ইসলামপন্হীরা গনতন্ত্রের সাথে আপোষ করলেও গনতন্ত্র করেনি !

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ২৬ মার্চ, ২০১৪, ১০:৩১:১২ সকাল

ইসলাম গনতন্ত্র সাপোর্ট করেনা বলে একদল ইসলামপন্হী প্রায়ই অভিযোগ করেন । পিছনে জনসমর্থন আছে কি নেই চিন্তা না করেই চলছে জিহাদ। মহান আল্লাহর এ জমিনে তার আইনই একমাত্র বিধান হবে, অন্যথায় চলবে জিহাদ ।

আরেকদল মনে করে সমাজ সংষ্কার বা ইসলামি কল্যান রাষ্ট্র গঠনের জন্য সরাসরি জিহাদের পথে না গিয়ে মানুষের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের পন্হাই হবে উত্তম ।

প্রথম গ্রুপ অতি জিহাদি চেতনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাছ বিচার না করেই বোমাবাজি করে যাচ্ছে । ক্ষমতায় যেতে পারলে প্রশাসন যন্ত্র চালাবার মত যথেষ্ট লোকবল আছে কিনা সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ তাদের নেই।

২য় গ্রুপ অতিমাত্রায় জনসমর্থন নির্ভর চিন্তার কারনে নিজেদের জিহাদি চেতনাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে হারিয়ে ফেলছে । নিজেদের কোন আলাদা জিহাদি শাখাই নেই । বুলেটের বিপরীতে ইট-পাটকেল নিয়েই অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে ।

সমসাময়িক কালে মিশরের ইতিহাস দেখলে বিষয়টি অত্যন্ত পরিষ্কার হয়ে যাবে । যুগের পর যুগ সেক্যুলারদের বর্বর নির্যাতন সয্য করেও কখনো আন্দোলনের গতিধারা পরিবর্তন হয়নি । এমনকি মাস কয়েক আগে প্রচন্ড নিমর্মতার সহিত যখন একদিনে কয়েক হাজার ইখওয়ান সমর্থককে হত্যা করা হল, তখনো তাদের কোন জিহাদি গ্রুপকে প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি । যদিও এ গ্রুপটি সফলতার সহিত একটি কাজ করতে পেরেছে । তা হল আল্লাহর সার্বভৌমত্ব বুঝার মত বেশ কিছু মানুষ তৈরী করতে পেরেছে ।

আলজেরিয়াতে পূর্ন জনসমর্থ থাকার পরেও সেক্যুলার বর্বররা সালভেশন ফ্রন্টকে পিষে ফেলার চেষ্টা করেছে । তুরষ্কেও সেই সেক্যুকাররা ইসলামপন্হীদেরকে বারংবার নিষিদ্ধ করেছে । যদিও বর্তমানে অনেকটা আপোষ করেই ধীরলয়ে এগুতে হচ্ছে ইসলামপন্হীদেরকে ।

ইসলমাপন্হীরা যত উদারতাই দেখাক না কেন, সেক্যুলার নীতি বা প্রচলিত গনতন্ত্র তাদেরকে কোন ছাড় দিচ্ছেনা । জনসমর্থন তৈরী করে নিয়মতান্ত্রিক ধারায় ক্ষমতায় আসতে চাইলেই বন্দুকের নলের বুলেটের আঘাতে তাদেরকে ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে । বাংলাদেশের ইসলামপন্হীরাও এর বাইরের কিছু নয় । গত বছরের নির্বিচার হত্যাকান্ড তারই প্রমান । জনসমর্থন থাকলেই শুধু ক্ষমতায় গিয়ে কল্যান রাষ্ট্রের আশা অনেক দূর্গম । বর্তমান বিশ্ব পরিস্হিতি অন্তত তাই ইংগিত দেয় ।

বিষয়: বিবিধ

১০৪৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

198130
২৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:০৮
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : আপনি কি বোঝালেন। গনত্রন্তের পকখে না বিপকখে না আমার মত মাথা গোলাই গেছে
২৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
148091
মাটিরলাঠি লিখেছেন : লেখাটা উনি লিখেছেন ইসলামের পক্ষে।
198149
২৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
ঈগল লিখেছেন : যথার্থ। 'কর্মী বিহীন জিহাদ বা জিহাদ বিহীন কোটি কর্মী' কোনটাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কল্যাণ বয়ে আনবে না।
198194
২৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২১
চোথাবাজ লিখেছেন : ফাউল পোষ্ট
198197
২৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : গনতন্ত্র নয় বলা যায় গনতন্ত্রের ধ্বজ্জাধারি রা ইসলাম কে মানতে রাজি নয়। আর ইসলাম গনতন্ত্রের সাথে আপোষ করছেনা বরং গনতন্ত্রকে হতে হবে ইসলাম সম্মত। আর জনসমর্থন বিহিন ইসলাম যারা কায়েম করবেন বলে ভাবছেন তারা ইসলাম এর মর্মবানি টাই বুঝতে ভুল করেছেন।
200441
৩০ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১১
সাদাচোখে লিখেছেন : গণতন্ত্রের নামে লিটারেলী দুটি প্রধান নেশার উপাদান মুসলিম জনগোষ্ঠির মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর একটি হল জনপ্রতিনিধিত্ব ও সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন।

আর অন্যটি হল ক্যাপিটালিজম তথা অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর নীতিমালা প্রণয়ন।

এবং এ দুটি উপাদান বিভিন্নভাবে ইসলামের মূল শিক্ষার সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে।

মুসলিম সমাজের যে অংশ কনট্রাডিকশান এর সাথে কম্প্রোমাইজ করতে পারেনা - তারা প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধ করতে নামে আর যে অংশ প্রজ্ঞার নামে কম্প্রোমাইজ করে - সে অংশ কনটিনিউ কম্প্রোমাইজ করে যেতে বাধ্য হয়।

এ অবস্থা হতে মুক্তির নিমিত্তে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদেরকে তথাকথিত ভূখন্ডকেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদীর চেতনার বাহিরে এসে মুসলিম জাতীয়তাবাদের শিক্ষায় মুসলিম উম্মাহর জন্য কাজ করা অধিক যুক্তিযুক্ত এবং সে প্রিন্সিপাল এর আওতায় দেশ, সমাজ, পরিবার ও ব্যক্তিজীবনকে এগিয়ে নেওয়া তুলনামূলক সহজ হবে।
200825
৩১ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:১১
নূর আল আমিন লিখেছেন : ভালো লাগলো আপনাকে
ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File