প্রেম - ৩

লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:১০:০৩ সকাল



বেশ কিছুক্ষণ হোল দিয়া আর নায়লা ডাইনিং রুমের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে ফিসফিস করে কথা বলছে, একটু পর পর খিলখিল হাসিতে ভেঙ্গে পড়ছে। মাহিরা বইটা সোফার হাতলে রেখে উঠে দাঁড়াল। রান্নাঘরে যেতে যেতে কিছুক্ষণের জন্য ওকে দেখে স্থির হোল মেয়ে দু’টো। তারপর আবার শুরু হোল খিলখিল ফিসফিস।

মাহিরা ট্রেটা ডাইনিং টেবিলে রেখে ডাক দিলো, ‘নায়লা, দিয়া, খেতে এসো’।

অনিচ্ছাসত্ত্বেও জানালা থেকে সরে এলো ওরা। নায়লা ডালপুরির এক কামড় মুখে পুরে কাপে চুমুক দিয়েই চমকে উঠল, ‘ওয়াও আন্টি! চা?!’

দিয়া বলল, ‘হরলিকস কি শেষ আম্মু?’

মাহিরা বলল, ‘নাহ! তোমরা এখন বড় হয়েছ। তাই চা’।

আয়েশ করে চায়ে চুমক দিচ্ছে দু’জনে, মাহিরা খুব স্বাভাবিকভাবে বলল, ‘পাশের বাসার ছেলেটা মাশাল্লাহ খুব সুন্দর, তাইনা?’

দিয়া নায়লার বিষম খাবার জোগাড়, নায়লা চোখ নামিয়ে বলল, ‘কোন ছেলে আন্টি?’

দিয়া বুঝল মায়ের সাথে চালাকি চলবেনা, বলল, ‘মাশাল্লাহ’।

মাহিরা উঠে দুই মেয়ের মাঝে গিয়ে দাঁড়াল, নায়লার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, ‘সুন্দরকে সুন্দর বলায় কোন অপরাধ নেই মা’।

নায়লা লজ্জা পেল, আন্টি কিভাবে যেন সবার মনের কথা বুঝে যান! মাহিরা বলে চলল, ‘সুন্দরের প্রতি মানুষের আকর্ষন সহজাত। একটা বয়সে এসে ছেলেদের প্রতি মেয়েদের এবং মেয়েদের প্রতি ছেলেদের আকর্ষন সৃষ্টি হওয়াটাও স্বাভাবিক ব্যাপার। এর প্রয়োজনও আছে। নইলে আদম (আ) এবং হাওয়া (আ) কেবল বন্ধুত্ব করতেন, বিয়ে করতেন না, পৃথিবীতে মানবগোষ্ঠী প্রথম প্রজন্মেই বিলুপ্ত হয়ে যেত। তুমি, আমি, দিয়া আজ বসে একসাথে চা খেতে পারতাম না’।

খিল খিল করে ফেলে দু’জনে। একটু পর নায়লা উশখুশ করতে করতে বলেই ফেলল, ‘তাহলে আন্টি ছেলেমেয়ের মেলামেশার ব্যাপারটাকে এত নিরুৎসাহিত করা হয় কেন?’

মাহিরা হেসে বলল, ‘তুমি খুব ভাল প্রশ্ন করেছ মা। দিয়া, তুমি কি জানো ছেলেমেয়ের মেলামেশায় কি সমস্যা?’

দিয়া ভাবনাটাকে মনের ভেতর গুছিয়ে নিতে নিতে বলল, ‘আমার কি মনে হয় জানো, রংধনু আমাদের মোহিত করে। কিন্তু বাস্তব জীবনে সবকিছু কি রংধনু রঙে রাঙানো হয়? সবকিছু রংধনু রঙে রঙ্গিন হলে প্রতিটি রঙের যে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য, স্বকীয় সৌন্দর্য্য তা কি উদ্ভাসিত হতে পারত কিংবা সৃষ্টজগতের মাঝে কোন বৈচিত্র খুঁজে পাওয়া যেত? আমরা যখন অনেক মানুষের সাথে মিশি তখন প্রত্যেকের কিছু না কিছু গুনাবলী আমাদের আকর্ষন করে। কিন্তু আমরা যখন বিয়ে করতে যাই তখন একই মানুষের মাঝে সব গুনের সমাহার আশা করি। যেমন সিনেমার হিরো একই সাথে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, গায়ক, নর্তক, কবি আর কারাতে ব্ল্যাকবেল্ট হয়,’ ফিক করে হেসে ফেলে দিয়া, ‘কিন্তু বাস্তব জীবনে কোন মানুষের মাঝে সকল গুনের সমাহার অসম্ভব ব্যাপার। তখন যে মেয়েটি অনেক ছেলের সাথে মেলামেশা করেছে সে বিয়ে করলে অবচেতন মনে তুলনা করতে থাকে- এই ব্যাক্তি অমুকের মত গান গাইতে পারেনা, তমুকের মত কবিতা লিখতে পারেনা, অমুকের মত সাহসী নয় কিংবা তমুকের মত স্টাইলিশ নয়। কিন্তু যে মেয়েটির জীবনে তার স্বামীই প্রথম পুরুষ সে তার মাঝে যে গুনাবলীই খুঁজে পায় তাই তাকে আনন্দিত করে’।

মেয়ের আলোচনায় চমৎকৃত হলেও নায়লার মন খারাপ হবে বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলনা মাহিরা, বলল, ‘হুমম, তোমার কথায় যুক্তি আছে। এটা একটা ব্যাপার বটে, তবে এটাই একমাত্র ব্যাপার নয়’।

দিয়া বলল, ‘আরেকটু বিস্তারিত বল না আম্মু’।

মাহিরা বলল, ‘শোন, চোখ হোল মনের প্রবেশপথ। কিন্তু চোখ সবসময় মনকে সঠিক ফিডব্যাক দেয়না। যেমন ধর, পাশের বাসার ছেলেটা খুব সুন্দর। কিন্তু আমরা কি জানি সে মানুষ হিসেবে কেমন- সে কি মেধাবী না বোকা, ভাল ছেলে না ড্রাগখোর কিংবা ওর চরিত্র কেমন?’

দিয়া আর নায়লা দু’জনই মাথা ঝাঁকালো।

‘মানুষের চোখ মানুষকে অনেকসময় বিপথগামী করে। তাই দৃষ্টির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা জরুরী। ছেলেমেয়ে সবসময় একসাথে থাকলে মন সেই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পায়না যার দ্বারা সে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে। বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে দৃষ্টি অনেক বড় দুর্বলতা। মনোবিজ্ঞান বলে ওদের মনের ধরনটাই এমন যে এর ওপর রঙ এবং রূপ প্রচন্ডভাবে ক্রিয়া করে। তখন ওদের কোন যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্যতা থাকেনা। তাহলে একটা মেয়ে যদি নিজেকে কোন ছেলের সামনে মোহনীয় করে উপস্থাপন করে তাহলে কি সে ছেলেটিকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করল না তার দুর্বলতার সুযোগ নিল?’

নায়লা বলল, ‘ঠিক তো আন্টি! এভাবে তো ভেবে দেখিনি কখনো!’

মাহিরা বলল, ‘তখন কি হয় জানো মা? ক’দিন পর যখন ছেলেটার চোখ ধাঁধানো ভাব কেটে যায়, তারপর শুরু হয় অন্যান্য গুনাবলীর অভাব নিয়ে অসন্তুষ্টি। সংসারে শুরু হয় অশান্তি। ক্ষতিটা কার হয় বল তো? ঠিক, মেয়েটার। কারণ একটা মেয়ের কাছে সংসার যতখানি গুরুত্বপূর্ণ একটি ছেলের কাছে ততটা নয়’।

মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দেয় দিয়া আর নায়লা।

‘আর মেয়েদের ভালোবাসাটা কেমন জানো? সে যেন এক তীব্র স্রোতস্বিনী। একবার বেগ পেলে সে আর দেখেনা সামনে পাহাড় আছে না গহ্বর। সে যেকোন উপায়ে নিজের পথ তৈরী করে নিতে বদ্ধপরিকর। সাগরের মাঝে নিজেকে বিলীন করে দেয়াই যার একমাত্র কাম্য পরিণতি। এই ভালোবাসা মেয়েদের অসাধ্য সাধন করতে শেখায়। এই তেজস্বীতার প্রয়োজন আছে। নইলে কোন মেয়ে পাহাড়সম বোঝা কাঁধে তুলে নিয়ে সংসার করতে পারতনা, পর্বতপ্রমাণ কষ্ট সহ্য করে মা হতে পারতনা, নিজের অসুস্থ সন্তানটাকে সবল এবং সক্ষম সন্তানদের সমান ভালবাসতে পারতনা। কিন্তু মাগো, পানিই জীবন, পানিই মরণ। যে ভালোবাসা দিয়ে একটা মেয়ে সংসারকে সাজায় সে ভালোবাসাই অপরিসীম ধ্বংস ডেকে আনতে পারে যদি তাতে বিবেচনার সংযোগ না ঘটে’।

আঁতকে ওঠে দিয়া, ‘কিভাবে আম্মু?’

নায়লা বলে, ‘আমি বুঝতে পারছি আন্টি, একটা মেয়ে যদি নিজের পরিবার পরিবেশ এবং নিজের সত্ত্বার প্রতি দায়িত্ব ভুলে গিয়ে কেবল মোহের কারণে একটা ছেলের পেছনে ছোটে। কেউ যখন বিবেচনাশূন্য হয়ে কারো প্রতি আকৃষ্ট হয়, যেমন আপনি বললেন পাশের বাসার ছেলেটার ব্যাপারে আসলেই তো আমরা কিছু জানিনা, তখন সে দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য সিদ্ধান্ত নেয় এবং নিজের ভালবাসার অপরিসীম যোগ্যতার কারণে তার পথের সকল বাঁধাকে দুমড়ে মুচড়ে এগিয়ে যায় যার বলি হতে পারে তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, লেখাপড়া থেকে চরিত্র পর্যন্ত! অথচ যার জন্য সে এতটা বাঁধাহীন স্রোত হয়ে ছোটে সে মানুষটা সঠিক না হলে শেষ পর্যন্ত তার নিজের সত্ত্বার প্রতিও সুবিচার করা হয়না কারণ সে হারায় সবকিছুই কিন্তু পায়না কিছুই’।

তিনজনই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, যেন নদীর স্রোতের সাথে পাহাড় পর্বত ডিঙ্গিয়ে এইমাত্র তীরে ভিড়ল তারা।

দিয়া বলল, ‘তাহলে তো আম্মু আমাদের অনেক বেশি সাবধান হওয়া প্রয়োজন!’

নায়লা বলল, ‘ঠিক আন্টি, এই ব্যাপারগুলো মাথায় রেখেই পথ চলতে হবে এখন থেকে যেন আমাদের অসাবধানতার কারণে আমাদের নিজেদের, আমাদের প্রিয়জনদের কিংবা অপরের ক্ষতি হয়ে না যায় আমাদের দ্বারা’।

মাহিরা হেসে দু’জনের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। তারপর ওদেরকে ওদের মত গল্প করতে দিয়ে সোফায় গিয়ে বসে প্রিয় বইটার সাথে।

খানিকক্ষণ পর দেখে ওরা নাস্তার ট্রে রান্নাঘরে রেখে দিয়ার রুমে গিয়ে বসে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে। যেতে যেতে দিয়া বলে, ‘নিজেদের গড়ে তোলার জন্য অনেক অনেক জ্ঞানার্জন করতে হবে। নইলে পা পিছলে পড়ে যেতে পারি ভুল পথে’।

নায়লা বলে, ‘হুমম, আমাদের আন্টির মত হতে হবে যেন আমরা কেবল নিজেরাই সঠিক পথে না চলি বরং অন্যদেরও সঠিক পথ দেখিয়ে দিতে পারি মমতার সাথে’।

মাথা ঝাঁকিয়ে হাসি লুকোয় মাহিরা, ‘মেয়েগুলো বড় হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনেই’।

[ক’দিন আগে আমার কন্যা রাদিয়া আর ওর বান্ধবী নাভেরা কথা বলছিল। বিয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই রাদিয়া বলল, ‘আমি সম্পূর্ন ইসলামী পদ্ধতিতে মসজিদে বিয়ে করব ইনশা আল্লাহ্‌’।

নাভেরা বলল, ‘কেন রাদিয়া? তুমি তোমার বাবামায়ের একমাত্র মেয়ে। তুমি তো চাইলে অনুষ্ঠান করে বিয়ে করতে পারো!’

রাদিয়া বলল, ‘না পারিনা, কারণ কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ্‌ আমাকে জিজ্ঞেস করবেন, ‘কত মেয়ের টাকার অভাবে বিয়ে হচ্ছিলোনা। তুমি কেন এত শান শওকত করে বিয়ে করলে? কেন তাদের কথা ভাবলেনা?’’

আমার মনের ইচ্ছেটা আল্লাহ্‌ আমার মেয়ের মুখ থেকে প্রকাশ করলেন। সবাই দু’আ করবেন যেন আমার সন্তানদের এই সুন্দর ইচ্ছেগুলো সারাজীবন বজায় থাকে, হারিয়ে না যায় এই সমাজের কদর্যতার ঘুর্ণিপাকের আবর্তে।]

• এক ভাই জানতে চেয়েছিলেন মেয়েদের ভালবাসার আদল কেমন হয়। তাঁর অনুরোধ রক্ষার্থেই এই লেখা। তাই এই লেখা তাঁর জন্যই উৎসর্গিত।

বিষয়: বিবিধ

২০৯৭ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

172279
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৩০
আইমান হামিদ লিখেছেন : থিসিস আর এণ্টীথিসিসে ভরপুর Happy
চা পান করতে হলে বড় হতে হয় তা আগে জানা ছিলো না!!
আমি প্রাইমারী স্কুল থেকেই চা পান করি।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:১৮
126378
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমি প্রাইমারী স্কুল থেকেই চা পান করি। Surprised Surprised Surprised
ইঁচড়ে পাকা ছেলে! Frustrated
আচ্ছা করে দিতাম পিটা হাতের কাছে পেলে Time Out Time Out Time Out
172291
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২২
রুবেল আহমদ জুবের লিখেছেন : আসলে সহজাত একটা আকর্ষণ আল্লাহ উভয়ের মাঝেই দিয়েছেন প্রয়োজন সেটাকে বিপত্গামী হতে না দিয়ে কল্যাণের পথে পরিচালিত করা ৷মোবারকবাদ বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ৷ Good Luck Good Luck Good Luck
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২৪
126380
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ঠিক বলেছেন, যেকোন জিনিস সঠিকভাবে পরিচালিত করার ওপরেই নির্ভর করে সার্থকতা বা বিফলতা Good Luck Good Luck
172299
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪২
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো শিক্ষনীয় গল্পটি। রাদিয়ার জন্য শুভ কামনা এবং দোয়া রইলো যেন তার ভাল চিন্তাগুলি আজীবন লালন করতে পারে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২৬
126383
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : দু'আ করবেন Praying Praying Praying
পড়ার এবং উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck Good Luck
172302
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৫
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : ধন্যবাদ আপা। অনেক ব্যস্তততার মাঝেও অঅপনার লেখা পড়ার লোভ সামলাতে পারি না। লেখা ভালো হয়েছে তা আর নতুন করে বলার দরকার আছে বলে মনে করি না। তবে একটি প্রশ্নের আমি জবাব পাই না যে, আপনি কীভাবে এত সুন্দর, দীর্ঘ ও শিক্ষণীয় লেখার সময়, ধৈর্য ও অনুপ্রেরণা পান ? আবারো ধন্যবাদ
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২৯
126386
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনারা যে এত কষ্ট করে ধৈর্য্য ধরে এত দীর্ঘ এবং নীরস লেখা পড়ার পেছনে সময় ব্যায় করেন সেটাই আমাকে লিখতে অনুপ্রাণিত করে Happy Good Luck Good Luck
172314
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : শিক্ষনীয় গল্প Happy Thumbs Up
বেশ ভালো হয়েছে Star Angel

রাদিয়ার জন্য দু'য়া রইলো যেন এই সুন্দর ইচ্ছেগুলো সারাজীবন বজায় রাখতে পারে Praying Praying Praying
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩১
126387
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমার ছেলেটার জন্যও দু’আ করবেন যেন সে বোনকে অনুসরন করতে পারে Happy Praying
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
126433
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Praying Praying Praying
172326
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শুধু মেয়েদের ভালবাসা সংক্রান্ত অংশটা ছাড়া বাকিটা ভাল লাগল এবং একমত। আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা হচ্ছে নারীদের ভালবাসা আর্থিক অবস্থা নির্ভর। তা বিয়ের আগে হোক কিংবা পরে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৩৫
126067
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : নারীদের ভালবাসা আর্থিক অবস্থা নির্ভর। তা বিয়ের আগে হোক কিংবা পরে। - অস্বীকার করার জো নেই।
তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। মেয়েরা স্বপ্নীল হয়। তারা ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে ফ্যান্টাসিতে ভোগে, স্বপ্নবিলাসী মন অসম্ভব কাল্পনিক স্বপ্ন দেখে। সঠিক গাইডলাইন না পেলে অপরিণত আবেগে ভর করে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে অনেকে করে বসে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
126394
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : @ রিদওয়ান কবির সবুজঃ তোমার বোন নেই জানি, কিন্তু তোমার এই ধারণা তোমার মা এবং স্ত্রীর জন্য অপমানজনক নয় কি? :Thinking :Thinking
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৪
126590
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা একটি ফ্যাক্ট। এখানে মান-অপমান এর প্রশ্ন নাই। যখন দেখি একজন মা কেবল বেশি আয় করে সে জন্য কোন সন্তানকে বেশি ভালবাসেন। কিংবা কোন স্ত্রী স্বামির আয় কমে যাওয়ায় তার সাথে ঝগড়া করেন। তখন কিন্তু এই বিশ্বাসই মনের মধ্যে সৃষ্টি হয়।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:৪৬
126751
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এমন নারী আছেন, তবে আমার ধারণা বিবাহিত জীবনে সুখী না হওয়ায় আর্থিক অবস্থাকেই তারা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর ধরে নিয়েছেন। কিন্তু বিয়ের সময় অধিকাংশ মেয়ে ইমোশনকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। :Thinking :Thinking
172333
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
বিন হারুন লিখেছেন : গল্পটি পড়ে অনেক অজানাকে জানলাম. অনেক ভাল লাগল হৃদয় শীতল করার মতো একটা লেখা. আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
126396
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : কিছু জানাতে পেরে ভাল লাগল Happy
পড়ার এবং উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck
172334
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আয়েশ করে চায়ে চুমক দিচ্ছে দু’জনে, মাহিরা খুব স্বাভাবিকভাবে বলল, ‘পাশের বাসার ছেলেটা মাশাল্লাহ খুব সুন্দর, তাইনা?
ans: ji motamuti sundor, aktu imandar o ase.

দিয়া নায়লার বিষম খাবার জোগাড়, নায়লা চোখ নামিয়ে বলল, ‘কোন ছেলে আন্টি?’
ans: atokal blogging korlo, ar aitao chinte parona. thapranor dorkar... Happy

দিয়া বুঝল মায়ের সাথে চালাকি চলবেনা, বলল, ‘মাশাল্লাহ’।
ans: hmm agami mashe na hoileo, agami bosor tor bia. raji na thakle pitai soman kore felbo...kothada jeno mone thake....obosso mashallah jokhon bolesish taile sob ok...
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪০
126397
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
172336
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
বিদ্যালো১ লিখেছেন : khub valo laglo. Allah amader ai golper shilkha gulo jibone proyog kora taufiq daan koruk.

Apnar o Radiar shopnogulo o puron hok.

Aamiin.
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:১৩
126760
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Praying Praying Praying Angel
১০
172342
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০৯
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আর মেয়েদের ভালোবাসাটা কেমন জানো? সে যেন এক তীব্র স্রোতস্বিনী। একবার বেগ পেলে সে আর দেখেনা সামনে পাহাড় আছে না গহ্বর। সে যেকোন উপায়ে নিজের পথ তৈরী করে নিতে বদ্ধপরিকর। সাগরের মাঝে নিজেকে বিলীন করে দেয়াই যার একমাত্র কাম্য পরিণতি। এই ভালোবাসা মেয়েদের অসাধ্য সাধন করতে শেখায়। এই তেজস্বীতার প্রয়োজন আছে। নইলে কোন মেয়ে পাহাড়সম বোঝা কাঁধে তুলে নিয়ে সংসার করতে পারতনা, পর্বতপ্রমাণ কষ্ট সহ্য করে মা হতে পারতনা, নিজের অসুস্থ সন্তানটাকে সবল এবং সক্ষম সন্তানদের সমান ভালবাসতে পারতনা। কিন্তু মাগো, পানিই জীবন, পানিই মরণ। যে ভালোবাসা দিয়ে একটা মেয়ে সংসারকে সাজায় সে ভালোবাসাই অপরিসীম ধ্বংস ডেকে আনতে পারে যদি তাতে বিবেচনার সংযোগ না ঘটে’। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up

- অসাধারণ! নতুন করে বুঝলাম। অনেক শিক্ষণীয় পোস্ট।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩৮
126761
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
১১
172385
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:১৪
পবিত্র লিখেছেন : শিক্ষনীয় গল্প!! Day Dreaming
খুবি ভালো লাগলো!! Happy Applause
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৩
126775
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
১২
172460
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
মুহসিন আব্দুল্লাহ লিখেছেন : ভালো লাগলো ।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৩
126776
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
১৩
172497
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৭
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : অসাধারন.....
যাযাকাল্লাহু খায়রান
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৪৯
127113
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy Good Luck Good Luck
১৪
172974
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৪
জবলুল হক লিখেছেন : চমৎকার গল্প। অনেক ভালো লাগলো পড়ে ।যাযাকাল্লাহু খায়রান ।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৫০
127114
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : অন্তর্নিহিত বক্তব্যটা পাঠকদের কাছে পৌঁছতে পারাতেই সার্থকতা।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
১৫
178012
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫০
ইশরাত জাহান রুবাইয়া লিখেছেন : অসাধারণ! অসাধারণ!!লেখাটির সাথে একমত না হয়ে পারলামনা! Thumbs Up Thumbs Up Love Struck Love Struck Love Struck
মাশা আল্লাহ! প্রতিটা কথাই ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার মত। আল্লাহ আপনাকে আরো বেশি বেশি লেখার তাওফীক দিন। রাদিয়ার জন্য অনেক দুআ রইলো। Praying Praying Praying
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৩০
131710
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ্‌ Happy
দু'আ কোর আপু Praying Praying Praying Love Struck Love Struck
১৬
178911
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : Good Luck ঘনকুয়াশা কাটিয়া গেলে দেখিবে পরিস্কার গাঁধাতে সওয়ার নাকি ঘোড়াতে সওয়ার Good Luck [ একবার চিনি খরিদ করার পর পরের মাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা, গেঞ্জিতে ছিদ্র এগুলো দেখলেই আবেগ পালিয়ে যায় Tongue Tongue]। তবে অনেক কিছু মেনে নিতে কষ্ট হয় এবং মনটা বরদাস্ত করতে পারেনা। সত্যিই মেয়েদের এই অতি আবেগ এবং আশপাশের পরিবেশ দেখে মাঝে মাঝে খুউব কষ্ট হয়।
লিখাটি খুউব ভালো লাগলো পিলাচ।
অনেক ধন্যবাদ। শুকরিয়া। শুভকামনা।
রাদিয়া মামাটার জন্য অন্নেক অন্নেক দুয়া রইলো আপু।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
132326
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনি পড়েছেন আমার লেখা! Surprised আপনার কবিতাটা পড়ে ঐ লাইনগুলোই মনে পড়ছিল, তারপর দেখি আপনি ঠিক ঐ লাইনগুলোই লিখেছেন! কি যে ভাল লাগছে! আপনি মনটা খুশি করে দিলেন। আল্লাহও আপনার মনটা খুশি করে দেন যেন Praying Praying Praying
সাধারনত বিশেষ করে মেয়ে সন্তানরা আমাদের সমাজে হয় অবহেলিত নয় অতিরিক্ত আদরে বাঁধনহারা, ফলে অধকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েরা ঘরে যে ভালবাসা পায়না তা বাইরে খুঁজতে গিয়েই ঘটে যত অঘটন, বিশেষ করে যেহেতু মেয়েরা অনুভূতিপ্রবন। বাবামায়েরা সন্তানদের আনুভূতিক প্রয়োজঙ্গুলোর প্রতি যদি অন্তত খানিকটা সচেতন হতেন যতটা হন তাদের খাবার দাবার, জামাকাপড়, পড়াশোনার প্রতি তাহলে হয়ত এসব দুর্ঘটনা কম ঘটত।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ Angel Good Luck Good Luck
১৭
179353
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
মিশেল ওবামা বলছি লিখেছেন : রাদিয়ামনির জন্য দুয়া রইলো.... াল্লাহপাক রাদিয়া-রিহামসহ আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুন... আমীন... ভালো থাকুন,আপুমনি...
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩২
132711
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনার সুন্দর মন্তব্য ও দু'আর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপু Happy Love Struck Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File