রক্তাক্ত ব্রাম্মণবাড়ীয়া ট্র্যাজেডি ২০০১
লিখেছেন লিখেছেন শাহাদাত হুসাইন নবীনগর ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০১:৩৩:১৩ রাত
চারিদিকে গুলির শব্দ আতংকিত নগরবাসী যেন ১৯৭১ এর রক্তঝরা সেই দিনগুলো , বাচাও বাচাও আর্তনাদ আর ঈমানী চেতনায় উজ্জিবিত মুজাহিদদের নারায়ে তাকবীরের শ্লোগান , হায়েনাদের বুলেটের আঘাতে রক্তাক্ত ব্রাম্মনবাড়ীয়ার রাজপথ । নীরবেই চলে গেল শোকার্তও কলংকময় আজকের দিনটি
কি ঘঠেছিল সেদিন আসুন জেনে নেই ।
২০০১ সালে হাইকোর্ট থেকে ফতোয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয় এর প্রতিবাদে ফুসে ইঠে দেশের তৌহিদী জনতা , ফুসে উঠেছিল ব্রাম্মণবাড়ীয়াবাসীও ।
ঈমানী চেতনায় উজ্জিবীত তৌহিদী জনতার শান্তিপুর্ন আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য সরকার গ্রেফতার করে ইসলামী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ ব্রাম্মণবাড়ীয়ার কৃতিসন্তান আল্লামা মুফতী ফজলুল হক আমিনীকে ।
হাইকোর্টের ফতোয়াবিরোধী রায় বাতিল ও মুফতী আমিনীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে ব্রাম্মণবাড়ীয়ার বড় হুজুর আল্লামা সিরাজুল ইসলাম সাহেব ৬ই ফেব্রুয়ারী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন এবং সকলকে বলে দেন হাতে তসবীহ আর মুখে জিকিরের সাথে যেন বিক্ষোভে অংশগ্রহন করেন ।
এই মহান সাধকের ডাকে সাড়া দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়ার সর্বস্তরের মানুষ ৬ই ফেব্রুয়ারী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জমায়েত হতে থাকে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার সামনে ।
( আজকে এই মাদ্রাসার শত বর্ষ বার্ষিকীর সম্মেলন চলছে )
সম্মিলিত তৌহিদী জনতার শান্তিপুর্ন মিছিল যখন সামনে অগ্রসর হয় ঠিক তখনী নিরশ্র তৌহিদী জনতার উপর হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ে সরকারের পেটুয়াবাহিনী ।
পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয় হাফেজ সাইফুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম সহ ৬টি তাজাপ্রানকে
আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত করা হয় অসংখ্য বনী আদমের দেহ যাদের অনেকেই এখন পংগু হয়ে আছেন ।
এই নারকীয় ঘটনার ১৪ বছর পুর্ন হলো আজ ।
এখনও বিচার হয়নী খুনিদের ক্ষতিপুরন পায়নী আহত নিহত পরিবার ।
অবিলম্বে ব্রাম্মণবাড়ীয়ার এই ৬ শহীদের খুনী ও গড ফাদারদের বিচার হোক
১৪তম শাহাদাত বার্ষিকীতে শহীদদের প্রতি জানাই সালামও ভালবাসা ।
বিষয়: বিবিধ
১১০৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাই গাজী সালাউদ্দিন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন