আজকের পশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত !!! বর্ষবরন যেন বস্রহরনেরই নামান্তর !!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ১৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:৪০:২৮ সকাল
শিরোনামে পশু শব্দের ব্যবহার আমার একান্ত নিজস্ব নয় । শাহবাগী আস্তানার অগ্নিকন্যা খ্যাত লাকি গতকাল ফেবুতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, যেখানে উনি পশু, শকুন, কুকুরের বাচ্চা ইত্যাদি বলে তিরষ্কার করেছিলেন, আজকে ঢাবির সাবেক জনাদু'য়েক ছাত্রের প্রতিবাদী লেখায় দেখলাম জানোয়ার, হায়েনা, শুয়রের বাচ্চা ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষায়িত করতে । যাগগে সেসব কথা !!
বলছিলাম ! যে শিক্ষাংগনের ছাত্রাবাসে নামাজ পড়ার অপরাধে কিছুদিন আগেও ক'জন ছাত্রীকে হেনস্তা করে বের করে দেয়া হল । যেখানে কারো পড়ার টেবিলে কোরআন পাওয়া গেলে বা নিয়মিত কেউ নামাজ পড়লে পিটিয়ে কোন একটি বিশেষ দলের সাথে জড়িত বা মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে বের করে দেয়া হয়, সেই ক্যাম্পাসগুলোত পশুদের অভয়ারণ্য হতে বাধ্য ।
তাতেও হয়ত দুঃখ পাবার কিছু থাকতনা । কিন্তু উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত দোপায়া পশুগুলো এইকোটা-সেইকোটার সূযোগ নিয়ে দেশের প্রশাসন, বিচারক, শিক্ষকসহ জনপ্রতিনিধি হিসেবে আইন প্রনেতা ও সরকারের অংশ হিসেবে মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বও পাচ্ছে ও পাবে । একবার ভাবুনতো এই পশুগুলো কোন শিক্ষাংগনের শিক্ষক হলে তার মধ্যে পরিমলের পশু চরিত্র জেগে উঠবেনা । দেশ ও জাতিকে কি দেবে এরা ? শুধু চেতনা ধুয়ে কি পানি খাবে দেশের মানুষ ?
কিন্তু এরা অধরা ! পুলিসের বাপেরো সাধ্য নেই এদের আটকে রাখে ! জনাপাঁচেক পশুকে লিটন নন্দীরা ধরে পুলিসে দিলেও তারা ছেড়ে দিয়েছে । কারন একদিকে ওরা পুলিসের মাসতুতো ভাই, অন্যদিকে ভাইকে বিপদে ফেললে যে নিজেদের চাকুরীর রশিতেও টান পড়বে !!
শিক্ষাংগন নামক অভয়াস্রমের পশুদের কাজ যেন ধর্ম-কর্ম করা ছাত্রদের মেরে হাড্ডিগুড়া করে পুলিসে দেয়া, পুলিসের কাজ তাদেরকে ক্রসফায়ারে দেয়া, মিডিয়ার কাজ অমুক দলের সন্ধেহে গনপিটুনি দিয়ে পুলিসে সোপর্দ বা পুলিসের উপর হামলা করতে গিয়ে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত টাইপের খবর পরিবেশন করা, শুশীল বাবুদের কাজ চেতনাধারী পশুগুলোর পক্ষ নিয়ে ধর্মান্ধ গালি দিয়ে অন্যদের উপর অভিজিতদের হত্যার দায় চাপানো !!!
হুঁশ ফিরে আসুক এ জাতির ।
বিষয়: বিবিধ
১০৫৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন