ক্রিকেটার মোঃ আশরাফুল ও মন্ত্রী আবুল হোসেনদের দূর্নীতি
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ২০ জুন, ২০১৩, ১১:৪০:৫২ সকাল
দেশের দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সাহেব বিদায় বেলায় এসে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে ইতিহাসের আসামী হওয়া থেকে কিছুটা হালকা করার চেষ্টা করলেন নিজকে । দুদককে একটি টুথলেস টাইগার বলে ব্যর্থতার পুরো দায়ভার না নিয়ে সংবিধান ও ক্ষমতাসীনদেরকেও দুষলেন ভালভাবেই । বলবেননাইবা কেন, যেখানে দূর্নীতির কালো বিড়ালদের মহৎ ব্যক্তি হিসেবে চারিত্রিক সনদ দিতে হয় !! সেটাকে দূর্নীতি দমন না বলে দূর্নীতি-লালন বলাই শ্রেয় । বিদায় বেলায় হয়তবা নিজের বেতন-ভাতাকে হালাল বানানোর একটি প্রচেষ্টাও হতে পারে গোলাম রহমান সাহেবের !!
ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশ্রাফুলের অকপটে স্বীকারোক্তি থেকেই অনুমান করা যায় সে আত্মদহনে ভুগছিল । (চরম না বলে শুধু আত্মজ্বালাই বলা চলে ! কারন সেক্ষেত্রে নিজে থেকেই সংশোধনের চেষ্টা চালাত ।) সে যাই হোক, অপরাধের সাজাতো অপরাধীকে পেতেই হয় যদিনা তা প্রকাশ হয় । যেহেতু আত্মশুদ্ধির পথ খুজছে, তাই হয়তবা সাজাটা লঘু হতে পারে আশ্রাফুলের। অন্যদিকে শেয়ার বাজারের দরবেশ বাবাজিদের পেশী এতটাই মজবুত যে আমাদের জনাব মালরা তাদের কিছু করার সাহসই পায়না । সৈয়দ আবুল হোসেন-হাসানদের খুটি এত শক্ত যে আমাদের গোলাম রহমানদের সেই মুরোদ নেই যে তাদের টলাতে পারেন !! প্রকারান্তরে বিশ্বব্যংকেই নোবেল লরিয়েটদের চক্রান্তের দাদাগিরি বলে তিরষ্কার করতে হয় !!
অন্য ক্রিকেটাররা নিজেদের নির্দোষ দাবী করেছেন (হতে পারে), আবুলরাও নিজেদের নির্দোষের দাবীতে অটল । আশ্রাফুলের মত স্বীকারোক্তি দিতে গেলে যে আরো অনেক ক্রিকেটারের মত মহা-ক্ষমতাধর ব্যক্তির পরিবারও তালিকায় এসে যাবে ! তাই নিজেকে নির্দোষ বলাটাই আপাতত শ্রেয় ।
আশ্রাফুল দোষী সাব্যাস্ত হলেও ইতিহাস হয়ত তাকে ক্ষমা করে দিবে, কিন্তু গোলাম রহমানরা সার্টিফিকেট দিলেও ইতিহাস আবুলদের কখনই ক্ষমা করবেনা ।
বিষয়: বিবিধ
১২৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন