সকল বিভ্রান্তি থেকে হেফাজতে নারীনীতি সহ সম্পূর্ণ ইসলামকে আজ জাতির সামনে আংশিক নহে পরিপূর্ণভাবে পেশ করুন...
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তমন ০৮ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:০৭:০৮ রাত
হেফাজতে ইসলাম এর স্মরণকালের সর্ববৃহৎ মহা-সমাবেশ তৌহিদীজনতার হৃদয়ে আশার সঞ্চার করেছে।সেইসাথে ঈমান ও ইসলাম বিদ্বেষীদের হৃদ-কম্পনও শুরু হয়ে গেছে।তাই দেশকে মধ্যযুগে নিয়ে যাবে,তালেবানীরাষ্ট্র করবে!নারীদের অধিকারে হস্তক্ষেপ!ইত্যাদি নানান অপপ্রচার শুরু করে দিয়েছে।
কেউ গালাগাল করলে সেটাকে যদি প্রশংসা করছে বলে ধরে নেয়া যায় তাতে সন্দেহাতীতভাবেই বিরাট লাভ হয়।কারণ যারা যেসব গালাগালগুলো যাকে করছে সে যেহেতু ঐসব গালাগালের ধারেকাছেও নেই তাই এসব করে প্রকারান্তরে তার প্রচার ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির কাজটিই করা হয়ে থাকে।আজ বামঘরানার বন্ধুরা সরকারের ঘাড়ে চেপে বসে হেফাজতের বিপক্ষে নানান কথা বলে সরকার ও সেই সাথে মহাসমাবেশের পর থেকে দেশবাসীকেও বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালানো শুরু করেছে।
সে জন্যে ওদের অপপ্রচারের জবাবে হেফাজতকে আজ
ঈমানদারির সাথে আজকের আধুনিক বিশ্বে মহান আল্লাহর আইন ও বিধান মেনে অর্থ্যাৎ ইসলাম মেনে যেমন, চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারা,আসমান-জমীন-ইথার-পাথার-বাতাস-আলো-পানি তথা সমগ্রবিশ্ব আজ অত্যন্ত সুশৃংখলভাবেই সর্বাধুনিক থেকে আরও আরও সবাধুনিক রূপে দীপ্যমান।এসব কোন কিছুই আল্লাহর আইনে চ"লে অর্থ্যাৎ ইসলাম অনুযায়ী চ"লে মধ্যযুগীয় হয় নি।বরং সর্বাধুনিকই রয়েছে। কারণ এ বিশ্বজগত এমনকি আমি-আপনি-আস্তিক-নাস্তিক-মুসলিম-অমুসলিম-নির্বিশেষে সকল মানুষ,সকল পশু-পাখি-সকল প্রাণী-সকল কিছুই আল্লাহ তাআলার বাধ্যতামূলক আইন ও কানুন-নিয়মবিধান মেনে চলছে অর্থ্যাৎআল্লাহর ইসলাম মেনে চলছে।কিয়ামত পর্যন্ত চলবেই।
কারো কারো কাছে খুব আজব মনে হবে-অমুসলিমরা,নাস্তিকরাও ইসলাম মেনে চলছে?অবশ্যই-অবশ্যই-অবশ্যই।কোরআন-সুন্নাহ মনোযোগদিয়ে পড়ুন,ইসলাম কি,কাকে বলে? এর ওর কাছ থেকে নহে ,সরাসরি কোরআন-সুন্নাহ পড়ে বুঝুন;সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সর্বকালের-সর্বযুগের সর্বাধুনিক আইন-বিধান হচ্ছে মহান সর্বাধুনিক{তিনি-মহান আল্লাহ,প্রতিক্ষণে প্রতি মুহুর্তে নবসাজে-নবরূপে সর্বাধুনিকভাবেই প্রকাশিত-সূরা আররাহমান,}আল্লাহর আইন,আল্লাহর বিধান শাশ্বত-চিরন্তন- চির নতুন-চির আধুনিক- কিয়ামত পর্যন্ত অত্যাধুনিক থেকে আরও আরও অত্যাধুনিকরূপেই কার্যকর-তা হচ্ছে ,আল্লাহ প্রদত্ত আল-ইসলাম।
অথচ নাস্তিক-কুলাঙ্গার-জ্ঞানপাপীরা ইসলাম না বুঝে, আল্লাহর আইন-বিধান পরিপূর্ণভাবে না পড়ে না বুঝে, কিছু বুলি শিখে নিয়ে ইসলামকে বলে মধ্যযুগীয় ইত্যাদি, আর নিজেদের প্রগতিশীল ভাবে আধুনিক মনে করে । অথচ দেখুন, মাত্র ষাট-সত্তর বছর বা বড়জোর একশ বছর বেঁচে থেকে তার যুক্তিতেই সে মরার সময় তার একশ বা ষাট-সত্তর বছর বয়সের, তার সময়কার- আধুনিকতার-প্রগতির দাবীদার মনের কবর রচনা করে, তার জীবনশুরুর আধুনিকতার চাইতে মরণের সময়কার আধুনিকতার কাছে সেকেলে হয়ে মৃত্যুবরণ করে! আর আল্লাহ তাআলার নিয়ম-বিধান-ব্যবস্থা-আল ইসলাম, সব সময়ের জন্যেই অত্যাধুনিকরূপে শাশ্বত কিয়ামত পর্যন্ত চিরস্থায়ী এবং সদা-কার্যকর সদা-সময়োপযোগী।
আল্লাহ প্রদ্ত্ত জীবনবিধান-"আল-ইসলাম"কখনও তামাদী হয় না।যেমন আল্লাহতাআলার বিধান অনুযায়ী চন্দ্র-সূর্য-পৃথিবীতে আল্লাহর বিধানে আলো দিচ্ছে-কিরণ দিচ্ছে! কিয়ামত পর্যন্ত দেবেই। কিন্তু কোন কুলাঙ্গার কি বলতে পারবে আজকের চন্দ্র-সূর্যের আলো-কিরণ সব মধ্যযুগীয়, তামাদী হয়ে গেছে?এসব পুরান,ত্রুটিপূর্ণ-সেকেলে হয়ে গেছে!বদলাতে হবে?কক্ষনও না!
তারকারাজি-সৌরজগত-সকল কিছুই অত্যন্ত সুনিপুনভাবে-সুশৃংখলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।আর তাইতো সূরা মূলকে মহান রব বলছেন-আমার সৃষ্টিজগতের দিকে চেয়ে দেখোতো?কোথাও কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি-না?বার বার দেখো! তোমাদের দৃষ্টি ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে ফিরে আসবে কোথাও কোন ত্রুটি খুজে পাবে না!সোবহান আল্লাহি ওয়াবিহামদিহী।। কোন নাস্তিক বুক ফুলিয়ে বলতে পারবে না যে,আল্লাহর নিয়মে পরিচালিত চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারা,আসমান-জমীন-ইথার-পাথার-বাতাস-আলো-পানি তথা সমগ্রবিশ্ব ও বিশ্বসিস্টেম-আল্লাহর নিয়ম-বিধান আজ মধ্যযুগীয় হয়ে গেছে! তাই আমরা মধ্যযুগীয় তালেবানী বিশ্বে থাকব না এখানে হেফাজতীরা আর তাদের সমর্থকরাই থাক, আমরা প্রগতিশীল-অত্যাধুনিক অন্যকোন বিশ্বে চলে যাব?ইত্যাদি ইত্যাদি....ভেবে দেখুনতো! কতই না অবান্তর-হাস্যকর-মূর্খতারই পরিচায়ক হবে! যদি কেউ এমনটা বলে বা ভাবে?
আজ ইসলামী নীতিমালা নিয়ে ওদের মধ্যযুগীয় ধারণার অপপ্রচার!এসবই অবান্তর-হাস্যকর-বৈকি! আল-ইসলাম,
ইসলামের সুমহান আদর্শ,ইসলামীরাষ্ট্রের নমুনা,ইসলামীশিক্ষানীতি,ইসলামী নারীনীতি ইত্যাদি সম্পর্কে ওদের মূর্খতারই পরিচায়ক;এতদসংক্রান্তে ওদের অজ্ঞতা,সুষ্পষ্ট ও পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকাটাই একমাত্র এবং প্রধানতম কারণ।তাই আজকে সবচে বড় ঈমানী দায়িত্বরূপে জাতির সামনে আল-ইসলাম,
ইসলামের সুমহান আদর্শ,ইসলামীরাষ্ট্রের নমুনা,ইসলামীশিক্ষানীতি,ইসলামী নারীনীতি ইত্যাদি সুষ্পষ্টভাবে তুলে ধরে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষের জীবনের সকল মানবিক অধিকার পূরণকরতঃ জীবনের মৌলিক সমস্যাবলীর সুষ্ঠু সমাধান দিয়ে সব মানুষের সকল নারী ও পুরুষের সর্বাধুনিক জীবন-মানের গ্যারান্টি প্রদানে ইসলাম-ইসলামী নারীনীতি সক্ষম ;নারীকে ইভটিজিং,এসিডনিক্ষেপ,ধর্ষনসহ সমাজের ভোগ্যপণ্যসামগ্রী করার পরিবর্তে তার যথাযথ মর্যাদা দিয়ে বিশ্বপরিচালনায় অবদান রেখে প্রকৃত অনন্য মানুষরূপে মর্যাদাশীল করতে সক্ষম-এসব আজ সহজভাবে-সাবলীলভাবে জাতির সামনে পেশ করুন।সকল বিভ্রান্তি থেকে জাতিকে হেফাজতে নিবেদিত হউন!
মিছিল-মিটিং-সমাবেশ-লংমার্চ-অবরোধ-হরতাল ইত্যাদি কোরআন-সুন্নাহ মোতাবেক পালন করার নমুনা পেশ করুন।সর্বোপরি সকল বিভ্রান্তি থেকে হেফাজতে আজ ইসলামী সমাজ,ইসলামী রাষ্ট্র তথা ইসলামী জীবনবিধানকে পরিপূর্ণভাবে জাতির সামনে পেশ করুন........
বিষয়: বিবিধ
১৬৭২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন