দেশের সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ-সুশীলসমাজ-শীর্ষস্থানীয় উলামা-মাশায়েখগণ সমন্বয়ে একটি জাতীয় সংকট নিরসন নাগরিক সুরক্ষা কমিটি বা প্লাটফর্ম করে চলমান সংকট নিরসনে ।।জাতীয় গোলটেবিল বৈঠকে বসুন।।
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তমন ০৮ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৫৩:৩৬ রাত
আজকে সারাদেশে যে প্রতিবাদ- বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তাকে কতিপয় মিডিয়ায় ক্ষমতাসীনদের সুরে সহিংস তান্ডব বলে প্রচার করা হচ্ছে।বাস্তবে জনগণ রাজপথে সরাসরি দেখছেনঃ স্বয়ং মহান আল্লাহপাক ও রসুল সাঃএর অবমাননায় মুসুল্লিরা প্রতিবাদ করতে নেমে পুলিশের গুলিতে শহীদ হচ্ছেন।আবার জামাত-শিবিরের শীর্ষনেতাদের প্রশ্নবিদ্ধ বিচার করে রায়ও দেয়া হচ্ছে।তাই তারা রাজপথে নেমে আসছে।কিন্তু বাস্তবে আমরা সাধারন জনগন দেখছি- ওরা রাস্তায় দাড়াতেই পারছে না।আবার বিএনপি এমনকি অন্যান্য শিক্ষকদের বিক্ষোভও সহ্য করেন নি সরকার।এভাবে করে আজ সারাদেশে যখন শতাধিক জনগণ পুলিশ ও দলীয় ক্যাডারদের গুলিতে লাশ হলো তখন সরকার দুঃখপ্রকাশ না করে জামাত-শিবিরের তান্ডব বলে পাড়ায় মহল্লায় সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন এবং বললেন আর ধৈর্য্য ধরা যাবে না।
অথচ যে ছাত্রলীগ যুবলীগ বিশ্বজিৎকে দিনে-দুপুরে কুপিয়ে কুপিয়ে পুলিশের সামনেই হত্যা করলো!
এর পরের অংশটুকু জনৈক বিশিষ্ট কলামিষ্ট এর লিখায় যেভাবে এসেছেঃ
"জনগণ দেখছে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ যুবলীগের কর্মীরা বন্দুক, বিশাল বিশাল রামদা, ছুরি ও নানান প্রকার ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নামে। পুলিশ কিছু বলে না। কিন্তু এরা তো সন্ত্রাসী। জনগণ অবাক হয়ে দেখে পুলিশ আর এই সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে কোন ফারাক নাই। তখন তারা পুলিশকে আর পুলিশ বলে গণ্য করে না। তাকে ছাত্রলীগ বা যুবলীগেরই একজন সদস্য মনে করে। তফাত যে পুলিশ একটা পুলিশি পোশাক পরে। ব্যস।"আজকে আমার দেশের প্রায় দেড় শতাধিক নাগরিক হত্যা হলো।ভিনদেশী হানাদার নহে আমরা নিজেরা নিজেরাই গণহত্যার দোষে আজ দুষ্ট।
এমতাবস্থায় দেশের চলমান সংকট নিরসনে যেহেতু আমরা সরকারী ও বিরোধী জোট-মহাজোট এবং জামাত-শিবির সকলেই এদেশেরই নাগরিক।
আর জামাত-শিবির নিয়ে যে সংকট সেটাও এদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সাংবিধানিক রীতিতে অবশ্যই সমাধানযোগ্য। যেহেতু স্বাধীন বাংলাদেশ হবার পর থেকে তারাও এদেশেরই নাগরিক।মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা অপরাধ করেছিল সাংবিধানিকভাবেই আজকে দেশের নাগরিক হিসেবে অবশ্যই সুষ্টভাবে বিচার করা যাবে।যেহেতু দেশের ষোলকোটি মানুষ সবাই আমরা এদেশের সংবিধান সিদ্ধ নাগরিক।তাই আমি আপনি বা যেকোন নাগরিক আগে বা পরে যে কোন অপরাধই করুক সংবিধান মোতাবেক তার বিচার স্বাভাবিকভাবে হতেই হবে।পক্ষ-বিপক্ষ,নানান এজেন্ডাতে বিবাদ করার কিছুই নেই।কেননা কোন নাগরিক আগে পক্ষে ছিল কিন্তু এখন যদি দেশ ও জনগনের বিপক্ষে কোন অপরাধ করে?অবশ্যই দেশের সংবিধান মোতাবেক তার বিচার হবে। কেউ বিপক্ষে ছিল এবং অপরাধ করেছিল অবশ্যই সংবিধান মোতাবেক তারও বিচার হবে।সহজভাবেই রাষ্ট্র নিয়মমোতাবেক তার কোন নাগরিকের অপরাধের বিচার বিচার চলমান প্রক্রিয়াতেই করবে।কারণ,সেতো ভিনদেশী নাগরিক নন,এদেশেরই নাগরিক।আমার আপনার মতো সেও নাগরিক সুবিধা মর্যাদা এবং নিরাপত্তা লাভের সমান অধিকারী।এটাকে এতো জটিল করার কিছুই ছিল না।
অতএব আর কালবিলম্ব না করে
অতি জরুরীভাবেই দেশের মুরুব্বী-সুশীল সমাজ,ব্যবসায়ী-পেশাজীবি-আইনজীবী-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ সহ সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ-প্রাক্তন এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতিগণ,প্রাক্তন বিচারপতিগণ এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামা-মাশায়েখগণ সমন্বয়ে একটি বাংলাদেশের জাতীয় সংকট নিরসন নাগরিক সুরক্ষা কমিটি বা প্লাটফর্ম করে
অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় সবাই বসে অত্যন্ত খোলামনে-সৎভাবে-ন্যায়নিষ্টভাবে- সকল আঞ্চলিকতা,ভাষা,ধর্ম-বর্ণ-দল-মতের উর্ধ্বে উঠে-
"আমরা সবাই বাংলাদেশের বাসিন্দা-বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক।আমাদের পতাকা একটি,সংবিধান একটি।আমাদের পরিচয় আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক।এদেশ আমাদের শুধুই আমাদের।
দেশকে রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের প্রথম এবং প্রধানতম দায়িত্ব এবং কর্তব্য-শুধুমাত্র এবং একমাত্র এই নাগরিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য বোধে উজ্জীবিত ও চেতনাদীপ্ত থেকে দেশ ও জনগনের বৃহত্তর ঐক্য এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আর একজন নাগরিকও যেন আহত বা লাশ না হয়,দেশের শান্তি-শৃংখলা-স্বস্থি যেন ফিরে আসে সে জন্যে অতিশীঘ্রই একটি জাতীয় গোলটেবিল বৈঠকে বসে জাতীয় সংলাপ শুরু করে দেয়া-আজ সময়ের দাবী বলেই বিজ্ঞজনরা মনে করেন এবং এরই মাধ্যমে দেশ ও জাতির চলমান সংকট নিরসন হবেই হবে ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন