অরাজনৈতিক আলেমগন কি সেক্যুলার ??
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ০৪ জুন, ২০১৪, ১০:২৫:২৩ সকাল
স্কুল-কলেজের সাথে সাথে বাংলাদেশের অধিকাংশ মসজিদ-মাদ্রাসা ও হেফজখানার কমিটির প্রধান আওয়ামিলীগ সাপোর্টার । আওমালীগের লোকজন বা নেতারা সাদা ধবধবে পায়জামা-পান্জাবী পরেন, অনেকে পান্জেগানা বা অন্তঃত জুমার নামাজ আদায় করেন, মিলাদ, কুলখানীর ব্যবস্হা করেন, জানাজার নামাজে হাজির থাকেন, ওয়াজ মাহফিলের (মাদ্রাসার টাকা উঠানো, শবেবরাত, কদর,মিলাদুন্নবী সাঃ ইত্যাদি) ব্যাবস্হা করেন, নিয়মিত ঈদের জামাতে হাজির থাকেন, কোরবানী দেন, গরিব-দুঃখীর সহায়তা করেন, অন্য মুসলমান দেখলে সালাম করেন ইত্যাদি অনেক ইসলামিক কাজ তারা করেন ।
অনেকে আবার তাহাজ্জুত পড়েন ও সকালে কোরান তিলাওয়াৎ করে দিন শুরু করেন বলেও ইদানিং শুনি । এত যারা ধর্ম-কর্ম করে তাদেরকে ধর্মহীন বলে কেন তিরষ্কার করা হয়!!
দেশের অনেক আলেম অর্থাভাবে আওয়ামি মুসলিমদের মত অনেক কাজ করতে পারেননা । যেমন উনারা নিজের বাসায় মিলাদের জন্য অন্য আলেমদের খুব কমি দাওয়াত দিতে পারেন, অর্থাভাবে দান-খয়রাত ও কুরবানী দিতে পারেননা, হেফজখানার খয়রাতির বা অনুদানের টাকায় অনেকের রুটি-রুজির ব্যবস্হা হয় ইত্যাদি । অথচ এ আলেমদের মূল্যায়ন সমাজে সবচেয়ে বেশী হবার কথা ছিল !!
আওয়ামিলীগ বা সেক্যুলারদের শ্লোগান হল, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার । আমাদের দেশের সেক্যুলারদের সোজা কথা ধর্ম পবিত্র জিনিস, এটাকে রাজনীতিতে টেনে আনা যাবেনা । আর আলেম ও মুসলমান সমাজের একটি গোষ্টির সাফ কথা হল আমরা অরাজনৈতিক সংগঠন । সেক্যুলার গোষ্টি নিজেদের স্বার্থহানির চিন্তায় ধর্মকে মসজিদে বন্দী করে রাখতে চায় । অন্যদিকে আলেমরা জেনে হোক বা না জেনে হোক সেক্যুলারদের নিয়ামক শক্তি হিসেবে ধর্মকে মসজিদের ভিতর আবদ্ধ করে রাখতে চায় । দুই ক্ষেত্রেই মহান আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করা হচ্ছেনা ।
সেক্যুলাররা ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে যদি ধর্মের প্রবেশাধিকারে বাধ সাধেন ! তাহলে আলেমরা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কেন ধর্মের পরিধিকে ছোট করে ফেলছেন । আওয়ামি মুসলিমরা না জেনে ভুল করলেও আলেমরা কি না জেনেই করছেন !!!
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরানে স্পষ্ট করে দিয়েছেন ' বিচার-ফায়সালার মালিক শুধুমাত্র আল্লাহ । যারা আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী বিচার-ফায়সালা করেনা তারাই জালিম, ফাসিক, কাফের' । দেশের আলেম সমাজ কি কোরানের এ বানী গুলো অনুধাবন করেনা !!! তারা কিভাবে দেশের সমস্ত বিচারকার্য ও পরিচালনার ভার মানুষের তৈরী সংবিধানের কাছে ন্যাস্ত করে দিয়ে নিজেদেরকে অরাজনৈতিক দাবী করে ভালমানুষী জাহির করেন !!!!
যে কারনে সেক্যুলারদেরকে মানুষ ধর্মহীন বলে তিরষ্কার করে তাহলেতো শুধু আওয়ামিলীগ নয়, ধর্মকে নির্দিষ্ট গন্ডীতে সীমিত করে ফেলা ও অগনিত সেক্যুলার মনের আলেম তৈরীর জন্য অরাজনৈতিক আলেমরাও ধর্মনিরপেক্ষ !!!
বিষয়: বিবিধ
১২০১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রাজনীতিতে ধর্মের সংশ্রব নাই তারাই সেকুলার।
আবার যারা বলে,
ধর্মের মাঝে রাজনীতি নাই তারাও সেকুলার।
সেকুলার মানেই ছয়-নয় করে দুনিয়ার মজা উপভোগ করা এবং সমুদয় কল্যাণের প্রতি অসতর্ক থাকা। দুনিয়াকে আনন্দ ফুর্তি দিয়ে ভরিয়ে দেয়াই তাদের মূল লক্ষ্য। হৃদয়ের মাঝে যে একটি আত্মা আছে, তার কি চাহিদা, সে সম্পর্কে তারা চিন্তা করতেও রাজী নয়। ধর্ষিতার কি কষ্ট হল সেটা তাদের বিবেচ্য বিষয় হয় না বরং একজন ধর্ষিতা হয়ে যে, দশজন আনন্দ পেল সেটাই তাদের কাছে মুর্খ্য বিষয় হয়ে উঠে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন