মসজিদুল হারামে হামলা চালালেও কি ইসরাইলের বিরুদ্ধে মিছিল করা হারাম !!!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ০৭ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:৪৯:২৫ সকাল
ঐতিহাসিকভাবে যতদূর জানা যায় হযরত ইব্রাহিম আঃ ক্বাবাঘর পূর্ননির্মানের বছর চল্লিশেক পর হযরত ইয়াকুব আঃ মসজিদুল আকসা নির্মান করেন ও পরবর্তীতে হযরত সুলায়মান আঃ পূর্ননির্মান করেন । নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উপর ক্বিবলা পরিবর্তনের আয়াত সম্বলিত কোরানের বানী নাযিল হবার আগ পর্যন্ত মসজিদুল আকসাই ছিল মুসলমানদের ক্বিবলা ।
ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্টা পাবার পর থেকে ধীরে ধীরে দখলদার ইয়াহুদিগোষ্টি বায়তুল মুকাদ্দাসকে আবরুদ্ধ করে রেখেছে । মুসলমানদেরকে নামাজ পড়তে দিচ্ছেনা । আগুল লাগিয়ে ক্ষতি সাধন করেছে । ফিলিস্তিনের অধিবাসী মুসলমানদেরকে নির্বিচারে হত্যা করছে । হাজার হাজার নির্জন কারাবাস যাপন করছে ।
ইসরাইলের অত্যাধুনিক মারনাস্রের বর্বর হামলার প্রতিরোধে সেকেলে রকেট হামলা চালিয়ে জবাব দিলেও ফিলিস্তিনিদেরকে সন্ত্রাসী বলা হয় !!!বিশ্ব মোড়লরা সব জায়গায় শুধু ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার দেখছে ! নিরিহ ফিলিস্তিনি মানুষগুলোর যেন বেচে থাকার কোন অধিকারও নেই !!!
বিশ্ব মোড়লদের সাথে মুসলিম বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশও নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে ।
এমনতর অবস্হায় সৌদি প্রধান শায়খ ফতোয়া দিলেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে মিছিল সমাবেশ সম্পূর্ন হারাম । সৌদি শায়খ হয়তবা সৌদ বাদশার সৌদির মাটিতে দেশীয় আইনে মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ তাই এই ফতোয়া দিয়েছেন !!! তাহলে গোটা দুনিয়ার মুসলিমরা কি করবে ? ফিলিস্তিনি মুসলমানদের রক্ষায় সেদেশে গিয়ে সরাসরি জিহাদে যোগ দিবে ? নাকি চুপচাপ বসে বসে ইসরাইলি বর্বর হামলা দেখবে ! সৌদি শেখ এ বিষয়ে কিছু বললে বিষয়টি আমার মত অল্প বিদ্যা-বুদ্ধি সম্পন্ন লোকের কাছে পরিষ্কার হত ।
আবরাহার হস্তি বাহিনি যখন ক্বাবাঘর ধ্বংস করার মানসে এসেছিল, মহান আল্লাহ আবাবিল প্রেরন করে তাদেরকে নাস্তানাবুদ করেছিলেন । ইয়াহুদি-নাসারা গোষ্টি সর্বশেষ অপশন হিসেবে ক্বাবাঘরে হামলা চালাবে বলেই আমার ধারনা । যদি তাই হয়, আবার কি সেই আবাবিল পাখি দিয়ে মহান আল্লাহ ক্বাবাঘর রক্ষা করবেন ! ইসরাইল যদি সৌদিতে হামলা চালায় সৌদি গ্রান্ড মুফতির তখনকার ফতোয়া কি হতে পারে ?
বিষয়: বিবিধ
১৩২৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন