বোরকাওয়ালীর ঘোমটা না থাকলে বাংলাদেশ হতোনা
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ২৯ আগস্ট, ২০১৩, ১০:১১:২২ সকাল
ইদানিং শুশীল বনে যাওয়া একটি গোষ্টি যেভাবে জাতিকে ধর্ম ও দেশের ইতিহাস শিক্ষা দিচ্ছে তাতে আমাদের দেশের গতিপথ ও ভবিষ্যৎ গন্তব্য ঠিক কোথায় যাচ্ছে তা ভাবার বিষয় । কদিন আগে মুসলিম পরিচয় নামের এক মহিলা এক টিভি টকশোতে আইডেনটিটি ক্রাইসিস ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ঘোমটা থাকলে বাংগালী হওয়া যাবেনা বলে এক কড়া ফতুয়া দিলেন । আরেক টকশোতে ঘাদানিকের এক নেতাকে (মুরগী সাপ্লাইয়ারের খ্যাতি শোনা যায়) বুঝাতে শুনলাম,' বোরকা মুসলমানদের নয়, এটা মূলত সৌদি গরম হাওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য আরবের মহিলারা পরে থাকে ।
দেশের জন্মের সঠিক ইতিহাসকে এধরনের বুদ্ধীজীবিরা ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সীমিত রাখে । ইংরেজরা দীর্ঘদিন শাসনের পর ১৯৪৭ সালে তাদের ফেলে যাওয়া ভারতীয় উপমহাদেশটিকে দু'টি ভাগ করে রেখে যায় । যার একটি অংশ পায় ঘোমটাওয়ালীরা ও অন্য অংশ চন্দন তিলক-সিদুর পড়ুয়ারা। ঘোমটাওয়ালীদের ভাগের যে অংশটি পূর্বপ্রান্তে ছিল তা আজকের এই বাংলাদেশ । খোলাসা করে বললে বলা যায়, ১৯৪৭ সালে এদেশের মায়ের জন্ম হয় যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামক সন্তান প্রসব করে ।
যে ঘোমটাওয়ালী থাকার কারনে দেশের জন্ম হল, সে দেশে কিনা তাদের কারনে আইডেনটিটি ক্রাইসিসে ভূগেন মিতাহক নামের আজকের শুশীলরা । তাহলে কি এরা মায়ের জন্ম নিয়ে সন্ধিহান ? নাকি পরিচয় দিতে লজ্জা পায় !
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন