আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতি (ফলো আপ)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ২৩ এপ্রিল, ২০১৫, ০৬:১২:৩৯ সকাল
আজকের প্রায় সবগুলো বাংলা দৈনিক ডাকাতির ঘটনার ফলো আপ নিউজ করেছে ।
দৈনিক জনকন্ঠ খবরটির হেড লাইন করেছে 'আশুলিয়া ব্যাংক ডাকাতি জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পিত' ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছেন । সবাই সন্ধেহ করছেন 'এটা নিছক কোন ডাকাতির ঘটনা নয়' । নাশকতা ও জনমনে ভয় ভীতি সঞ্চারের জন্য ঘটানো হয়েছে।
ঢাকা রেন্জের ডিআইজি নূরুজ্জামানের বরাতে তারা নিউজ করেছে, 'আমরা ইতোমধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছি। তার নাম বোরহান মৃধা। সে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার বাসিন্দা। বোরহান শিবিরের কর্মী। তার গোটা পরিবারই শিবিরের । যারা বাংলাদেশের পতাকা, মানচিত্র মানে না, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ কিংবা জিহাদ ঘোষণা করেছে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া লুণ্ঠিত টাকা, বেশ কিছু জিহাদী বই ও ডাকাতির ঘটনার ব্যবহৃত একটি ছোরা প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর করেছে, 'আটক বোরহান উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের কিছু জিহাদি বই জব্দ করে পুলিশ। বোরহান জামায়াত-শিবিরের একজন সক্রিয় কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
মানব জমিন নিউজ করেছে, ' বোরহান একজন কোরানে হাফেজ । তার বাবা হাজী আবুল কালাম মৃধাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকালে আশুলিয়া থানা পুলিশ ডাকাত বোরহানকে সঙ্গে নিয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা এলাকায় রমজান আলী শ্রমিক কলোনিতে অভিযান চালায়। ওই কলোনির একটি কক্ষে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন বোরহান। ওই বাসা থেকে বেশ কিছু জিহাদি বই উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আমাদের কালিয়াকৈর প্রতিনিধি জানান, বোরহান রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় ফিরত আর সকালে চলে যেত। তার গতিবিধি সবসময়ই সন্দেহজনক ছিল। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কম মেলামেশা করতো। তার চারটি পিকআপ, একটি ট্রাক ও একটি নীল রঙ্গের ডিসকভার মোটরসাইকেল ছিল। ট্রাকস্ট্যান্ডের ড্রাইভার শাহাবুদ্দিন জানান, প্রতি মাসেই তার গাড়ির ড্রাইভার পরিবর্তন করত। কোন পিকআপ মালিক সমিতির সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না। আলাদা স্থানেই তার গাড়িগুলো রাখত।
কোন পত্রিকা থেকে যদিও বোরহানের পড়াশুনা বা শিবিরের কোন এলাকার কর্মী তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি । এক পত্রিকা লিখেছে গ্রামের বাড়ী থেকে, আরেকটি লিখেছে গাজীপুরের চন্দ্রার বাসা থেকে জিহাদি বই উদ্ধার করেছে ।
গতকাল একটি পত্রিকার রিপোর্ট নিয়ে ব্যংগ করেছিলাম ! কিন্তু আসল ঘটনা অনেক ভয়াবহ !! জিহাদি বই নামক পুলিশের অস্রটি দেখা যাচ্ছে মিডিয়ার কল্যানে এখনো সক্রিয় ।
অনেকে হয়ত বর্ষবরনের বর্বরতা আড়াল করতে সরকারী ফন্দী খুঁজে পাবেন ! অনেকে আবার ট্রাইবুনালের স্বাক্ষী আমেনা বেগম বা মোহন মুন্সীর মিল খুঁজে পাবেন বোরহানের সাথে । অনেকে হয়ত বলবেন, সরকার এতই যখন বলে জংগী দমন করতে পেরেছে ! তাহলে এত আধুনিক অস্র নিয়ে জংগীরা এখন কিভাবে সক্রিয় ! কিভাবেই সেনাবাহিনিতে ব্যবহায্য সরন্জামাদি জংগীদের হাতে যাচ্ছে ! তা কি কোন গোয়েন্দা বাহিনির ভয়ানক পরিকল্পনা ।
বিষয়: বিবিধ
১৩০০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শিবির সেনা করলো শেষ
যাক ! করিৎকর্মা পুলিশের মিশন কোথায় গিয়ে শেষ হয় দেখা যাক !!
মন্তব্য করতে লগইন করুন