মহাকাশের অভিযাত্রী

লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ০৪ মার্চ, ২০১৪, ০৯:১৮:৪১ সকাল



ক্যাল্গেরী ডাউনটাউনের অধিকাংশ অফিস ভবনগুলোতে সুউচ্চ দালানে দীর্ঘ এলেভেটর ভ্রমনের একঘেঁয়েমী দূর করার জন্য প্রতিটি এলেভেটরে একটি ছোট্ট স্ক্রীনে সার্বক্ষণিক তাজা খবর, আবহাওয়া, খেলার খবর, চমকপ্রদ তথ্যাদি বা শিক্ষণীয় কোন বিষয় দেখানো হয়। আজকের আকর্ষনীয় খবর হোল, সৌরজগতের বাইরে বিভিন্ন নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত মোট ৭১৫টি গ্রহের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যেখানে বিজ্ঞানীদের মতে মানুষের পক্ষে জীবনধারণ করা সম্ভব। বিজ্ঞানীরা এই আবিষ্কারে আনন্দে আত্মহারা, সারা বিশ্ব উৎসুক- পৃথিবী যখন বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাবে, তখন এই গ্রহ ফেলে যাবার জায়গার অভাব হবেনা।

ছোট্টবেলায়, সেই চার পাঁচ বছর বয়সে, আমার সবচেয়ে প্রিয় অনুষ্ঠানগুলোর একটি ছিল ‘স্টার ট্রেক’- একটি কাল্পনিক সিরিজ যেখানে একদল অভিযাত্রী একটি অত্যাধুনিক মহাকাশযানে চড়ে ঘুরে বেড়ায় গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে, শুধুমাত্র জ্ঞানান্বেষনে, আবিষ্কার করে নতুন নতুন জীবনের অস্তিত্ব, মুখোমুখি হয় রোমাঞ্চকর সব অভিজ্ঞতার। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতাম একদিন আমি বড় হয়ে নিজের স্পেসশিপ নিয়ে মহাবিশ্বের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াব- এমন সব গ্রহনক্ষত্র আবিষ্কার করব যার অস্তিত্ব ছিল সবার অজানা, কৃষ্ণগহ্বরের অমোঘ আকর্ষন ছাড়িয়ে সূর্যের আকর্ষনের বলয় পেরিয়ে এমন সব অচেনা আকাশে উড়ে বেড়াব যার কল্পনাও কেউ কোনদিন করেনি, জ্ঞানের সিঁড়িতে এমনভাবে আরোহণ করব যার স্বপ্ন কেউ কোনদিন দেখেনি। এই উদ্দেশ্যে পরিচিত মহাজগতের নানান তত্ত্ব, তথ্য, উপাত্ত পড়ে কেটে গেছে কত রাত! অথচ এই ক্ষুদ্র সৌরমন্ডলের রহস্যই কি আজ অবধি উন্মোচিত হয়েছে?

বাস্তবতা হোল, আমরা আজ অবধি মহাকাশে আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী মঙ্গলেই যেতে পারিনি। আমাদের দ্রুততম মহাকাশযানে চড়ে মঙ্গলে যেতে সময় লাগবে ছয়মাস যখন গ্রহটি পৃথিবীর নিকটতম দুরত্বে অবস্থান করে। ভয়েজার ১ ১৯৭৭ সালে রওয়ানা হয়ে ২০১২ সালের ২৫শে অগাস্ট, অর্থাৎ ৩৫ বছর পর, সৌরজগতের সীমানা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৮ মিনিট ১৩ সেকেন্ড, অর্থাৎ সূর্য যদি এই মূহূর্তে ধ্বংস হয়ে যায়, সেটা টের পেতে আমাদের সময় লাগবে ৮ মিনিট ১৩ সেকেন্ড। সৌরজগতের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টরীর দুরত্ব সূর্য এবং ইউরেনাসের মধ্যকার দুরত্বের কিছু বেশি। অর্থাৎ সর্বাধুনিক মহাকাশযানেও শুধু প্রক্সিমা সেন্টরী পর্যন্ত পৌঁছতে কেটে যাবে একটা মানুষের জীবনের অর্ধেক। অন্যান্য নক্ষত্রগুলো আরো অনেক অনেক আলোকবর্ষ দূরে। অর্থাৎ আলোর গতিতে চললেও এগুলোতে পৌঁছতে সময় লেগে যাবে অনেক বছর। যেহতু কোন নক্ষত্রকেই আমরা কখনো বর্তমান অবস্থায় দেখতে পাইনা, হয়ত পৌঁছে দেখা যাবে নক্ষত্রটির মৃত্যু ঘটেছে হাজার বছর আগে, সেখানে ওঁত পেতে আছে এক বিশাল কৃষ্ণগহ্বর! কিন্তু আসল কথা হোল আলোর গতিতে চলার মত মহাকাশযান আজও আবিষ্কৃত হয়নি। আলোর গতি সেকেন্ডে ২৯৯,৭৯২,৪৫৮ মিটার। ভয়েজার ১ এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৬২,১৩৬ কিলোমিটার অর্থাৎ সেকেন্ডে মাত্র ১৭,২৬০ মিটার। এই গতিতে আমরা একটি প্রজন্মের জীবদ্দশায় কোন গ্রহে পৌঁছতে পারব?

মহাকাশের প্রেক্ষাপটে পৃথিবী একটি বিন্দুরও সমতুল্য নয়, এমনকি সূর্যও মহাবিশ্বে তেমন কেউকেটা কেউ নয়। এইটুকুন পৃথিবীটারই তেমন কিছু আমরা ঠিকমত ঠাহর করতে পারিনি আমাদের অস্তিত্বের লক্ষ লক্ষ বছরে, এখনও হাতড়ে বেড়াচ্ছি। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়েও কেউ মরুভূমির কোন এক স্থানে মরুদ্যান পাওয়া যাবে এই আশায় মরুভূমিতে বসতি স্থাপন করতে যায়না। তাহলে জীবনের অস্তিত্ব নেই কিন্তু জীবনের অনুকুল পরিবেশ থাকা সম্ভব, এই ধারণার বশবর্তী হয়ে মহাকাশের কোন এক গ্রহে পাড়ি জমানো কতখানি বুদ্ধির কথা? গন্তব্যের কথা নাহয় বাদই দিলাম, এই দীর্ঘ ভ্রমনে অক্সিজেন, খাবার , পানীয়ের জোগান আসবে কোথা থেকে তাই বা কি নির্ধারন করা গিয়েছে? পাঁচ মিনিটের এলেভেটর ভ্রমনে আমরা বিরক্ত হয়ে যাই, সেই আমরা এক জীবন ভ্রমন করব কিভাবে? বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করেছেন নভোচারীরা দীর্ঘকাল কৃত্রিম উপগ্রহগুলোতে অবস্থান করলে মধ্যাকর্ষন শক্তির অভাবে তাঁদের মাঝে নানাধরনের শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন দেখা দেয়, হাড় থেকে ক্যালসিয়াম ক্ষয় হতে থাকে যেহেতু ভাসমান থাকার জন্য শরীরের মজবুত কাঠামোর প্রয়োজন নেই। তাহলে আমাদের যে প্রজন্ম ভিনগ্রহে যাত্রা করবে তারা যে জেলিফিশের আকৃতি নিয়ে ঐ গ্রহে অবতরণ করবেনা তার নিশ্চয়তা কি?

ধরে নিলাম কষ্টে সৃষ্টে পৌঁছনো গেল খুব কাছকাছি কোন গ্রহে যেখানে ধারণা করা হচ্ছে জীবনের অস্তিত্ব সম্ভব। কিন্তু দূরবীন দিয়ে দেখে সেখানে জীবনধারণের মৌলিক উপাদান যেমন বায়ু বা পানি সম্পর্কে কতটা সঠিক ধারণা পাওয়া সম্ভব? পৃথিবীর বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ ২০.৯৪৭৬%। এই দাহ্য পদার্থটি যেন পৃথিবীটাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করতে না পারে সেজন্য তাকে সামলে রেখেছে ৭৮.০৮৪% নাইট্রোজেন। পৃথিবীর বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা মাত্র .০৩১৪%, এর মাঝে শূন্য দশমিক কিছু পরিমাণ হেরফের হলে পুরো পৃথিবীতে তোলপাড় পড়ে যায়। যেমন এই সেদিন উত্তর মেরুতে ম্যানহাটন আকারের এক খন্ড আইসবার্গ ভেঙ্গে পড়ল যেহেতু পৃথিবীর বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে গিয়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। তা দেখে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত। পানির নীচে ডুবুরীরা যে অক্সিজেন ট্যাংক নিয়ে নামে তা মূলত অক্সিজেন নয়, বাতাস। কারণ বিশুদ্ধ অক্সিজেন পানির নীচে বিষাক্ত। একই ব্যাপার মহাকাশচারীদের ক্ষেত্রে। এত দুর্বল শারীরিক ভারসাম্য নিয়ে পৃথিবীতেই যে মানুষ বেঁচে থাকে সেটা একটা আলৌকিক ব্যাপার। ভিনগ্রহে হুবহু এই কম্বিনেশনের বায়ু ছাড়া মানুষ বাঁচবে তো?

অপরদিকে পানি। কোন গ্রহে তরল পানির অস্তিত্ব দেখা যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে তা মাটিতে মিশে বা মাটির নীচে বরফ আকারে বিদ্যমান থাকতে পারে। এই প্রসঙ্গে কোলরিজের ‘দ্য এনশিয়েন্ট ম্যারিনার’ কবিতার দু’টো লাইন খুব মনে পড়েঃ

Water water everywhere ,

Nor any drop to drink.

পৃথিবীর চারভাগের তিনভাগ পানি অথচ এই পৃথিবীতে পানির অভাবে মানুষ মারা যায়, একফোঁটা সামুদ্রিক পানি যেন একফোঁটা বিষ! এই শারীরিক ক্ষমতা নিয়ে আমরা চলেছি মহাকাশ দখল করতে! সেখানে গাছপালা জন্মাবে কিভাবে, কোন প্রানীর অস্তিত্ব ছাড়া খাবারের জোগান আসবে কি করে কিছুই কি ভাবার প্রয়োজন নেই?

ছোটবেলার দেখা একটি অসাধারন দৃশ্যের কথা প্রায়ই মনে পড়ে। একবার আমরা ছুটিতে ঢাকা এসেছি, সচরাচরের মতই আমি ছিলাম ভালোদাদু, আমার দাদার ছোটবোনের বাসায়, ধানমন্ডী লেকের পাড়ে। রাতের কোন এক সময় দাদু আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বারান্দায় নিয়ে গেল। তখনো লেকের পাড়ে এত অবৈধ বাড়ীঘর ওঠেনি। দাদুর বারান্দার সামনে থেকে লেক পর্যন্ত ছিল উন্মুক্ত। আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখ মলতে শুরু করলাম। বিশ্বাস হচ্ছিলোনা যা দেখছি তা ঠিক দেখছি। নিকষ কালো আকাশে পাশাপাশি দু’টো আলোকবর্তিকা! কোন এক অদ্ভুত কারণে সূর্য উঠছিল, চাঁদ ডুবছিল- পাশাপাশি, একই সময়- দু’টোর আকার এবং রঙ ছিল একই, অবস্থানও ছিল একই সরলরেখায়। দাদু ধাঁধাঁ করে বলল, ‘বল তো কোনটা চাঁদ আর কোনটা সূর্য!’ কিছুতেই নির্ণয় করতে পারলাম না। যখন চাঁদটা নামতে শুরু করল আর সূর্যটা লালিমা ছড়াতে লাগল তখনই বুঝলাম কোনটা কে। বড় হয়ে পড়েছিলাম, ‘সূর্য তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তন করে, এটাই পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহর নির্দেশ। চন্দ্রের জন্য আমি বিভিন্ন অবস্থান নির্ধারন করেছি, অবেশেষে সে পুরোনো খেজুর শাখার মত ক্ষীণ এবং বাঁকা হয়ে যায়। সূর্য নাগাল পেতে পারেনা চাঁদের এবং রাত আগে চলেনা দিনের, প্রত্যেকেই প্রত্যেকের নির্দিষ্ট কক্ষপথে সাঁতারের ভঙ্গিমায় চলমান’ (সূরা ইয়াসীনঃ ৩৮-৪০)। কি অসাধারন নিয়মতান্ত্রিক এই মহাবিশ্ব! কি সৌভাগ্য আমার যে এই দৃশ্য আমি নিজ চোখে দেখেছি যেখানে চাঁদ ও সূর্য এক আকাশে একই সাথে বর্তমান থেকেও পরস্পরের সীমা অতিক্রম করেনা!

রবীন্দ্রনাথ ঠিকই বলেছেনঃ

বহুদিন ধরে বহু পথ ঘুরে

বহু ব্যয় করে বহুদেশ ঘুরে,

দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা

দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু,

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া

একটি ধানের শীষের উপর

একটি শিশির বিন্দু।

কতগুলো আধপাগলা বিজ্ঞানী ধারণা করছে ৭১৫টি গ্রহে মানববস্তি সম্ভব আর আমরাও ধেই ধেই করে নাচছি অথচ আল্লাহ্‌ বলে দিয়েছেন, ‘হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না’ (সূরা রাহমানঃ আয়াত ৩৩)। আমরা কেন যে নিজের ঘরে সচ্চরিত্র সুন্দরী স্ত্রী ফেলে অপরের কুৎসিত দুশ্চরিত্র সঙ্গিনীর পেছনে ছুটি কে জানে।

ফেরেস্তারা ঠিকই বলেছিলেন, ‘আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে দাঙ্গা হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা প্রতিনিয়ত আপনার প্রশংসা করছি এবং আপনার পবিত্র সত্ত্বাকে স্মরন করছি’ (সূরা বাক্কারাঃ আয়াত ৩০)। আমরা দয়ামায়া, ভালবাসা, মানবতা সব বিসর্জন দিয়ে আমাদের এই বাসভূমিকে বিরান করে ফেলছি। স্বার্থ, লোভ, মোহ, অর্থ, ক্ষমতার তাড়নায় আমরা দ্বন্দ্ব কলহ, খুন, বিধ্বংসী অস্ত্র দিয়ে পৃথিবীটাকে ধ্বংস করে ফেলছি। তারপর বসে আছি দূরের তারার অজানা অচেনা ঝিকিমিকি হাতছানির আশায়। কিন্তু এতে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে কি? স্বভাব যায়না মরলে। জর্জ লুকাসের ‘স্টার ওয়ার্স’ সিরিজের জনপ্রয়তাই প্রমাণ করে আমাদের ভিনগ্রহে বসতি স্থাপনের উদ্দেশ্য শান্তির আবাস গড়ে তোলা নয় বরং যুদ্ধবিগ্রহ, খুনাখুনিকে মহাজাগতিক পর্যায়ে উন্নীত করা।

কতই না ভাল হত যদি আমরা বরং আমাদের এই পার্থিব বাসস্থানের প্রতি যত্নশীল হতাম, পরস্পরকে বেঁধে নিতাম মায়ার বাঁধনে, দূর নক্ষত্রের শোভা এই পরিচিত আকাশটা থেকেই উপভোগ করতাম এবং এই বিশাল অংকের টাকা কতগুলো ক্ষ্যাপাটে লোকের কল্পনার পেছনে না উড়িয়ে তা দিয়ে মানবতার কল্যাণ সাধনে ব্রতী হতাম! পৃথিবীটাও বাঁচত, আমরাও বাঁচতাম। কিন্তু চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনী। তাই এই পৃথিবীটাকে আমরা ধ্বংস করেই ছাড়ব। কিয়ামত আসবে এরই ক্রমানুবর্তিতায়। তারপর আমার প্রভু আমাদের সকলকে একে একে প্রশ্ন করবেন, ‘অতঃপর তোমরা আমার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?’

বিষয়: বিবিধ

২২৪২ বার পঠিত, ৫৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

186458
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৪৩
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, জাজাকাল্লাহুল খাইরান, অনেক সুন্দর পোস্ট।
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:২৩
138600
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু Happy
প্রথম মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck
186468
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:১২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : ব্যাপারটা আমি এভাবে দেখি।
ধরুণ ০.৫ সেন্টিমিটার লম্বা একটি পিঁপড়া। সে কি আদৌ কখনো মহাসমুদ্রের রহস্য ভেদ করতে পারবে? এই মহাবিশ্বের তুলনায় পৃথিবী একটি ধুলিকণার চেয়েও অনেক অনেক ক্ষুদ্র। আর পৃথিবীর তুলনায় একজন মানুষ বা একজন বিজ্ঞানী? মহাবিশ্বের রহস্য ভেদ করা কি কেয়ামত পর্যন্তও সম্ভব কারো পক্ষে?

আজ কেউ কেউ এসব না বুঝেই (তাদের বেশিরভাগই বাংলা বা কলার ছাত্র, বিজ্ঞানের ছাত্র নয়) অপ্রমাণিত বিগ ব্যাং তত্ত্বকে ভিত্তি ধরে নাস্তিকতার ভেক ধরে যেটা অনেক হাস্যকর। এমনকি বিগ ব্যাং তত্ত্বটির ব্যাখ্যাও তারা ঠিকমতো দিতে পারেনা। কেমন একটা ধোঁয়াশা কথাবার্তা!

০৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০৩
138496
ভিশু লিখেছেন : আমারো কিন্তু এমনই মনে হয় এই বিষয়টা! নাস্তিকদের জন্য করুণা হয়!
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৩০
138608
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমি নাস্তিকদের ব্যাপারটাকে দেখি এভাবে- কত বড় বড় বিজ্ঞানী, লেখক, চিন্তাবিদ সারাজীবন জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজেছেন, অনেকে ইসলামের সংস্পর্শে এসেছেন, অনেকে ইসলাম নিয়ে গবেষনা করেছেন, তবু ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় পাননি কারণ আল্লাহ্‌ যাকে হিদায়াহ দেন সে ব্যাতীত আর কেউ তা পায়না। এটা বক্ষ বিদীর্ণ করার মত দুঃখের কথা। কিন্তু আমরা, যারা না চাইতেই এই নিয়ামাহ পেয়েছি অথচ এর যথাযথ মর্যাদা দিতে শিখিনি, আমাদের কথা ভাবলে আমার যে দুঃখ হয় তা বোধ করি কোন ব্ল্যাকহোলও শুষে শেষ করতে পারবেনা।
সময় পেলে দশ মিনিটের এই ভিডিওটি দেখুন, আল্লাহ্‌ যাকে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে চান তাকে হিদায়াহ পৌঁছানোর জন্য তিনিই যথেষ্ট!
https://www.youtube.com/watch?v=fA8bZR89L9E
186470
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:১৪
ইকুইকবাল লিখেছেন : বিখ্যাত ব্লগার
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৩২
138609
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : কে? কোথায় কমেন্ট করতে গিয়ে কোথায় করে ফেলেছেন ভাই! Surprised Surprised
186471
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:১৭
মাই নেম ইজ খান লিখেছেন : সুন্দর লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার ব্যাপারে হুলিয়া জারি হচ্ছে! Sad Sad
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৩২
138610
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Worried Worried Worried
186473
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২০
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : অনেকে মহাশূন্য বলি ! আসলে মহাকাশটাই যথার্থ মনেহয় । যার মধ্যে আল্লাহ যেমনটি বলেছেন, উনার কাছে পৃথিবীটার দাম মাছির ডানার মতও নয় । কোরানে অনেক জায়গায় বলেছেন তার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করতে ।
কিন্তু আমাদের আলেমরা গবেষনায় নিমিত্ত অন্য আলেমের খুত বের করায়। যদিও শুধু মাদ্রাসার হুজুরদের জন্যই আল্লাহ চিন্তা করার বিষয় সীমাবদ্ধ করে দেননি । কিন্তু হুজুররা অনেকেই মনে করে ইসলাম নিয়ে চিন্তা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি । জাকির নায়েক আবার কে !!!
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৩৪
138611
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : কিন্তু আমাদের আলেমরা গবেষনায় নিমিত্ত অন্য আলেমের খুত বের করায়।- এই সুযোগটাই তো নাস্তিকরা গ্রহন করে! আমাদের যে কবে হুঁশ হবে যে ইসলাম কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয় এবং এই বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করা, চিন্তা গবেষনা করা প্রত্যকের মুসলিমের দায়িত্ব।
186484
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
শেখের পোলা লিখেছেন : কোরআনের 'আহাদা আশারা কাওক্বাব' এর পরেও এত গ্রহ দেখে ফেলেছে! সর্বোচ্চ প্রযুক্তি যার আয়ত্বে থাকবে সেই হবে দাজ্জাল, তবে কি সময় অত্যাসন্ন/ ধন্যবাদ৷ বিশ্লেষণের জন্য৷
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৩৪
138612
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ Happy Good Luck
186519
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:১৬
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : "কিন্তু আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না’ (সূরা রাহমানঃ আয়াত ৩৩)" ড.মুজিবুর রহমানের কুরআনুল করিম ও মওদুদি সাহেবের তাফহিমুল কুরআনের তরজমাতে "আল্লাহর অনুমতি" শব্দের পরিবর্তে "শক্তি" শব্দটা লিখেছে । টাইপিং ভুল হলে ঠিক করে দিন,বিনীত ।
যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের


নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে সকল বোধসম্পন্ন লোকদের জন্যে। যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে, (তারা বলে ওঠে) হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করোনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদেরকে তুমি আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করো! -(সুরা আল-ইমরান: ১৯০-১৯১
সংগৃহিত, শিক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট
tafhimul quran






০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৩৯
138614
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : মারেফুল কুর'আনে এসেছে এভাবেঃ [33] হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না।

[33] O assembly of jinn and men! If you have power to pass beyond the zones of the heavens and the earth, then pass beyond (them)! But you will never be able to pass them, except with authority (from Allâh)!
আমি ছাড়পত্রের জায়গায় অনুমতি শব্দটি ব্যাবহার করেছি। আপনি যে তরজমাগুলোর কথা বলেছেন সেগুলোও দেখেছি ভাই, কিন্তু শক্তি এবং ছাড়পত্র শব্দ দু'টি একই অর্থে ব্যাবহার করা হয়নি। ওখানে বাক্যটি আলাদাভাবে তরজমা করা হয়েছে। প্রত্যকে মুসলিমের দায়িত্ব অপর ভাই বা বোনের ভুল ধরিয়ে দেয়া। আপনার সতর্কবানীর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।
প্রত্যেককে চিন্তা করতে বলা হয়েছে, কিন্তু আমরা তো সব শিক্ষাদীক্ষা চিন্তা গবেষনার দায়িত্ব একটি শ্রেণীর ওপর তুলে দিয়ে নিজেরা চিন্তামুক্ত হয়ে বসে আছি!
186526
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : Alhamdulliah,nice thinkable write up.
Actually if any person just think about his body or the besides creation....he absolutely praise the allah.
your write up system is really nice, Cary on.
may allah give us the realization.
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৪০
138616
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনার উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ Happy Good Luck
186528
০৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
গেরিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৪০
138617
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy Good Luck
১০
186538
০৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : রাখেন মঙ্গল অথবা অমঙ্গল গ্রহ। এখান থেকে এমুহুর্তে দেশে যেতে পারলে ইলিশ মাছ ভাজি,এর ডিম....ওহ আর কল্পনা করা গেল না....
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৪১
138619
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : দেশে যেতে আপনাকে মানা করছে কে? Surprised Tongue
০৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৫১
139097
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমার টাকা মনে হয় গাছে ধরে....Crying
১১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৮
141328
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : ভাই জান , ওখানে কেমোন আসেন ?
১১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৪১
141388
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ভাই আপাতত মজাই আছি,,খাচ্ছি আর ঘুরছি... Happy
১১
186543
০৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ এই চিন্তা মুলক পোষ্টটির জন্য। মানুষ শুধু মহাশুন্যের অপার রহস্য সম্পর্কে অজ্ঞাত নয় বরং আরো বেশি অজ্ঞ তার শরিরের ভিতরের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ডিএনএ বা জিন নিয়ে। বর্তমান সময়ে জিন নিয়ে বেশ মাতামাতি চলছে। অনেকেই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে সকল সমস্যার সমাধান করার দাবি করছেন। অনেকে আবার তাই দিয়ে ডারউইন এর তত্ব প্রমানিত হওয়ার দাবি করছেন। সেভাবেই মহাকাশ বিজয়কে ও নিজেদের কাজে লাগানর চিন্তা করছেন কিছু মুনাফালোভি মানুষ। "অ্যাভাটার" ছায়াছবিটির কথা চিন্তা করুন। মানুষ তার পরিবেশ প্রকৃতিকে ধ্বংস শেষ করে অন্যগ্রহে গিয়ে সে গ্রহের প্রকৃতিও ধ্বংস করতে চাইছে কেবল মুনাফার লোভে। এই মহাবিশ্ব এখনও সম্প্রসারিত হচ্চে। একসময় সংকুচিত হওয়া শুরু করবে।
সুরা আররহমান এর যে আয়াতটির কথা লিখেছেন ডঃ এম শমশের আলি এর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যে এর অর্থ হবে জ্ঞান ব্যাতিরিকে। আর এতটুক অভিযান কেই মহাশূন্যের রহস্য জেনে ফেলা বলে দাবি করার সুযোগ নাই।
গত পড়শু একজন ভারতিয় লিখকের একটি সম্বর্ধনা তে গিয়েছিলাম। একজন প্রশ্ন কর্তা তার বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ইউরি গ্যাগারিনকে নিয়ে প্রচলিত একটি কেীতুক বলেন যে মহাশুন্যে গিয়েও তিনি আল্লাহ কে দেখেননি। কিন্তু এরা জেনেও না জানার ভান করেন কিংবা বুঝতে চাননা। যে বিরাট মহাশুন্যের শতকরা একভাগও এখনও আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। যেখানে সৃষ্টির শেষ সীমা এখনও আমরা জানিনা সেখানে স্রষ্টার নাথাকা কে কিভাবে দাবি করা যায়?

০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৯
138620
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : নিজের জ্ঞানের স্বল্পতা স্বীকার করে নিলে আসলে জানার বিস্তৃতির সুযোগ ঘটে, কিন্তু আমরা অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে এলাম কিভাবে সেটা না ভেবে বরং তর্কে জিততে পারলেই খুশি। গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ Good Luck Good Luck
১২
186557
০৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:০২
হতভাগা লিখেছেন : এসব কাজ আমার কাছে মনে হয় শুধুই অপচয় ।

এগুলো আবিষ্কার হয়ে পৃথিবীর কি কোন উপকার এসেছে ?

মঙ্গল গ্রহে কেন , মানুষের চাঁদে গমনই তো খুবই কন্ট্রোভার্শিয়াল একটা বিষয় ।

গত ৪০-৪৫ বছরের ৩ জন বাদে আর কারও নাম শোনা যায় নি ।

এখন মহাকাশে গিয়ে কি সব গবেষনা না ছাই পাশ করেই খুব ভাব দেখায় যে কি না কি করে ফেলেছে । অথচ যারা চাঁদে গিয়েছে তাদের মহাকাশে যাওয়াটা পিএইচডি করার পর এস.এস.সি. পরীক্ষা দেবার মত ব্যাপার।
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৯
138621
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck
১৩
186561
০৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:০৭
ইক্লিপ্স লিখেছেন : Rose Rose Rose Rose Rose
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:০০
138622
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
১৪
186611
০৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:০৯
আনিস১৩ লিখেছেন : Rose
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:০০
138623
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy Good Luck
১৫
186769
০৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
সজল আহমেদ লিখেছেন : সুন্দর তাত্‍পর্যপূর্ণ এই লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:০০
138624
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ Happy
১৬
186851
০৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৫৪
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।

ফেরেস্তারা ঠিকই বলেছিলেন, ‘আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে দাঙ্গা হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা প্রতিনিয়ত আপনার প্রশংসা করছি এবং আপনার পবিত্র সত্ত্বাকে স্মরন করছি’ (সূরা বাক্কারাঃ আয়াত ৩০)।
ফেরেশতারা সঠিক বলেনি তাই আল্লাহ বলেছিল আমি যা জানি তোমরা তা জানো না।
মানুষ তাদের কর্ম ফলের কারনে তারাই কষ্ট পাবে । কিন্তু ধ্বংস হবে না । একমাত্র কেয়ামত ছাড়া ।
আমিও সায়েন্স ফিকশনের ভক্ত । আমি হলিউডি ছবি দেখি না তবে সায়েন্স ফিকশন হলে ছাড়ি না।
আপনার সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২১
139181
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য Happy Good Luck Good Luck
১৭
186897
০৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০৯
ভিশু লিখেছেন : অত্যন্ত উন্নত চিন্তাধারার লেখা! আমি তো নিজেকে সে মানের পাঠকই ভাবতে পারছিনা! তবে আমার মনে হয় অন্যান্য অনেক গ্রহেও যদি মানুষের বসবাস একদিন শুরুই হয়ে যায় - তবুও তো মহান আল্লাহর কথার সাথে তা সাংঘর্ষিক হওয়ার কথা নয়! শেষের দিকে এসে পৃথিবী ও মানবতার যত্নের প্রতি আরো গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারটি বলেছেন সুন্দর করেই! ধন্যবাদ ম্যাডাম!
০৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২২
139182
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনি নিজের ব্যাপারে ভাবার সময় পান কই, কেবলই তো দেখি অন্যদের ব্যাপারে ভাবেন :Thinking
পড়ার এবং উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
১৮
186994
০৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৫১
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপু ভিন্ন স্বাদের লিখাটি পড়ে পড়ার আগ্রহ যে বাড়িয়ে দিলেন??? এখন আরো পড়তে ইচ্ছে করছে!!! Music কবে পাব আবার এমন লিখা??? Happy

সুন্দর চিন্তার খোরাক যোগানো লিখাটির জন্য শুকরিয়া! Good Luck Love Struck
০৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৩
139184
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : মাথায় আছে, লেখার সময় নাই আপু Love Struck Good Luck
১৯
187061
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৬
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার পোস্টের জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া।

একসময় বে-শ সাইন্স ফিকশন পড়েছি। তখন কিন্তু আমার মনে খুব ইচ্ছে ছিলো 'গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে' ঘুরে বেড়াব!!! এখন ঐসব মনে পড়লেই হাসি পায়!!!

ধন্যবাদ।

০৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৩
139185
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমারও Happy Love Struck
২০
187102
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : ভালো লাগলো। তবে আপনার লিখা নিয়মিত পাইনা। আপনার লিখা নিয়মিত না পেলে,আপনার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। ধন্যবাদ আপু এই সুন্দর লিখাটির জন্য।
০৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৪
139186
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Worried Worried Worried
২১
187165
০৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:৫৬
রাইয়ান লিখেছেন : দারুন চিন্তার খোরাক যোগানিয়া একটি লেখা , প্রিয় আপুনি ! পৃথিবী ও আকাশ আর এই দুইয়ের মাঝখানের বস্তুসমূহ নিয়ে ভাবতে বসলে এক সময় আর মাথা কাজ করেনা , কেবলি মনে হতে থাকে ' তোমার প্রভুর কোন নিয়ামতকে তোমরা অস্বিকার করবে ? ' সুবহান আল্লাহ ! খুব ই ভালো লেগেছে , এরকম লেখা আ....রো চাই ! Happy
০৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:৫৭
138722
রাইয়ান লিখেছেন : 'অস্বীকার ' বানানটা ভুল হয়ে গিয়েছিল ...Sad
০৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৫২
139643
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আল্লাহ ঠিকই বলেছেন আপু Happy
তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টি ফেরাও; কোন ফাটল দেখতে পাও কি? অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ-তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। (সূরা মুলকঃ আয়াত ৩-৪)
২২
187222
০৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:১১
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। একটি সু্ন্দর বিষয় তার চেয়েও সুন্দর বর্ণনায় তুলে ধরেছেন।
০৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৫৪
139644
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ, আমি তো কেবল চেষ্টা করি, আপনাদের ভাল লাগে এটা আল্লাহর রাহমাত Happy
পড়ার এবং পছন্দ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck
২৩
188808
০৮ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
বিন হারুন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ খুবই পরিশ্রম করে সুন্দর একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য. Rose
০৯ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:৪০
140347
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ পরিশ্রম করে লেখাটি পড়ার জন্য Happy Good Luck
২৪
189953
১০ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:০৪
নিভৃত চারিণী লিখেছেন : ওরে বাবা! পড়তে পড়তে একসময় নিজেকে একজন বিজ্ঞানী মনে হচ্ছিলো। Good Luck Good Luck
কীভাবে লেখেন এত কঠিন কঠিন বিষয়?
১১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫৪
141315
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : মোটেই কঠিন না আপু, যারা পরীক্ষা পাশ করার জন্য পড়ে তাদের জন্য বিজ্ঞান কঠিন, আর যারা ভালবেসে পড়ে তাদের জন্য সহজ Happy Love Struck
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৫২
147924
মাহমুদ আরিফ লিখেছেন : "যারা পরীক্ষায় পাশ করার জন্য পড়ে তাদের জন্য বিজ্ঞান কঠিন, আর যারা ভালবেসে পড়ে তাদের জন্য সহজ"-কথাটা অক্ষরে সত্য!!!
২৫
197969
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৫০
মাহমুদ আরিফ লিখেছেন : এই এ্যস্ট্রোফিজিক্সের প্রতি আগ্রহ জন্মে সেই শৈশবেই। আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে আর কিছু বই পড়ে। আজও আগ্রহ প্রচুর। এখনো টেবিলে এই বিষয়ে একগাদা বই। যতই পড়ি, ততই হকিং আর তার দোসরদের প্রতি করুণা জাগে। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা হল, এই বিষয়টা নিয়ে যত গবেষণা করি তত স্রষ্টার অস্তিত্ব স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়। আর মুক্তমনা ও ধর্মকারীর ব্লগাররা স্রষ্টার অস্তিত্বের বিলোপ খোঁজে পায়। তবে এই বিষয়টা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করা দরকার। আপনার তো মাশাআল্লাহ, লেখার হাত অনেক ভাল। সাথে জানার পরিধিও বিস্তর। তাই নিয়মিত কিছু কলাম লিখুন এই বিষয়ের উপর। উপদেশ নয়, ছোট ভাই হিসেবে আমার আবদার। আমার লেখার হাত খুবই কাঁচা আর জ্ঞানের দৈন্যতা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই সাহস করি না। এরপরও সাহস করে "বিজ্ঞানের প্রতি ছত্রে আমি স্রষ্টাকে দেখি!" শিরোনামে একটু একটু লেখা শুরু করেছি। দোআ করবেন যেন, ওটার পরিসমাপ্তি টানতে পারি......!!
২৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৩৮
148060
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আসলেই, বিজ্ঞানীরা যদি বলেন স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমান পাচ্ছেন না তখন উটপাখির বালিতে মুখ গুজে থাকার চিত্রটাই ভেসে ওঠে। আপনি লিখুন, আমি পাঠক হিসেবে এক নাম্বারে আছি ইনশা আল্লাহ Happy
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩১
148402
নিভৃত চারিণী লিখেছেন : পনি দেখি এখানেও আছেন। ভালো লাগলো। @ মাহমুদ আরিফHappy Happy Happy
২৬
198142
২৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : আপনার ভাবনাকে স্বাগত জানাই তবে এটা বাস্তবে কতটুকু সম্ভব সেটা ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো। তবে হলে ভালো Rose Rose Rose
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
148503
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনি সম্ভবত পুরোটা পড়েননি Happy সময় করে পুরোটা পড়তে পারলে বুঝতেন আপনি যা ধারণা করছেন লেখার বিষয় সেটা নয় Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File