ডাকাতের কবলে এক রাত ।

লিখেছেন লিখেছেন শাহাদাত হুসাইন নবীনগর ১৫ জুন, ২০১৪, ০৩:২১:২০ দুপুর

দিন তারিখ ঠিক মনে নেই তবে ২০০০ সালের কোরবানীর ঈদের কিছুদিন পরের ঘটনা ।

নিঝুম রাত , সারা দিনের কর্ম ব্যাস্ত মানুষগুলো গভীর ঘুমে , রাতের শেষ প্রহরে কিছুক্ষন পরই মসজিদের মিনারগুলো থেকে ভেসে আসবে আযানের সু-মহান ধ্বনি আল্লাহু আকবার ।

প্রতিদিন ঠিক এই সময়েই উস্তাদের নরম-গরম ডাকে আমাদের ঘুম ভাঙে , এই ডাকটি আমাদের সবার পরিচিত ।

আজকেও আমাদের ডাকা হলো কিন্তু আজকের ডাকটি সম্পুর্ন ভিন্নরকম " বাবারা ঘূম থেকে উঠো "এত সুন্দর আদরীয় মধূময় ডাকে আমাদের কখনো ঘুম ভেঙেছে বলে মনে হয়নী ।

উস্তাদজী আজ এত দয়াবান হয়ে গেল ? আহা্ প্রতিদিন যদি এমন করে ডাকা হতো ঘুম থেকে জাগার জন্য ?

ঘুমের চোখগুলো কচলিয়ে যখন দেখতে পেলাম , তখন ভয়ে চমকে উঠলাম ও মা এই কি? ২০/২২ জন লোক কারো হাতে বড় বড় ছোরা-পিস্তল , শর্ট পোষাক আর মুখোশ পড়া এরা কারা ? কিছু বুজে উঠার আগেই একজন হুংকার ছাড়লেন , কেউ মশারীর ভেতর থেকে বের হবেনা যার যার ট্রাংক স্যুটকেস এর চাবিগুলো দিয়ে দাও,

কেউ বের হলে মেরে ফেলবো ।

তখন বুজার আর বাকি রইলোনা আমরা আজ ডাকাতের কবলে পড়েছি । এখন আমরা কি করবো ? দিশে হারা আমরা কেউ কারো সাথে কথা বলতে পারতেছিনা এরই মাঝে সবার জানের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে্ আমাদের সবার প্রিয় ছোট হুজুর বললেন তোমাদের চাবি গুলো দিয়ে যার যার যায়গায় বসে থেকো ।

সবে মাত্র ঈদের ছুটি কাটিয়ে এসেছি সবার হাতেই নগদ টাকা পয়সা আছে , খুঁজে খুঁজে সব নিয়ে গেল ওরা , ডাকাতি সম্পন্ন করে বাহির থেকে তালাবদ্ব্য করে চলে যায় অ-মানুষের দল ।

পরে ভোর হলে এলাকাবাসি এসে তালা খুলে মুক্ত করে আমাদেরকে । মাদরাসার হিতাকাংখি সবাই এসে সমবেদনা জানিয়েছে , আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ছাত্রদের যার যত টাকা নিয়েছে তার লিষ্ট করার জন্য মাদরাসা কমিটি সেসব টাকা ফেরত ও দিয়েছিল ।

এই ঘটনা শুনে সন্দ্বীপের হযরত ইদ্রিস সাহেব (রহঃ) বলেছিলেন এই ঘটনা আল্লাহর দরবারে মাদরাসা কবুল হওয়ার লক্ষন ।

হযরতের এই দোয়া আল্লাহপাক কবুল করেছেন সাভার থানার হেমায়েতপুর যাদুরচরে " জামিয়া সিদ্দিকীয়" এই মাদরাসা আজ মাথা উচু করে দাড়িয়ে দ্বীনের আলো বিতরন করছে ।

অনেক দিন পর মনে পড়লো তাই সবার সাথে শেয়ার করলাম ।

বিষয়: বিবিধ

১১৮৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

235126
১৫ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৯
আবু জারীর লিখেছেন : উস্তাদজী আজ এত দয়াবান হয়ে গেল ? আহা্ প্রতিদিন যদি এমন করে ডাকা হতো ঘুম থেকে জাগার জন্য ?

তাহলে অনেকেরই আর ফজরের নামায পড়া হতনা। ফাঁকিবাজরা হুজুরের কোমলতার ফায়দা উঠাত।

ধন্যবাদ।
১৬ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
181953
শাহাদাত হুসাইন নবীনগর লিখেছেন : ঐসময়তো এইটা বুজতামনা আবু জারির ভাই ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
235152
১৫ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৬
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : আফসোস!!
১৬ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:১৭
181954
শাহাদাত হুসাইন নবীনগর লিখেছেন : ধন্যবাদ মোস্তাফিজুর রহমান ভাই ।
235218
১৫ জুন ২০১৪ রাত ০৯:১৯
মাটিরলাঠি লিখেছেন :
স্মৃতিচারণটি ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৬ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:১৮
181955
শাহাদাত হুসাইন নবীনগর লিখেছেন : কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ @ মাটিরলাঠি
235348
১৬ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
আবু আশফাক লিখেছেন : একদম দিনহীন ডাকাত মনে হচ্ছে! বাড়ী থেকে এসেই অনেকে হোস্টেলে খাওয়ার টাকা দিয়ে দেন, সেখানে হাত খরচের জন্য আর কতই বা থাকে? সেটার জন্য ডাকাতি!!!!!!!
১৬ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:২৭
181957
শাহাদাত হুসাইন নবীনগর লিখেছেন : আমার যতটুকুন মনে পড়ে একশতের উপরে ছাত্র ছিলাম প্রায় সত্তর হাজার টাকা শুধূ ছাত্রদেরই ১০০/২০০/৩০০/৫০০ এমন করে হোষ্টেল ইন্চার্জ এর কাছে সব সময়ই কিছু থাকতো ঐদিনও ছিল প্রতিদিনের বাজারের টাকা ।
আল্লাহপাক ওদেরকে দ্বীন বুজার তাওফিক দান করুন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File