বৃষ্টিস্নাত হৃদয়
লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ১১ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:০৪:৩৪ সকাল
ঘরে ঢুকতেই হাসানের মেজাজটা চরমভাবে বিগড়ে গেল। ড্রয়িংরুমে এক সোফায় পাশের বাসার ভাবী, কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন, ওকে দেখে কথা বন্ধ হয়ে গেল। আরেক সোফায় সুহানা বসে ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদছে। সোফার পেছনে শায়লা সুবাহকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে হা করে সব কথা গিলছিল, সুবাহ যে ঠোঁট উল্টে কাঁদতে শুরু করেছে কারো খবর নেই।
হাসানকে দেখে পাশের বাসার ভাবী ওঠার জোগাড়যন্ত্র করতে লাগলেন। হাসান দরজা ছেড়ে দাঁড়াতেই, ‘ভাবী, আমি তাহলে আসি’, বলে বাতাসে শাড়ির আঁচল উড়িয়ে মেকাপ, ঘাম ও পারফিউমের সম্মেলনে একরাশ দুর্গন্ধ ছড়িয়ে দিয়ে চলে গেলেন। হাসানের পেট থেকে দুপুরের খাবার উত্থিত হয়ে আসতে চায়। সে কোনদিকে না তাকিয়ে দ্রুত বেডরুমে চলে যায়।
গতবার মা বেড়াতে এসে বলেছিলেন পাশের বাসার ভাবীর সাথে সুহানার এত মেলামেশা তাঁর পছন্দ নয়, তবে ব্যাখ্যা করেননি। সুহানাকে কথাটা বলতেই সে বলে ওঠে, ‘পাশের বাসার ভাবী বলেছেন শাশুড়িরা সুযোগ পেলেই বৌদের দোষ ধরে’। মা ওভাররিঅ্যাক্ট করছেন ভেবে হাসান ব্যাপারটা তখনকার মত ভুলে যায়। কিন্তু এখন বুঝতে পারছে মা আসলেই একজন বিচক্ষণ এবং দূরদর্শী মহিলা। ওর অনেক আগেই মায়ের কথাটা আমলে নেয়া উচিত ছিল।
হাসানের বাবা হঠাৎ মারা গেলে বড়ভাই মাসউদ পুরো সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। বড় বৌ নাজনীন এই দায়িত্বে স্বামীকে পুরোপুরি সহযোগিতা করে। সে শাশুড়ি, দেবর, ননদদের দেখাশোনা থেকে লেখাপড়া, বিয়ে সব কাজেই দায়িত্বশীলতা এবং স্নেহময়তার পরিচয় দেয়। হাসানের জন্যও মেয়ে দেখেছে বড় ভাবী। কিন্তু মা ছিলেন বুদ্ধিমতি মহিলা। তিনি বুঝতে পারেন এই সংসারের পেছনে মাসউদ এবং নাজনীনের অবদান এবং সে সূত্রে অধিকারের মাত্রা তিনি এবং তাঁর সন্তানরা বুঝলেও তাদের স্বামী এবং স্ত্রীরা বুঝবে না। তখনই সংসারে দেখা দেবে মনোমালিন্য এবং অশান্তি। তাই মেয়েদের যেভাবে তিনি বিয়ে দিয়ে বিদায় করে দিয়েছেন, একইভাবে মাসউদ এবং হাসানের মধ্যবর্তী দুই ছেলেকেও তিনি বিয়ের পর আলাদা বাসা নিতে বাধ্য করেছেন। হাসান তাঁর সবচেয়ে ছোট ছেলে, কিন্তু প্রথামাফিক বিয়ের সাতদিন পর মা সবাইকে নিয়ে মিটিং ডাকলেন, ‘মাসউদের ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে, ওদের পড়াশোনার পরিবেশ প্রয়োজন, ঘরে সারাক্ষণ লোকজন হাঁটাচলা করলে লেখাপড়া হয়না, তোমরা আলাদা বাসা দেখ’। এবং প্রথামাফিক এবারও মাসউদ এবং নাজনীনের আপত্তিতে তাঁর সিদ্ধান্তে কোন নড়চড় হয়নি। তবে হাসানের বেলা এই কাজটি করতে মায়ের খুব কষ্ট হয়েছে। এটি তাঁর কনিষ্ঠ সন্তান, বেচারা বাবার আদরও তেমন পায়নি। কিন্তু তিনি তাঁর নিজের সুখের জন্য যে মেয়েটা এত বছর তাঁর সংসারকে আগলে রাখল তার প্রতি অবিচার করতে পারেন না। তিনি নিজে এসে হাসানের বাসা গুছিয়ে, তিনদিন তাদের সাথে থেকে যান। কথা ছিল তিনি প্রায়ই এসে থাকবেন। কিন্তু গত দু’বছরে তিনি প্রায়ই বেড়াতে এলেও থাকেননি তেমন একটা, ইদানিং তো আসাও কমে গিয়েছে।
এখন হাসান নিজেই টের পাচ্ছে পাশের বাসার ভাবীদের মত মহিলাদের সাথে সুহানার মত মেয়েদের বন্ধুত্বের কুফল। এরা পাশের ফ্ল্যাটে উঠেছে আজ ছ’মাস। এই মহিলা একজন সিরিয়াল গবেষক। তার সকল জ্ঞানের উৎস হিন্দি সিরিয়াল। তিনি সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জ্ঞান আহরণ করেন এবং সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সেই জ্ঞান বিতরণ করেন। আর সুহানা হোল একজন শিক্ষিতা মূর্খ। বড় ভাবী ওর ভাল লেখাপড়া এবং উজ্জ্বল ফলাফল দেখেই ওর ব্যাপারে প্রস্তাব করেছিলেন, কিন্তু সে মানুষ হিসেবে এতটা অপরিপক্ক হবে তা মায়ের মত বহুদর্শী মহিলাও আন্দাজ করতে পারেননি। সে সহজেই অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়। হ্যাঁ, এমনকি পাশের বাসার ভাবীর মত অশিক্ষিতা থার্ডক্লাস মহিলার কথায়ও! হাসান বোঝেনা কেন সুহানা নিজের নিজের জ্ঞানবুদ্ধি, শিক্ষাদীক্ষা, বিবেক বিবেচনার ওপর নির্ভর করতে পারেনা। সে নিজে সিরিয়াল দেখেনা, কিন্তু একজন সিরিয়ালখোরের নেশাগ্রস্ত মনের সকল বানী অমূল্য পাথেয় ভেবে আঁজলা ভরে গ্রহন করে।
মাঝে মাঝে মায়ের ওপর খুব অভিমান হয় হাসানের। তিনি এতটা নিঃস্বার্থতার পরাকাষ্ঠা না দেখিয়ে তাদের সাথে রাখলেও তো পারতেন! তাহলে হয়ত সুহানা বড় ভাবীকে দেখে কিছু শিখত। তারপর আবার ভাবে, মা ঠিকই করেছেন। মন্দের প্রতি মানুষের আকর্ষন সহজাত, মানুষ সহজেই একে শুষে নেয়। মানুষ ভালকে সম্মান করে, কিন্তু একে নিজের মধ্যে লালন করার ব্যাপারে প্রায়ই অতখানি উৎসাহী থাকেনা। হয়ত সুহানা নিজের নির্বুদ্ধিতাপ্রসূত কথাবার্তা এবং কাজের মাধ্যমে সবাইকে অতিষ্ঠ করে তুলত! কিন্তু স্বামী হিসেবে এবার হাসানকে একটা পদক্ষেপ নিতেই হবে।
সুহানা ফোলা ফোলা চোখে ঘরে প্রবেশ করে। সুবাহ কাঁদতে কাঁদতে অবশেষে মায়ের দুধ পেয়ে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছে, ওকে বিছানায় শুইয়ে দেয়। তারপর হাসানের কাছে এসে দাঁড়ায়। হাসান মুখ ফিরিয়ে নেয়। এখন ওর দিকে তাকালে মেজাজ আবার খারাপ হবে, নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ওর আরো কিছু সময় প্রয়োজন। কিন্তু বরাবরের মতই সুহানা অবুঝ। অভিমানে গাল ফুলিয়ে বলে, পাশের বাসার ভাবী বলছিলেন, মেয়েরা বাচ্চাকাচ্চা হলে যখন মোটা হয়ে যায় তখন ওদের প্রতি ওদের স্বামীরা আকর্ষন হারিয়ে ফেলে। আমি ইদানিং লক্ষ্য করছি ঘরে ঢুকেই তোমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তুমি আমার দিকে তাকাও না, আমার সাথে কথা বলনা। ছোট বাচ্চা নিয়ে আমি সবদিক কুলিয়ে উঠতে পারিনা। নইলে আমি কি দেখতে শুনতে খারাপ ছিলাম?’, শুরু হয়ে ঘ্যানঘ্যানে কান্না।
রাগে দাঁত কিড়মিড় করে হাসানের, মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে। সে মনে মনে আর্তনাদ করে ওঠে, ‘হে আল্লাহ্, আমি তোমার সাহায্য চাই, এক্ষুণি!’ ঠিক তখনই ওর সেলফোনটা বেজে ওঠে। মা ফোন করেছেন। ‘সুবাহ ঘুম থেকে উঠে যাবে’, বলে সে ফোন নিয়ে পড়ার ঘরে চলে যায়।
ওর কন্ঠ শুনেই মা উৎকন্ঠিত হয়ে ওঠেন, ‘কি রে, তোর গলাটা এত উত্তেজিত শোনাচ্ছে কেন?’
অপ্রত্যাশিত স্নেহের পরশে বাঁধভাঙ্গা বন্যার মত সব উগড়ে দেয় হাসান। সব শুনে মা বলেন, ‘তোর মনে আছে আমার সব সন্তানদের মধ্যে তুই সবচেয়ে দুষ্ট ছিলি?’
নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারেনা হাসান, ‘আমি তোমাকে আমার দুঃখের কথা বললাম আর তুমি আমার দুষ্টুমীর স্মৃতিচারণ করছ?’
‘আহহা, বল না! মনে আছে?’
‘হুমম, অনেক জ্বালিয়েছি তোমাকে মা, তাই বুঝি আল্লাহ্ এখন আমাকে এভাবে শাস্তি দিচ্ছেন’।
‘ধূর, বোকা ছেলে! আমি সে কথা বলছিনা। আচ্ছা, তুই কি মনে করতে পারিস আমি বা তোর বাবা কোনদিন তোকে দুষ্টুমীর জন্য মেরেছি বা শাস্তি দিয়েছি?’
মাথা নাড়ে হাসান, ‘নাহ!’
‘কেন মারিনি বলতে পারিস?’
‘তোমাদের অপরিসীম ধৈর্য্য!’
‘না রে বাবা। তুই এমন সব কাণ্ড করতি যে প্রায়ই নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে যেত। কিন্তু দেখ, আমরা যদি তোকে মারতাম বা শাস্তি দিতাম তাহলে তুই আরো ঘাড়তেড়া হয়ে যেতি। এর পরিবর্তে আমরা তোকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘন্টা বসে ভাল আর মন্দের পার্থক্য বোঝাতে চেষ্টা করেছি। অবশেষে আল্লাহ্ তোর এবং আমাদের প্রতি রাহমাত করেন’।
হাসানের গলা নরম হয়ে আসে, ‘এজন্য আমার কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই মা’।
মা গলাটা ততোধিক নরম করে স্নেহমাখা কন্ঠে বলেন, ‘তাহলে বাবা, তুই আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতাটা এভাবে প্রকাশ কর, তুই বোকা মেয়েটাকে আরেকটা সুযোগ দে, ওকে নিয়ে ধৈর্য্য ধর, ওকে বোঝা’।
মায়ের কথায় হতভম্ব হয়ে যায় হাসান। মায়ের মত ধৈর্য্য কি ওর আছে?
ফিক করে হেসে ফেলেন মা, ‘সুহানাও তো তোর মত দুষ্ট না!’
হাসান সুহানাকে ড্রয়িংরুমে ডেকে নেয়। সুহানা সোফায় বসলে ওর পায়ের কাছে গিয়ে বসে। সুহানা ইতস্তত বোধ করে উঠে দাঁড়াতে চাইলে ওর হাঁটুতে চাপ দিয়ে ওকে বসিয়ে দেয়। শায়লা রান্নাঘর থেকে উঁকি দিচ্ছে, দিক, হাসান দারোয়ান ভাইয়ের ড্রাইভার ছেলেটার সাথে শায়লার বিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছে, ওরও অভিজ্ঞতা হওয়া দরকার।
হাসান সুহানার হাত দু’টো হাতের মুঠোয় নিয়ে ওর চোখে চোখ রাখে, ‘সুহানা, তুমি আমার স্ত্রী, আল্লাহ তোমাকে আমার জীবন শেয়ার করার জন্য নির্ধারন করেছেন। তুমি আমার সন্তানের মা, সুবাহ এবং পরবর্তীতে আল্লাহ্ যদি আমাদের আরো সন্তান দেন, তাদের ভবিষ্যত গড়ে উঠবে তোমার হাত ধরে। তুমি আমার সংসারের কর্ত্রী, তুমি সেই নারী যে কেবল আমার ঘর নয় বরং আমার পরিবারের সবাইকে আপন করে নেবে, তাদের মন জয় করবে, আমাদের বন্ধনগুলোকে করবে সুদৃঢ়। তুমি আমার কাছে কেবল একখন্ড সুসজ্জিত মাংসপিণ্ড নও যে তোমার প্রতি আমার ভালবাসা তোমার আয়তন বাড়াকমা কিংবা সাজপোশাকের আধিক্য বা অভাবের সাথে ওঠানামা করবে। আমি তোমাকে ভালবাসি, তোমার অবয়বকে নয়। আমি তোমাকে তখনও ভালবাসতাম যখন তুমি পাটকাঠির মত আকৃতি নিয়ে আমাদের বাসায় পদার্পন করেছিলে; আমি তোমাকে এখনও ভালবাসি যখন তুমি মুটিয়ে গিয়েছ; আমি তোমাকে তখনও ভালবাসব যখন তোমার চুল পেকে যাবে, যখন তুমি কানে কম শুনবে, চোখে কম দেখবে, দাঁত পড়ে যাবে, চামড়া কুচকে যাবে। তোমাকে ভালবাসা আমার কাছে কেবল শখের ব্যাপার নয়, আমার দায়িত্বও। সুহানা, তুমি এসব আজেবাজে ধারণা করে আমাদের পবিত্র ভালোবাসার অবমাননা কোরোনা’
চোখ ভিজে আসে সুহানার, সে হাত ছাড়িয়ে নিতে যায় মুখ ঢাকার জন্য, কিন্তু হাসান মুঠো ছাড়েনা, ‘সুহানা, তুমি একজন শিক্ষিতা নারী। তোমার মাঝে আমি একজন আলোকিত সাথী চাই যে আমার প্রতিটি পদক্ষেপে আমাকে সঙ্গ দেবে যেভাবে বড় ভাবী দিয়েছেন বড় ভাইকে, যে আমার সুবিধা অসুবিধাগুলো বুঝবে যেভাবে আমি তোমার খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখি, যে আমার সন্তান এবং সংসারকে আগলে রাখবে আমার অনুপস্থিতিতে যেভাবে আমি তোমাদের আগলে রাখতে চেষ্টা করি সমস্ত ঝড়ঝাপটা থেকে। আমি চাই তুমি অন্যের কথার ওপর নিজের জ্ঞানবুদ্ধি এবং বিবেককে প্রাধান্য দাও, কারো কথায় প্রভাবিত হয়ে নয়, ভাল মন্দ বুঝে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে গ্রহণ কর। আমি চাই একটি সুস্থ, স্বাভাবিক এবং আস্থাশীল পরিবার। আমাদের সংসারকে সুখের বাগান হিসেবে গড়তে চাই, তুমি কি আমার সঙ্গী হবেনা?’
এবার ঝরঝর করে কাঁদতে থাকে সুহানা। হাসান ওকে কাঁদতে দেয়। বৃষ্টি যেমন সমস্ত নোংরা আবর্জনা ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলে, তেমনি ওর মনের ভেতর এতদিন ধরে যে ক্লেদ জমে উঠেছে তা ওর অশ্রুবিন্দুগুলো ধুয়ে নিয়ে যাক।
হাসান বেরিয়ে যেতেই দরজায় বেল দেন পাশের বাসার ভাবী। সুহানা দরজা খুলে তাঁকে সোফায় বসতে দেয়। সুবাহকে নিজের কোলে নিয়ে সুহানা শায়লাকে রান্নাঘরে পাঠায় চা নাস্তা আনতে। ভাবী কথার ঝাঁপি খুলতে যান। সুহানা বলে, ‘ভাবী, আপনি যে কথাগুলো বলেন এগুলো কিছু অশুভ মানুষের অসুস্থ মানসিকতাপ্রসূত, আপনার নিজের জ্ঞান নয়। বিশ্বসংসার যদি সত্যিই কেবল বাহ্যিক চাকচিক্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত হত তাহলে পৃথিবীতে কোনদিন কেউ কোন ভাল কাজ করতনা। আর সবাই যদি কেবল একজন আরেকজনের পেছনে লেগে থাকত তাহলে মানুষের মাঝে মনুষ্যত্ব লোপ পেত, কেউ কোনদিন সংসার করতে পারতনা। আপনার যদি অন্য কিছু বলার থাকে তাহলে বলুন’।
পাশের বাসার ভাবীর মুখটা বিস্ময়ে হা হয়ে যায়, মুখের ভেতর একমুঠ চানাচুর ভরে দিয়ে তিনি আমতা আমতা করেন, ‘আমার একটা জরুরী কাজের কথা মনে পড়েছে, আমি আসি’। তাকে বিদায় দিয়ে হাসতে হাসতে দরজা বন্ধ করে রান্নাঘরে যায় সুহানা, আজ হাসানের পছন্দের জলপাই দেয়া ডাল রান্না করবে সে।
বিষয়: বিবিধ
৩০৯৫ বার পঠিত, ৪৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রথম মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপা
Allah apnake likhar jonno beshi beshi oboshor dik.
JazakAllah khair.
পড়ার এবং উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ কিভাবে একটি পরিবারে উদারতা প্রকাশ করে স্বাভাবিক জিবনে ফিরে যাওয়া যায় এর বঃহিপ্রকাশ করে লেখাটির মূল বক্তব্য তুলে ধরার জন্য--
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপা
সুন্দর লেখাটার জন্য জাযাকাল্লাহু খাইরান আপু
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য যাজ্জাকিল্লাহ আপু
সেই আদিম যুগ এর টেকনোলজি আপু আমার মনে আছে কে যেন কি বলল আর সবার চেহারা অনেকবার করে একেক করে দেখাল মনে হয় সবাই তাদের চেহারা দেখার জন্য বসে আছে.
হে হে খেয়ে দেয়ে আর কাজ নেই।
এগুলার কি দেখে ওনারাই ভালো জানেন। আমি মনে করিঃ
যে আল্লাহকে ভুলে গেছে আল্লাহ তাকে নিজেকেই ভুলিয়ে দিয়েছেন; সে যে কি করছে সে নিজেই জানেনা
আপুর লিখাগুলো বেশ শিক্ষনীয়। ধন্যবাদ আপু
আল্লাহ্ আমাদের বুদ্ধি, বিবেক জাগ্রত করে দিন এবং ক্ষতিকর প্রভাবাদি থেকে রক্ষা করুন
পড়ার এবং উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ
আমি কি পাঠকদের মনে রাখি? মনে তো রাখি আমার ভাইবোনদের যারা কষ্ট করে আমার লেখা পড়ে আবার মন্তব্য দিয়ে উৎসাহ জোগায়
েএরা জ্ঞানবুদ্ধি সব বর্গা দিয়ে রেখেছে।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু
হিন্দি সিরিয়ালগুলো ইচ্ছা করে, সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের নীতি, নৈতিকতা, পরার্থবোধ নষ্ট করে দিয়ে ভোগবাদের (consumerism-এর ) বড়ি গেলাচ্ছে । আর অবোধ শিশুর মত আমরা তা গিলে যাচ্ছি । এর ফলে অত্যন্ত বিপদজনকভাবে আচরণ এবং চিন্তা করার পদ্ধতি (way of thinking) বদলে যাচ্ছে । হিন্দি সিরিয়ালগুলো মানুষের মাইণ্ডসেট, এমনকি কমনসেন্স পর্যন্ত পরিবর্তন করে ফেলছে । একজন শিক্ষিত বিবেকসম্পন্ন মানুষ এ দেখে কী শেখে, তা এখনও আমি উদ্ধার করতে পারিনি ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আপনি অত্যন্ত বাস্তবভাবে এক বিবেকহীনার কাহিনী তুলে ধরেছেন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন