখা তো বরাবরই অসাধারন তাই এ নিয়ে কিছু বলব না ।
আমার মনে হয় আমরা যদি আমাদের আচরনের এই ছোট ছোট বিষয়গুলোকে বুঝতে পারি তাহলে হয়তো অনেক অনাকাঙ্খিত সমস্যা থেকে আমরা মুক্ত থাকব।
অসাবধানে বলা ছোট ছোট কথাগুলো অনেক বড় বড় সমস্যার সৃষ্টি করে। আল্লাহ্ আমাদের আরো সচেতন এবং সাবধান হবার মত মানসিকতা তৈরী করে দিন
অনেকদিন পর আমার ব্লগে দেখা পেলাম
পড়ার এবং উপস্থিতি জানান দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন