বন্দীশালায় মাওলানা সাঈদী, এবার শেষ প্রস্তুতির পালা !!

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ০৫ মার্চ, ২০১৩, ০৭:২৪:২৯ সকাল

বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ঘুর ঘুরে ইসলামের মহান বানী প্রচার করতে থাকা মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী আজ হত্যা, ধর্ষন, লুট-পাট ইত্যাদির অপবাদ মাথায় নিয়ে ফাঁসিরকক্ষে দিনাতিপাত করছেন । তাকে সার্বক্ষনিক মনিটরিংয়ের জন্য ক্লোজড সার্কিট ক্যামেয়ার চোখ রাখা হচ্ছে । এমন পর্যায়ের খাবার দেয়া হচ্ছে যা কোন একজন সাংঘাতিক অপরাধীকে বাচার জন্য করুনা করে দেয়া হয় মাত্র ।

উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ এর বিরুদ্ধে জেনার অপবাদ আনা হলে মহান আল্লাহই তার নিষ্কলুষতার সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন, সাথে কোন সতী নারী/ চরিত্রবান পুরুষের উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপকারীদের জন্য কঠোর শাস্তির আদেশ দিয়েছিলেন । মাওলানা সাঈদীর জন্যতো এখন আর ওহি এসে তার নিষ্কলুষতা প্রমান করার সূযোগ নেই কারন নবী সাঃ জীবিত নেই । কিন্তু মহান আল্লাহ ওহি না পাঠালেও বিভিন্নভাবে সাঈদির চরিত্রের নিষ্কলুষতা প্রমান করে দিয়েছেন ।

স্কাইপি সংলাপের মাধ্যমে যেসব তথ্য মানুষ জেনেছে, তাতে মুনাফিক আবদুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের উত্তরসূরীরাই কেবল এখন লম্ফজম্প করছে । বিশাবালীর ভাই সুখরন্জন বালীকে দিয়ে মহান আল্লাহ মাওলানা সাঈদীর পক্ষে স্বাক্ষ্য দাড় করিয়েছেন । পিরোজপুরের মুক্তিবাহিনির কমান্ডার এসেও স্ব-ইচ্ছায় মিডিয়ার সামনে সাঈদির পক্ষে স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন, যারা রাজনৈতিকভাবে সাঈদির বিরোধী মতের । আর কি কি হলে সাঈদীর নিষ্কলুষতা প্রমান করা যাবে ?

মাওলানা সাঈদীর আইনজীবিরাও বাদী ও বাদীর পক্ষের স্বাক্ষীদের মিথ্যা স্বাক্ষ্য প্রমান করে দিয়েছেন । সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্হা সাঈদীকে দোষী প্রমান করতে পারলে ভক্তরা অবশ্যই মেনে নিত । কারন ইসলামই শিখিয়েছে দোষীদের শাস্তি দিতে । জালিমদের কাছে ন্যায় বিচারের আশা না থাকলেও সাঈদী ভক্তরা বহুদিন সময় দিয়েছেন আদালতকে। কিন্তু সব জায়গায় মুনাফিক উবাই ও জায়েদ বিন রিফা'আহর মত লোকেরা বসে থাকলে ন্যায় বিচার কিভাবে আসবে ??

সাঈদীর ফাঁসির রায়ের আদেশ দেয়ার পরপরই জালিমেরা দেখল তৌহিদি জনতা কি করতে পারে । খালি হাতে বন্ধুকের নলের সামনে বুক চিতিয়ে কারা দাড়াতে পারে ! সুতরাং সামনে আপিল হবে, তারপরও যদি অন্যায় রায়ের পক্ষে আদালতের অবস্হান হয়, তাহলে দেশে কি অবস্হা হতে পারে জালিমদের বুঝা উচিত । আল্লাহ বন্ধুকের নল তাদের দিকে ঘুরিয়ে দেয়ারও ক্ষমতা অবশ্যই রাখেন নিঃসন্ধেহে, এ কথাটা যেন জালিমদের বুঝে আসে । আর খালি হাতে মাঠে নামার চেয়ে এসময়টুকু ভালরকম প্রস্তুতিও নেয়া দরকার । মক্কা, তায়েফে মার খেলেও রাসুলুল্লাহ সাঃ বদর, ওহুদে অস্র নিয়েই লড়াই করেছিলেন, একথাটাও যেন তৌহিদি জনতার বুঝে আসে ।

সাথে বেশী বেশী তাহাজ্জুত পড়ে, রোজা রেখে নিজেদের ঈমানটাও আরো মজবুত করে নিলেই ভাল । আল্লাহ আমাদের হক বুঝার তৌফিক দিন ।

বিষয়: বিবিধ

১১৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File