এমুহুর্তে ক্ষমতায় থাকার একমাত্র ট্রাম্পকার্ড !!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:৫৭:৫৬ সকাল
মুক্তিযুদ্ধ ও তার কথিত চেতনার মাঝে যে আকাশ-পাতাল বা যোজন-যোজন ফারাক তা বুঝার জন্য ইদানিংকার মুক্তিযুদ্ধের সর্ব উপ-অধিনায়ককে পাকিস্তানের এজেন্ট বলার মাঝেই আমরা দেখতে পাই । অথবা সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানকেও পাকিস্তানি আর্মির গুপ্তচর বা মেজর জলিলের গ্রেফতারের মাঝে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই ।প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান গনতন্ত্রের জন্য পাকিস্তানিদের সাথে লড়াই করে মুক্ত ও স্বাধীন বাংলাদেশে যখন বাকশাল কায়েম করে ছাড়লেন সেটাও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল।আর দূর্ভাগ্যজনকভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ন বিপরীত চেতনা মানে একদলীয় শাসন ব্যবস্হাই হয়ে গেল বর্তমানের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র চেতনা ।
শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শের অনুসারীরা বাকশাল নামে হোক বা অন্য যে কোন নামেই হোক আজীবন ক্ষমতায় থাকাই তাদের কাম্য । আর এ পথে যাকেই বাধা মনে করবে তাকেই স্বাধীনতা বিরোধী বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করবে । এটাই এখন বাস্তবতা !
জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা ক্ষমতাসীনদের মসনদে উঠার বলি হয়েছিলেন । শাসকগোষ্টির খুব দরকার ছিল নিজেদেরকে চেতনাধারী হিসেবে পরিচিত করার ।কাদের মোল্লাকে কসাই কাদের বানিয়ে আদালতের কালো রায়ে হত্যা
করা হল । অতপর চেতনাধারীরা চিৎকার শুরু করল, চেতনাধারী আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় না আসলে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল হবে । সুতরাং যেভাবেই হোক তা ভোট ডাকাতি বা ক্যু করে হলেও । হয়েছেও তাই ।
এখন অবৈধভাবে ক্ষমতা আরোহনকে বৈধ করার প্রক্রিয়ায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে আরো কিছু মানুষকে বলি দিতে হবে । তবেই বংশবদ মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারনা চালিয়ে নিজেদেরকে খাটি চেতনাধারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একমাত্র ধারক বাহক হিসেবে পরিচিত করা যাবে এবং ক্ষমতার মসনদে আরোহনের যৌক্তিকতা যে একমাত্র তাদেরই তা প্রচার করা যাবে ।যারাই এখন কথা বলবে তাদেরকেই যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের কথা বলে ঠেংগানি দেয়া যাবে !
সুতরাং জামাতের আরো কিছু মানুষকে তাদের রবের সামনে হাজিরা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে ।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার সাথে আমিও একমত! গায়ের জোড়েই ক্ষমতা আকড়ে এ সব কিছু করছে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন