আপনার সন্তান কিভাবে বেড়ে উঠছে?

লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৪৩:২০ সকাল



শিশুটির চোখ জ্বলজ্বল করছে, হাত মুষ্টিবদ্ধ, চোখেমুখে উত্তেজনা, পুরো শরীর ধনুকের মত টান টান হয়ে আছে। অথচ বেচারার বাবামা এই অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্যই করছেন না! সে একটি কার্টুন দেখছে। এখানে মানুষের প্রতিকৃতিসম্বলিত কিছু ফল ও সব্জীকে একটি কমলা বিভিন্ন পন্থায় অত্যাচার করছে- কারো মাথা কেটে ফেলছে, কাউকে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে, কাউকে ছুরি দিয়ে চিরে ফেলছে, কাউকে ছেঁচে ফেলছে, কাউকে ব্লেন্ডারে দিয়ে রক্তসদৃশ রস গ্লাসে ঢেলে নিচ্ছে। তাদের প্রবল আর্তনাদ আর বিকট চিৎকারে কমলাটি দাঁত কেলিয়ে হা হা হো হো করে হাসছে। সামসাময়িক পৃথিবীতে এই ঘটনার বাস্তবতার কথা মনে করে আমি একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ হয়েও এই দৃশ্য কিছুতেই সহ্য করতে পারছিনা, ছটফট করছি। আর ভাবছি শিশুটির কোমল মানসের ওপর এই বীভৎস দৃশ্যগুলো কি ধরনের অশুভ ছায়া ফেলছে। কোন বিকৃত মানসিকতাসম্পন্ন লোকজন এমন কার্টুন বানাতে পারে আমি জানিনা, কিন্তু যে বাবামায়েরা নির্বিচারে তাদের সন্তানদের বাজারের পাওয়া যায় বলেই এসব পণ্য গেলাচ্ছেন তারা কি একবারও ভেবে দেখছেন এর প্রতিক্রিয়া কি? প্রতিক্রিয়া পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হোলনা। কার্টুন শেষ হতেই শিশুটি একটি ধারালো খেলনা নিয়ে একটি গাছের ওপর একই পন্থা প্রয়োগ করতে শুরু করল। গাছটিকে প্রদর্শিত পন্থায় উপর্যুপরি আঘাত করতে করতে একটি ডাল কেটে ফেলল, তারপর গাছের পাতাগুলোকে ছেঁচে থ্যাবড়া বানিয়ে কুটিকুটি করে ছিঁড়ে ফেলল। বাবামা বাঁধা দিতে গেলে সে হিংস্র হয়ে উঠল এবং জোরপূর্বক কোল থেকে নেমে টেলিভিশনে ধাম ধাম করে বাড়ি দিতে লাগল। বাবামা উদ্বিগ্ন হয়ে বলতে লাগলেন তারা বুঝতে পারছেন না কেন শিশুটি দিন দিন এমন হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। একটি শিশু যখন জন্মায় সে কিছুই বোঝেনা, কেবল চারপাশের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে এতদিন যা গ্রহন করে এসেছে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে তার কথাবার্তা, আচরনে। তাহলে শিশুটির এই নরম কোমল মানসকে কলুষিত করার জন্য কে দায়ী? সিদ্ধান্ত আপনাদের।

আমি তখন ক্লাস সেভেনে। আবুধাবীতে। বাংলাদেশ স্কুল থেকে এস এস সি পরীক্ষা দেয়ার ব্যাবস্থা নিশ্চিত নয়। ভর্তি হলাম একটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। প্রথমদিন স্কুলবাসে উঠে দেখি অধিকাংশ ছেলেমেয়ের হাতে একটি ছোট্ট বই। জিজ্ঞেস করে জানলাম এটি কুরআন শরীফের পকেট ভার্শান, সেই প্রথম আমার পকেট কুরআন দেখা। সব আরবী এবং প্রচুর পাকিস্তানী ছেলেমেয়েদের বাসে যাওয়া আসা, টিফিন টাইম, ফ্রি পিরিয়ড, এমনকি দুই পিরিয়ডের মধ্যবর্তী সময় শিক্ষক আসতে দেরী হলে সে সময়টুকুও কাটত কুরআন তিলাওয়াত করে কিংবা এর অংশবিশেষ মুখস্ত করে। আরবী বাচ্চারা ভয় জিনিসটি ছোটবেলা থেকেই শেখেনা। ওরা যখন দোলনায় চড়ত তখন মনে হত দোলনা নিয়ে আকাশে উড়ে যাবে নতুবা দোলনা ছিঁড়ে পড়ে যাবে। অথচ এই দুরন্ত সাহসী আরবী ছেলেদের কোনদিন দেখিনি দুষ্টুমী করেও খেলার মাঠে কিংবা স্কুলে মেয়েদের সেকশনে প্রবেশ করতে। আমার এক ঈজিপশিয়ান বান্ধবী ছিল, জিহান। সে যেমন ছিল লেখাপড়ায়, তেমনই হাতের কাজে, তেমনই ধর্মীয় জ্ঞানে এবং চর্চায়। শুধু জিহান নয়, সব আরবী মেয়েদের দেখতাম যারা লেখাপড়ায় কাঁচা তাদের সাহায্য করতে। আমি সঠিক উচ্চারণে কুরআন পড়তে পারতাম না, সে আমাকে পাশে বসে কুরআন পড়া শিখিয়েছে। আমি সেলাই পারতাম না, সে আমাকে হাতে ধরে সেলাই শিখিয়েছে যেন পরীক্ষায় পাশ করতে পারি। সেই বয়সেই অসাধারন রূপবতী জিহানের ছিল হাঁটুসমান সোনালী চুল, অথচ সে এমনভাবে হিজাব করত যে আমরা কোনদিন ক্লাসে ওর এক গোছা চুলও দেখতে পাইনি। আমি স্কার্ফ পরতে জানতাম না, সে আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে সঠিকভাবে স্কার্ফ পরতে হয়। যুহরের নামাজ হত স্কুল অডিটরিয়ামে। সে একদিন নামজের পর আমার সাথে বসে রুকু এবং সিজদার ভঙ্গিগুলো ঠিকভাবে বুঝিয়ে দিলো, হাতেকলমে দেখিয়ে দিল এবং আমাকে দিয়ে প্র্যাক্টিস করিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিলো আমি পদ্ধতিগুলো ঠিকভাবে শিখেছি কিনা। আবার যেবার আমি প্রথম ইংরেজীতে হাইয়েস্ট পেলাম সেবার সে আগ বাড়িয়ে আমাকে অভিনন্দন জানাল যদিও এর পর সে আর হৃত স্থানটি ফিরে পায়নি। যেবার প্রথম ইয়াং টাইমসে আমার লেখা ছাপা হোল তখন লন্ডন থেকে আগত দুই ফিলিস্তিনি বান্ধবী উচ্ছ্বসিত হয়ে ফোন করল এবং অনেকক্ষণ কথা বলল, যদিও আমার ক্লাসে একমাত্র বাংলাদেশী মেয়েটি নাক সিঁটকানো ছাড়া আর কোন প্রতিক্রিয়া দেখালোনা। এদের বাবামা এদের ছোটবেলা থেকে কুরআনের সাথে বন্ধুত্ব করিয়ে দিয়েছেন। অতঃপর কুরআনই তাদের পথ দেখাচ্ছে কিভাবে একজন উত্তম মানুষ হতে হবে। এদের মাঝে প্রস্ফুটিত এবং বিকশিত হচ্ছিল বিশ্বাস, সাহস, উদারতা, সহমর্মীতা, সংবেদনশীলতা, সহযোগিতার মত গুনাবলী; আপনিই ঝরে পড়ছিল হিংসা, বিদ্বেষ, স্বার্থপরতা, কৃপণতা, পরশ্রীকাতরতার মত ব্যাধিগুলো। অথচ এর জন্য ওদের বাবামায়ের তেমন কোন কষ্ট করতে হয়নি হাতে একটি বই ধরিয়ে দেয়া ছাড়া!

আমাদের দেশে বাবা মায়েরা অত্যন্ত স্নেহশীল। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হোল, ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে’। কিন্তু অন্যের সন্তানটিও যেন দুধেভাতে থাকে সেজন্য আমরা সচরাচর কোন উদ্যোগ নেইনা। তাই, আমাদের সন্তানরা আমাদের আদর্শ অনুসরন করে কেবল ‘চাচা, আপন পরান বাঁচা’তেই শেখে, অন্যের প্রতি দায়িত্বশীল কিংবা ন্যূনপক্ষে সহানুভূতিশীল হতে শেখেনা। কিন্তু আমরা কি চাইনা আমিত্বকে অতিক্রম করে একটি বৃহত্তর গন্ডিতে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখতে? আমরা কি চাইনা কেবল এই মূহূর্তের জন্য না বেঁচে ইতিহাসে অবিনশ্বর হয়ে থাকতে? আমরা কি চাইনা শুধু পার্থিব জীবনে ভাল না থেকে অনন্ত জীবনেও সাফল্য লাভ করতে?

আমি যখন শিক্ষকতা করতাম তখন আমার ছাত্রছাত্রীদের বলতাম, ‘তোমাদের কৃতিত্বের মাঝেই আমার সাফল্য’। হে পিতা! হে মাতা! আপনার সন্তানের জীবন সাজিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আপনার। আপনার সন্তানের জন্য আজই পরিকল্পনা করুন, আজকের দিনটি তাদের সাথে ব্যায় করুন, আজই তাদের ভবিষ্যত গড়ার ব্যাপারে সচেতন হোন, গড্ডালিকা প্রবাহে না ভেসে সন্তানদের চলার পথটি নিজ হাতে সাজিয়ে দিন যেন তা ক্ষুদ্রতায় আবদ্ধ হতে না পারে, কন্টকাকীর্ণ না হয়, যেন পার্থিব প্রাপ্তিই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য সাব্যাস্ত না হয়। এর ফলে হয়ত আপনি আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে ইঞ্চিখানেক পিছিয়ে পড়তে পারেন। তখন নিজেকে মনে করিয়ে দিন, ‘আমার সন্তানের সাফল্যই আমার কৃতিত্ব’। একটিবার আপনার সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখুন, আপনার সাহচর্যে তার উচ্ছ্বল হাসি আপনাকে আপনার সকল ব্যাস্ততা ভুলিয়ে দেবে। বৃদ্ধাবস্থায়ও আপনি পস্তাবেন না, কারণ তখন সে আপনাকে সাহচর্য দেবে যেহেতু আপনি আজ তার জন্য আপনার ক্যারিয়ার, আপনার ব্যাস্ততা, আপনার সম্পদের মোহ বিসর্জন দিচ্ছেন- তাকে নিজের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন। ভেবে দেখুন, আপনার সন্তানই কি আপনার শ্রেষ্ঠ সম্পদ নয়? তাহলে কেন তাকে ছেড়ে দিচ্ছেন কতগুলো অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত মানসিক রোগীর হাতে, কেন তাকে নিজের যত্ন দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তুলছেন না, কেন ছুটছেন সাফল্য আর সম্পদের পেছনে যখন সে আপনার ঘরেই বসে আপনার জন্য হাহাকার করছে? হে পিতা, হে মাতা! সময় সীমিত। ফিরে আসুন দেরী হয়ে যাবার আগেই!

বিষয়: বিবিধ

২৩৩৭ বার পঠিত, ৫২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

163031
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪৯
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আগেতো ফাস্টু হই। এ ব্লগে ফাস্টু হওয়াটাও একটা বিরত্ব Thumbs Up Thumbs Up Happy
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:০০
117342
হতভাগা লিখেছেন : আপনি চোথাবাজ আর গেরিলাকে হারিয়ে দিয়েছেন Happy>-
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৫১
117361
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : বীরপুরুষকে অভিনন্দন Applause Applause Applause
যদিও আগে বীরপুরুষ হতে হত মাকে পাল্কিতে পাহাড়া দিয়ে নিয়ে গিয়ে Tongue Tongue
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
117421
ইমরান ভাই লিখেছেন : পরের সপ্তাহে "সর্বচ্চ মন্তব্যকারী" ঠেকায় কে Cool Cool লেগে থাকো রাহবার। Tongue Tongue

১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২৬
117430
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : @ইমরান ভাইSurprised Surprised Surprised Surprised Surprised Surprised Surprised Crying Crying Crying Crying Broken Heart Broken Heart Broken Heart
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১৪
117567
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : এরকম মন্তব্য চাই না! Crying Crying
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২১
117571
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : @হারিকেন রেহনুমা আপু আমাকে বীরপুরুষ বলেছেন তুমি ভাগো এখান থেকে Smug Smug
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪৬
117723
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনারা সর্বোচ্চ মন্তব্যকারীর তালিকা কোথা থেকে দেখছেন বলেন তো :Thinking :Thinking
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১১
117727
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আপু হোম পেজে অনলাইনের ব্লগারদের লিস্টের নিচেই।
Happy
163033
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:০৩
হতভাগা লিখেছেন : বাবার পছন্দ হল - WWE এর মারামারি , রক্তারক্তি ।

মায়ের পছন্দ হল - জি সিনেমা , স্টার প্লাস ও স্টার জলসার কূটনামী , Laxary ।

এদের মিলনে সৃষ্ট সন্তানেরা কি রকম হতে পারে ?

Charity begins at home
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
117387
নকীব কম্পিউটার লিখেছেন : উভয় সংমিশ্রণ বদ ইবাদতে কি জন্ম নেবে! হি: হি: হি:
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৪
117422
ইমরান ভাই লিখেছেন : কার্টুন নেটওয়ার্ক Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৯
117424
হতভাগা লিখেছেন : ইমরান ভাই ,

আজকালকার পোলাপান অনে.....ক এডভান্স ।Winking
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১৮
117569
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : চোথাবাজ, গেরিলা, সুশীল , পলাশ ৭৫ Smug Smug Smug
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪৭
117724
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : গবেষনার বিষয় :Thinking :Thinking
163041
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : প্রায় প্রত্যেক বাবা বিশেষ করে মায়েদের কাছে এখন একটি কমন ডায়ালগ শুনি যে এখন নাকি লেখাপড়া খুবই কঠিন! আসলে লেখাপড়া নয় বরং তথাকথিত প্রতিযোগিতায় শিশুদেরকে শেষ করে দিচ্ছে। অনেকেই এখন শিশু সন্তান দের আরবী পড়াননা ক্লাশের চাপকে সামলাতে গিয়ে। সিরিয়াল দর্শক মা আর কর্মক্ষেত্রে উচ্চপদের খোঁজে থাকা পিতার সন্তান দের পক্ষে মানবিক হওয়ার সুযোগ কই।
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৫২
117725
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া মানবিকতা শেখার কল্পনা অবাস্তব। যে শিক্ষার উদ্দেশ্যই জীবনের র‍্যাট রেসে এগিয়ে যাওয়া তা থেকে কিভাবে মানবিক মূল্যবোধ আসবে?
163070
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৮
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আমার সন্তানেরা আমার শ্রেষ্ট সম্পদ। এই সম্পদকে সুন্দর করে সাজানো দায়িত্ব আমার। আর কেউ আমার মত করে সাজাতে পারবে না। আপনাদের সময়ে স্কুল বাসে ছেলে-মেয়েদের হাতে কুরআন শরীফ থাকত। আর এখন? ছেলে-মেয়েদের হাতে দামী মোবাইল .........আর দামী মোবাইলে কি দেখছে আমরা সবাই ভাল করেই জানি।
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:০৬
117726
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ভাই, ক্যানাডায় কারো আর যাই হোক মোবাইল কেনার পয়সার অভাব নেই, কিন্তু আপনি কোন বাচ্চার হাতে মোবাইল দেখবেন না। আমাদের দেশের বাবামায়েরা সন্তানদের ভালবেসে মোবাইল দেন, না নিজেদের স্ট্যাটাস প্রকাশ করতে সেটা প্রশ্নাতীত নয়। আর যদি শুধুমাত্র নিরাপত্তার জন্য হয় তাহলে এত দামী মোবাইলের প্রয়োজন নেই, শুধু কল করা এবং রিসিভ করা গেলেই যথেষ্ট। এখানে যে ছেলেমেয়েরা কলেজ ইউনি যায় তাদের মোবাইলে সম্পূর্ন কুরআন ডাউনলোড করা থাকে। বাসে ট্রেনে প্রায়ই ওদের পড়তে দেখবেন। অবশ্য যারা ইসলাম অনুসরন করতে চায় বা বাবামার আপত্তি সত্ত্বেও যে ছেলেমেয়েরা ইসলামের সংস্পর্শ পছন্দ করে তারা। স্বভাব যায়না মরলে, কিছু কিছু বাবামা এখানে এসেও বাংলাদেশী পদ্ধতিতেই সন্তান পালন করেন, অনেকে বিদেশী বনে যান।
163082
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৮
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আজকের বাবা মারা সন্তানকে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত করে মানি মেকিং মেশিনে পরিণত করতে যারপরনাই ব্যস্ত। প্রিয় সন্তানকে প্রকৃত মানুষ করার সময় তাদের হাতে নেই। এটিই আজ চরম বাস্তবতা।
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
118506
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমার এক ছোটভাই বলছিল আজকালকার বাবামায়েরা মা বাবা হতে ভুলে গিয়েছে, তাদের আগে সন্তান লালনপালনের ট্রেনিং নেয়া উচিত তারপর বাবামা হওয়া উচিত। Yawn Yawn
163101
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
নকীব কম্পিউটার লিখেছেন : মেধা বিকাশ কে দেখিনা কেন ফাস্ট হতে? তিনি এখন কোথায় আছেন? তার একটি কথা আমার প্রায়ই মনে পড়ে- বন্ধুর এখানে নামাজ পড়ানো। অত:পর তাঁর পাওনা টাকা আদায়ের জন্য রবের কাছে প্রার্থনাটি।---
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪০
118507
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : হা হা হা, তিনি ভালই আছেন। কিন্তু ব্লগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, এর জন্য কি ভ্যাকসিন পাওয়া যায়?
পোস্টের ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন কি কিছু বললেন না তো! :Thinking
163119
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০১
গেরিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪১
118508
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকেও Happy Good Luck
163126
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪১
আহমদ মুসা লিখেছেন : খুবই সুন্দর এবং বিশ্লষণধর্মী একটি লেখা। আসলেই আমাদের পরিবার ও সমাজকে উত্তম আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সন্তান সন্তুতিকে তার প্রকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অর্থাৎ একটি শিশুর বুনিয়াদী শিক্ষা হতে হবে "ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক" এর মৌলিক নীতিমালার আলোকে এবং তার বাস্তবিক জীবনে প্রতিফলন ও অনুসরণযোগ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। তবেই পরবর্তীতে সন্তান-সন্তুতিদের মধ্যে প্রকৃত মানবীয় গুনাবলীর পূনার্ঙ্গ বিকাশ সাধনের অনুভুতি জাগ্রত হবে। যে শিক্ষা ব্যবস্তার বুনিয়াদী থিম হচ্ছে "আগুডুম বাগডুম" ধরনের নিরর্থক পশ্চাৎমূখীতা, তার উপর বেড়ে উঠা জেনারেশন থেকে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষনে সেঞ্চুরিয়ান, শিক্ষিত কলমের আগায় চুরি-ডাকাতির জনবল, ইভটিজার, টেন্ডারবাজ, চাদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাস্তান আর নিকৃষ্টতম যতসব অমানুষিকতাসূলভ জন্তু জানোয়ার ছাড়া আর কিই বা তৈরী হবে?
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫৯
118774
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ঠিক বলেছেন Angel Good Luck Good Luck
163128
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪৫
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫৯
118775
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকেও Happy Good Luck Good Luck
১০
163136
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৫
ইমরান ভাই লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
বাড়িতে টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া উচিৎ।
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৫
118778
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : টিভি থেকে অনেক ভাল কিছুও শেখা যায় ভাই, নিয়ন্ত্রণ করা উচিত বললে বেশি ভাল হয়। বাচ্চারা ডিস্কভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, হিস্টরি, পীস টিভির মত চ্যানেলগুলো থেকে কি পরিমাণ প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করতে পারে ভাবতে পারেন? কিন্তু আমাদের বাবামায়েরা এগুলোর পেছনে পয়সা খরচ করতে চান না, অথচ বিকৃত মানসিকতার প্রচারক সিরিয়াল চ্যানেলগুলোর পেছনে পয়সা খরচ করতে তাদের আপত্তি নেই।
১১
163157
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২৫
আলোর আভা লিখেছেন : আল্লাহ তা‘আলা মানব জীবনকে সন্তান-সন্তুতির মাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় করেছেন। পারিবারিক জীবনে সন্তান-সন্ততি কতবড় নিয়ামত তা যার সন্তান হয়নি তিনি সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করে থাকেন। যাদেরকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সন্তান দান করেছেন তাদের উপর এক মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। পিতা-মাতার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হবে যদি সন্তানকে আদর্শবান রূপে গড়ে না তুলতে পারেন। কেননা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

প্রতিটি নবজাতক তার স্বভাবজাত দ্বীন ইসলামের ওপর জন্ম গ্রহণ করে। অতঃপর তার মা-বাবা তাকে ইয়াহূদী, নাসারা অথবা অগ্নিপূজক হিসেবে গড়ে তোলে [সহীহ বুখারী: ১৩৫৮]

অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২০ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
119005
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এটা অনেক বড় দুর্ভাগ্য যখন আল্লাহ্‌ একজনকে সন্তান উপহার দেন অথচ সে সন্তানকে তিনি সঠিকভাবে গড়ে তুলতে ব্যার্থ হন Crying Crying
আপনার বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ Good Luck
১২
163318
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১৬
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : খুব সুন্দর সচেতনামূলক পোস্ট Thumbs Up Bee Rose অনেক ধন্যবাদ আপনাকে Good Luck Good Luck জাযাকিল্লাহ
২০ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
119006
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পড়ার এবং উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
১৩
163371
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০০
ভিশু লিখেছেন : খুব সুন্দর পোস্ট!
গুরুত্বপূর্ণ আহবান!
ধন্যবাদ ম্যাডাম!
২০ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
119007
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ Good Luck ~:>
১৪
163450
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩৯
শিকারিমন লিখেছেন : অসাধারণ সচেতনতা মূলক লিখা। ভবিস্যতে যদি সুযোগ হয় কাজে লাগাবো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:২১
119330
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এটাই ভাল, আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে ভুল করার সম্ভাবনা কম থাকে Happy Good Luck Good Luck
১৫
163664
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
আমি আমার লিখেছেন : অনেক ভালো হয়েছে। বাংলাদেশে এমন শিক্ষা শুধুই কল্পনা। অনেক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:২২
119331
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : কেন ভাই? কুর’আন তো বাংলাদেশেও পাওয়া যায়!Surprised Surprised Surprised
১৬
163728
১৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৩১
গন্ধসুধা লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো।আমার জন্য দোয়া চাই আপু।
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৩২
119335
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমার জন্যও দু'আ চাই আপু Praying Praying Praying Love Struck
১৭
163913
১৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৪১
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : লেখাটি পড়ে অভিভাকদের বোধোদয় হোক- এই কামনা করছি। এবং দন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য।
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৩৪
119336
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম। ভাল আছেন তো? Happy
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ Good Luck Good Luck
১৮
164266
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার শিক্ষণীয় পোস্টের জন্য ধন্যবাদ Rose Rose Rose
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৩৫
119339
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
১৯
164804
২০ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১০
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : আপু তোমার জন্য দোয়া করি যেন মওলা মুনিব তোমার সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ দান করেন ইহ ও পরকালে।
আমরা যদি প্রস্ফুটিত কিংবা বিকশিত হই বিশ্বাস, সাহস, উদারতা, সহমর্মীতা, সংবেদনশীলতা ও সহযোগিতার মত গুনাবলীতে ; তবে আপনিই ঝরে পড়বে হিংসা, বিদ্বেষ, স্বার্থপরতা, কৃপণতা, পরশ্রীকাতরতার মত ব্যাধিগুলো। অথচ এর জন্য কেবল প্রয়োজন একটি মাত্র বই! সেটি কোন বই বলুন তো??? কতই না চমৎকার অভিব্যক্তি??
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৩৬
119343
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমার অনেক অনেক দু’আ প্রয়োজন, এই পোস্টে এই মন্তব্যটিই আমার সেরা উপার্জন। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। Good Luck Good Luck
২০
186547
০৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : thanks , nice.
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:০১
138625
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ Happy Good Luck
২১
283717
১২ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫৪
এস এম আবু নাছের লিখেছেন : জাযাকিল্লাহু খাইর আপু। দোয়া করবেন যেন শিক্ষা জীবনে কাজে লাগাতে পারি।

আর একটা আর্জি ছিল- আপনার জাররা জাররা লেখাটি টুডে ব্লগে পোস্ট করেন প্লিজ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File