ইসলামে চার বিয়ের অনুমতি নিয়ে টুকিটাকি
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৬:৫৪:৩৬ সকাল
আমাদের মা-বোন-বউয়ের জাতি নারী সমাজের অনেকের ধারনা মহান আল্লাহ পুরুষকে চারখানা বউ রাখার অনুমতি দিয়ে নারী জাতিকে বন্চিত করেছেন । আল্লাহ কেন নারী জাতির জন্য এ সুযোগ রাখেননি তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক গবেষনা হয়েছে ও হচ্ছে । অনেক নারী, হুজুরদের যুক্তি মেনে নিলেও কেন আবার বেহেশতে চল্লিশখানা হুর পাবে পুরুষজাতি তা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই ।
গবেষকরা সন্তান কার ঔরশজাত হল, কে দেখাশুনার দায়িত্ব নিবে আর কারইবা উত্তরাধিকারী হবে এ নিয়েই মাথা ঘামান বেশী । অনেক গবেষক দুনিয়ায় নারী জন্মের হারের আধিক্যের কথা বলেন । অনেকে আবার নারীর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রতিমাসে নিয়মিত অনিয়মিত থাকার কথাও বলেন । কেউ কেউ বলেন, 'কোন নারীর যদি গর্ভে সন্তান আসে এবং ফলশ্রুতিতে একটি লম্বা সময়ধরে যে পরিমান শারীরিক দূরাবস্হার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় অতঃপর সন্তান প্রসবের পরে আরো একটি লম্বা সময়ের জন্য অনিয়মিত থাকা তাতে চারজন মানুষকে লম্বাসময় রোজা রাখতে বাধ্য করা রাখা বেশ কষ্টসাধ্য । তার উপর চারজন পুরুষই যদি নিয়মিত হারে সন্তান কামনা করে প্রচেষ্টা অব্যহত রাখেন, তাহলে ঐ নারীর অবস্হাতো দফারফা হয়ে যাবে ! অনেকে আবার নারীদের শারীরিকভাবে পূরুষের তুলনায় তাড়াতাড়ি গুটিয়ে যাবার কথাও বলেন । আরো একটি বিষয় থাকে সমাজে নারী নির্যাতন । একজন স্বামীর অত্যাচার সয্য করতে না পরে কত নারী আত্মহত্যা করে, খুন হয় । একজন পুরুষকে পুরোপুরি বশে আনা বা সন্ত্তষ্ট করা এতটা কষ্টসাধ্য হলে চারজন স্বামীর অত্যাচার-নির্যাতন বা তাদেরকে সন্তুষ্ট রাখা কি এতটাই সহজ হবে ।
মহান আল্লাহ বলে দিয়েছেন, 'চারটি নিতে পার, কিন্তু যদি আশংকা হয় সমবন্টন করতে পারবেনা, তাহলে একটিতেই চুপ থাকো'। একাধিক বিয়েটা ইসলামের বিধান নয়, এটা একটি অপশন মাত্র । আমাদের সমাজে কেউ একাধিক বিয়ে করলে সমাজ তাকে ভাল চোখে দেখেনা ! একাধিক বউয়ের মাঝে ইনসাফ করতে পারবেনা তাই খারাপ জানে ? নাকি শুধুই একাধিক বিয়ে করার কারনে খারাপ চোখে দেখে ?
নবীজি সাঃ ও সাহাবা রাঃ অনেকেই একাধিক বিয়ে করেছিলেন । কিন্তু উনাদের একাধিক বিয়ে করার কারনে অন্যের বিয়ের জন্য নারীর আকাল পড়েছিল এমন অভিযোগ ইতিহাসে নেই । উনাদের একাধিক বিয়ের অনেকগুলো কারনের মাঝে দু'একটি ছিল - যেমন, ' কোন নারীর স্বামি মারা গেলে বা নিহত হলে ( মুসলমানরা হবে ইসলামের জন্য নিবেদিত । জিহাদে তাদের অংশ নিতে হয়। অন্যদের হত্যা করে সাথে নিজেরাও শহীদ হয়), বেশী সন্তান হলে ইসলামের প্রচার ও প্রসার বেশী হবে, সমাজের অনাচার বন্ধ হবে ইত্যাদি ।
কিন্তু আমাদের সমাজের সাধারন মানুষ থেকে নিয়ে হুজুররাও অজানা কারনে একাধিক বিয়েকে মন্দ বলেন । যা একটি নিন্দনিয় ও গর্হিত কাজ বলেই মনে করি । আর যারা একাধিক বিয়ে করেন, তাদের প্রায় পুরোভাগই পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে বা বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে অথবা পর্দা নিয়ে উদাসিনতার কারনেই করে থাকেন । যা সমাজে অনাচার বন্ধ নয় বরং দূর্গতি ডেকে আনছে ।
সুতরাং ইসলাম কেন পুরুষের জন্য একাধিক বিয়ের সুযোগ রাখলো তার সমালোচনা নয় । কি উদ্দেশ্যে বা কোন প্রক্রিয়ায় একাধিক বিয়ে করল এবং বউদের মাঝে সমবন্টন বা ইনসাফ করতে পারল কিনা সেটাই আসল বিবেচ্য ।
বিষয়: বিবিধ
১৬২৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১. ক্বুরআনে যেখানে আল্লাহই সামর্থ্য থাকলে ৪ টি বিয়ে করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন সেখানে ২য় বিয়ে করতে গেলে ১ম স্ত্রীর অনুমতি লাগে কেন ?
২.হুর ৪০ টা ,না কি ৭০ টা ? শুধু পুরুষরাই কি পাবে ?
েেেআগে আপনার জানা একজন ভাল হুজুরকে প্রশ্ন করতে পারেন, বেহেশতে কি মানুষের সন্তান হবে ? তারপর কয়জন হুর জানলে ভাল হবে ।
আল্লাহ বেইনসাফ নন, নারী-পুরুষ যার যতটুকু দরকার অবশ্যই দিবেন । কোন নারীর স্বামী দোযখে গেলে সে কি একা থাকবে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন