ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে
লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:২৬:০৪ দুপুর
১/ সোমা আপার দুই মেয়ে রোজা আর জারা যেন ছোট্ট দু’টো পুতুল। যেমন হাসিখুশি তেমনি আদুরে। একবার ওদের বাসায় গেলাম। তখন জারার বয়স দেড় বছরের মত। আমার রাদিয়া রিহাম প্রায় বড়ই হয়ে গেল, অনেকদিন পর একটা বাচ্চা পেয়ে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, ওর সাথে নানারকম কথা বলছি। বড় মানুষের মত গুরুত্ব পেয়ে জারাও খুব মজা পাচ্ছে, আধো আধো বুলিতে নানান কথা বলছে। রাদিয়ার বাচ্চা খুব পছন্দ। কিছুক্ষণ পর আমাকে বসতে দেখে কন্যা আমার পাশে এসে বসে জারার সাথে কথা বলতে লাগল। জারা ওর কোলে যাবার জন্য হাত বাড়িয়ে দিলো। কিন্তু রাদিয়া ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেল, যদি কোলে নিতে গিয়ে জারাকে ব্যাথা দেয়! জারার মুখটা অভিমানে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেল। মানুষের মান অপমান আত্মসম্মানবোধ অতি অল্প বয়সেই জন্মায়। আমার মনে আছে আমার ছয় মাস বয়সী ভাইয়ের একটা জামা দেখে একজন মন্তব্য করেছিল, ‘এটা তো দেখতে মেয়েদের জামার মত’। ঐ জামা আর কিছুতেই তাকে পরাতে পারিনি যদিও আসলে ওটা মেয়েদের জামা ছিলোনা মোটেই। জারার দৃষ্টি ঘুরানোর জন্য বললাম, ‘রাদিয়া আপুর জামাটা কি সুন্দর?’ কন্যা সেদিন বেশ ঝিলমিল একটা জামা পরেছিল, বাচ্চাদের পছন্দ হবার মত। জারা মুখ গোমড়া করে জবাব দিলো, ‘তুন্দর না’!
২/ আরেকদিন ইফতেখার ভাইয়ের বাসায় দাওয়াত। একটা আলোচনা অনুষ্ঠান শেষ করে ওঁদের বাসায় যেতে যেতে অনেক দেরী হয়ে গেল। ঘরে ঢুকতেই দেখি ওঁদের পাশের বাসায় নতুন বাংলাদেশী প্রতিবেশীর আট মাস বয়সী ছেলেটা কাঁদতে কাঁদতে বুক ভাসিয়ে ফেলছে। ভাবীকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘সমস্যা কি?’ রসিক ভাবীসাহেবা বললেন, ‘আর কি? আমাদের মত বুড়িদের চেহারা পছন্দ হচ্ছেনা আর কি!’ আসল কথা হোল বাচ্চারা নতুন জায়গায় গেলে কিংবা অনেক বা অপরিচিত মানুষজনের মাঝে গেলে অস্বস্তিবোধ করে। ওর মাকে বললাম ওকে নিজের কাছাকাছি রাখতে, হয়ত এতে সে আশ্বস্ত বোধ করতে পারে। কিছুটা কাজ হোল, কিন্তু একটু পর পর মায়ের আঁচলের পেছনে থেকে মুখ বের করে আমাদের দিকে উঁকি দিয়েই সে আবার ডুকরে কেঁদে ওঠে। কিছুক্ষণ পর রাদিয়া এসে আমাদের সাথে বসল। প্রথমে ভদ্রলোক মায়ের আঁচল থেকে বেরিয়ে এলেন, তারপর রাদিয়ার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলেন, কিছুক্ষণ পর ওর দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে শুরু করলেন। আট মাস বয়সী ছেলের কান্ড দেখে ভাবীরা বলতে শুরু করলেন, ‘এ’ ছেলে তো রূপবান রহিমের কাহিনী রচনা করবে মনে হচ্ছে!’
কিছুদিন পর সুপারমার্কেটে বাজার সেরে আমি আর রাদিয়া বেরোচ্ছি। একটা টিনেজ ছেলে আমার ট্রলির সামনে দরজা খুলে ধরে দাঁড়িয়ে রইল। এভাবে সে পর পর তিনটা দরজা খুলে ধরল। মনে মনে ভাবছি, ‘কি ভদ্র ছেলে মাশাল্লাহ! মুরুব্বীদের প্রতি কত শ্রদ্ধাশীল!’ তারপর খেয়াল করলাম সে দরজা আমার জন্য খুলে ধরলেও নজর আমার কন্যার দিকে। কন্যা আট বছর বয়স থেকে নিজ উদ্যোগেই পর্দা করে, সে কিছুই খেয়াল করেনি। কিন্তু আমি টের পেলাম সুন্দরী মেয়ের মায়ের অনেক মাথাব্যাথা। আল্লাহ্ আমার মায়ের প্রতি অশেষ রহমত করেছেন। আমার মায়ের মেয়ে কোনকালে সুন্দরী ছিলোনা, সুতরাং আমার মাকে কোন ঝক্কি পোহাতে হয়নি। কিন্তু আমি টের পাচ্ছি ছেলের বয়স আট মাস হোক কিংবা আঠারো, মেয়েকে রক্ষা করতে হবে উভয়ের থেকেই। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন মানুষের সহজাত। হয়ত বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের এই ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ে, কিন্তু এই প্রবণতা মানুষের মাঝে বিরাজমান থাকে জন্মগতভাবেই। এই প্রবণতার প্রতি মানুষের সাড়া দেয়ার পদ্ধতিই নির্ণয় করে মানুষ এবং অন্যান্য জীবের মাঝে পার্থক্য।
৩/ আমার পুত্র প্রতিদিন রাতে আমাকে ঘুষ দেয়, ‘আম্মু, তুমি যদি আমার সাথে ঘুমাও তাহলে আমি তোমাকে মাথায় হাত বুলিয়ে দেব’। বাচ্চারা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বুঝতে পারে বড়দের পছন্দ অপছন্দ। সত্যি কথা আমি এত আরামপ্রিয় যে যদি কোনক্রমে বেহেস্তে প্রবেশ করতে পারি তাহলে বলব আমাকে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়ার জন্য একজন সেবিকার ব্যাবস্থা করতে যেন আমি সারাদিন পড়তে পারি কিন্তু মাথা গরম না হয়। তা পুত্রের এই ঘুষপ্রথা প্রচলনের পেছনে মূল উদ্দেশ্য অবশ্য অন্য। ওনার কোনপ্রকার খেলনা, জামা জুতা, খাবারদাবাড় কোনকিছুর প্রতি ন্যূনতম আকর্ষন নেই। রিহামের একমাত্র আগ্রহের বিষয় জ্ঞানচর্চা। সারাদিন নানান বিষয়ে গবেষনা, অনুসন্ধান এবং জ্ঞানার্জনের পর রাতের বেলা ঘুমাবার আগে সে ব্যাপারগুলো আমার সাথে আলাপ করে ঝালাই করে নিতে পছন্দ করে কিংবা আমার কাছে নতুন কিছু শিখতে চায়। তাই এই লোভ দেখানো। প্রতিটি মানুষের মাঝেই জ্ঞানতৃষ্ণা থাকে। বাবামায়ের কাজ হোল এই ক্ষুধাকে জাগিয়ে তোলা, এই ক্ষুধার খাদ্য জোগান দেয়া, এই খাদ্য হজম করতে সহযোগিতা করা। আমরা আমাদের সন্তানদের প্রচুর বই কিনে দেই, ওদের নিজের কম্পিউটার রয়েছে যেন ওরা নানান বিষয়ে গবেষনা এবং অনুসন্ধান করতে পারে, আমি ওদের বিভিন্ন লিঙ্ক দেই অনুসন্ধান করার জন্য, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সারাদিন আলাপ করি যেন ওদের কোন ধারণা বা তথ্য বুঝতে অসুবিধা হলে অনুধাবন বা উপলব্ধি করতে সহযোগিতা করতে পারি- রিহামের এই আলাপ সারাদিনের নির্ধারিত সময়ের বাইরে যেহেতু নানান বৈজ্ঞানিক তথ্য ও সূত্র ওর বুঝে নেয়ার প্রয়োজন হয় যেটাতে রাদিয়ার তেমন আগ্রহ নেই, কন্যা মূলত শিল্পী শ্রেণীর। অনেক সময় রিহামের সাথে এই আলাপ চলে রাত বারোটা পর্যন্ত যদিও পরদিন আমাকে আবার ভোর পাঁচটায় উঠে যেতে হয়। কিন্তু এর সুফল হোল, আমার সন্তানরা গেমস খেলে বা টিভি দেখে অলস সময় কাটায় না; আমাদের বন্ধুরা ওদের ওপর পোস্টার ডিজাইনিং, কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন, উপহার কেনাকাটা বা যেকোন প্রকার দায়িত্ব দিয়ে নির্ভর করতে পারেন; ওরা যেকোন বয়সের ব্যাক্তির সাথে তথ্যসম্বৃদ্ধ এবং অর্থবহুল আলোচনা করতে পারে; রাদিয়া কম্পিউটারে তিলাওয়াত শুনে শুনে নিজ থেকেই কুর’আনের ত্রিশতম পারা মুখস্ত করেছে, রিহামও কুর’আন পড়তে শিখছে আলহামদুলিল্লাহ্। সবচেয়ে বড় কথা হোল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রতি ওদের আগ্রহের কারণে ওরা দু’জনই খুব সেবাপরায়ন মাশাল্লাহ। আমার মেয়ে বাসার সবার খাওয়াপরার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখে; বিশেষ করে আমি যেহেতু খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে উদাসীন, আমার প্রতি ওর কড়া নজর থাকে সবসময়। আর রিহাম অন্য সব কাজ নিয়ে গড়িমসি করলেও বেহেস্তে যাবার লোভে সবাইকে পানি খাওয়াতে সদাতৎপর। আমার ছোটভাই সেদিন ক্ষেপে গিয়ে আমাকে বলল, ‘তুমি আমাদের দুই ভাইয়ের সাফল্যের সম্ভাবনা নষ্ট করে ফেলেছ। তুমি এত বেশি লক্ষ্মী এবং নির্ভরযোগ্য সন্তান ছিলে যে আমরা কোন কিছু করেই বাবামাকে কোনদিন সন্তুষ্ট করতে পারবনা’। তবে আমার কখনও তেমন মনে হয়নি, আমি বিশ্বাস করি আমি কেবল সন্তান হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। তাই হয়ত আল্লাহ্ আমার সন্তানদের আমাদের প্রতি দায়িত্বশীল করে দিয়েছেন। মাঝে মাঝে খুব ভয় হয়, সবকিছু পৃথিবীতে পেয়ে যাবার অর্থ এই নয় তো যে পরবর্তী জীবনে আমার কিছু পাবার নেই?
৪/ পছন্দের মানুষকে সাজাতে সবাই ভালোবাসে। বাবা মা কি পরবে এটা ঠিক করে দেয়া আমরা আমাদের অধিকার মনে করতাম। আমার ভাইরা আমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল, ওদের ওপর হেন পরীক্ষা নিরীক্ষা নেই যা আমি করিনি। আমার কোন বোন ছিলোনা। বিয়ের পর পাঁচ পাঁচটা বোন পেয়ে সীমিত সামর্থ্যের মাঝেই তাদের জন্য অনেক কিছু কিনতে ইচ্ছে হত। রাদিয়ার জন্মের পর আমি নিজে কাপড় কিনে, কেটে, লেস দিয়ে ডিজাইন করে ওর জন্য জামাকাপড় বানাতাম। এখনও কোথাও একটা সুন্দর জিনিস দেখলে মনে হয় এটা অমুকের জন্য কিংবা তমুকের জন্য নিলে বেশ মানাবে। এই ব্যাধিটি সম্ভবত সংক্রামক। আমার পুত্র পৃথিবীর সবচেয়ে বেরসিক পাবলিক। বাচ্চারা কত কিছুর জন্য বায়না করে, অথচ রিহামকে কিছু কিনে দিতে চাইলেও সে বলে, ‘আমার তো অলরেডি একটা আছে, আর লাগবেনা’। আমার তখন মনে পড়ে, একবার বার্ষিক পরীক্ষায় ভাল করার পর (পাঠ্যপুস্তক ছিল আমার দু’চোখের বিষ, তাই এই ঘটনাটা কিভাবে ঘটেছিল জানিনা) বাবা জিজ্ঞেস করেছিল আমি কি চাই। আমি তিনদিন ধরে অনেক হিসেব নিকেশ করে জানিয়েছিলাম, ‘আমার পুরোনো রুলারটা ভেঙ্গে গেছে, একটা নতুন রুলার কেনা যেতে পারে’। তাহলে পুত্রের কাছে আর কি আশা করতে পারি? কিন্তু এতে রাদিয়া মানবে কেন? ওকে নিজের জন্য কিছু কিনতে পাঠালে সে ভাইয়ের জন্য রাজ্যের জিনিসপত্র কেনাকাটা করে নিয়ে আসে। রিহাম বলে, ‘আমার তো এসব প্রয়োজন নেই’। রাদিয়ার খুব মন খারাপ হয়।
তবু সেদিন রাদিয়া মামার সাথে গিয়ে ভাইয়ের জন্য অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি ভারী সুন্দর একজোড়া জুতা কিনে নিয়ে এলো। রিহামকে যখন পরতে বললাম সে অজুহাত খাড়া করল, ‘They feel like elephants on my feet’! বলে কি ছেলে, জুতা হাতির মত ওজন হতে যাবে কেন! ক’দিন আগে ওয়ান উম্মাহ কনফারেন্সে গিয়ে দেখা গেল আমি যে জুতা পরেছি, কাপড়ের জুতা হলেও আমার পা কেটে যাচ্ছে। রাদিয়া রাস্তার মধ্যখানে আমাকে দাঁড় করিয়ে ওর কেডস খুলে আমাকে পরিয়ে দিল, আমার জুতা সে পরে নিলো। সেই একই জুতা রিহামের জন্য কিনেছে, সাধারন কেডসের মত ভারী নয় মোটেই। রাদিয়া মন খারাপ করে বলল, ‘আমার ভাইটা একদম তোমার মত, তোমাদের কোন শখ আহ্লাদ নাই’। তখন ওকে সান্তনা দিতে রিহামের ডাইনোসরের কাহিনী উল্লেখ করলাম। রিহাম ডাইনোসর বিশেষজ্ঞ বলে নাজিম ভাই ওকে একটা ব্রন্টোসরাস উপহার দিলেন। প্রথমে সে নেবেনা, কোন নতুন জিনিস ওর পছন্দ নয়, হোক সে জামা জুতা খাবার কিংবা খেলনা। ডাইনোকে ব্যাগে করে বাসায় নিয়ে এলাম। কিছুক্ষণ পর ওটাকে আবিষ্কার করলাম গার্বেজে। বেচারাকে আবর্জনা থেকে তুলে সাবান দিয়ে গোসল দিয়ে ড্রয়িংরুমের তাকের ওপর তুলে রাখলাম। ক’দিন পর ওটাকে দেখা গেল রিহামের রুমে। এখন ঐ শক্ত ডাইনোসরটাকে পাশে বালিশে শুইয়ে ঘুমায় রিহাম। ওর সাথে সকালে দাঁত ব্রাশ করায়, নাস্তা খাওয়ায়, কোথাও গেলে গাড়িতে সিটবেল্ট বেঁধে নিয়ে যায়, উনি আমাদের সাথে নিউ ইয়র্ক সফরেও গেছিলেন। সুতরাং, হতাশ হবার কিছু নেই। কিছুদিন পর এই জুতাই হয়ে যাবে রিহামের সবচেয়ে প্রিয়। অভ্যস্ততা অনেক বড় ব্যাপার। কিছু জিনিস শুরু থেকেই ভাল লাগে। তবে না লাগলেও সমস্যা নেই, দীর্ঘদিন অভ্যাসের ফলে অপ্রিয় বস্তুও প্রিয় বস্তুতে রূপান্তরিত হতে পারে। তবে প্রিয়ের তালিকায় কাকে বা কোন বস্তুকে অন্তুর্ভুক্ত করছি সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত সবসময়। এই বোধটা সন্তানের মাঝে সৃষ্টি করে দিতে পারলে পরবর্তীতে অনেক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা যায়। পাশাপাশি প্রস্ফুটিয়মান হৃদয়গুলোর সুকোমল আবেগগুলোকে মূল্যায়ন করে তাদের সুকুমার প্রবৃত্তিগুলোকে সিঞ্চিত করার প্রতিও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। এভাবেই যারা আজ হয়ত কেবল পিতামাতার কিছু কিছু বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন, তারা আগামীতে হয়ে উঠবে পুর্নাঙ্গ মানব মানবী, পিতামাতার সম্মিলিত বৈশিষ্ট্যের চেয়েও উত্তম, তাতেই বাবামায়ের সাফল্য।
ছবির জন্য কৃতজ্ঞতাঃ বইয়ের পাতায় রোদের আলো
বিষয়: বিবিধ
৩০০৪ বার পঠিত, ৬৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্লগ পরিসংখ্যান
পোস্ট লিখেছেনঃ ০ টি
মন্তব্য করেছেনঃ ১২৬ টি
প্রতি মন্তব্য করেছেনঃ ৩০ টি
ব্লগ পঠিত হয়েছেঃ বার
ব্লগে আছেনঃ ১ বছর ৩ দিন
দেখতেসেননা পোষ্ট দিতে না দিতেই কমেন্ট!
উনি কমেন্ট এর মাধ্যমে ইনডাইরেকটলি বুঝাতে চান পোষ্টটা আসলে উনার ক্রেডিট।
এরেই কয় পরের ধনে পোদ্দারি!(অবশ্য পোদ্দার বা মহাজন ব্যাংকার রা সবসময় পরের ধনেই ব্যবসা করে)।
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে, বাবা-মার গুণেই বিকশিত হয় তারা বাহিরে...
রাদিয়া ও রিহামের জন্য অনেক অনেক আদর, ভালোবাসা ও দোয়া রইলো।
@ আরোহী - তোমার অনুপস্থিতির জন্য আমরা আফরোজার লেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আর এখানে মন্তব্য শেয়ার করা হচ্ছে?
দু'আ করি আল্লাহ্ যেন আপনাকে পরিবারের সাথে বসবাস করার ব্যাবস্থা করে দেন
আমার সন্তানদের জন্য ওদের মামার দু'আ যেন আমার অন্তরকেও পরিপূর্ণ করে দিলো যাজ্জাকাল্লাহ খাইর ভাই
রাদিয়া আর রিহাম এর জন্য অনেক অনেক দুআ।
আপনার ও ভাইয়ার জন্য আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ ও শুভেছ্ছা আর রাদিয়া আর রিহাম এর জন্য দুআ।
আপনার লেখাগুলো খুব মন দিয়ে পড়তে হয় ফাকিঝুকির সুযোগ নাই কারন আপনার লেখাগুলো বেশির ভাগও মনস্তাত্বিক এর অনেকটাই চুল চেড়া বিশ্লেষন তাই খেয়াল করে না পড়লে অনেক কিছুই বাদ পড়ে যায়। দোয়া করবেন।
দু'আর জন্য যাজ্জাকাল্লাহ খাইর
মন দিয়ে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই, আশা করছি পড়ার পর মনে হবেনা সময়টা নষ্ট হোল। মূলত বিভিন্ন বাচ্চাদের গল্প হলেও আমি এখানে শিশুদের মাঝে যে বিভিন্ন গুনাবলী ছোটবেলা থেকেই বিকশিত হয় এবং এই প্রক্রিয়ায় শিশুদের কিভাবে জোগান দেয়া যায় সেটাই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আল্লাহ এই প্রচেষ্টা কবুল করুন এবং আপনাদের ধৈর্য্যসহকারে আমার লেখা পড়ার উত্তম প্রতিদান দিন
পিতামাতা যদি বাচ্চাদের সুন্দর এর প্রতি উৎসাহিত করতে পারেন তবে বাচ্চারা নিজেরাই সুন্দরকে গ্রহন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
অফবিট: সুন্দরি মেয়েদের মা বাবাদের শুধু চিন্তা করতে হয়না মেধাবি কন্যাদের দিকেও অনেকে আকর্ষিত হয়। চট্টগ্রামের এক কলেজের এক মেধাবি কন্যার ব্যাপারে অনেককেই খোঁজ নিতে দেখেছিলাম ছোট বেলায়। তবে একেবারে ছোট নয়। সদ্য কলেজ ছাত্র অবস্থায়। তাই ঝক্কি বোধহয় অনেকের পোহাতে হয়েছে।
মেধাবী মেয়ে কেউ বিয়ে করতে চায় শুনে আশ্চর্য হলাম। আমার তো অভিজ্ঞতা হোল ছেলেরা সুন্দরী এবং পারতপক্ষে বোকা মেয়ে বিয়ে করতে চায় যেন তাকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়! :
যাজ্জাকিল্লাহ খাইর আপু
আসলে চতুর্থ গল্পটা লিখতেই বসা। কিন্তু মনে হবে আমি আমার সন্তানদের গুনকীর্তন করতে বসেছি আসল লক্ষ্যটা হারিয়ে যাবে। তাই পাঠকদের আরো কিছু উদাহরণ দিয়ে কন্ডিশন করে আনা। বুঝতেই পারছেন আপনি পন্ডিতি করেননি, সেটাই ছিল অরিজিনাল উদ্দেশ্য
ইরেজারের অভ্যাস বহু কষ্টে ছেড়েছি, আবার ইরেজার?!
হুমম, রোদের আলো বহুদিন যাবত ফাঁকিতে আছে (ছুটির সমার্থক ধরে নিতে পারেন)। তাকে ধরে আনা হোক।
রাদিয়া ও রিহামের জন্য অনেক আদর ও দু'য়া রইলো। ধন্যবাদ
আমার কোচিংয়ে তো আরবী পড়ানো হয়, আমি নিশ্চিত সেটাও আপনি আমার চেয়ে ভালই পারেন
তবে হ্যাঁ, আপনার দু'আটা আমার চাই যাজ্জাকিল্লাহ খাইর আপা
হারিকেন আমি অসুস্থ দোয়া চাই।
অবশ্য আপনার প্রতিটি পোস্টই শিক্ষণীয়।
আপনাকে ধন্যবাদ
দু'আর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপু ব্লগে স্বাগতম
ব্লগে স্বাগতম আপু
বিয়ে পুরো বইটি পড়া শেষ আলহামদুলিল্লাহ ।
অনেক জ্ঞান অর্জিত হলো আমার। যা বাস্তবিক জীবনে কাজে লাগাবো ইনশাআল্লাহ।
এরপর নানান রঙের মানুষ পড়া শুরু করে হাসতে হাসতে [হো হো উচ্চ স্বরে] আমার পেট ব্যাথা ধরে গেছে। ভূমিকা থেকে ২২ পৃষ্ঠা পর্যন্ত শেষ করেছি।
ক্ষণিকের দেখা ধূতিপড়া ভদ্রলোকের মত আমিও ঢাকার বাসে আপুদেরকে যায়গা ছেড়ে দেই।
কিন্তু মাঝে মাঝে একটু ব্যাতিক্রম করি যদি বসাটা তাদের জন্য অসুবিধা হয়।
আমারো খুব লজ্জা লাগে আমি বসে থাকবো আরেকজন মহিলা দাড়িয়ে থাকবে?!
আংকেল, পাগল, অহসন ভালো লাগছে অনেক....
সময় করে চান্স পেলেই আপনার বইতে হাত চলে যায়।
আসলেই আপনার ব্যাক্তিগত উপলব্দিগুলো বেশ শিক্ষনীয়।
বইটি পড়ছি । আমার কাছে বিয়ে বইটি খুব ভালো লেগেছে কিন্তু রঙের মানুষ কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে বিয়েকে হার মানিয়ে দিয়েছে।
রঙের মানুষ পুরো বইটি পড়ে মন্তব্য করবো ইনশাআল্লাহ।
হে আল্লাহ! তুমি মানুষের রব, ব্যথ্যা নিবারণকায়ী, শিফাদান করো তুমিই শিফা দানকারী। তুমি ব্যাতীত আর কেউ শিফা দানকারী নেই।
ইয়া আল্লাহ আমার কাজিনকে একটা কুটকুটে যাহ্'রাহ মিলিয়ে দাও।
আর দুই কাজিনের মাঝে ভালোবাসা দেখে ভাল লাগছে। আল্লাহ্ দু'জনের বন্ধুত্ব অটুট রাখুন
আর রাদিয়া ও রিহাম মণির জন্যে রইলো অনেক অনেক আদর! কি সুন্দর ইসলামের সুঘ্রাণে ফুটা থাকা দু'টি ফুল ! মাশাআল্লাহ্! মাশাআল্লাহ্! সার্থক মাতা বটে তুমি আপু!
আলহামদুলিল্লাহ্!
এখনও 'সার্থক মাতা' বলার সময় আসেনি আপু। ওরা দু'জনই এখনও অনেক ছোট। ওদের গড়ে ওঠায় এখনও অনেক অনেক দূর পথ বাকী। ওদের ভবিষ্যত নিয়ে আল্লাহর কাছে দু'আ কোর আপু, এটাই হবে সবচেয়ে বড় উপহার
মন্তব্য করতে লগইন করুন