গার্ল সামিট ও ১২ বছর বয়সী বাবা !!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ২৩ জুলাই, ২০১৪, ০৬:০৯:০৬ সকাল
ঢাক-ডোল পিটিয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লন্ডন গিয়েছেন গার্ল সামিটে যোগ দিতে । পশ্চিমা দেশের কেউ দাওয়াত দিচ্ছেনা তাই হয়ত এটাই মোক্ষম সূযোগ । মিডিয়া সিন্ডিকেটতো আছেই সফল সফরের ফিরিস্তি গাইতে !
গার্ল সামিটে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী লেভেলের দুনিয়ার আর কেউ যোগ না দিলেও এতে আরো যোগ দিচ্ছে পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই নামক মেয়েটি, যে কিনা অদূর ভবিষ্যতে নোবেল পূরষ্কার পাবে বলে ধরে নেয়া যায় !! কি সৌভাগ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর !! ভবিষ্যতে গর্ব করতে পারবেন ।
ফিরে আসি মূল কথায় - যে দেশের মাটিতে গার্ল সামিট হচ্ছে সে দেশের স্টুয়ার্ট নামক ১২ বছরের এক শিশু সন্তানের বাবা হয়ে ডাক্তার সমাজকেও নাকি ভড়কে দিয়েছে । আর সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে তার ১৫ বছর বয়সী স্ত্রী এন্মা ও দুই পরিবারের লোকজন বেজায় খুশী । কোন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বা সমাজ কর্মী কেউ তাদের বাবা-মাকে গ্রেফতার বা ভৎসনাও করতে আসেনি ! কি আশ্চার্য ! ওরা করলে সেলিব্রেটি আর আমাদের দেশের গরীব বাবা-মারা অভাব ও বখাটের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতেও যদি প্রাপ্ত বয়স্ক ও ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে দেয় তখন তা নারী/ শিশু নির্যাতন !!!!!
যে দেশে গার্ল সামিট হচ্ছে, সে সভ্য দেশের ৮০-৯০% মেয়ে স্কুলে পড়াকালীন যৌনতায় লিপ্ত হয় এবং অনেকেই গর্ভবতী হয়ে পড়ে যাকে তারা কুমারী মাতা হিসেবে কাউন্ট করে আর যার কারনেই কুমারি মাতার হার ঠেকাতে স্কুলে কনডম ব্যবহারের উপর বিশেষ ট্রেনিং কোর্সও সংযুক্ত করা হয় ।এ বিষয়টি নিশ্চয়ই সামিটের উদ্যোগ্তারা ভাল করেই জানেন । তাহলে শুধু গরীব দেশগুলোর মানুষের দোষ হয় কেন ? থানা পুলিশ, সমাজকর্মী, মিডিয়া, মোড়ল-মাতাব্বরা একটি বিয়ে ঠেকিয়ে দিতে পারলেই যেন রাজ্য জয়ের আনন্দে ভোগে !!!
ধর্মীয় বিধানের তোয়াক্কা না করে পশ্চিমা দেশের মানুষগুলোর মত নগ্নতায় লিপ্ত হলেই কি সভ্য হওয়া যাবে ? ১৮র নীচের ছেলে-মেয়েদের শিশু বলে বিয়ে ঠেকিয়ে অবৈধ যৌনচারর দিকে ঠেলে দিলেই কি গার্ল সামিটের উদ্দেশ্য সফল হয় ?
খবরের লিংক -
http://www.onbangladesh.org/newsdetail/detail/200/85326
বিষয়: বিবিধ
১১৮৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
• ১৫-১৭ বছরের সাবালিকা মেয়ে তার সম্মতিতে বিয়ে করে সম্পর্ক গড়তে চাইলে সেটা দেশের প্রচলিত আইনে – গুনাহ!
• ১৫-১৭ বছরের সাবালিকা মেয়ে তার সম্মতিতে বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়তে চাইলে সেটা দেশের প্রচলিত আইনে – অধিকার!
আমি চিন্তা করে পাইনা কিসের ভিত্তিতে বাল্য-বিবাহ (১৫-১৭ বছরের মেয়ের বিবাহ) তাদের দৃষ্টিতে গর্হিত কাজ? ধরে নিলাম সেটা গর্হিত কাজ এবং তাই এ জন্য থানা-পুলিশ এ ধরনের বিয়ের খোজ পেলেই এরকম বৈবাহিক-সম্পর্ক ভেঙ্গে দেয়ার লক্ষ্যে সদলবলে হাজির হয়ে যুদ্ধ জয় করে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়ে থাকে। তবে কেন সেই ১৫-১৭ বছরের মেয়ের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ভেঙ্গে দেয়ার লক্ষ্যে তারা সদলবলে হাজির হয়ে যুদ্ধ জয় করে না? তারা কি আসলে মানুষ? একটুও চিন্তা করে না?
বাংলাদেশে এখন এরকম হলে কি রকম হত ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন