কুতুবদিয়ার হত্যাকান্ড
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ৩০ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:৩৭:২৯ সকাল
ছোট বেলায় পড়েছিলাম, বাংলাদেশের একমাত্র বাতিঘরটি কুতুবদিয়ায় অবস্হিত । কখনো ভাবিনি সেই কুতুবদিয়ায় জন্ম নেয়া কাউকে জীবনসংগী হিসেবে পাবো । কিন্তু আল্লাহযে সেখানেই ঠিক করে রেখেছেন । ছেলের নানার বাড়ী কুতুবদিয়ায় হলে কি হবে, বিয়ের পর সমুদ্রের লইট্ট্যা মাছ খেতে দূর্ভাগ্যবসত সেখানে যাওয়া হয়নি এখন । যাব ইনশা'আল্লাহ অচিরেই ।
বিয়ের পর যেটুকু শুনেছি, ডিজেল চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে সন্ধা থেকে নিয়ে রাত ৯-১০টা পর্যন্ত কিছু এলাকায় বিদ্যুতায়ন করা হয় । জ্বালানীতেলের সহজলভ্যতা না থাকায় গাড়ী বলতে কদাচিৎ দু-একটি প্রাইভেট কার বা সরকারী জিপ, কিছু বেবিটেক্সি ও রিক্সা, ঠেলাগাড়ী, গরুরগাড়ী ইত্যাদি ।
সারাদেশে ১৮দলীয় জোটের ডাকে হরতাল চলছে । গতদিন ইতিমধ্যে হরতালের সময় শেষ । মাগরিবের নামাজের পর কুতুবদিয়ার কিছুটা শান্ত স্বভাবের জনতার উপর নেমে এল দস্যুবাহিনির আক্রমন । দুই ধুরংয়ের মাঝামাঝি ধুরং বাজারে পুলিশের পোশাকধারী কিছু হায়েনা ঝাপিয়ে পড়ল । যাদেরকে সমুদ্রের জলদস্যুদের হাত থেকে বাচানোর দায়িত্ব দেয়া হল, পোষ্য পুলিশ বাহিনি তাদেরকেই অকাতরে হত্যা করে চলল ।
কুতুবদিয়ায় হরতালে নাশকতা করার, গাড়ী ভাংচুরের জন্য গাড়ীইবা কোথায় ? তাও আবার হরতাল শেষে ! এদেশেকি মানুষের বাকস্বাধীনতা বলতে কিছুই রইলনা ? ৭১-পূর্ব পাকিস্তানি আমলেতো মানুষ প্রতিবাদ করত, ভাসানি-শেখমুজিবরা গলা হাকিয়ে সমাবেশ জাগাতো। তখনকি উর্দি পরা পশ্চিম পাকিস্তানিরা এভাবে মানুষ মারত ? তবে কি স্বাধীনতা পাওয়াটাই হয়েছে পাপ ?
যাব ইনশা'আল্লাহ কুতুবদিয়ায় । দস্যুদের হাতে নির্মমভাবে প্রানহারানো মানুষগুলোর কবরের পাশ দিয়ে গেলে তাদের জন্য দোয়াও করব । হায়েনাদের বিচার আল্লাহ করবেন ।
বিষয়: বিবিধ
১০২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন