লক্ষাধিক আলেম স্বাক্ষরিত ফতোয়া
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ২৪ জুন, ২০১৬, ০৭:২১:১৭ সকাল
কি আছে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ সাহেবের উদ্যোগে লক্ষাধিক আলেমের স্বাক্ষরিত ফতোয়ায় । নীচে দেখুন -
ফতোয়ায় স্বাক্ষরের জন্য ১০টি প্রশ্নের জবাবে ওলামায়ে কেরাম তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। একমত পোষণ করে ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেন। সন্ত্রাস ঠেকাতে কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন বক্তব্যের আলোকেই ফতোয়াগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ।
প্রশ্ন ছিল- শান্তির ধর্ম ইসলাম কি সন্ত্রাস ও আতঙ্কবাদের কর্মকান্ডকে সমর্থন করে? নবী ও রাসূল বিশেষ করে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসলাম কায়েম করার পথ কি হিংস্রতা ও বর্বর নির্মমতার অবস্থান ছিল? ইসলামে জিহাদ ও সন্ত্রাস কি একই বিষয়? জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের পথ কি বেহেশতের পথ না জাহান্নামের পথ? আত্মঘাতী মৃত্যু কি শহীদী মৃত্যু বলে গণ্য হবে? আত্মহত্যা ও আত্মঘাতের বিষয়ে ইসলামের মত কী? গণহত্যা কি ইসলামে বৈধ? শিশু, নারী, বৃদ্ধ নির্বিচারে হত্যা কি ইসলাম সমর্থন করে? ইবাদতরত মানুষ হত্যা করা কি ধরনের অপরাধ। এ ধরনের সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা ইসলামের দৃষ্টিতে কর্তব্য কি না? সবশেষে আছে- গির্জা, মন্দির, প্যাগোডা ইত্যাদি অমুসলিম উপাসনালয়ে হামলা যায়েজ কি না?
ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এই ফতোয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় । মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, বিশাল এ কাজ করতে গিয়ে কিছু কিছু সমস্যার সম্মুখীন যে হতে হয়নি তা নয়। তিন শ্রেণী থেকে আমাদের বাধাগ্রস্ত হতে হয়েছে। জামায়াত, শিবির ও জঙ্গীবাদী গোষ্ঠী আমরা জেহাদের বিরুদ্ধে কাজ করছি এই অপবাদ তুলে ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমসমূহে এরা নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে। আরেক দল এমন যারা বিষয়টি সমর্থন করেছে কিন্তু জঙ্গীবাদের হামলার শিকার হওয়ার আতঙ্কে দস্তখত করতে চাননি। আর এই আতঙ্ক তারা প্রচার করেছেন। আরেক শ্রেণী হলো হিংসুকদের। আল্লাহ পাক মেহেরবানী করে সব বাধা কাটিয়ে কাজটি অগ্রসর করে দিয়েছেন।
এক লাখ মুফতি, ওলামা, আইম্মার দস্তখত সংবলিত সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী মানবকল্যাণে শান্তির ফতোয়ার সমর্থনে ঢাকা বিভাগে ২৮ হাজার ৫৬, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ হাজার ৬৮১, খুলনা বিভাগে ১৪ হাজার ২৫০, রংপুর বিভাগে নয় হাজার ৭৭০, ময়মনসিংহ বিভাগে আট হাজার ৮৯২, রাজশাহী বিভাগে দুই হাজার ২০০, বরিশাল বিভাগে এক হাজার ৪৫০ এবং সিলেট বিভাগে ১৬ হাজার ২২৫-সহ মোট এক লাখ ১৫২৪টি স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়েছে।
এই ফতোয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন, ইসলামি ঐক্য জোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ । তিনি বলেন, দরবারী আলেম দিয়ে লক্ষ আলেমের ফতোয়ার নামে ডান বাম হাতের স্বাক্ষর করে ফতোয়ার যে গুরুত্ব নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। শাহবাগী আলেমের ফতোয়ার আয়োজনের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা নেই।
তিনি বলেন, ফতোয়া দিতে হলে লক্ষ আলেমের দরকার নেই মুফতি সাহেবের সনদ থাকতে হবে । জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ ইসলামে হারাম ও নিষিদ্ধ, তাই জঙ্গীবাদ অবৈধ এর জন্য ফতোয়ার দরকার হয় না।
চট্টগ্রাম মহানগর ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত রাজনৈতিক সাংবাদিক, বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি ফয়জুল্লাহ আরও বলেন, ইনসাফ ও ন্যায়-বিচার বলতে কিছুই নেই, সাধারণ মানুষের কোন অধিকারের কথা, সরকারের দায়িত্বে থাকা কেউ চিন্তা করে না। মানুষ বিচার বিভাগে গিয়ে ন্যায় বিচারের আশা করলেও তা সহজে পাচ্ছে না। দেশে গণতন্ত্রের নামে লাটিতন্ত্র চলছে। পুলিশ ঘুষ বাণিজ্যে লিপ্ত। সাধারণ মানুষকে বিনা অপরাধে তুলে এনে টাকার বিনিময়ে ছাড় দিচ্ছে, না হলে জেল হাজতে প্রেরণ করে দিচ্ছে।
http://www.bd-desh.net/newsdetail/detail/200/223084
পর্যবেক্ষন - মুফতি ফয়জুল্লাহ সাহেব হয়তবা মাসউদ সাহেবকে স্মরন করিয়ে দিতে চেয়েছেন, যাদের জন্য এত কষ্ট করে এই ফতোয়া বানানো হচ্ছে তাদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ফতোয়া নেই কেন ? পুলিশের নির্যাতন, গ্রেফতার বানিজ্য ও ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে ফতোয়া নেই কেন ?
বিষয়: বিবিধ
১৫৮১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রাসূল (সাঃ) কে মুনাফিকদের জানাজা পড়তে নিষেধ করেছেন আল্লাহ ।
থাবা বাবার মত মুসলমান নামধারী একজন কট্টর ইসলামবিদ্বেষী ও আল্লাহদ্রোহীর জানাজা পড়া ইসলাম সমর্থন করে কি না ?
আমরা এমনই মুসলমান যে এরকম একজন মাওলানা থেকে ফতোয়া আসতেছে
মন্তব্য করতে লগইন করুন