শাহবাগের জাগরনে আমি সঠিক ইতিহাসের পদধ্বনিই শুনতে পাচ্ছি ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:৩৯:১৮ দুপুর
যারা অন্ধ তাদের কাছে মোমবাতির আলো যা, নিয়ন বাতি বা দ্বিপ্রহরের সূর্যালোকও তাই । এরা দেখবেনা । সুতরাং হাজার নয় কোটি মোমবাতি প্রজ্জলিত হলেও অন্ধরা সঠিক পথের দিশা পাবেনা ।
নব প্রজন্মের জাগরন চত্বরে যু্দ্ধাপরাধীদের ফাসীর দাবিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ একত্রিত হয়েছে গত ক'দিন ধরে । দাবী একটাই যুদ্ধাপরাধীদের ফাসী চাই ।
বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে যেসব নাটক বা সিনেমা দেখানো হয় এর প্রায় সবগুলোতেই যুদ্ধাপরাধের ঘটনা নিয়ে একটা পার্ট থাকে । তাতে দেখানো হয়, লম্বা কোর্তা, টুপি ও লম্বা দাড়িওয়ালা কিছু লোক রাক্ষসের মত কোন এক যুবতীর দিকে এগিয়ে যা্ছে সাথে নারী কন্ঠের ইজ্জত হারানোর আত্মচিৎকার ! এসব দেখতে দেখতে কোমলমতি ছেলে মেয়েদের চিন্তায় এসব লম্বা দাড়ি ও টুপিওয়ালাদের সম্পর্কে পর্বতসম খারাপ ধারনা তৈরী হয় ।
কাজী রোজি, শাহরিয়ার কবির বা মুনতাসির মামুনরা কেউ যুদ্ধে যাবার সময় না পেলেও রসিয়ে রসিয়ে এধরনের উপন্যাস বা কাহিনী তৈরী করে জাতীয় পুরস্কার ভাগাতে সিদ্ধহস্ত । নসীম হিজাজির কালের উপন্যাস হিজাজের কাফেলা বা সীমান্ত ঈগল টাইপের উপন্যাসে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কিছু নারী চরিত্রের অবতারনা করা হয়েছে এবং ভূমিকাতেই লেখকগন এর ব্যাখ্যা দিয়ে দেন । কিন্তু ইসলাম বিরোধী উপন্যাসিকরা তাদের রসালো উপন্যাসের শ্রীবর্ধনের জন্য যেসব দাড়ি-টুপিওয়ালা লোকদের অবতারনা করেন ভূমিকাতে তা কখন স্বীকার করেননা। ফলে তরুন প্রজন্মসহ যারা এসব পড়েন তাদের এসব বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারন রয়েছে ।
নব প্রজন্ম সারাজীবন যা জেনে এসেছে, তার উপর ভিত্তি করেই তাদের আন্দোলন । তারা সারাজীবন জেনে এসেছে, কাদের মোল্লাই পল্লব ও মেহেরুন্নেসার হত্যাকারী । সুতরাং তারাতো ফাসী চাইবেই ।
আমিও কাদের মোল্লার ফাসী চাইতাম যদিনা কাদের মোল্লাদের কাছ থেকে দেখার সূযোগ না হত আমার । আমি সারাজীবন কাদের মোল্লাদের দেখলাম একান্ত ভাল মানুষ হিসাবে । আর চেতনাধারীদের দেখলাম শুধু চেতনার নাম ভাংগিয়ে উদর ফূর্তি করতে । সংখ্যা লঘুদের উপর যত নির্যাতন আমি দেখেছি তার সবকটিই এই চেতনার ধ্বজ্বাধারীদের হাতে । সুতরাং আমার বিবেক কাদের মোল্লাদের অপকর্ম নিয়ে মুনতাসির মামুনদের রসালো উপন্যাস আমাকে বিশ্বাস করতে দেয়নি ।
সরকার কত কিছুই করল কাদের মোল্লাদের অপরাধ প্রমান করতে । কিন্তু কি হল ? কেউ দেখেনি তাদের অপকর্ম । সবাই শুধুই শুনেছে । তাই আজকের নব প্রজন্মের ক্ষোভ মূলত সেই ইতিহাসের দিকে, টিভির নাটক ও সিনেমার বিরুদ্ধে হওয়া উচিত ছিল, কারন এসব তেলবাজরাই মিথ্যা উপন্যাস লিখে জাতিকে বিভ্রান্ত করে চলেছে বিগত ৪০ বছর ধরে । এর অবসান হওয়া চাই ।
নব প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানার দ্বারপ্রান্তে দাড়িয়ে এবং আশাকরি শকুনীর ছায়া না পড়লে দেশের আদালতই তা প্রমান করবে ইনশা'আল্লাহ ।
বিষয়: বিবিধ
১২১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন