আজকের তারুন্যকে আজ বুঝতে হবেঃআসলে দেশ-বিরোধী-মানবতাবিরোধী কারা?

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তমন ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৩:২৬:১৫ রাত

এক সাগর রক্ত দিয়ে কেনা আমাদের সুজলা-সুফলা-সোনার বাংলাদেশ।স্বাধীন-সার্বভৌম আমরা কিন্তু এখনও সমৃদ্ধশালী-স্বনির্ভর নই।স্বাধীনতার ৪২ বছর পর আজো আমরা স্বাধীনভাবে নিজের দেশটাকে নিজের মত করে গড়তে পারছিনা।আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম দেশটাকে ভাইয়ে ভাইয়ে মিলে-মিশে এক হয়ে গড়তে পারছি না। শিল্পীর সুরে-সুরে--কি ভাবার কথা কি ভাবছি?কি করার কথা কি করছি,কি দেখার কথা কি দেখছি?আজ ৪২ বছর পরেও আমার স্বাধীনতাটাকেই খুজছি----একই দেশের সন্তান হয়ে আজ --তারুণ্যের নবজাগরণ বলে ভাইয়ে ভাইয়ে বিবাদ করছি!"খতম কর-নির্মূল কর- জবাই কর" শ্লোগান দিচ্ছি---

আজকে যুদ্বাপরাধির বিচারের নামে কি আমরা একটা বিভাজনের দিকে, এক মহা সংকটের দিকেই আমাদের প্রিয়দেশটাকে,এদেশবাসীকেঠেলে দিচ্ছি না?

আজকে দেশেতো পাক হানাদার নেই,নেই বৃটিশ বেনিয়া। রাজনৈতিক মতাদর্শে যারা ৭১এ পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল সেই জামাত তো আজ বাংলাদেশকে মেনে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই রাজনীতি করে ইসলামী আদর্শ নিয়ে জানবাজি রেখে গণতান্ত্রিকভাবে দেশ গঠনেই নিবেদিত।

আওয়ামীলীগের সাথে যুগপৎ আন্দোলন করে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে,কেয়ারটেকার ফর্মূলার রূপকার হিসেবে অনন্য ভূমিকা রেখেছে।চারদলীয়জোট সরকারের শরীক হিসেবে ঈমানদারীর সাথে মন্ত্রণালয় চালিয়ে অত্যন্ত সফলতার সাথেই প্রিয়দেশ গঠনে নিবেদিত থেকে আজ আঠারদলীয় জোটের অন্যতম শরীকদল হিসেবে দেশের ছায়াসরকারের জাতীয় দায়িত্বের প্রধাণতম অংশীদাররূপে দেশগঠনে নিবেদিত;কিন্তু হীন রাজনৈতিক স্বার্থে এ-কেমন আত্বঘাতী ধ্বংসের খেলায় মেতে আছি আমরা?

বিশ্ব যখন তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে -আর আমরা নিছক দলীয় কারণে, মতের মিল না হবার কারণেই- পাক হানাদার ১৯৫জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে আজ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে যুদ্ধাপরাধী নহে মানবতাবিরোধী অপরাধী বলে হত্যা করার জঘন্য অমানবিক কাজে নিষ্ঠুরের মত অবতীর্ণ হচ্ছি!

আজকে জামাত-শিবিরের কয়েকজন নেতাই কি দেশের জন্যে,জাতির জন্যে বিরাট ভয়ংকর সমস্যা? মাওলানা মতিউররহমান নিজামী,আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ন্যায়-নীতিবান সফল মন্ত্রী হিসেবে জাতিকে সর্বোত্তম সেবা দিয়েছেন আর মাওলানা সাঈদী সারাবিশ্বে বাংলাদেশের সম্মান উৎচকিত করেছেন।

অথচ দেশ স্বাধীনের পর সিরাজ সিকদার থেকে শুরু করে প্রায় ত্রিশ হাজার মুক্তিযোদ্ধা কারা হত্যা করেছে? আওয়ামী বাম ঘরানার রাজনীতিকরাই,জামাত-শিবির নহে।

এভাবে করে স্বাধীনতার আহবায়ক বঙ্গ-বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে কারা নৃশংসভাবে হত্যা করে মানবতা বিরোধী জঘন্যতম অপরাধ করেছিল? নিশ্চয়ই জামাত-শিবির নহে বরং আওয়ামীলীগের তদানীং প্রথম সারির নেতা কুখ্যাত খোন্দকার মোশ্তাক গংরাই।

বঙ্গ-বন্ধুর গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানাতে এদেশে জামাত-শিবির নয় তদানিং অগ্নিকন্যা আজকের মতিয়া চৌঃগংরাই চেয়েছিল!

বার বার দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করে সেনা বিদ্রোহের আগুনে দেশ ধ্বংসের খেলায় লিপ্ত ছিল আজকের ইনু-বড়ুয়া গংরাই!

স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে যারা আজো জান-প্রাণ দিয়ে নিবেদিত তারা ৭১এ কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে অবশ্যই বিচার হবে কিন্তু আজকে যারা মানবতার দুশমন তারা আজ মানবতারবন্ধুদের জোর করে আওয়ামী-বাম ঘরানার নাস্তিক্যবাদী-ধর্মনিরপেক্ষবাদীর ধ্বজাধারীরা মুক্তিযুদ্ধের স্পর্শকাতর চেতনার কথা বলে সরাসরি ইসলামী রাজনীতির বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়ে আজো আবার দেশবাসীকে বিভাজনের দিকে- মহা সংকটের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে!

ওরা দেশটাকে স্বাধীন হবার আগ থেকেই এ ভয়ংকর কুট-চালে আওয়ামী মুসলিম লীগকে আওয়ামীলীগ বানিয়েছে।ওরা ৫২তে আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল!ওরাই ৭১এ সর্বনাশা যুদ্ধ বাধিয়ে আমাদের অস্তিত্বকে কেড়ে নিতে চাইছিলো!

আবার স্বাধীনের পর থেকে পক্ষ বিপক্ষের নানান ইসূ্তে আজো ওরা আমাদেরকে মিলে-মিশে দেশটাকে গড়তে দিচ্ছে না !ভাইয়ে ভাইয়ে এক সাথে বাঁচতে দিচ্ছে না। আজকের তারুন্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টি বুঝতে হবে আসলে দেশ বিরোধী মানবতাবিরোধী কারা আর দেশ-দরদী,মানবতার পক্ষে কারা----

,

বিষয়: রাজনীতি

১১৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File