শূন্যতা

লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৪১:৫৩ রাত

লীনার কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগছে। না আদনান এবারও ওদের ম্যারেজ অ্যানিভার্সারী ভুলে যায়নি- সব বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বিরাট পার্টি দিয়েছে; নতুন শাড়ি, নতুন গহনা, ফুলের মালা; উপহারও বিয়ের চেয়ে কিছু কম পড়েনি; মিউজিক, লাইটিং কিছুরই ঘাটতি ছিলোনা। কিন্তু ঘরে ফিরে আসতেই দু’জনের মাঝে আবার সেই অস্পষ্ট, অস্পৃশ্য দুরত্ব। আদনান শুয়ে পড়েছে পার্টি থেকে এসেই, লীনা এখনও পোশাক পরিবর্তন করেনি। মনের ভেতর এক অস্বস্তিকর, দম বন্ধ করা গুমোট আবহাওয়া। নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায় লীনা, সমুদ্র থেকে এক ঝলক বাতাস এসে ওর চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে যায়, ঠিক যেমন দাদী দিতেন ছোটবেলায়। সময়ের হিসেব হারিয়ে যায়। কি করছে না ভেবেই ফোনের বোতামগুলো টিপতে থাকে লীনা। ফোনের ওপাশে ঘুম ঘুম কন্ঠে ‘হ্যালো’ শুনে খুব লজ্জা পেয়ে যায়- একবার ভাবে ফোনটা কেটে দিলে কেমন হয়, তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, ‘দাদী, আমি লীনা, ঘুম থেকে তুললাম?’

সাথে সাথে আনন্দে ভরে গেল দাদীর গলাটা, ‘হ্যাঁরে নাতিন, এই বয়সে কি আর ঘুম আসে সোনা? আমি জেগেই ছিলাম। বল কেমন আছিস? এই বুড়িকে কি করে মনে করলি এত রাতে?’

ভাল মানুষকে ভাল কথা জিজ্ঞেস করেছে, দাদী কি আর মরে গেলেও নিজের কষ্টের কথা স্বীকার করবে? হঠাৎ নিজেকে কেমন যেন অসহায় মনে হয় লীনার। এই সহজ সরল গ্রাম্য মহিলা তাঁর সদাহাস্য চেহারার আড়ালে যেন ত্যাগ আর শক্তির এক বিমূর্ত চিত্র। আর লীনা সারাজীবন শহরে বড় হয়ে, পৃথিবীর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁতভাঙ্গা বিষয়ে পি এইচ ডি করে, বিদেশের নামকরা কোম্পানিতে কাজ করে, রাতের মধ্যখানে ছত্রিশতলা বিল্ডিঙয়ের ষোলতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে, এই বয়সেই একটা অগোছালো জীবনের মালিক হয়ে।

‘দাদী, তোমার বিয়ের গল্প শুনতে ইচ্ছে হোল, তাই ফোন করলাম।’

বুড়ি বুঝল সবই, কিন্তু বললনা কিছুই, বরং গল্প শুরু করল, ‘অত কি আর মনে আছে রে নাতিন, পঁয়ষট্টি বছর আগের কাহিনী। আমার বয়স তখন বারো। বর্ষার দিন। মাঠে খেলছিলাম সখীদের সাথে। বড় ভাই এসে ডাকল, বলল বাবা ঘরে যেতে ডাকে। ঘরে গেলাম তো মা চাচী সবাই মিলে জোর করে পুকুরে চুবিয়ে, নতুন শাড়ি পরিয়ে, জটওয়ালা চুলগুলো টেনে ছিঁড়ে বেণী করে, রাঙ্গা কাঁচের চুড়ি পরিয়ে হাজির করল এক বুড়োর সামনে। বুড়ো বলল, মেয়ে পছন্দ হয়েছে, বাড়ী অনেক দূর, এই বৃষ্টিবাদলের দিনে আবার আসা ঝামেলা, আজই বিয়ে হবে। আমার সে কি কান্না, বিয়ে হবে সেজন্য না, সখীদের কতজনের আমার আগেই বিয়ে হয়ে গেল! কান্না বুড়োর সাথে বিয়ে দিচ্ছে বলে। ওমা! রাতের বেলা দেখি বুড়ো না, বিয়ে হোল বুড়োর ছেলের সাথে। বিকালে অন্ধকারে বসে ছিলো, আমি দেখতেই পাইনি! সেই ত বুড়োই হয়ে গেল তোর দাদা। এখন বুড়োর সাথেই সংসার করছি!’

হেসে ফেলে লীনা, বলে, ‘দাদী, আমার দাদার মত ঘাড়তেড়া একটা লোকের সাথে পঁয়ষট্টি বছর কেমনে সংসার করলে? আমাদের যুগে তো বিয়ে পাঁচ বছর টিকলেই আমরা মনে করি বিরাট ব্যাপার!’

দাদী বলে, ‘জানিনা তো নাতিন। বিয়ে দিল, নিয়ে গেল, সংসার বুঝে নিতে নিতে বাচ্চাকাচ্চা হয়ে গেল, ওদের বিয়ে দিয়ে শেষ করতে করতে নাতিপুতি চলে এলো, তোর দাদার ঘাড়তেড়ামী নিয়ে ভাবার সময়ই পেলাম কই?’

‘দাদী, তোমার কখনো মনে হতনা তুমি তোমার জীবনে কিছু মিস করেছ, কোন কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছ, কোন চাওয়া পাওয়া অপূর্ণ রয়ে গিয়েছে?’

দাদী হাসে, ‘শোন রে নাতিন, সেই ছোটবেলায় বাবা মা শিখিয়েছিল, যারা ভাল কাজ করে তারা বেহেস্তে যায় আর যারা খারাপ কাজ করে তারা দোজখে। তখন থেকে জানি দুনিয়াতে সব পাওয়ার আশা করতে নেই, সব দুনিয়াতে পেয়ে গেলে আল্লাহকে গিয়ে চাইব কি? তোর দাদার কাছে কোনদিন কিছু পাওয়ার আশা করিনি, তোর দাদাও আশা করেনি, তাই যখন যাই পেয়েছি- একটু হাসি, দু’টো কথা, একটা বকুল ফুলের মালা, বাচ্চাদের থেকে লুকিয়ে পাঁচখানা বাতাসা- সবই মনে দোলা দিয়ে গেছে সুখ আর ভালবাসার। তোরা দেখেছিস তোর দাদার রাগ, আমি দেখেছি আমার জ্বর হলে অসহায়ের মত আমার শিয়রে বসে থাকা; তোরা দেখেছিস দাদা কত কড়া, আমি দেখেছি ছেলেমেয়ের অসুখ হলে লোকটা কেমন জায়নামাজে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদত; তোরা দেখেছিস দাদার গাম্ভীর্য, আমি দেখেছি তোদের জন্য কিছু পছন্দ হলে তাঁর চোখ দু’টা কেমন কারেন্টের বাত্তির মত জ্বলে উঠত। জীবনে সব কিছু পাওয়া যায়না বোন, কিন্তু সেটাই পাওয়া ভাল যা মন ভরে দেয় সুখে আর জীবন ভরে দেয় আনন্দে যদিও সবাই তা দেখতে না পায়, বুঝতে না পারে। একজন ভাল মানুষের সাথে জীবন কাটাতে পারাটাই তো কত বড় একটা ব্যাপার! আর আখিরাতে তাঁকেই সাথী হিসাবে পাব এটা ভাবতেই তো কত ভাল লাগে!’

লীনা নিরুত্তর হয়ে যায়, ‘দাদী, তোমাদের কখনো ঝগড়া হতনা?’

‘না রে নাতিন, আমরা গ্রামের মেয়ে, বিয়ের সময় মা বলে দিয়েছে সে রাগ করলে তুই চুপ থাকবি, তাহলে আর ঝগড়া লাগবেনা, পরে মাথা ঠান্ডা হলে বুঝিয়ে বলবি। সেটাই করেছি সারাজীবন, সবার সাথে। রাগের সময় কথা বললে অনেক উল্টাপাল্টা, খারাপ ধরনের কথা বলা হয়ে যায় নাতিন যেটা পরে খারাপ লাগে, কিন্তু ফিরিয়ে নেয়ার উপায় থাকেনা। কিন্তু একটু ধৈর্য্য ধরতে পারলে পরে যে রাগ করল সে মাথা ঠান্ডা হলে নিজেই লজ্জা পায়, তখন তাকে বুঝালে সে নিজেই বুঝে। ঐটুকু ধৈর্য্য যদি সংসারের শান্তি আর নিজেদের সুসম্পর্ক জিইয়ে রাখতে পারে, তাহলে দাঁতমুখ খিঁচিয়ে হলেও ধৈর্য্য ধরাই বুদ্ধিমানের কাজ, কি বলিস নাতিন?’

লীনা মাথা নাড়ে। তারপর খেয়াল হয় দাদী নিশ্চয়ই ফোনের ভেতর দিয়ে ওর মাথা নাড়া দেখতে পাবেন না। তার আগেই দাদী বলেন, ‘ও নাতিন, তোর দাদা মনে হয় ওজু করতে যায়। কারেন্ট নাই, অন্ধকারে কিসে বাড়ি খাবে লোকটা, আমি টর্চটা নিয়ে যাই। তোর সাথে আবার পরে কথা বলব রে নাতিন। রাগ করিস না।‘

‘না না দাদী, তাড়াতাড়ি যাও। আমি আবার পরে ফোন করব,’ বলে ফোনটা কেটে দেয় লীনা। তারপর ভাবে দাদীকে ওর ছয় মাসে একবার ফোন করা হয় কিনা সন্দেহ, আজ হঠাৎ দাদীকে ফোন করল কেন ও?

আদনানকে ড্রয়িং রুমে দেখে ঘরে ঢোকে লীনা। আদনান ওকে দেখে ধপ করে সোফায় বসে পড়ে, মুখে দুষ্ট দুষ্ট হাসি টেনে বলে, ‘তোমাকে না দেখে চেক করতে এলাম, তিন বছরে আমার ওপর বিরক্ত হয়ে ভেগে গেছ কিনা।’

অন্য সময় হলে পি এইচ ডি ধারী লীনা এই সস্তা রসিকতায় দুম করে ক্ষেপে যেত। আজ সে আদনানের দুষ্টুমীটা অগ্রাহ্য করল, ‘কেন, আমি ভেগে গেলে তোমার কোন বিশেষ সুবিধা হয়?’

‘হয় বৈকি,’ আয়েশ করে হাই তুলতে তুলতে বলে আদনান, ‘একটা ব্র্যান্ড নিউ বৌ পেলে কে না খুশি হয়?’

ঠোঁটের কোণে সামান্য বিষাদময় হাসি দেখা যায় লীনার, ‘তুমি আমাকে নিয়ে খুশি নও তাইনা?’

সামনের দিকে ঝুঁকে বসে আদনান, যেন কোন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে, ‘নাহ, তোমাকে নিয়ে খুশি না বললে সম্পূর্ন সত্য বলা হবেনা। তুমি একজন শিক্ষিতা, স্মার্ট, সুন্দরী, ভাল চাকুরী করা মেয়ে ...’

‘তাহলে কিসে আমার অপূর্ণতা?’, বিহ্বল কন্ঠে সামাল দিতে পারেনা লীনা।

তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে লীনাকে পর্যবেক্ষণ করে আদনান, ‘তুমি কি সত্যিই জানতে চাও?’

‘হ্যাঁ’।

‘তোমার ভাল লাগবেনা’।

‘না লাগুক, আমি আমাদের সংসার বাঁচাতে চাই’।

‘হাহ, সংসার!’, আদনানের তাচ্ছিল্যপূর্ণ হাসিতে চমকে ওঠে লীনা।

‘সরি, I did not mean it. শোন লীনা, আমরা বিয়ে করেছি, কিন্তু সংসার করেছি কি?’

‘মানে?’

‘সংসার করা মানে দু’জনে মিলে একটি গৃহ রচনা করা, ভাল মন্দ সবকিছু দু’জনে মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া, দু’জনে মিলে নতুন অতিথিদের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ প্রস্তুত করা। আমরা কোনটি করতে পেরেছি বল তো?’

মুখ নীচু করে রাখে লীনা, ‘লীনা, আমি বলিনা তুমি ঘরে বসে অযথা তোমার মেধাকে নষ্ট হতে দাও, কিন্তু তোমার ক্যারিয়ারই যদি তোমার জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় তাহলে স্বভাবতই আমার মনে প্রশ্ন জাগে, ‘তাহলে তোমার জীবনে আমার স্থান কোথায়?’ তোমার সামান্য মাথাব্যাথা হলেও আমি কাজে যাইনা বা গেলেও তাড়াতাড়ি চলে আসি, যেহেতু তোমার ভাল থাকা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের বিয়ের ছ’মাস পর, তোমার চাকরীর সূত্র ধরে যখন আমরা এই বিদেশে চলে এলাম, এখানকার আবহাওয়া আমার সহ্য হোলনা, জ্বরে পড়ে কাতরালাম সাতদিন, তুমি ক’দিন ছুটি নিয়েছ বা এমনকি একদিন আধাদিন করে ঘরে ফিরে এসেছ বল তো লীনা? তুমি আমার সেবা করতে বাধ্য নও, কিন্তু সামান্য মানবিক সহানুভূতি তো আমি আমার প্রাপ্য মনে করতে পারি!’

লীনা কিছু বলতে পারেনা, ‘বন্ধুবান্ধব সবার জীবনে প্রয়োজন, জীবনে আনন্দফূর্তি করারও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সেটা নিত্যদিনের নিয়ম হয়ে যেতে পারেনা লীনা। সপ্তাহে কয়দিন আমরা বাসায় থাকি বল তো? কয়দিন আমরা বাসায় খাই? মনে করতে পারো কবে আমরা বাসাটাকে গৃহ বানানোর উদ্দেশ্যে সময় ব্যায় করেছি? তুমি জানো আমি খুব একটা সামাজিক নই। সামাজিক পরিবেশে আমি খেই হারিয়ে ফেলি। একদিন বাইরে কাটালে আমার দু’দিন লাগে সামলে নিতে। তাছাড়া যেহেতু সারাদিন আমরা দু’জন বাইরে থাকি, সন্ধ্যার পর সময়টুকু আমি চাই তোমার সাথে কাটাতে। কিন্তু তুমি কিছুতেই চাকচিক্যের মোহ কাটাতে পারোনা। কিন্তু লীনা, সুখ কি দামী শাড়ি, একেকদিন একেকরকম গহনা, ভাল রেস্টুরেন্টে খাওয়া আর অন্যকে খুশি করার জন্য দাঁত কেলিয়ে হাসায়, নাকি পরস্পরের সাহচর্যে?’

‘তুমি আমাকে এসব কথা এতদিন বলনি কেন?’

‘বলার চেষ্টা করেছি। প্রথম বছর যখন আমাদের বিবাহ বার্ষিকীতে আমি চাইলাম দু’জনে মিলে সমুদ্রের পাড়ে বসে সারাদিন গল্প করব, বালিতে পা ডুবিয়ে হাঁটব, সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলব- মনে আছে তুমি কেমন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলে? সেই ভয়েই তো প্রতিবছর অনুষ্ঠান করি যদিও এসব মেকি কাজকারবার আমার ভাল লাগেনা। আমাদের ভালবাসা কি জনসমক্ষে প্রদর্শনী দেয়ার জিনিস না মানুষের উপহারে পরিমাপ করার বস্তু? এটা অনুভব করার ব্যাপার। কিন্তু একেকটা অনুষ্ঠানে অনাকাঙ্খিত লোকজনের সান্নিধ্য আর চাকচিক্যময় পরিবেশ আমাকে এতটা ক্লান্ত করে দেয় যে বাসায় এসেও আমার আর তোমার সাথে সময় কাটানোর মত এনার্জি থাকেনা’।

‘আমি দুঃখিত আদনান, ব্যাপারটা আমার বোঝা উচিত ছিল। তুমি কখনো আমাকে কোন বিষয়ে জোর করনি, কিন্তু আমি ভাবতেই পারিনা জোর করলে আমার কেমন লাগত’।

কিছুক্ষণ দু’জনেই চুপ। তারপর লীনা বলে, ‘আদনান, তুমি কেন বলনি তুমি সন্তান চাও?’

‘লীনা, একটি সন্তান একটি দম্পতিকে একটি পরিবারে রূপান্তরিত করে, একটি সন্তান একটি গৃহকে সংসার বানায়, একটি সন্তান একটি সম্পর্ককে পূর্ণতা দান করে। একজন নারী একজন পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি উদগ্রীব থাকে সন্তানের জন্য, সাধারনত। গৃহের প্রতি তোমার আকর্ষন না থাকলে সন্তানের কথা তোমাকে বলি কি করে বল তো? সন্তান ধারণ কিংবা লালনপালনের যোগ্যতা তো আমার নেই। নইলে সেই কবে দু’চারটা ‘ওয়্যাঁ ওয়্যাঁ’ কোলে নিয়ে ঘুরতাম!’

আদনানের কথায় হেসে ফেলে লীনা। লীনাকে হাসতে দেখে স্বস্তি পায় আদনান। যাক, আজ সম্ভবত ঝগড়া হবেনা।

‘আদনান, আধুনিক শিক্ষা আমাকে বানিয়েছে প্রতিযোগী মনোভাবাপন্ন, সংসারী হতে শেখায়নি। আমি জানি নেটওয়ার্কিং ছাড়া জীবনের ইঁদুর দৌড়ে এগিয়ে যাওয়া মুস্কিল, তাই আমি নেটওয়ার্ক তৈরী করতে করতে কবে যে তুমি আমার নেটওয়ার্কের বাইরে পড়ে গেছ দেখার সময়ই পাইনি! আর হ্যাঁ, আধুনিকতা আমাকে শিখিয়েছে জীবনের চাকচিক্যের প্রতি আকর্ষন অথচ জীবনের মূল লক্ষ্যগুলো কবে আমার প্রায়োরিটি লিস্ট থেকে ধীরে ধীরে কাটা পড়েছে লক্ষ্যই করা হয়নি!’

‘আদনান, তুমি কেন আমাকে স্বেচ্ছাচারী হতে দিলে? কেন আমাকে টেনে ধরলে না? কেন আমাদের মাঝে নীরবতার দেয়াল তুলে দিয়ে আমাকে দূরে সরিয়ে দিলে?’

‘ম্যাডাম, আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। জীবনের কাছে আমার চাহিদা খুব কম। তুমি যদি মনে করতে এই মূর্খ গোঁয়াড় লোকটা তোমার জীবনটা ফানা ফানা করে দিল!’

‘মনে করবনা, কিন্তু তুমিও আর আমাকে এভাবে দূরে সরিয়ে দেবেনা। ভুল করতে দেখলে হাত ধরে ফিরিয়ে আনবে’, আদনানের ঘাড়ে মাথা গুঁজে আরাম করে বসে লীনা।

আদনান ওর মুখমন্ডল দু’হাতের মধ্যে স্থির করে ধরে পর্যবেক্ষণ করে, ‘তুমি কে? তুমি আমার বৌকে কি করেছ?’

হেসে ফেলে লীনা, ‘আমিই তোমার বৌ, কিন্তু আমার একজন ভাল ট্রেনার মিলেছে। তিনি আমাকে সংসারবিদ্যায় ট্রেনিং দিচ্ছেন’।

‘কে তিনি?’

‘এটা আমার সিক্রেট’।

‘আমার সাথে সিক্রেট!’, কপট মন খারাপ করে আদনান।

‘হুমম, যতদিন তুমি আমার সাথে দুরত্বের দেয়াল তুলে না দেবে বা আমি তা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভাংতে না পারি ততদিন এই সিক্রেট জানা যাবেনা’।

‘ওকে, চল তবে দু’জনে দু’দিক থেকে দেয়াল ভাঙ্গা শুরু করি!’

হাসতে হাসতে হাত ধরে উঠে দাঁড়ায় দু’জনে, একটি নতুন জীবন গড়ে তোলার সংকল্পে।



বিষয়: বিবিধ

২৬১৩ বার পঠিত, ৬২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

164614
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৩
লোকমান লিখেছেন : হাসতে হাসতে হাত ধরে উঠে দাঁড়ায় দু’জনে, একটি নতুন জীবন গড়ে তোলার সংকল্পে।

যেসব ব্লগার এখনো এই নতুন জীবনে পদার্পন করেননি তাদের বলবো আর দেরি করবেন না প্লিজ। দেরি করলে কিন্তু লেট হয়ে যাবে।
২০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:১৩
118862
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : দেরি করলে কিন্তু লেট হয়ে যাবে- Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
বহুদিন পর ফের একটি মজার মন্তব্য নিযে হাজির হলন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
২০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৩
119177
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : @লোকমান ভাই - আপনিতো সিনিয়র ব্যাচলার, আপনি আবার এরকম বুড়ো মার্কা লেকচার দিলে Sad Sad আমরা জুনিয়রা কৈ যাবো?? Sad Sad
164694
২০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৪৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
118996
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পড়ার এবং উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck
164715
২০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:৫৯
গেরিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো পিলাচ অনেক ধন্যবাদ
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
118997
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পড়ার এবং উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck
164717
২০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৪৮
সাদাচোখে লিখেছেন : ছেলেদের শর্টকামিংস সংশ্লিষ্ট সাইড টা এ রচনায় হাইলাইটেড না হওয়ায় ভাবছি - ঘোরের মধ্যে থাকা স্ত্রীদের জন্য এ লিখাটি নিয়ে ধীরে সুস্থ্যে চিন্তা করার এবং এর থেকে লেসন নিতে কষ্ট হবে কিনা?

নিজেই যেন আবার উত্তর পেলাম - ব্যালেন্স লিখা বুঝিবা পাঠকের মন জাগিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট নয়।

আল্লাহ প্রতিটি পরিবারের মধ্যে পারস্পরিক আন্ডারস্টান্ডিং বৃদ্ধি করে দিক - এটাই প্রত্যাশা। ধন্যবাদ সুন্দর একটি লিখা উপহার দেবার জন্য।
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৫০
118999
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ছেলেদের শর্টকামিং হল আজকালকার পুরুষরা সংসারে কর্তার ভূমিকা পালন না করে নিজের শান্তির জন্য পরিবারের শান্তি বিসর্জন দেয়। অথচ পরিবারের সদস্যের পথ প্রদর্শন করা তাদের দায়িত্ব, ব্যাক্তিগত শান্তি নিয়ে পাশে সরে থাকার কোন সুযোগ তাদের নেই।
আপনার দু’আটি চমৎকার। যেদিন পুরুষরা আবার নির্লিপ্ততার পরিবর্তে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে শুরু করবে তখন আবার সব পরিবারে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
আপনার বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ Good Luck Good Luck Good Luck
164731
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:১৩
রুপকথা লিখেছেন : আমি যখন আপনার লিখাটি পড়তে শুরু করলাম তখন ঘড়িতে রাত বারটা ।খুব ঘুমও পাচ্ছিল ।কিন্তু লিখাতি শেষ না করে উঠতে পারলাম না।সাবলিল ভাবে মূল্যবান বিষয় গুলো তুলে ধরেছেন ।জাজাকিল্লাহ আপু।
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
119002
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আহারে আপু! আপনার রাতের ঘুম নষ্ট করার জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত। তবে গল্পটি ভাল লাগলে আশা করি আফসোস থাকবেনা HappyGood Luck Good Luck
164732
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:১৮
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৩৮
119344
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy Happy Love Struck Love Struck Good Luck Good Luck
164736
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:০১
রাবেয়া রোশনি লিখেছেন : আধুনিকতা আমাকে শিখিয়েছে জীবনের চাকচিক্যের প্রতি আকর্ষন অথচ জীবনের মূল লক্ষ্যগুলো কবে আমার প্রায়োরিটি লিস্ট থেকে ধীরে ধীরে কাটা পড়েছে লক্ষ্যই করা হয়নি! Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up

খুবই সুন্দর এবং শিক্ষণীয় । জাযাকাল্লাহু খাইরান আপু Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Praying Praying Praying
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪০
119348
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : যে শিখতে আগ্রহী সে সব জায়গায় শিক্ষার উপাদান খুঁজে পায়, এটা তোমারই কৃতিত্ব আপHappy Love Struck Good Luck Angel
164740
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৩৭
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : চমৎকার আপু....।।সেই ছোটবেলায় বাবা মা শিখিয়েছিল, যারা ভাল কাজ করে তারা বেহেস্তে যায় আর যারা খারাপ কাজ করে তারা দোজখে। তখন থেকে জানি দুনিয়াতে সব পাওয়ার আশা করতে নেই, সব দুনিয়াতে পেয়ে গেলে আল্লাছর কাছে গিয়ে চাইব কি?
জীবনে সব কিছু পাওয়া যায়না , কিন্তু সেটাই পাওয়া ভাল যা মন ভরে দেয় সুখে আর জীবন ভরে দেয় আনন্দে যদিও সবাই তা দেখতে পায় না, বুঝতে ও পারে না। বুঝতে চায় ও না।
জীবনে সব কিছু পাওয়া যায়না , কিন্তু সেটাই পাওয়া ভাল যা মন ভরে দেয় সুখে আর জীবন ভরে দেয় আনন্দে যদিও সবাই তা দেখতে পায় না, বুঝতে ও পারে না। বুঝতে চায় ও না।
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪০
119349
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy Good Luck Good Luck
164749
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:২৬
মোহাম্মাদ নেছার উদ্দিন লিখেছেন : Salam apumoni, medabikasher sathe amar kichuta vul bujabuji hoieche, ami unar kache khoma cheye bloge post diechi, kintu, unar sara paini, tai apnar maddome unar kach theke khoma cheye nicchi, bidai blog.
২০ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০১
119004
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাই, আপনি মেধাবিকাশকে চেনেননি। উনি সহজে বিরক্ত হন না এবং আপনার কোন কথায় বিরক্ত হলে অবশ্যই রিস্পন্স করতেন। যোগাযোগ না করার অর্থ কোন সমস্যা নেই। তাছাড়া উনি গত দু’দিন ছুটিতে আছেন। কাজে না গেলে ওনার ব্লগে ঢোকা হয়না। আপনি অনর্থক টেনশন করবেন না। ব্লগে লেখা চালিয়ে যান।
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২৯
119388
মোহাম্মাদ নেছার উদ্দিন লিখেছেন : কিন্তু, আমার অপরাধবোধ আমাকে তাড়া করছে।
২২ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৫৬
119808
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনার ব্লগে সম্ভবত উনি ব্লক হয়ে গিয়েছেন। মন্তব্য করতে পারছেন না।
১০
164750
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৪৩
মুহসিন আব্দুল্লাহ লিখেছেন : হুম ।
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪১
119351
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : মানে কি ভাল না খারাপ? Worried Worried
১১
164759
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৯
আলোকিত ভোর লিখেছেন : চমৎকার একটা গল্প Thumbs Up Bee Star
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪২
119352
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পড়ার এবং উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ Happy*-Happy Good Luck Good Luck
১২
164760
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৯
লুকোচুরি লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খাইরান। অনেক মূল্যবান উপদেশ এই সময়ের ছেলে মেয়েদের জন্য। অনেক ধন্যবাদ। Good Luck Good Luck Rose Rose Love Struck Love Struck Rose Rose Good Luck Good Luck
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪২
119353
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পড়ার এবং উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
১৩
164777
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
জোছনার আলো লিখেছেন : গল্পের শুরুতা শুন্যতায় ভরা হলেও শেষটা কিন্তু মধুময় পুর্ণতায় পরিপুর্ণ হয়েছে আপুমনি! Love Struck Happy
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪৩
119354
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ্‌ Happy
সবাই বুঝার চেষ্টা করলে প্রতিটি পরিবার হতে পারে এমন HappyLove Struck
১৪
164792
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৬
আমি আমার লিখেছেন : আপু এতো লোভ দেখান কেন আমাদের মত বাচ্চা ছেলেদের? কি আর করবো শুধু স্বপ্ন দেখে যাই। অনেক ভালো হইছে। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দেক। অনেক ধন্যবাদ Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Praying Praying Praying Praying Praying
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪৪
119355
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : যেন আপনারা পূর্বের জেনারেশনের মত বৌ বাচ্চা নিজের মত চলতে দিয়ে হিজ হিজ হুজ হুজ নীতিতে না চলেন, প্রথম থেকেই যেন পরিবারের হাল ধরেন, সেজন্য Happy Angel *-Happy
১৫
164796
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
মিশেল ওবামা বলছি লিখেছেন : দুনিয়াতে সব পাওয়ার আশা করতে নেই, সব দুনিয়াতে পেয়ে গেলে আল্লাহর কাছে গিয়ে চাইব কি? Thumbs Up Thumbs Up খুব ভালো লাগলো, আপি...
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪৫
119356
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপু উৎসাহ দেয়ার জন্য Happy Good Luck Good Luck
১৬
164826
২০ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪৬
বৃষ্টি ভেজা লিখেছেন : এই সমস্যা টা খুব দেখি এখন |ঝগড়া ঝাটি এভয়েড করার জন্য ছেলেরা তাদের দায় থেকে দুরে থাকে| সঠিক ভাবে পরিবার কে গাইড করে না |যার ফলে বছরের পর বছর ধরে এই ব্যবধান বাড়তেই থাকে | অনেক ধন্যবাদ |
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪৬
119357
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ঠিক বলেছেন Happy Good Luck
১৭
164842
২০ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৫০
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার গল্পের জন্য অনেক ধন্যবাদ Thumbs Up Bee সবাই যদি এভাবেই বুঝতো..... Happy Rose Good Luck
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪৭
119358
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আসলেই, আগের জেনারেশন যদি গরুছাড়া ছেড়ে না দিয়ে নবদম্পতিদের একটু গাইড করত! :Thinking :Thinking
১৮
164949
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২১
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ভীষণ ভালো লাগলো গল্পটা আপুনি। জাযাকিল্লাহু খাইরান। Praying Happy Good Luck Rose
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪৭
119359
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : তুমি অনেকদিন ছুটি নিয়েছ, এবার লেখা শুরু কর আবার, আমি রিটায়ার করি Smug
১৯
164977
২০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫৪
মহুয়া হক লিখেছেন : এতো ভালো লিখেন ক্যামন করে ! পড়লেই ভালো লাগায় মনটা ভরে যায় । Love Struck Happy
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪৯
119360
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : স্ফটিকস্বচ্ছ হৃদয়ে যে রঙের আলোই আপতিত হোক না কেন রংধনু রঙ্গেই বিকিরিত হয় Love Struck Angel
২২ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫০
119994
মহুয়া হক লিখেছেন : ও আল্লাহ্..... Angel Love Struck Happy
২০
164981
২০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৫
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : খুব সুন্দর এবং গোছালো কথাগুলো বেশ ভালো লাগলো আপু। যাজাকিল্লাহু খাইর Praying Praying
২২ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩১
119784
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ভাল লাগার পাশাপাশি কাউকে ভাবাতে পারলেই লেখা সার্থক হবে Happy
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১০
120260
ইমরান ভাই লিখেছেন : হারি, কথাগুলো তোমার জন্য না তবে শেষের লাইনটা তোমার জন্য উৎসর্গ করা হইলো...
দাওয়াত চাই.....Tongue Tongue
২১
165063
২০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৪
ভিশু লিখেছেন : কর্পোরেট দম্পতিদের জন্য খুবই শিক্ষণীয়!
ভালো লাগ্লো খুব...Happy Good Luck
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:০৪
120227
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : হুমম :Thinking Good Luck
২২
165120
২১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৫০
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ভিশু লিখেছেন : কর্পোরেট দম্পতিদের জন্য খুবই শিক্ষণীয়!
ভালো লাগ্লো খুব...

মাথার ভিতরে অনেক কিছু কিলবিল করছে, তাই ভালো কোন কথা সেখানে ঢুকছেনা, সেজন্য সংক্ষিপ্ত কিন্তু পছন্দসই একটি মন্তব্যকেই তুলে এনে বসিয়ে দিলাম। রাগ করবেন না যেন...
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:০৭
120228
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : উপস্থিতি আর আন্তরিকতাই বড় কথা Angel
তবে আমাদের ভিশু ভাই নিঃসন্দেহে ক্ষুদ্র এবং অর্থবহ কমেন্টে দক্ষতা অর্জন করছেন, তাঁকে অনুসরন করা দোষের কিছু নয় Winking
২৩
165667
২২ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:৩৮
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : চমৎকার শিক্ষনীয় পোস্ট। ভালো লাগলো পড়ে Good Luck Rose
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:০৭
120229
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
২৪
166112
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:২৩
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : সম্ভবত আশরাফ আলী থানভী(রহ.) এর একটি কথা "তুমি যদি সূখী হতে চাও তবে গ্রামের মেয়ে বিবাহ কর" আসলে গ্রামের সহজ সরল দাদির কথা শুনে আজিকে উপলব্দি করলাম যে কথাটুকু কততা সত্য। আমি গ্রামের পরিবার এবং শহরের আধুনিক পরিবারগুলো দেখে এটা বেশ অনুধাবন করেছি যে"গ্রামের লোকেরা অর্থকষ্টে থাকলেও তারা অনেক সূখী অন্ততঃ শহরের বিত্তবান আধুনিকাদের তুলনায়। আর কর্পোরেট হলেতো কথাই নাই Tongue Tongue Tongue
আপনার দাদুর পরামর্শ বেশ ভালো লাগলো আপু।
অনেক ধন্যবাদGood Luck সুন্দর লিখাটির জন্য। Happy Happy Good Luck
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৫৪
120263
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমার দাদুকে কই পেলেন? Surprised :Thinking
কথাটার সাথে একমত হতে পারলাম না। স্বভাবগতভাবে যেকোন জায়গায় লোকজন ভাল বা মন্দ হতে পারে। সুতরাং, এভাবে ঢালাও মন্তব্য করা ইসলামের দৃষ্টিতে অনুচিত। বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ে পছন্দ করার ক্রাইটেরিয়া তো রাসূল (সা) দিয়েই দিয়েছেন। সেটা অনুসরন করলেই হয়! Happy
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:১৬
120273
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : জ্বী আপু আপনি ঠিক বলেছেন। আমার দৃস্টিভঙ্গি ভুল ছিলো।
Happy Happy Good Luck গল্পের দাদীর কথা বলেছিলুম।
Happy
২৫
166117
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১৪
ইমরান ভাই লিখেছেন : ধন্যবাদ ভালাগলো।
সংসার সুখের হয় মিয়া বিবির গুনে...
আর আল্লাহর রহমতে....
গ্রামের বা শহরের বলতে কিছু এর মাঝে বাধা হতে পারে না।
অনেক শহরের মেয়েরা আছে যারা অনেক নেককার ভদ্র ভালো। আবার গ্রামেও তার উল্টো।


আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৫৬
120264
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ঠিক বলেছেন Happy
২৬
169303
২৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০২
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ‘ওকে, চল তবে দু’জনে দু’দিক থেকে দেয়াল ভাঙ্গা শুরু করি!’ ওয়াও! হেব্বি এন্ডিং আপুনি! Thumbs Up Rose Music
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৪৯
123827
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : তোমার ভাল লেগেছে তাতেই আমার হেব্বি খুশি লাগছে আপু Happy*-Happy
২৭
175341
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৮
আইমান হামিদ লিখেছেন : নিজের মন, আত্না এবং বিশ্বাসের চাইতে অন্যের প্রশংসা কুড়ানো এবং স্রোতে গা ভাসালে এই পরিণতিই হয়।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২৩
129024
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : হুমম :Thinking
২৮
178020
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫৮
ইশরাত জাহান রুবাইয়া লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো আপুজ্বী। অনেক মূল্যবান উপদেশসম্বলিত শিক্ষণীয় গল্প। Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৩১
131711
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : তুমি লেখাপড়া ফেলে আমার ব্লগে ঘুর ঘুর করছ কেন? :Thinking :Thinking

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File