টক অব দ্য কান্ট্রি -সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে! সাঈদীভক্তরা চাঁদে নয়, সাঈদীকে কোরআনের মাহফিলে মুক্ত দেখতে চায়!!

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তমন ০৪ মার্চ, ২০১৩, ০১:৪৫:৪৫ রাত

সাঈদীভক্তরা সাঈদীর নিঃশর্ত মুক্তি চায়।সাঈদীসাহেবকে চাঁদে নয়, দায়ী-ইলাল্লাহ হিসেবে তাফসীরুল কোরআনের মাহফিলে মুক্ত সাঈদীকে দেখতে চায়,পেতে চায়।

সাঈদী সাহেবকে চাঁদে দেখা যাই হোক তারচে বিস্ময়কর!হৃদয়বিদারক হচ্ছে দেলুরাজাকার সাজিয়ে দন্ড দেয়ার বিষয়টি!

আখেরাতে বিশ্বাসী কোন মানুষ একজন বিশ্বনন্দিত আলেমকে নিয়ে এত বড় ভয়ংকর বেআদবী করতে পারে?

কি ভয়াবহ অবস্থা?সাঈদী সাহেবের মিথ্যাদন্ডের বিষয়টিতে বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে!সারাদেশে সাঈদীভক্তরা শাহাদাতবরণ করছেন!

এক মুহূর্ত যাঁকে সাজা দেবার কথা নয় তাঁকে আজ তাঁর চিরায়ত সুন্নতীলেবাস খুলে, কয়েদীর পোষাক পড়িয়ে, ডিভিশন বাতিল করে কনডেম সেলে রাখা হচ্ছে!আর তখন কিনা সাঈদী সাহেবকে চাঁদে দেখা নিয়ে টকঅবদ্যা কান্ট্রি করা হচ্ছে?

কোরআনের সঠিক জ্ঞানের অভাবে, ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে বিভ্রান্তির আর শেষ নেই।জ্ঞান-ইলম থাকলে কিভাবে ঈমান বাঁচানো যায় প্রসঙ্গক্রমে তা তু্লে ধরছিঃ-

হজরত বড়পীর আব্দূল কাদের জিলানী রহঃএর একটা ঘটনা, আল্লামা সাঈদী সাহেবের তাফসীর মাহফিলেই তাঁর সাবলীল বর্ণনায় শুনেছিলামঃ

একদিন রোজার মাসে সারাদিন রোজা রেখে বড়পীর সাহেব তাঁর ভক্তদের সাথে নিয়ে বিকেলবেলায় ইফতার সামনে নিয়ে বসে ইফতারের সময়ের অপেক্ষা করছেন।তখনও পনের মিনিট বাকী।হঠাৎ দেখা গেল চারিদিক আলোকিত করে আসমান থেকে সাদাকাপড় পরিহিত ধবধবে ফর্সা যেন নূর ঝলকাচ্ছে! এক সফেদ দাড়িবিশিষ্ট দরবেশ নেমে আসছেন! সাথে রকমারি ইফতার সামগ্রী!ভক্তরা সব অবাক!আল্লাহর ওলীর কি কেরামতি!আসমান থেকে ইফতার!

কাছাকাছি এসে বড়পীর সাহেবকে সালামবাদ আরজ করলেন-হুজুর!স্বয়ং আল্লাহপাক খুশী হয়ে জান্নাত থেকে নানান ফল-ফলাদী-ইফতার সহ আমাকে আদেশ করলেন যেন এক্ষুনি আপনার সম্মানে তা পেশকরি।

ভক্তরা ভাবলেন-সোবহানআল্লাহ কী সৌভাগ্য! আল্লাহপাক খুশী হয়ে----

হুজুর কালবিলম্ব না করে আপনার সম্মানে মাবুদ খুশী হয়ে আপনার জন্যে ইফতার করতে পনেরমিনিট সময়ও কমিয়ে দিয়েছেন!

ভক্তরা মহাখুশী-সোবহানআল্লাহ!সোবহানআল্লাহ কী সৌভাগ্য! আল্লাহপাক খুশী হয়ে----

প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন-আল্লাহর জবরদস্ত ওলী- বড়পীর সাহেব এ সব দেখে এবং শুনে-তাঁর কোরআন-সুন্নাহর শিক্ষাদিয়ে-ইলম দিয়ে তৎক্ষণাৎ বুঝে ফেললেন-নবীকুল শিরোমণি-হজরত মোহাম্মদ সাঃথেকে শুরু করে কোন সাহাবা রাঃদের জন্যেওতো এমনটা হয়েছে বলে কোন কিতাবে লিখা নেই!আর তাদের চাইতে আমি কোন ছাই!এতবড় একটা ফরজ হুকুম পালনে সময় কমানো,জান্নাতি ইফতার!দুনিয়াতে পাঠানো?

এমন কোন বিধানতো কোথাও নেই! এমনতো হতেই পারেনা! তা-হলে....? তাঁর বুঝতে আর দেরী হলো না!এতো শয়তান! আমাদের রোজাটা ভাঙ্গতে এসেছে!বড়পীর সাহেব তখনই গর্জে উঠলেনঃদুর হ শয়তান-লা-হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ---শয়তান দে ছুট!উধ্বশ্বাসে পালিয়ে বাচলো!

আফসোস!আজ নামে মুসলমান হয়ে জজ-ব্যারিস্টার হয়ে ডক্টরেট করে বড় বড় স্কলার হচ্ছি কিন্তু দ্বীনি ইলম বা কোরআনের জ্ঞান স্বল্পতার কারণে ইসলামী রাজনীতি,কোরআনের আইন- কেন-কোথায় কিভাবে কাদেরকে মানতেই হবে? তা বুঝি না বা বুঝতেও চাই না! রাষ্ট্রদ্রোহিতা বুঝি,কিন্তু কি বললে কি করলে খোদাদ্রোহিতা হয়,মুরতাদ হয় জানি না,জানতেও চাই না।সব জেনেও কতই না মূর্খ আমরা! আর শয়তান আমাদের ঈমান-আমল সবই যে প্রগতির দুর্গতিতে ফেলে ধ্বংস করে দিচ্ছে তার কোন ভ্রূক্ষেপই করছি না!

আর তাই---

নবীজি আদর্শে মোদের ব্যক্তি-সমাজ-রাষ্ট্র-জীবন চালাই না!

নবীজির আদর্শ ছেড়ে কার আদর্শে মন হইয়াছ দিওয়ানা?

কি ভয়াবহ অবস্থা একটু চিন্তাও কেউ করিনা----!

সারাজীবন ভরে গেলাম বিরোধিতা করে--

আর মরনের পর লাশটাকে দেই মিল্লাতে রসুল বলে---

নাজাত--মিলবে না।।

বিষয়: বিবিধ

১১৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File