বিয়েটা আসলে কি !
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ১৯ মার্চ, ২০১৪, ০৯:২৭:৫১ সকাল
মাঝে মাঝে কিছু কথাবার্তা শুনে আহম্মক বনে যেতে হয় । যেমন ইসলাম কেন পালক কন্যার সাথে বিয়েকে বৈধতা দিল।
প্রথমে বিয়ে নিয়ে দু'একটি কথা বলে নেয়া যাক । বিয়ে বৈধ হবার জন্য কয়েকটি সহজ শর্ত রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম একটি হল স্বাক্ষীর উপস্হিতি । অর্থাৎ ঢোল পিটিয়ে জানিয়ে দিতে হবে যে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে । অন্য যে দুটি রয়েছে দেন মোহর ও মতামত তারও অনেক কল্যান রয়েছে ।
কথা হল, এ দুই-তিনটি শর্ত এমন কি পরিবর্তন করে দিল যে তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক থেকে নিয়ে অনেক কিছুকেই বৈধতা দেয়া হয় । কোন বেশ্যা বা লম্পট টাইপের লোকের সাথে অথবা পতিতালয়ে গিয়ে কুকাম করতে হলেও স্বাক্ষী থাকে, দুই জনের মত থাকে, কিছু টাকার বিনিময় হয় । তাহলে বিয়ে আর জেনার মাঝে মূল তফাৎটা কোথায় ।
স্বাক্ষীর বিষয়টি যদি চিন্তা করা হয়, দেখা যাবে তাদের সম্পর্ককে সামাজিক বৈধতা দেয়া । দেন মোহর, নারীর নিরাপত্তা ও মতামত, জোর করে চাপিয়ে না দেয়া ইত্যাদি ।
ফিরে আসি আসল কথায় । কিছুদিন আগেও একটি সংবাদ দেখলাম, এক লোক কতগুলো এতিম মেয়ের লালন-পালন করে আসছিল । আর মেয়েগুলো যখন সময়ে উপনীত হচ্ছিল তাদের সাথে জোর করে ব্যাভিচার করছিল । ফলে কয়েকজনের সন্তানও জন্ম হয় । ইসলামের নিয়ম হল পালিতকে বিয়ে করা যাবে । কিন্তু তার সাথে দেহ বিনিময়ের আগে সামজিক বৈধতা নিতে হবে । তাতে সন্তান জন্ম নিলেও যাতে দায়বদ্ধতা থাকে আর মেয়েটির আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তাও থাকবে ।
আমাদের দেশে অনেকেই পালিত কন্যা রাখে । কিন্তু মেয়েটি সাবালিকা হয়ে উঠলে তার সাথে পর্দা ফরজ হবে এ বিষয়টি অনেকেরই অজানা । এমনকি যাকে পালক রাখে, তার বাবা-মাকে এমন শর্ত দেয় যেন এ সন্তানকে তারা দাবী করতে পারবেনা । অথচ ইসলাম এটা নিষেধ করে ।
আল্লাহর নাম নিয়ে পশু জবেহ ও নাম ছাড়া জবেহ করার মাঝে আপাত বা বাহ্যিক কোন তফাৎ দেখা যায়না । অথচ এ ছোট্ট বিষয়টি একটি জিনিসকে হালাল থেকে হারাম বানিয়ে দেয় । বিয়ের সিস্টেমটাও আল্লাহর আদেশ । মাত্র অল্প কিছু শর্তের উপর হারাম ও হালালের ব্যাপকতা নির্ভর করে । যাতে মহান আল্লাহ মানুষের জন্য অনেক কল্যান নিহিত রেখেছেন ।
া
বিষয়: বিবিধ
১০৯৭ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বর্তমানে দাস প্রথা নেই । কিন্তু অভাবের কারনে অন্যের কাছে দেহদান তার কাছে মামুলী বিষয় । এ ঘটনা থেকে দাস প্রথার কিছু আলামত পাবেন ।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০:
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে। ইয়াহিয়া বললেন যে আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ক্রীতদাসীরা তাঁর পা ধৌত করতো এবং তাঁর কাছে খেজুর পাতার তৈরি এক মাদুর নিয়ে আসত। সে সময় তারা ঋতুমতী ছিল।
মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল কোন এক ব্যক্তি গোসল করার আগেই কি তার সব ক্রীতদাসীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? তিনি (অর্থাৎ মালিক) উত্তর দিলেন যে গোসল ছাড়াই পরপর দুইজন ক্রীতদাসীর সাথে সহবাসে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যখন কোন স্বাধীন স্ত্রীর সাথে সহবাসের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্বাধীন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে না। কিন্তু এক ক্রীতদাসীর সাথে যৌন সঙ্গমের পর সাথে সাথে অন্য ক্রীতদাসীর সাথে সহবাস করা আপত্তিকর নয়—যদিও তখন লোকটি জুনুব (সহবাসের পর তার কাপড়ে অথবা দেহে বীর্য ও অন্যান্য কিছু লেগে থাকা)।
এরপর মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল। এক ব্যক্তি সঙ্গম করল এবং জুনুব হয়ে গেল। তার কাছে পানি আনা হল গোসলের জন্য। সে ভুলে গেল গোসল করতে। পানি উত্তপ্ত না শীতল তা জনার জন্যে সে তার আঙ্গুল ডুবিয়ে দিল পানির মাঝে”। মালিক উত্তর দিলেন: “তার আঙ্গুলে যদি কোন ময়লা না থাকে তবে আমার মনে হয় না ঐ পানিকে দুষিত বলা যাবে”।
মন্তব্য করতে লগইন করুন