অনন্ত পথের সাথী

লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:১৪:১৬ দুপুর

‘আসসালামু আলাইকুম, আমার বাবামা কি তোমাদের বাসায়?’

হামাদ কোনো জবাব দিলোনা, চেহারায় দ্বিধা। সে দরজাটা পুরোপুরি খুলছেনা, ফলে মুমতাহিনা পাশ কাটিয়ে ঘরে ঢুকবে সে উপায় নেই।

মুমতাহিনা আবার জিজ্ঞেস করল, ‘ভাইয়া ভাবী সম্ভবত বাইরে গেছে, আমার কাছে বাসার চাবি নেই। বাবামা কি এখানে?’

‘কে এলো হামাদ?’, ভেতর থেকে চাচীর গলা শোনা গেল।

এবার হামাদ ওকে দরজা খুলে দিলো। মুমতাহিনা ঘরে ঢুকতে ঢুকতে হামাদ পাশ থেকে ফিসফিসিয়ে বলল, ‘আর যাই কর মুনা, প্লিজ না বলবে না’।

‘মানে?’

মুমতাহিনা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাল হামাদের দিকে, কিন্তু সে চোখ ফিরিয়ে নিল। হামাদ সেই তিন বছর বয়স থেকেই ওকে মুনা ডাকে। বড় হয়েও সে সিদ্ধান্ত নিলো এত্তবড় নাম সে কিছুতেই ডাকতে পারবেনা, তাই পৃথিবীতে মাত্র এই একজনই ওকে মুনা ডাকে। হামাদের সাথে ওর একটা সহজ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে ছোটবেলা থেকে। কিন্তু আজ সে ওর হাবভাব কিছুই বুঝতে পারছেনা।

দরজা পেরোতেই চোখে পড়ল বাবামা ড্রয়িং রুমের বারান্দায় বসে চাচা চাচীর সাথে গল্প করছেন, ভাইয়া ভাবী ডাইনিং রুমে হামাদের বড়বোন হুসনা আর ওর দুলাভাইয়ের সাথে গল্পে মশগুল। বাবা আর মারুফ চাচা ছোটবেলার বন্ধু। সারাজীবন দ’জন দু’জায়গায় কাজ করেছেন, কিন্তু যোগাযোগ ছিল অক্ষুন্ন। রিটায়ারমেন্টের সময় হয়ে এলে দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন কাছাকাছি বাড়ি করে থাকবেন। বছর তিনেক হোল ওরা পাশাপাশি বাড়িতে থাকে। দিনরাত হয় বাবামা মারুফ চাচাদের বাসায় নয় চাচা চাচী ওদের বাসায়। তাই অনার্সের শেষ পরীক্ষাটা দিয়ে এসে যখন মুমতাহিনা বাসায় কাউকে পেলোনা তখন স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করল বাবামা এ’বাসায়।

মুমতাহিনা ঘরে প্রবেশ করতেই ভাবী আর চাচী দু’জনে এগিয়ে এসে ওকে ড্রয়িং রুমে নিয়ে বসাল, সবাই এসে ওর চারপাশে ঘিরে বসল। একেকজন জিজ্ঞেস করছে পরীক্ষা কেমন হোল, প্র্যাক্টিকাল কবে, ভাইভা কবে- মনে হচ্ছে যেন অনার্স না, পিএইচডি শেষ করে এলো। হামাদ দরজার কাছে একটা পিলারে হেলান দিয়ে ওদের পাগলামী পর্যবেক্ষণ করছে, কিন্তু এমন কিম্ভূত দৃশ্যেও ওকে হাসতে দেখা যাচ্ছেনা যদিও সে অল্পেই হাসিতে ফেটে পড়ে, কেমন যেন একটা চিন্তিত চিন্তিত মূর্তিসদৃশ ভাব।

সবাইকে থামিয়ে দিয়ে চাচী বললেন, ‘মেয়েটা সকাল বেলা পরীক্ষা দিতে গেছে, আগে ওকে কিছু খেতে দাও, তারপর সবাই কথা বল’।

চাচী হরেক রকম নাস্তা পানি শরবত নিয়ে এলেন, ক্ষিদেও পেয়েছে বটে, কিন্ত খেতে গিয়ে দেখে সবাই ড্যাবড্যাব করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। হচ্ছেটা কি এইসব? এভাবে কি খাওয়া যায়? কোনমতে পেটটা ঠান্ডা করেই সে খাওয়ায় ক্ষান্ত দিল। এরা সব চলে গেলে হাপুস হুপুস করে খেতে হবে। পানি খেয়ে চোখ তুলতেই হামাদের বোন হুসনা আপু বলল, ‘মুমতাহিনা, তোমার কি কোথাও পছন্দ আছে?’

মুমতাহিনা থতমত খেয়ে বলল, ‘মানে?’

দুলাভাই স্ত্রীর সহায়তায় এগিয়ে এলেন, ‘মানে আজকালকার ছেলেমেয়েদের তো প্রায়ই অ্যাফেয়ার ট্যাফেয়ার থাকে। তোমার কি তেমন কাউকে পছন্দ আছে?’

চেহারাটা লাল হয়ে গেল ওর, মনে মনে বলল, ‘থাকলেও কি আমি তোমাদের বলব?’

কেবল মাথা ঝাঁকিয়ে না-বোধক উত্তর দিল মুমতাহিনা। অস্বস্তি লাগছে ওর, ওরা কি এমন কিছু শুনেছে যাতে তাদের সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে? সেজন্যই কি এই আদালতের আয়োজন?

ওর চিন্তায় ছেদ ঘটিয়ে চাচী বললেন, ‘তোমাদের যা কথার ছিরি, মনে হচ্ছে বেচারীকে কাঠগড়ার আসামীর মত ইন্টারোগেশন করা হচ্ছে! ভাই, আপনি একটু সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলুন প্লিজ। এরা বেচারীকে টেনশনে মেরেই ফেলবে’।

বাবা ফ্লোর পেয়ে তাঁর চিরাচরিত ভঙ্গিতে লেকচার শুরু করলেন, ‘মা, মেয়ে বড় হলে বাবামার চিন্তা বাড়তে থাকে...’

মানে সে এখন আরো কনফিউজড হয়ে যাবে, কারণ বাবা বিরাট এক ভূমিকা দেবেন যার সাথে উপসংহারের কোন সম্পর্ক থাকবেনা, মা ভাইয়া ভাবী সব মুখ টিপে হাসতে থাকবে, মারুফ চাচা এবং চাচী এমনভাবে মনোযোগ দিয়ে শুনবেন যেন এগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে দামী কথা, হুসনা আপু আর দুলাভাই মুখ নিচু করে সব কথা গিলবে যেন এই অমিয় বাণী কেবল তাদের জন্যই উৎসর্গিত, হামাদ অবশ্য হো হো করেও হেসে ফেলতে পারে, আর এতকিছুর মধ্যে ওকে সুবোধ হয়ে বসে থাকতে হবে, এ’কাজ যেন কমেডি দেখেও বাধ্যতামূলকভাবে চেহারা সোজা রাখার মত কষ্টকর।

মাঝপথে ভাইয়া উদ্ধার করল ওকে, ‘মুমি, শোন। বাবা যেটা বলতে চাইছেন সেটা হোল, আমরা হামাদের সাথে তোর বিয়ের চিন্তা করছি। তুই কি বলিস?’

মুমতাহিনা সত্যিকার অর্থেই আকাশ থেকে পড়ল, পড়ে সম্ভবত হাড়গোরও ভেঙ্গে গেল। গত এক বছর যাবত দুই পরিবার মিলে হামাদের জন্য মেয়ে দেখছে। মুমতাহিনা নিজেও অন্তত তিনটা মেয়ে দেখে দিয়েছে। হামাদের কোন মেয়েই পছন্দ হয়না। এখন কি নিরুপায় হয়ে ওকে ...?

হামাদের দিকে তাকায় সে। নাহ, সে কিছু বলছেনা। কিন্তু ওর চোখে এক করুন আকুতি, ‘আর যাই কর মুনা, প্লিজ না বলবে না’। কিন্তু এ’ কি করে হয়? ওরা ছোটবেলা থেকে পরস্পরের বন্ধু, এত দূর পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে পরস্পরের পাশাপাশি, কোনদিন কোন আকর্ষন বোধ হয়নি। বিয়ে মানে বন্ধুত্ব, কিন্তু বিয়ে মানে ভালবাসাও তো বটে! বন্ধুত্ব আছে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এমন সহজ সম্পর্কের মাঝে কি ভালবাসার উদ্ভব হতে পারে? যদি আদৌ তা সম্ভব হয় তাহলে এতদিন ঘটেনি কেন? তার মানে নিশ্চয়ই ওদের মাঝে ভালবাসা সম্ভব নয়। মুমতাহিনা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, এটা একটা উদ্ভট প্রস্তাব, এটা হতেই পারেনা।

কথাটা বলার জন্য মুখ খোলে মুমতাহিনা, আবার ওর কানে বাজে, ‘আর যাই কর মুনা, প্লিজ না বলবে না’। সবার সামনে ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু বুঝতে পেরেও আবার হামাদের দিকে তাকায় মুমতাহিনা। সে কিছু বলেনা, কিন্তু ওর চোখ বলে, ‘ট্রাস্ট মি, ট্রাস্ট মি, ট্রাস্ট মি’।

হামাদ মুখে না বললেও মুনা ওর সব কথা বুঝতে পারে। সে হামাদকে বিশ্বাস করে, পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস করে, কিন্তু সে তো বন্ধু হিসেবে! তাই বলে বিয়ে! সারা জীবনের জন্য এক ভালোবাসাহীন বন্ধন? আবার ওর মনে অনুরণিত হয়, ‘ট্রাস্ট মি, ট্রাস্ট মি, ট্রাস্ট মি’।

মুমতাহিনা নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারেনা যখন নিজের গলা শুনতে পায়, ‘তোমরা যা ভাল মনে কর’।

প্রথমে সবাই চুপ। তারপর সম্মিলিত এক দীর্ঘশ্বাস। তারপর হুসনা আপু ওর গায়ের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে আনন্দে চিৎকার! বেচারী মানুষটা খারাপ নয়, কিন্তু গুছিয়ে কথা বলতে পারেনা, দুলাভাইটা বৌকে সাহায্য করতে গিয়ে আরো তালগোল পাকিয়ে ফেলে, এক্কেবারে ‘মেড ফর ইচ আদার’। ঘরের ভেতর তখন একটা শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। হামাদকে কোথাও দেখা যাচ্ছেনা।

প্রথমে হুসনা আপু আর দুলাভাই বিরাট প্ল্যান ফেঁদে বসলেন- এঙ্গেজমেন্ট, তারপর আকদ, তারপর হলুদ, তারপর বিয়ে, তারপর বৌভাত। ভাইয়া ভাবী বলল, ‘এঙ্গেজমেন্টের কোন নৈতিক ভিত্তি নেই, হলুদেরও তাই। আকদ হতে পারে, আর বিয়ের একটা অনুষ্ঠানই যথেষ্ট ’। বাবামা বললেন, ‘যেহেতু ছেলেমেয়ে এত কাছাকাছি থাকে, আকদ আজই হলে ভাল হয়’। মারুফ চাচা আর চাচী বললেন, ‘আজই ছোটখাটো করে বিয়ে হয়ে যাক’। মুমতাহিনা মনে মনে ভাবছে, ‘আমাদের দুই পরিবারই পাগল!’ এই পাগলামীর ভিড়ে ওর টেনশন কোথায় যেন হারিয়ে গেল।

উভয় পরিবারের পাগলামীর মধ্যে কিভাবে যেন অসাধ্য সাধন হয়ে গেল, ওদের সবচেয়ে কাছাকাছি একশ আত্মীয়সহকারে সত্যি সত্যি বিয়ে হয়ে গেল! মুমতাহিনার সবকিছু স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে, দিনটা যেন একশ বছরের সমান লম্বা। রাত দু’টোর সময় সে চাচীকে বলল, ‘চাচী, আমার ঘুম পাচ্ছে, আমি বাসায় গেলাম’।

মা ছিলেন পাশে, তিনি জিভ কেটে বললেন, ‘বলে কি মেয়ে! এটাই তো এখন তোর বাসা মুমি!’

ব্যাপারটা এতক্ষণ ওর মাথায় ঢোকেনি। সারা বিকাল সবাই মিলে রান্নাবাড়া, সন্ধ্যা থেকে মেহমানদারী, রাতে সবাই খেয়ে দেয়ে বসে গল্পগুজব করছে, হুজুরকে নিয়ে একটা পর্ব ছিল বটে কিন্তু আর দশটা দাওয়াত থেকে এটা যে আলাদা বোঝার সুযোগই হয়নি মুমতাহিনার।

হুসনা আপু বললেন, ‘মা, মেয়েটা সকালে পরীক্ষা দিতে গেল, তারপর থেকে বেচারীর বিশ্রামের কোন সুযোগ হয়নি। হামাদ তো মেহমান যাওয়া পর্যন্ত ব্যাস্ত থাকবে, ও গিয়ে ঘুমাক না’।

চাচীও বললেন, ‘ঠিক। চল, ওকে ওপরে দিয়ে আসি’।

মারুফ চাচার বাসায় শোবার ঘর আর পড়ার ঘর ওপরতলায়, ড্রয়িং ডাইনিং রান্নাঘর নীচে। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে নীচে মেহমানপরিবেষ্টিত হামাদের সাথে একবার চোখাচোখি হোল মুমতাহিনার, কিন্তু তেমন বিশেষ কিছু মনে হোলনা। ধাক্কাটা খেল হামাদের রুমে ঢুকতে গিয়ে। এত বছরের বন্ধুত্বেও মুমতাহিনা কোনদিন হামাদের রুমে ঢোকেনি, হামাদও কোনদিন ওর রুমের ধারেকাছেও আসেনি। কথাবার্তা হত নীচতলায় বা বাগানে, সর্বসমক্ষে। জীবনে প্রথম ওর রুমে ঢুকতে গিয়ে কেমন যেন দ্বিধা বোধ হয় মুমতাহিনার, পা আটকে আসে, হুসনা আপু আর চাচী মিলে কাঁধে হাত দিয়ে উৎসাহ দেয় ওকে। ভেতরে গিয়ে দেখে কোন এক ফাঁকে ভাবী আর হুসনা আপু মিলে পুরো ঘরটা ফুল দিয়ে সাজিয়েছে, পরিমাণে খুব বেশি না, কিন্তু জায়গায় জায়গায় গুচ্ছ আকারে সাজানোয় পুরো ঘরটা সুবাসে মৌ মৌ করছে।

হুসনা বলল, ‘মুমি, কষ্ট হলেও এখন জামাকাপড়, গহনা খুলে ফেলোনা। আর অল্প কিছুক্ষণ পরে থাকো। আমার ভাইটা তোমাকে এখনও বধূবেশে দেখেনি, মেহমানদারী করতে করতে বেচারার জান শেষ। একটু কষ্ট করে এভাবেই ঘুমাও’।

কি ঘুমাবে মুমতাহিনা, ক্লান্তিতে শরীর এলিয়ে এলেও বিছানার কাছে যেতে অস্বস্তি বোধ হয় ওর, ওটা তো ওর বিছানা নয়! রুমের একপাশে জানালার সামনে একটা প্রশস্ত সোফা, একজন বসার মত। ওখানেই পা তুলে আধশোয়া হয়ে বসে পড়ে সে। হুসনা আপা আর চাচী আঁতকে ওঠে, ‘এভাবে কি ঘুম আসবে নাকি? তুমি বিছানায় আরাম করে শোও, জামাকাপড় ভাঁজ ভেঙ্গে গেলেও কিছু হবেনা’।

মুমতাহিনা বলে, ‘আমি ঠিক আছি’।

চাচী হুসনাকে বকা দেন, ‘দিলি তো মেয়েটার আরাম শেষ করে? মা, তুমি নাহয় জামাকাপড় বদলে শোও’।

মুমতাহিনা কিছু বলেনা, কেবল গ্যাঁট হয়ে সোফায় বসে থাকে। ওরা কিছুক্ষণ বলেকয়ে ওকে নাড়াতে না পেরে দরজা বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। মুমতাহিনার মনে হয় যেন আজ সে হঠাৎ আবিষ্কার করল ওর বাসার পেছনে বাগানটা আসলে একটা সবুজ বনভূমি যেখানে আছে হরেকরম ফুল পাখীদের মেলা, সে বাগানের প্রতিটা ফুল চিনত কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সে বনভূমিতে প্রবেশের পথটুকুও চেনেনা। যে হামাদকে ওর কাঁচের মত স্বচ্ছ মনে হত, সে যেন কাঁচের ওপাশে এক অনাবিষ্কৃত পৃথিবী! এক অজানা শিহরণ দোলা দিয়ে যায় মনে। ক্লান্ত চোখ দু’টো জানালা দিয়ে বিশাল পূর্নিমার চাঁদটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে বুজে আসে নিজেই টের পায়না মুমতাহিনা।

হাল্কা একটা শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। হঠাৎ স্থান কাল বুঝে উঠতে পারেনা মুমতাহিনা। আবছা আলোয় হামাদকে দেখে সব মনে পড়ে ওর। নিমেষে এক রাশ লজ্জা ওকে গ্রাস করে, অথচ হামাদকে কিসের লজ্জা সেটাই সে বুঝতে পারেনা। ওর দিকে চোখ পড়তেই হামাদ বলে, ‘সরি, আমি তোমার ঘুম ভাঙ্গাতে চাইনি। টেবিল ল্যাম্পটা নিভাতে গিয়ে টেবিলে পা লেগে শব্দ হোল’।

সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় মুমতাহিনা। চাঁদের আলোয় বধূর সাজে ওকে অপরূপ লাগে, হামাদ চোখ ফেরাতে পারেনা। মুমতাহিনা লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে নেয়। হামাদ অপ্রস্তুত হয়ে বলে, ‘একটু পর ফজরের আজান হবে। চল, আমরা জামাকাপড় বদলে প্রস্তুতি নেই’।

ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে এক এক করে গহনা খুলতে শুরু করে মুমতাহিনা, হামাদ আলো জ্বালিয়ে দেয়। মুমতাহিনার গহনার শখ নেই, অনভ্যস্ত হাতে কিছু গহনা খুলতে সক্ষম হলেও কানের দুলের পদ্ধতিটাই বুঝে আসে না ওর। ওর চেহারা দেখে হামাদ এগিয়ে আসে, ‘সাহায্য লাগবে?’

‘কানের দুলটা খুলতে পারছিনা’।

‘মাথার ওড়নাটা সরাও, আমি চেষ্টা করে দেখি’।

বুকের ভেতর ধক করে ওঠে মুমতাহিনার, সাত বছর বয়সের পর হামাদ ওকে অনাবৃত মস্তকে দেখেনি, ওর সামনে মাথার ওড়না সরাবে ভাবতেই পারেনা সে। হামাদ বুঝতে পারে, ‘মুনা, এখন আর আমাদের পরস্পরের সাথে পর্দার প্রয়োজন নেই’।

ভারী কানের দুলগুলো খুলে কি যে আরাম লাগে মুমতাহিনার! কিন্তু দু’টো আংটি আর দু’টো চুড়ি কিছুতেই খুলতে পারছেনা সে। হামাদ ওকে বেসিনের সামনে নিয়ে বেশি করে সাবান মাখিয়ে জিনিসগুলো আলতোভাবে খুলে দেয়, ব্যাথা পায়না মুমতাহিনা। কিন্তু ওর হাতের স্পর্শে যেন ইলেকট্রিক শক খায় সে, হৃৎকম্প বেড়ে যায়, পেটের ভেতর প্রজাপতি ওড়ে মুমতাহিনার। আসলেই তো, বড় হবার পর থেকে ওরা কখনো পাশাপাশি বসেনি, স্পর্শ করা ত অনেক দূরের কথা। অথচ ও ভেবে নিয়েছিল এত বছর বন্ধুত্বের পর ওদের আর পরস্পরের সম্পর্কে জানার কিছু বাকী নেই! ওর মনের ভাব বুঝতে পারেনা হামাদ, আন্দাজ করে বলে, ‘তুমি কি ভাবছ আমি কি করে মেয়েদের গহনা খোলায় এক্সপার্ট হয়েছি? আমার মা আর বোনের মত নার্ভাস লোকজন বাসায় থাকলে বাড়ীর পুরুষদের গহনা খুলতে না শিখে উপায় নেই, বুঝলে?’

হেসে ফেলে মুমতাহিনা, সত্যটা বুঝতে পারার চেয়ে এই ধারণা ওর জন্য কম লজ্জাজনক।

দু’জনে তাহাজ্জুদ পড়ে ফজরের জন্য অপেক্ষা করছে। হামাদের তিলাওয়াত শুনে মুগ্ধ মুমতাহিনা। নামাজের পর ওর পড়া শুনতে চায় হামাদ। মুমতাহিনাও ভাল পড়ে। একটু পর মুমতাহিনা বলে, ‘আমার মাথা এখনও ক্লিয়ার হয়নি, সবকিছু এত তাড়াতাড়ি ঘটল যে আমার সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। ব্যাকগ্রাউন্ডটা কি একটু বলবে আমাকে?’

হামাদ দেয়ালে হেলান দিয়ে জায়নামাজে পা ছড়িয়ে বসে, ‘গত এক বছর যাবত তোমরা সবাই আমার জন্য মেয়ে দেখছ, কার ব্যাপারে আমার কি ধারণা তুমি সবচেয়ে ভাল জানো যেহেতু আমাদের চিন্তার ধরনটা একই। আমি কিছু একটা খুঁজছিলাম যেটা ওদের কারো মাঝে ছিলোনা। আজ সকালে আবার আমার বিয়ে নিয়ে মিটিং হচ্ছিল। সবাই জানতে চায় আমি আসলে কি চাই। আমি বললাম, আমি চাই এমন একজন সাথী যে আমার মত করেই ভাবে, আমার মনের কথা আমার মত করেই বুঝতে পারে। ভাবী বললেন, মনে হচ্ছে যেন তুমি মুমির কথা বলছ! আমি নিজেও ধাক্কা খাই। তাই তো! চোখের সামনে থেকেও আমার কখনো তোমার কথা মনে হয়নি। আমাদের বন্ধুত্ব তেমনই যেখানে কথা না বলেও আমরা পরস্পরের সব কথা বুঝতে পারি, কিন্তু এটা কি বিয়ের জন্য যথেষ্ট? আমরা এত বছরে কখনো পরস্পরের প্রতি কোন আকর্ষন বোধ করিনি, তাহলে এটা কেমন বিয়ে হবে? কিন্তু ভাবতে ভাবতে এক সময় বুঝতে পারলাম আমরা অন্য কোনপ্রকার চিন্তা করিনি কারণ আমরা উভয়েই কঠোরভাবে পর্দা মেনে চলেছি, শারীরিক এবং মানসিক উভয়ভাবে। কিন্তু যদি আমরা তেমনটা না হতাম তাহলে আমাদের হয়ত বিয়ের চিন্তা এতটা অস্বাভাবিক মনে হতনা। ওদিকে আমাদের উভয় পরিবার ততক্ষণে একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। এমন সময় তুমি দরজায় বেল দিলে। আমি জানতাম ওরা তোমাকে ছেঁকে ধরবে, তুমিও আমার মত অথৈ সাগরে পড়বে। আমি তোমার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে চাচ্ছিলাম না ... না, সেটা বললে মিথ্যা বলা হবে, কিন্তু আমি চাচ্ছিলাম তোমাকে সম্ভাবনার দিকটা দেখাতে। সময় ছিলোনা, তাই তোমাকে শুধু একটা ইশারা দিলাম যেন তুমি আমার মত ভুল করে না ভাবো যে আমাদের বিয়ে হলে সেটা হবে প্রেম ভালোবাসাবিহীন। তুমি যখন বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছিলে, বিশ্বাস কর, আমার হৃৎপিন্ডটা বুক চিরে তোমার কাছে চলে যেতে চাইছিল। মুরুব্বীদের সামনে আমি কি করে তোমাকে এত কথা বলি? আমি জানতাম আমার কথাটা তোমার মনের ভেতর ঢেউ তুলছে, তাই আমার হৃদয় শুধু বলছিল, ‘ট্রাস্ট মি, ট্রাস্ট মি, ট্রাস্ট মি’। কিন্তু তুমি হ্যাঁ বললে কি ভেবে আমার জানা হয়নি’।

স্মিত হেসে মুনা বলল, ‘বিকজ আই ট্রাস্টেড ইউ!’

ফজরের আজান শোনা যায়, অনন্তকালের দুই বন্ধু একত্রে পথ চলার সংকল্পে উঠে দাঁড়ায়।



বিষয়: বিবিধ

৭০১৫ বার পঠিত, ১০২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

160355
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪৮
এক্টিভিষ্ট লিখেছেন : Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১৫
115044
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এই ব্লগে আমার প্রথম স্টিকি পোস্ট <:-P
অনেকদিন পর, আর এসেই ফার্স্ট! Angel
আপনি কি ফেসবুকে আছেন? আপনার সাথে কথা বলতে চাই, কারণ আপনি যেটাই লেখেন সেটাই স্টিকি হয়ে যায়। টেকনিকটা শিখতে হবে *-Happy *-Happy
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:২৩
115092
এক্টিভিষ্ট লিখেছেন : ধন্যবাদ। আমি তো শুরু থেকেই আছি এখানে। মাঝে মাঝে লিখি। এই ব্লগে এটি আপনার প্রথম ষ্টিকী পোষ্ট! ?? কথাটা মনে হয় ঠিক না,
এর আগেও আপনার অনেক ষ্টিকী পোষ্ট পড়েছিলাম এখানেই Angel
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:১৪
115119
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এস বি তে মাঝে মাঝে স্টিকি হত, এখানে এই প্রথম Happy আমার জানামতে
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৫
115128
এক্টিভিষ্ট লিখেছেন : এটি সম্ভবত আপনারেই কমেন্ট যেটা প্রমান করে, লেখা আগেও ষ্টীকী হয়েছিল। যাই হোক ভুলে গেছেন হয়তো Happy


০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৫
115133
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এটা কোনটা? Surprised
তখন দেখি খবরই পাইনি!Broken Heart এখনো তো মনে করতে পারছিনা :Thinking
160362
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:১৯
মাই নেম ইজ খান লিখেছেন : সুন্দর লেখা আগে লাইক দিয়ে এবং কমেন্ট করে তারপর পড়তে হয় ;Winking ;Winking
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০০
115021
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ওয়াউ দারুন টেকনিক Winking Winking
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১৬
115045
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor
160363
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২০
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২৯
114779
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এটা মুছে দিবেন। কম্প্লিট করার আগেই কিভাবে যেন চাপ পড়ে প্রকাশ হয়ে গেছেCrying
160365
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২৭
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার রোমান্টিক গল্প Thumbs Up Bee Star

ওরা গান গাইছে.....
'..........
ওই চাঁদ তোমার আমার,
শুধু দুজনের
এই রাত শুধু যে গানের
এই ক্ষণ এ দুটি প্রাণের
কুহু কুজনের.... Music Music Music'


০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৪৭
115012
ধ্রুব নীল লিখেছেন : ওরা গান গাইছে.....
Surprised
নাকি শুনছে?
গান গাইলে কানে হেডফোন কেন? Tongue
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১৯
115046
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপা ওদের গানের রেকর্ডিং শুনছেন, বোঝেন না কেন? Winking Tongue @ ধ্রুবনীল
@ ফাতিমা আপাঃ ভাল লাগার আবেশে আপনাকে গান গাওয়াতে পারাই আমার এই গল্পের সার্থকতা! Angel Love Struck Good Luck Good Luck
160373
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৪৪
আনিছ_পারভেজ লিখেছেন : সুন্দর লেখা উপহারের জন্য ধন্যবাদ।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:২০
115047
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাদের ভাল লাগায় আমি আনন্দিত Happy Good Luck Good Luck
160383
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২৩
বিদ্যালো১ লিখেছেন : onekdin por apnar likha porlam. shesh kora porjonto monojug dhore rakheche. nisshondehe onek valo likha onek valo lagiye gelo.
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
115080
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy Good Luck
160404
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:২৮
আফরোজা হাসান লিখেছেন : মাশা আল্লাহ! অনেক অনেক সুইট গল্প আপুনি। Love Struck আপনি গল্প কেন লিখেন না বলেন তো? Thinking? দাঁড়াও আরুকে লাগাচ্ছি আপনার পিছনে। Waiting আপনার মাথা খারাপ করে দেবে ঘ্যান ঘ্যান করে কিন্তু আমরা ঠিকই সুন্দর সুন্দর গল্প উপহার পাবো। Big Grin Bee
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১৩
114843
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : আজকে থেকেই শুরু আপুর মাথা এলোমেলো করা।Tongue
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৯
115027
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আরো লিখা গল্প চাই রেহনুমাপুর Happy Good Luck
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
115082
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : মাথা ঠিক থাকলেই লিখতে পারিনা, মাথা এলোমেলো হলে লিখব কি করে? Tongue Surprised
এই গল্পটা ঝুলে ছিল ছয়মাস। আরো দু'টো গল্প পাইপালাইনে আছে, কিন্তু সময় যে পাইনা Crying Crying
160413
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৮
ভিশু লিখেছেন : ওয়াও! অন্নেক ক্রিস্পি গল্প...Happy Chatterbox
ইন্নোসেন্টদেরকে আল্লাহ মেড-ফর-ইচ-আদারদেরই মিলিয়ে দেন! খুব ভাল্লাগ্লো সুন্দর-মিষ্টি গল্পটি... Good Luck Rose
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
115083
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : হুমম, ভাল কিছু পেতে হলে অপেক্ষা করতে হয় HappyGood Luck Good Luck
160424
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : ইশশ কি সুন্দর গল্প। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপু। Love Struck Love Struck Love Struck
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:১০
115030
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : বাহ নতুন কমেন্ট শিখলাম । কি ভাল্লাগ্লো আপু? Tongue
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
115085
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : @আরোহী - Happy Love Struck Love Struck
@আওন - ভাইরে, মাফ করা যায়না? Tongue
১০
160450
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৯
মিশেল ওবামা বলছি লিখেছেন : গল্পটা এত রোমান্টিক কি আর বলবো, পবিত্র রোমান্স। দারুন হয়েছে, আপু।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
115086
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ধন্যবাদ আপু Happy
আসলে আমি যা দেখাতে চাইছিলাম তা হোল প্রেম বিয়ের আগে হবার প্রয়োজন নেই, প্রেম ছাড়াও বিয়ে টিকতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস এবং সম্মান ছাড়া কিছুতেই টিকতে পারেনা। Love Struck Good Luck
১১
160479
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৪
সিকদারর লিখেছেন : দারুন!! যেমন কাহিনী, তেমন লেখার গাঁথুনি , সাবলীল ঝরনার জলের মত পরিবেশনা। পড়তে গিয়ে কোথাও হোচট খেতে হয়নি। অনেক বড় করে লিখেছেন তারপরও মনে হছ্ছে আরেকটু হলে ভাল হত। কি বলেন ঠিক বলিনি ?
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
115087
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাদের ভাল লাগাই আমার অনুপ্রেরণা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
১২
160484
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১১
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : এই না হলে আপুর গল্প...অসাধারণ। আসলেই দুইজনের মধ্যে বিশ্বাস না থাকলে দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়া যায় না। অনেক সময় সামান্য ভূল বুঝাবুঝির কারনে সংসার তচনচ হয়ে যায়................
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
115088
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আসলে আমি যা দেখাতে চাইছিলাম তা হোল প্রেম বিয়ের আগে হবার প্রয়োজন নেই, প্রেম ছাড়াও বিয়ে টিকতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস এবং সম্মান ছাড়া কিছুতেই টিকতে পারেনা। আপনি একমত প্রকাশ করায় ভাল লাগল Happy Good Luck Good Luck
১৩
160526
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:২৮
রাবেয়া রোশনি লিখেছেন : খুবই সুন্দর একটা গল্প আপুনি !
লিখেছেন অনেক চমৎকার মাশাআল্লাহ Thumbs Up

দুজনের মাঝে বন্ধুত্ব থাকার পর পর্দা মেইন্টেইন বিষয়টা ভালো লেগেছে খুব Love Struck Love Struck Happy






০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০৩
115089
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : তোমাদের ভাল লাগাই আমার অনুপ্রেরণা। Love Struck Love Struck
সুন্দর ফুলের জন্য ধন্যবাদ আপু Happy Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
১৪
160527
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:২৮
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আপু আপনার পোষ্টটি বেশ ভালো লাগলো। পোষ্টের নাম আমি দিলাম হঠাৎ বিয়ে Happy Happy Tongue
আপনার পোষ্টের কোন ছবি পছন্দ হলে কি কখনও শেয়ার করতে পারি?
হামাদ নামটি আমার অনেক পছন্দ।
আচ্ছা আপু এটা কি সম্ভব একটা মেয়ে একটা ছেলে বাস্তবিক বছরের পড় বছর ফ্রেন্ডশিপ করবে আর তাদের মনে শয়তান কখনও কুমন্ত্রণা দিবেনা?!
হঠাৎ বিয়েতে মিস্টি চাই।
আর আপনি এই পোষ্টটিকে পাতাপুর মত বিয়ে প্রতিযোগীতায় দেননিSad Crying Crying Crying Crying Sad Crying
স্টিকি পোষ্টের জন্য শুভেচ্ছা।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:২৩
115091
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পোস্টটি পড়ার এবং নামকরণ করার মত পছন্দ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। Happy
আমার বিয়ে সিরিজের প্রথম গল্পের নাম ছিল 'হঠাৎ বিয়ে'। তাই ওটা আর ব্যাবহার করতে পারলাম না। আচ্ছা, দু’টো গল্পের নাম এক হতে পারবেনা এমন কোন কথা আছে? :Thinking
এই ছবিটা আমার এক বোনের কাছ থেকে নেয়া, ওর নিজের তৈরী, চমৎকার না? ওর মনটা এর চেয়েও চমৎকার, কারণ সে এটা আমাকে নিতে দিয়েছে। ফেবুতে আমি বিশিষ্ট ছবি চোর হিসেবে বিশেষ আদৃত, আমার সব ভাইবোনের অ্যালবাম আমার জন্য উন্মুক্ত। এর পর আমি কি করে কাউকে বলি আমার ছবি নেয়া যাবেনা? Angel
আমার দুই ভাইয়ের নাম আহমাদ এবং মুহাম্মাদ, বুঝতেই পারছেন হামাদ নামটা আমার কতখানি পছন্দ। মুমতাহিনা নামটাও আমার খুব প্রিয়, তাই এত্ত লম্বা নামটা এতবার টাইপ করতে হোল। Yawn
আপনার যদি কারো সাথে সাক্ষাত হয় কেবলমাত্র বাবামা এবং ভাইবোনের উপস্থিতিতে এবং এর বাইরে আপনারা একান্তে মিলিত না হন, আপনি যদি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখেন এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় চান, আল্লাহ্‌ আপনার পথ ততখানিই সহজ করে দেবেন যতখানি শয়তান আপনার জন্য কঠিন করতে চায়। Praying Praying
গল্প লেখায় বিজয়ী হবার যোগ্যতা আমার নেই, তাই চেষ্টাও করছিনা। Happy
তবে স্টিকি পোস্টের শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম যেহেতু এটা এই ব্লগে আমার প্রথম স্টিকি পোস্ট। *-Happy
এই নিন মিষ্টি, আরবী মিষ্টি, আমার ফেভারেট, আসলেই মিষ্টি Love Struck


০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩০
115263
ধ্রুব নীল লিখেছেন : আচ্ছা আপু এটা কি সম্ভব একটা মেয়ে একটা ছেলে বাস্তবিক বছরের পড় বছর ফ্রেন্ডশিপ করবে আর তাদের মনে শয়তান কখনও কুমন্ত্রণা দিবেনা?!
:Thinking :Thinking
অনেকদিন লেখালেখি করিনা ভাইজান। দুয়া করবেন।
১৫
160543
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৫
উম্মু রাইশা লিখেছেন : গল্প ভাল লাগলেও নামটা ঠিক মনে হয়নি। জীবন পথের সাথী বলাটা আমার কাছে ঠিক। অনন্তের কথা কে বলতে পারে?
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:২৮
115093
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আল্লাহ্‌ বলেছেন যদি স্বামী স্ত্রী ভভয়ই জান্নাতে যায় তাহলে সেখানেও তারা একত্রে থাকবে। প্রতিটি মুসলিমের স্বপ্ন থাকে জান্নাতেও এই সম্পর্ক বজায় রাখা। তাই এই নামকরণ আপা। অনেক স্বপ্ন সত্যি হয়না, তাই বলে কি কেউ স্বপ্ন দেখা বন্ধ রাখে? Happy Love Struck Angel
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
115177
ইবনে হাসেম লিখেছেন : এবার নিশ্চয়ই মন্তব্যকারী তাঁর মন্তব্যটি সম্পর্কে ভাবিত হইবেন।:Thinking
১০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৮
115499
উম্মু রাইশা লিখেছেন : একটা কৌতুক মনে পড়েচিল। একজন হুজুর এক দম্পতিকে বলছিলেন বেহেশতে গেলে কয়জন হুর পাওয়া যাবে।ওয়াইফটি জানতে চাইলেন তা মেয়েরা বেহেশতে কি পাবে?
তারা তাদের স্বামীকে পাবে।
ওয়াইফটা হতাশ হয়ে বললেন,
সেখানেও সেই আবুলের বাপ।
১৬
160554
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৭
ফেরারী মন লিখেছেন : ফজরের আজান শোনা যায়, অনন্তকালের দুই বন্ধু একত্রে পথ চলার সংকল্পে উঠে দাঁড়ায়। Sad Sad Sad Sad
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩১
115095
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : কিসে মন খারাপ হোল আপা? Worried Worried Worried
১৭
160573
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:০০
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ভালো লাগলো। কারা গল্প লিখতে পারে জানা থাকলো। মাঝে মাঝে চাপ প্রয়োগ করা যাবে Happy Star Rose
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩২
115096
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমি পারিনা, এটা ঝুলে ছিল ছ'মাস Broken Heart
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:১৩
116695
ইশরাত জাহান রুবাইয়া লিখেছেন : আপনি পারেননা?Waiting Waiting @রেহনুমাপু

উনার খুব সুন্দর একটা গল্পের বই আছে। বইটার নাম "বিয়ে"Happy @বৃত্তের বাইরে আপু
১৮
160591
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩৮
সাদাচোখ লিখেছেন : সাধারন গল্প হলেও আসাধারন,এক নিঃশ্বাসে শেষ,তারপর কি?--------
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৩
115098
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : তারপর আশা করছি অনেক অনেক ছেলেমেয়ে নাতিনাতনি এবং ভবিষ্যত বংশধরদের হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ Angel Angel
১৯
160593
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৫
রুবেল আহমদ জুবের লিখেছেন : অসাধারণ ...................
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৫
115099
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : অনেকদিন পর এলেন, ভাল লাগল জেনে আমারও ভাল লাগল Happy Good Luck Good Luck
২০
160596
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০১
আলোর আভা লিখেছেন : আপু এইটা কি হল........আমরা তো মারা যাব।অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর গল্পের জন্য ।আরো বেশী বেশী এমন গল্প চাই আপু ।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৬
115100
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সবাইকে দিয়ে কি সব হয়? আপনার কাজ আমাকে দিয়ে হবেনা। লিখলাম আরকি একটা গল্প Tongue
২১
160626
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:৩৪
মুমতাহিনা তাজরি লিখেছেন : গল্পে মুমতাহিনা! ভালো লাগলো।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:০৯
115013
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : এটাকি আপনাকে নিয়ে লেখা?Love Struck Tongue ;Winking
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৬
115025
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আমার জালিবেত কই??? Time Out Time Out Time Out Frustrated হারিকেন বেত দিয়ে লাটিপেটা করতে হবে।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৯
115102
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : মুমতাহিনা নামটা আমার খুব প্রিয়, তাই এত্ত লম্বা নামটা এতবার টাইপ করতে হোল। Happy Good Luck Good Luck
২২
160627
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:৩৬
শেখের পোলা লিখেছেন : অনেক বছর পর নিখাদ একটি ভালবাসার গল্প পেয়ে চোখ ভিজেউঠল৷ একালের অতি বড় লেখকও এমন কাহিনী বানাতে পারবে বলে মনে হয়না৷ আপনার আরও অনেক লেখার মত এটাও মনে দাগ কেটে দিল৷ ধন্যবাদ৷
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪০
115103
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনার মন্তব্য পড়ে আমারও চোখ ভিজে গেল। দু’আ করবেন যেন ভাল কিছু লিখতে পারি Praying Praying Praying Praying
২৩
160641
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৪৮
ধ্রুব নীল লিখেছেন : চমৎকার রোমান্টিক গল্প। বরাবরের মতই আনুপ্রেরনার। Rose Rose
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৭
115026
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আপনি রোমান্টিক গল্প কবে লিখবেন??
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪২
115104
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আসলে আমি যা দেখাতে চাইছিলাম তা হোল প্রেম বিয়ের আগে হবার প্রয়োজন নেই, প্রেম ছাড়াও বিয়ে টিকতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস এবং সম্মান ছাড়া কিছুতেই টিকতে পারেনা। আপনাদের ভাল লাগায় আমি অনুপ্রাণিত Happy *-Happy Good Luck Good Luck Good Luck
২৪
160643
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:১৭
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : গল্পটা সুন্দর হলেও আমার তেমন ভালো লাগেনাই! মুনাকে মানষিকভাবে প্রস্তুতি নেয়ার সময় দেয়া উচিত ছিল! পরিক্ষা শেষেতো এমনেই ক্লান্ত হয়েপড়ে তার উপর আবার...... At Wits' End At Wits' End
এত তাড়াহুড়া করে কথা ফাইনাল হবার সাথেসাথেই হুট করে বিয়ে, একই দিনে! আমি বেশ অস্বস্তির মধ্যেই পড়েগিয়েছিলাম, এই অস্বস্তি নিয়েই পুরো গল্প শেষ করতে হলো Not Listening At Wits' End
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৪
115024
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : বুঝনা "হঠাৎ বিয়ে" Tongue
মুনা মুনা মুনা এই নাম বাদে কি আর কোন নাম নাই।
এই নাম দিয়ে তো হারিকেনদের পাগল করে দিবে Smug Smug
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৪
115116
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এই ব্যাপারে আমাদের স্কুলের প্রিন্সিপাল লেঃ কঃ জিয়াউদ্দীন বীরোত্তমের একটা কথা মনে পড়ল। তিনি বলতেন, আপনি বিশ বছর পরে বিয়ে করলে যাকে করবেন, আজ বিয়ে করলেও তাকেই করবেন যেহেতু আল্লাহ্‌ তাকেই আপনার জন্য নির্ধারন করে রেখেছেন। তাহলে শুধু শুধু বৌটাকে বুড়ি বানিয়ে লাভ কি? Rolling on the Floor Rolling on the Floor
আপনি কি শোনেননি, ‘Our sweetest songs are those that tell of saddest thought’? এমন করে বিয়ে হোল বলেই তো মুমতাহিনা নাতিনাতনিদের গল্প শোনাতে পারবে Day Dreaming Day Dreaming
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৬
115212
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : "হারিকেনদের" মানে তুমিও Tongue Tongue @রাহ'বার
২৫
160669
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২০
সাইদ লিখেছেন : অসাধারণ গল্প লেখেন আপা আপনি।এতো সুন্দর কল্পনা গুলো কিভাবে মাথায় আসে?
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৬
115117
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : কারণ আমি দেখাতে চাই, প্রেম বিয়ের আগে হবার প্রয়োজন নেই। প্রেম ছাড়াও বিয়ে টিকতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস এবং সম্মান ছাড়া কিছুতেই টিকতে পারেনা। Happy
আপনাদের ভাল লাগায় আমি অনুপ্রাণিত Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
২৬
160690
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
গোলাম মাওলা লিখেছেন : nice nice & matha jhim jhim korce
১০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৪
115328
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : মাথা ঘুরার ওষুধ দেব? Worried Worried
২৭
160692
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমার কথাটা তোমার মনের ভেতর ঢেউ তুলছে, তাই আমার হৃদয় শুধু বলছিল, ‘ট্রাস্ট মি, ট্রাস্ট মি, ট্রাস্ট মি’। কিন্তু তুমি হ্যাঁ বললে কি ভেবে আমার জানা হয়নি’।

স্মিত হেসে মুনা বলল, ‘বিকজ আই ট্রাস্টেড ইউ!’

ফজরের আজান শোনা যায়, অনন্তকালের দুই বন্ধু একত্রে পথ চলার সংকল্পে উঠে দাঁড়ায়।


আহা রোমান্টিকককক !! আফসোস, সবার কপালে এসব থাকেনা :( ...বড়ই চমৎকার...বড়ই উদাসী...বড়ই হতাশী.... Happy
১০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
115329
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : নিজেকে পবিত্র রাখুন সর্বোত্তম পুরষ্কারের প্রত্যাশায়, এর চেয়েও ভাল কিছু পাবেন ইনশা আল্লাহ Happy Angel Praying
২৮
160697
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১২
কথার কথা লিখেছেন : গল্পটি ভালো লাগলো।চালিয়ে গেলে ভালো কথাসাহিত্যিক হওয়ার চান্স আছে।গল্পটি যে মেসেজ দিচ্ছে সে বিষয়ে বর্তমানে আমরা গল্প পাইনা বললেই চলে।শিক্ষণীয় বিষয়টিকে গল্পাকারে উপস্থাপনে লেখিকা কৃতিত্বের দাবীদার।...বড় বেশী ট্রেডিশনাল মন্তব্য হয়ে গেল।চেষ্টা করলাম আরকি।
১০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৬
115330
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনার উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
২৯
160699
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১৪
গেরিলা লিখেছেন : আপনার অনেক গুলো ষ্টীকি হয় । আমার তো একটাও হয়না আপু, আমি লিখতেও পারি না
১০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৬
115331
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : লিখতে থাকুন, হঠাৎ আবিষ্কার করবেন লেখিকা হয়ে গিয়েছেন Happy
৩০
160714
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
রাইয়ান লিখেছেন : কি যে মিষ্টি একটা গল্প লিখলেন গো আপুমনি !
" তোমার আপন হাতের দোলে
দোলাও দোলাও দোলাও আমার হৃদয় ! "
..... এখনো দুলেই যাচ্ছি পরম আবেশে ! Music
১০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৭
115332
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ! আপনাদের ভাল লাগায় আমিও আপ্লুত হচ্ছি Happy Love Struck
৩১
160733
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৫২
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : "আটাশ রোজার ঈদ" আপনার স্টিকি পোষ্ট ছিলো। Thumbs Up Thumbs Up
১০০ % গ্যারান্টেড।
বাট প্রেম১/প্রেম ২ ছিলো কিনা মনে নাই।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৭
115213
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমারও তাই মনে হচ্ছে কাজিন Applause Applause রেহনুমাপু খাইছে ধরা Liar
১০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৮
115333
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : তাইত, তখন ধরা খেয়েছি যে পোস্টটা স্টিকি হোল আর আমি খবরই পেলাম না। আর এবার ধরা খেলাম প্রথম স্টিকি পোস্ট ভেবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে। ছাড়া কিভাবে পাই বলেন তো? :Thinking :Thinking
৩২
160782
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০২
ইবনে হাসেম লিখেছেন : অফিসে যাবার আগে মাত্র দশ মিনিট হাতে থাকতে গল্পটির উপর চোখ পড়লো। এদিকে গোসলও বাকি। কি করি? সিদ্ধান্ত নিলাম পড়েই ফেলি, পরে যা হবার হবে..।
মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা, তিনি যেন আপনার হাত ধরে আমাদের পতিত এই সমাজের জন্য এ ধরণের হাজারটি (আরো বেশী) শিক্ষামূলক ও মানসিক প্রশান্তিমূলক গল্প রচণা করিয়ে দেন। আমীন।
ভাইকে সালাম ও ছোট্টমনিদের জন্য দোয়া রইল। খুব আনপ্রেডিক্টেবল একটি ছুটি কাটিয়ে গতকাল দেশ হতে ফিরলাম। দোয়াপ্রার্থী।
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৪৭
115561
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এমন সংকটময় অবস্থায় আমার গল্পটিকে প্রাধান্য দিয়ে আমাকে সম্মানিত করার জন্য আপনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। দু’আ করবেন যেন আল্লাহ্‌ আমার মেধা এবং সময়ে বারাকাহ দেন। আপনার বঙ্গভ্রমনের বৃত্তান্ত পড়া অপেক্ষায় রইলাম। ভাবী এবং কন্যারা ভাল আছে তো? আসসালামু আলাইকুম Happy Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
৩৩
160794
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৮
নিমু মাহবুব লিখেছেন : very very well written. To read this completely I waited two hours after my office where Wi fi is available. bcoz there is no internet connection in my home for two days.
Matter of sorrow that I have no such type of companion !!!!!!! so.....
......
.......
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৫০
115562
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Subhanallah! I am so honoured that you went through so much trouble to read the story! Please wait and pray, Allah will give you a reward better than anything you might expect insha Allah HappyPraying Praying Praying
৩৪
160803
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৪
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : বোন আমি আপনার সবগুলো লেখা পড়ার চেষ্টা করি। আজও পড়লাম।
এক কথায় চমৎকার হয়েছে। আমার ভাল লেগেছে। একটি বিষয় বলা প্রয়োজন -
ইসলামী শরীয়াতে যুবক যুবতী মধ্যে বন্ধুত্ব বলে যে বিষয়টা এটা মোটেই সঠিক নয়। বিষয়টা আমাদেরকে খুবই সিরিয়াস ভাবে নেয়া প্রয়োজন। বন্ধুত্ব আবার ভালবাসা আবার প্রেম, আবার বিয়ে এসবগুলো নিয়ে আরো চিন্তা করা প্রয়োজন। আমি মনে করি যুবক যুবতীর মধ্যে বন্ধুত্ব শব্দটা পরহেজ করা প্রয়োজন। আপনি কি মনে করেন।
৩৫
160851
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪৫
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : মাশাআল্লাহ্!
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৫১
115563
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy Good Luck Good Luck Good Luck
৩৬
160886
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩৮
তারাচাঁদ লিখেছেন : কেমন করে শুরু করব, বুঝতে পারছি না । মনের মাঝে অনেক কথাই আকুলিবিকুলী করছে ।
কবিতা এবং গানের ক্ষেত্রে কিছু ইসলামী সাহিত্য রচিত হলেও গল্পে এবং উপন্যাসে ইসলামী সাহিত্য তেমন রচিত হয়নি বললেই চলে । কবি গোলাম মোস্তফার কথা (জন্ম ১৮৯৭ খ্রী., প্রকৃতপক্ষে ১৮৯৫ ) দিয়েই শুরু করি । তিনি তার আত্মজীবনীতে খুব আক্ষেপ করে লিখেছেন, 'আমাদের যখন জন্ম, তখন মুসলমানদের জাতীয় সাহিত্য বলতে কিছুই ছিল না । তাই মুসলমানদের পড়তে হত হিন্দুদের দেব-দেবীদের কাহিনী নির্ভর নানা গল্প আর উপখ্যান' ।
অবশ্য সেই প্রজন্মের হাতেই মুসলিম সাহিত্যের ভিত গড়ে উঠে । মুসলিম সাহিত্য বেগ পায় মওলানা আকরম খাঁ-য়ের মাসিক মোহাম্মদী, এবং পরে তারই প্রতিষ্ঠিত দৈনিক আজাদের উপর ভর করে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, দৈনিক আজাদের প্রকাশ এবং শেষে ১৯৪০ সালে লাহোরে পাকিস্তান প্রস্তাব পাশ, এই তিনের পর জোরে শোরে মুসলিম সাহিত্য ( এর মধ্যে কবিতাই প্রধান ) রচনা শুরু হয় । বলা যায়, তখন মুসলিমগণ পড়ার জন্য নিজেদের রচিত সাহিত্যই খুঁজে পায় । কিন্তু গল্প আর উপন্যাসের ক্ষেত্রে মুসলমানদের দৈন্য কিছুটা রয়েই গিয়েছিল । গত শতকের আট এবং নয়ের শতকে নসীম হিজাজীর (বাংলায় অনুদিত ) উপন্যাস, শফিউদ্দিন সরদারের লেখা উপন্যাস অর্ধচেতন মুসলমাদের মধ্যে সম্বিত ফিরিয়ে আনে । এদের দেখাদেখি শাহ আলম নূর এবং আবদুল সালাম মিতুল কিছু উপন্যাস লেখার চেষ্টা করেন । দুজনের উপন্যসই বেশ নিম্নমানের । তা সত্ত্বেও বছর দু'য়েক ইসলামপন্থী তরুণ-তরুণি তাদের দুনের লেখা উপন্যাস গোগ্রআসে গলাধকরণ করে । আ.সা.মিতুলের লেখা 'বোরখা পড়া সেই মেয়েটি একটি মানহীন তৃতীয় শ্রেণীর উপন্যাস হিসাবে পরিগণিত হতে পরে । বোরখা পরিয়ে পর্দা লংঘন করা এবং প্রেম করানোর দীক্ষা খুব ভালভাবেই দেয় সেই 'অপন্যাস'গুলো । একই সময়ে প্রকাশিত আল মাহমুদের কাবিলের বোন বেশ জনপ্রিয়তা পায় । উপন্যাস হিসাবে এর মান ভাল, কিন্তু এটাকে বড়জোড় মুসলিম উপন্যাস বলা যায় । কিন্তু ইসলামপন্থী তরুণ তরুণীদের পাঠের খোরাক দেবার মত তেমন কোন উপন্যাস আমি দেখিনি । সমসাময়িক সময়ে মুসলিম এবং হিন্দুদের বিশাল জনগোষ্ঠী ঝুঁকে পড়ে সুনীল- শংকর-সমরেশের উপন্যাসের দিকে । এই সেক্যুলার এবং ইসলামবিরোধী উপন্যাসগুলো যুবকযুবতীদের মনে বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, নৈতিকতাহীনতা, ইসলাম সম্বন্ধে বিরূপ ধারণা অনুপ্রবেশ করায় খুব সুক্ষভাবে । হুমায়ুন-মিলনের উপন্যাস তো কোনদিনই নীতিনৈতিকতার খোরাক দেয়নি । অর্থাৎ গত শতাব্দী পর্যন্ত তেমন কোন ইসলামী সাহিত্য (আমি মূলত গল্প এবং উপন্যাসের কথা বলছি ) রচিত হয়নি ।
এমনি সময়ে আপনার এই গল্প আমার মধ্যে বেশ কৌতুহল সৃষ্টি করেছে । অবিবাহিত একজন যুবক যুবতীর সম্পর্ক কী হতে পারে, এবং হঠাৎ বিয়ের পর একে কীভাবে অপরকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারে, তা আপনি চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । বাড়ী-গাড়ী-টাকা-পয়সার চাওয়া পাওয়া নেই, রং-রূপের প্রতি কৃত্রিম আকর্ষণ নেই, শুধু ভাল মানুষ খুঁজে পাওয়ার আকুতি দেখেছি দুই পরিবারের মধ্যে ।
আপনার গল্প দুই তরুণ-তরুণীকে দ্বীনি সীমার মধ্যে থাকার শিক্ষা দেয় । নিঃসন্দেহে এটি একটি ইসলামী সাহিত্য । আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনার হাতে কলমে বরকত দান করুন ।
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৫২
115564
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমীন Praying Praying Praying
৩৭
160888
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৭
তারাচাঁদ লিখেছেন : মুসলিমদের রচিত হলেই কোন সাহিত্যকে ইসলামী সাহিত্য বলা যাবে না, ঠিক তেমনি অমুসলিম দ্বারা রচিত হলেই কোন সাহিত্যকে ইসলামবিরোধী সাহিত্য বলা যাবে না । অনেক মুসলিম রচিত গল্প কবিতা উপন্যাস এমন আছে, যা পড়লে ওজু তো ছুটবেই, ঈমান আমলও নড়ে উঠবে । আবার অনেক অমুসলিমের সাহিত্য এমন আছে, যেগুলোকে একেবারে ইসলামী সাহিত্যের বাইরে ফেলে দেয়া যায় না । রবিঠাকুর এবং বিভূতিভূষণের গল্প উপন্যাস, লিও টলস্টয়ের গল্প উপন্যাস--এগুলোকে ইসলাম মোটেও খারিজ করে দেয় না ।
যে সাহিত্য আল্লাহর প্রতি ভয় এবং ভালবাসা বাড়ায়, জীবনের মূল লক্ষের দিকে আকৃষ্ট করে, সৎকাজের দিকে আহবান করে অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখে তা-ই ইসলামি সাহিত্য ।
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৫৮
115567
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনার মন্তব্য এবং বিশ্লেষণ সবসময়ই আমাকে অনুপ্রানিত করে এবং আমরা সবাই এতে চিন্তার খোরাক পাই। আপনার মন্তব্যে যে অনুপ্রেরণা পেলাম তার জন্য আল্লাহ্‌ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন, যদিও জানিনা আমি শুধু অনুপ্রেরণা নিয়ে কতটুকু এগোতে পারব- জ্ঞান এবং মেধার অভাব তো আছেই, সময়ও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দু’আ করবেন যেন আল্লাহ্‌ আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দেন, মেধা বর্ধিত করে দেন এবং সময়কে আমার জন্য প্রশস্ত করে দেন।
৩৮
160939
১০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:১০
মাহমুদ১২১৩ লিখেছেন : রেহনুমাপু আপনার লেখা পড়তেছি অনেক দিন পরে।আপনার তো সব লেখাই অসাধারন। আপু গত এক-দুই বছর আগে বই মেলায় আপনার বই বেরিয়েছিল বোধ হয়। ওই টা এখন পাওয়া যাবে কিভাবে ?? অনুরোধ রইল নিয়মিত লিখবেন।। Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০২
115568
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ইনি আমার বইয়ের প্রকাশক, এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন প্লিজঃ 01740-192411 Good Luck Good Luck
৩৯
162241
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২১
আমি আমার লিখেছেন : Rose Rose Rose Rose Rose
৪০
162415
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:১৬
ইশরাত জাহান রুবাইয়া লিখেছেন : আপুনি, ভালো লাগলো আপনার গল্পটি। Love Struck Love Struck

"ট্রাস্ট মি, ট্রাস্ট মি, ট্রাস্ট মি" Bee Bee Tongue Tongue
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১৬
121116
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy Love Struck Love Struck Good Luck Good Luck
৪১
162673
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:০০
চেয়ারম্যান লিখেছেন : ওহ ভেরি ছুইট
আচ্ছা আপা কিছু মনে না করলে এই লাইনটার ব্যাখ্যা চাচ্ছি। মানে বুঝি নাই Worried
পেটের ভেতর প্রজাপতি ওড়ে মুমতাহিনার
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১৬
121117
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : নার্ভাস হবার অনুভূতি Happy
৪২
167113
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৩৯
আলোকিত ভোর লিখেছেন : অসাধারণ গল্প Rose
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:০০
121115
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পড়ার এবং উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck
৪৩
168309
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:৪৭
সাদাচোখে লিখেছেন : মনে হলো ছোটবেলায় দেখা সাদাকালো কোন এক সিনেমার একটা পার্ট দেখতে না দেখতেই 'কারেন্ট নেই' হয়ে গেল।

না পারছি এখন টিভির সামনে থেকে উঠতে, আর না পারছি গল্পটার 'বুঝিবা শেষ' না হবার অতৃপ্তি প্রকাশ করতে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File