ওদের জবাই কর-শ্লোগানে ১৭০টি লাশ পেল জাতি! আর উনাদের নির্মূল কর-নিষিদ্ধ কর শ্লোগানে.............???
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তমন ১৭ মার্চ, ২০১৩, ০৭:২৫:৪১ সন্ধ্যা
গতকাল ১৬মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের নাগরিক সমাজের ব্যানারে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধের বিষয়ে মহাসম্মেলনএ সমবেত হন কতিপয় চিহ্নিত ঘাদানিক নেতা এবং কিছু বিশিষ্টজন ।
দেশের চলমান সংকট নিরসনে মুরুব্বীরা বসে একটা উপায় বের করবেন এমন আশার মুখে ছাই---!প্রথম প্রথম শাহবাগি ব্লগারদের দাবী মোদের একটাই শুনে সবাই যেমন তারুণ্যের জাগরণ ভেবে আশান্বিত হচ্ছিলাম কিন্তু পরে আশাতে ছাই পড়লো!ঠিক তেমনি আশাহত করলেন ওনারা!
নাগরিক সমাজের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, অজয় রায়, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সৈয়দ শামসুল হক, কামাল লোহানী, মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, আকবর আলি খান, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সারওয়ার আলী, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আবেদ খান, সুলতানা কামাল, সেলিনা হোসেন, শাহদীন মালিক প্রমুখ।
এখানে ঘাদানিক নেতারা সবাই নিষিদ্ধ আর নির্মূলের কোরাসই গাইলেন।শাহবাগি ঢেকুরে শপথনামা করলেন! দেশের প্রায় কোটি নাগরিকের সমর্থনপুষ্ট জামাত-শিবিরকে বর্ষীয়ান ভাষায় যা যা করার করলেন।যেহেতু ওদের তারুণ্যতো জবাই কর,খতম কর বলে ১৭০টি লাশ ইতোমধ্যেই জাতিকে উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন!
ডঃ আকবর আলী খান তার স্বভাব সুলভ ভঙ্গীতে বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক আইনী পরামর্শ দিলেন।
কিন্তু যে ছাত্রলীগ-যুবলীগ চাপাতি দিয়ে দিন-দুপুরে কুপিয়েকুপিয়ে বিশ্বজিৎদের খুন করে,লগি-বৈঠাদিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ মেরে যে ছাত্রলীগ-যুবলীগ লাশের উপর নৃত্য করে,চাদাবাজি-টেন্ডারবাজী-লুট-হত্যা-ধর্ষণসেঞ্চুরী-ইভটিজিংয়ে নারীসমাজকে আত্মহত্যায় বাধ্য করছে!হরতালের আগে যারা গানপাউডারে নিরীহ বাসযাত্রীদের পুড়িয়ে মারে আর হরতালের দিন নাগরিককে দিগম্বর করে সেই সন্ত্রাসী-জঙ্গীদের বিষয়ে টু-শব্দটুকুন নাই!
তারা দেশের চলমান সংকট নিরসনে জাতিকে বিভাজনের হাত থেকে সুরক্ষায় পথদেখানোর পরিবর্তে শাহবাগের ফ্যাসীবাদকেই যেন পরিপূর্ণতা দিলেন।
বিষয়: বিবিধ
৯৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন