যে বিষয়টি নিয়ে আমি লিখতে চাইনি...
লিখেছেন লিখেছেন জয়নাল আবেদীন টিটো ১১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০১:০১:৪৯ রাত
আমরা আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ দেখি, যারা বিভিন্নভাবে চরমপন্থা অবলম্বন করে । ক্রুদ্ধ হয়ে যারা ত্রাসের পথ বেছে নেয়, তারা সন্ত্রাসী হিসাবে গণ্য হয় । কিন্তু, ধর্মীয় ব্যাপারে যারা চরমপন্থা অবলম্বন করে, তারা অনেকের কাছে 'খুবই ধার্মিক' হিসাবে পরিচিত হয় ।
আমি এখন ধর্মীয় চরমভাবাপন্ন মানুষদের নিয়ে আমার অভিজ্ঞতার কথা বলতে চাই ।
একজন মানুষকে দেখলাম, বেশ লম্বা পাজামা-পাঞ্জাবী পরনে । তার দাড়িও বেশ লম্বা, কোনদিন কাঁচির স্পর্শ পায়নি --এটা নিশ্চিত । দাড়ির দু'তিনটি সুতা প্রায় নাভী পর্যন্ত পৌঁছে গেছে । যারা পোশাক এবং চেহারা দেখে ধার্মিকতার পরিমাপ করেন, তাদের কাছে ওই ভদ্রলোক বেশ প্রশংসনীয় বলে বিবেচিত হবেন । একবার তিনি হাসপাতালে এলেন । রক্ত পরীক্ষা করাবেন । যে নার্স রক্ত টেনে বের করবেন, তিনি একজন নারী । ওই ভদ্রলোক কোনক্রমেই কোন নারীকে তাঁর গায়ে সূচ ফোটাতে দিবেন না । যাই হোক, পরে অন্য একজন পুরুষ তার শিরায় সূচ ঢুকিয়ে রক্ত বের করলেন ।
অন্য একদিন তিনি এলেন তার শরীরে একটি ইঞ্জেকশন নেবার জন্য । কিন্তু কোনক্রমেই মহিলা নার্সকে তাঁর শরীরে ইঞ্জেকশনের সূচ ফোটাতে দিবেন না । এই নিয়ে অনেক সময় ক্ষেপণের পর একজন অনভিজ্ঞ পুরুষ তাকে ইঞ্জেকশন করলেন । ওই ভদ্রলোকের বাড়াবাড়িটা আমার কাছে খুব ভাল ঠেকেনি ।
অনেকদিন পর তিনি আজ হাসপাতালে এলেন ডাক্তার দেখানোর জন্য ।
সমস্যা কি ?
উত্তরে জানালেন, সবসময় মাথাটা চাপ দিয়ে থাকে ( Feeling of heaviness of head/ Tight band like sensation ) এ অনুভূতিটা অনেক বছর ধরে ।
কত বছর ?
সবসময়ই ছিল । মানে তিনি কোনদিনই এর চেয়ে ভাল ছিলেন না ।
ডাক্তার সাহেব বিস্তারিত বিবরণ জেনে ওষুধ লিখে দিলেন । ধার্মিক লোকটি ডাক্তার সাহেবকে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি আমাকে কিসের ওষুধ দিয়েছেন" ?
ডাক্তার সাহেব বললেন, এটা আপনার মাথার বা শরীরের সমস্যা নয়, দীর্ঘস্থায়ী বিষণ্ণতার ব্যাধি ।
"তা আপনি কী করে বুঝলেন " ? ডাক্তার সাহেবকে প্রশ্ন ।
ডাক্তার সাহেব বললেন, আপনি আগে কোন ডাক্তার দেখিয়েছেন ?
"জী, নিউরোলজিস্ট দেখিয়েছি । তিনি আমাকে একটি ওষুধ দিয়েছিলেন নাম...... (Antidepressant) । তারপর প্রশ্নের পর প্রশ্ন, ওষুধে যদি ভাল না হয় ? আজ আপনি দশ মিলিগ্রাম দিয়েছেন, তিনমাস পরে আবার বিশ মিলিগ্রাম লাগবে......... ।
কোন প্রশ্নের উত্তর দিয়েই তাকে সন্তুষ্ট করা যায় না ।
অকারণে অতিরিক্ত প্রশ্ন করা একটি বাজে অভ্যাস ।
এ ধরণের মানুষ দুএকটি বিষয় নিয়ে অন্যের চেয়ে বেশী ধর্মচর্চা করে । কিন্তু বাস্তব জীবনে এরা ভারসাম্যহীন । এদের সঙ্গে অবস্থান করা খুবই বিরক্তিকর । অন্যের কাজে-কর্মে, ধর্মচর্চায় এরা সবসময় খুঁত খুঁজে বেড়ায়, ভুল খুঁজে পায়, আর অসন্তুষ্ট হতে থাকে । ক্রমাগত অসন্তুষ্টি বোধ এদের psychosis এবং neurosis বানিয়ে ফেলে।
কয়েকদিন আগে Muslimah wayfarer নামে এক ছাত্রী তাঁর অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন এভাবে--
"ঘটনা ৩ঃ
গ্রামে আমার এক আত্মীয় (উনি মাদ্রাসার আলেম) বিয়ে করলেন কিছুদিন আগে। সেবার গ্রামে গিয়ে শুনলাম, উনার ওয়াইফ নাকি খুব পর্দানশীলা, আলেমা, ঘরেও মুখ ঢেকে থাকেন, সত্যি বলতে আমি নিজে দেখা করতে গিয়েও উনার মুখ দেখতে পাইনি। সে বিষয় নিয়ে কিছু বলতে যাইনি, তাক্বওয়ার লেভেল আছে, থাকুক না উনি উনার মত, পারছেন ভালোই তো। পরের বছর আবার গ্রামে গেলাম, এবার লোকজন বলাবলি করছেঃ ঐ বৌ খালি মুখেই হুজুর, স্বামী-স্ত্রী বাক-বিতণ্ডা হলে বৌ লাঠি দিয়ে স্বামীকে পিটায়, সবার সাথে ব্যবহার এত খারাপ ! ভয়েই কেউ ওর কাছে যায়না। মনে মনে বললামঃ আল্লাহু মুসতা'আন!
ঘটনা ৪ঃ
আমার এক 'আলেম আত্মীয়, আমার ফেইসবুকে ছিলেন, আমার লেখা পছন্দ করতেন। কিন্তু আমি কোন ভালো কিছু লিখলেই মাঝে মাঝে আমাকে মেসেজ দিয়ে বলতেনঃ তুমি তো এটা লিখলা, অথচ গ্রামে তোমার চাচা এই করেছে, অমুকের সাথে এই নিয়ে বিবাদ, হেন তেন...... আমি কেবল একটা কথাই বলেছিলাম উত্তরেঃ আমার চাচা বলেই আমি তার অন্যায় কাজের সমর্থন করি এটা আপনি কিভাবে বুঝলেন? কিংবা উনি কি খারাপ কিছু করার সময় আমার কাছে শুনে করেন? দুর্ভাগ্যক্রমে পরবর্তীতে জানতে পারলাম (উনি বিবাহিত এবং উনার স্ত্রীও আলেমা) । উনি নাকি পর্ন আসক্ত। মনে মনে আবারো বললামঃ হিদায়াতের মালিক আসলেই আল্লাহ, বেশভূষা কিংবা মগজভর্তি 'ইলম থাকলেও অনেককে আল্লাহ প্রকৃত হিদায়াত থেকে বঞ্চিত করতে পারেন।"
উপরের দুটি ঘটনা দেখুন । একজন নারী এবং একজন পুরুষ, দুজনই ধর্মীয় দু'একটি ব্যাপারে প্রান্তিক অবস্থানে চলে গিয়েছিলেন । এদের জীবন হয়ে উঠেছে অসহিষ্ণু, ভারসাম্যহীন । একজন তার স্বামীকে সহ্য করতে পারেন নি, অন্যজন পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে গিয়েছেন । আলেম সাহেব তার ধর্মীয় জ্ঞান দিয়ে নিজেকে সংশোধন এবং আলোকিত করার পরিবর্তে অন্যের ত্রুটি খোঁজায় ব্যস্ত থাকতেন । শেষে তিনি নিজেই মারাত্মক অন্যায়ে মগ্ন হয়ে পড়লেন ।
ইসলাম আমাদের ভারসাম্য পূর্ণ জীবন করতে আদেশ দেয় । অন্যের অধিকার আদায় করতে শেখায় । মানুষ ভুল করবেই । এটা তাঁর স্বভাবে প্রোথিত । ভুল বা গোনাহর কাজ না-করলে তাওবা করবে কে ? তাওবাকারীকে আল্লাহ্ প্রচণ্ড ভালবাসেন । 'মানুষ তাওবা করুক'-- এ বিষয়টি আল্লাহ্ এত পছন্দ করেন যে, মানুষ যদি গোনাহ না-করত, তাহলে তিনি সেই 'ভাল মানুষ'গুলোকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে নিতেন, এবং তাদের স্থলে এমন মানুষ সৃষ্টি করতেন, যারা ভুল করত, গোনাহ করত, এবং তওবা করত । এবং সেই তাওবাকারিদের তিনি ভালবাসতেন ।
দ্বীন-ধর্মীয় ব্যাপারে প্রান্তিক অবস্থানে চলে যাওয়া মানুষগুলো ধীরে ধীরে ভারসাম্যহীন এবং অসহিষ্ণু হয়ে যায় । আমি দেখেছি, তাল সামলাতে না পেরে এদের অনেকেই দ্বীনি কাজ একেবারেই ছেড়ে দেয় । আবার কেউ মানসিক রোগে (Psychosis/ Neurosis-এ) আক্রান্ত হয়ে পড়ে ।
# আল্লাহ্র রাসুল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি সমাজের মানুষের সাথে মেলামেশা করে এবং তাদের দেয়া কষ্টে ধৈর্য ধারণ করে, সে এমন ব্যক্তির চেয়ে ভাল, যে সমাজের মানুষের সাথে মেলামেশা করে না এবং তাদের দেয়া কষ্টে ধৈর্যও ধারণ করে না ।
# মহানবী সা বলেছেন, তোমরা চরমপন্থা অবলম্বন করা থেকে বিরত থাক । কারণ, চরমপন্থা অবলম্বনকারীরা ধ্বংস হয়ে গেছে ।
# নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হল, একজন নারী রাতে খুব নামাজ পড়ে, দিনের বেলায় রোজা রাখে । অনেক নেক আমল করে এবং দান সাদকাহ করে, কিন্তু সে তাঁর প্রতিবেশীকে জিহবা দিয়ে (কটু কথা বলে) কষ্ট দেয় । নবীজি বললেন, তাঁর মধ্যে কোন কল্যাণ নেই । সে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত । তারা (সাহাবীগণ) বললেন, অন্য একজন নারী ফরয নামাজটুকু পড়ে, সামান্য একটুখানি পনির সাদকা হিসাবে দেয়, কিন্তু কাউকে আহত করে না । রাসুলুল্লাহ সা বললেন, সে (নারী) জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত ।
দেখুন অনেক বেশী নামাজ পড়ে, অনেক বেশী রোজা রেখে অনেক দান সাদকা করেও ভারসাম্যহীন জীবন যাপন এবং কটু কথার কারণে একজন মানুষ জাহান্নামে যাচ্ছেন । আর শুধু ফরয নামাজটুকু পড়ে ফরয রোজাটুকু রেখে, সামান্য দান সাদকা করেও উত্তম আচরণের কারণে অন্যজন জান্নাত লাভ করছেন ।
অসহিষ্ণু হওয়া, দ্রুত রাগান্বিত হওয়া এবং মানুষের ভুলকে ক্ষমা না-করা আল্লাহ্ একেবারেই পছন্দ করেন না । বরং, যারা সচ্ছল এবং দারিদ্র উভয় অবস্থায় মানুষকে দান করে, আহার করায়, রাগকে হজম করে, মানুষের ভুলত্রুটিগুলো মাফ করে দেয়, এদেরকে আল্লাহ্ মুহসিন হিসাবে অভিহিত করেছেন এবং এ ধরনের মুহসিন মানুষকে আল্লাহ্ খুবই ভালবাসেন । ( সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৩৪ )
আমাদের উচিত ধর্মীয় অথবা অন্য কোন বিষয়ে প্রান্তিক অবস্থানে না-যাওয়া, ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপন করা, মানুষের সাথে মেশা, মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করা এবং অন্যদের ভুলত্রুটিকে Overlook করে যাওয়া । এতেই আমরা আল্লাহ্র ভালবাসা প্রাপ্ত হব ।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নিউরোসিস এর চিকিৎসা হয়তো কঠিন নয়, কিন্তু ভারসাম্য পূর্ণ জীবন ধারন এবং সকল ক্ষেত্রে ভারসাম্যতা বজায় রাখা- এক অতি কঠিন বিষয়!
চরম পন্থা এড়িয়ে চলাটা বোধ হয় তত কঠিন নয়, তবে সবার দোষকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা বোধ হয় আর এক বিরল গুণ। ভাল বলেছেন! আবার ধন্যবাদ!
এক, ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপন
দুই, সবার দোষ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা
ঠিকই বলেছেন ।
যুগ যুগ সাধনার পরে হয়তো এ দুটি বৈশিষ্ট অর্জন করা যায় । এর সাথে দরকার উপযুক্ত প্রশিক্ষকের অধিনে উত্তম প্রশিক্ষণ ।
কখনও কোরআন অধ্যয়ন করার সময় 'মধ্যপন্থী' উম্মত হওয়ার আদেশটি আমাদের মনের গভীরে ছাপ ফেলে না ।
কোরআনের আয়াত উল্লেখ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
আস্ সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ....
দরদময়ী সাবলীল উপস্হাপনা বিষয়টি গভীর ভাবে ভাবতে উদ্ভুদ্ধ করবে পাঠক কে!
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান জানাচ্ছি!!
ব্যক্তিগত আগ্রহ দমাতে পারছি না- আপনি কী 'টিটো ভাই'??
আমি কামরুল হাসান,মাহবুব হাসান সাঈদের ছোট ভাই!রিয়াদ আছি!
ফেসবুকে আমার যে নাম, স্কাইপেতেও তা-ই । অবসর হল স্কাইপেতে ফোন করো ।
ব্লগে এসে, ফেসবুক ব্যবহার করে তোমার কেমন লাগে, কি কি তুমি অর্জন করলে, তা একটু জানিও ।
শয়তানের কুমন্ত্রণা আর নফসে আম্মারার লাগাম যথাযথ টেনে ধরার ব্যর্থতায় বিপর্যস্ত আমি- আনন্দ-বিনোদন হিসেবেই ফেসবুক শুরু করেছিলাম!কিন্তু সাঈদ ভাইজানে দেয় 'আপনার ক্ষুদেবার্তা' চিন্তার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে আমার! ফেবুতে বাংলা লিখতে না পারায় 'লাইক-স্টিকারকমেন্ট'এর দ্বারাই গুরুত্বপুর্ণ-প্রয়োজনীয়-দ্বীনী বিষয়াদী শেয়ার করে যাচ্ছি!
আর 'ব্লগ' আমাকে নতুন ভাবে গড়ে তুলছে যেন!
ব্যক্তি হিসেবে আমার চিন্তা-চেতনা,আচার-ব্যবহার,কর্ম,দায়িত্ব-কর্তব্য কতটুকু দ্বীনী-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভূমিকা রাখছে-সেই উপলব্ধিতা কিছু অর্জন করতে পেরেছি ব্লগ পাঠ করে!ইনশা আল্লাহ এই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে!
ব্লগের লেখা প্রচুর পড়ছি,নিজের উপস্হিতিও জানান দিচ্ছি মন্তব্যের ঘরে দু'এক শব্দ লিখে!
নেটের জগতে নবীন শিক্ষানবীশ হিসেবে আমি- আপনাদের পিছু চলতে চাই,শেখার আশায়!
আপনার দেখা পেয়ে এতো আনন্দ লাগছে আমার! জাযাকুমুল্লাহু খাইরাল জাযাই ফিদ্ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ!
মাআস্ সালাম!!!
তুমি তোমার ছাত্র জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা শিখেছ, সেগুলো আবার রিভিশন দাও, আবার, আবার । আল্লাহর দফতরে জ্ঞানী হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়া বেশ মর্যাদার ।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
এতে কি প্রমান হয় না যে "হ য ব র ল" ইসলাম ধর্মই সব অনিষ্টের মূল? সুতরাং এই ইসলামী বিষ-বৃক্ষের পোষ্টমার্টন করে এতে কি কি অনিষ্ট/ক্ষতিকর বস্তু রয়েছে তা খুঁজে বের করা সময়ের দাবি। ধন্যবাদ আপনাকে।
নাছির ভাই, এই অসাধারণ সুন্দর পোস্টের লেখক হলেন ডাঃটিটো ভাই!
টিটো ভাইকে এখানে পেয়ে আমার আগ্রহ আরো বেড়ে গেল! অনেক কিছু শিখতে পারবো এখন!
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ!!!
শাইখ ইউছুফ আল কারদাভীর লেখা একটি বই পড়ছি। ইচ্ছা আছে কয়েক পর্বে লিখার। কিছুটা হয়েছে।
আপনার বিষয়গুলো এতই বাস্তব যা সত্যি আমাদের সকলের জন্য উপকারী।
তাই বলছিলাম আপনি তো ডাক্তার নয়।আল্লাহর মেহেরবানীতে আলেম ও।
আল্লাহ আপনার যোগ্যতা আরো বাড়িয়ে দেন।আমীণ।
আসল কথা হল, কোন একটা মন্তব্য পেলে লেখকের ভাল লাগে । প্রশংসা পাওয়ার ইচ্ছা নেই, কিন্তু পাঠক পড়ুক, কিছু জানুক--এটাই চাই ।
চরমপন্থা নিয়ে লেখার সবচেয়ে উপযোগী ব্যক্তি ডঃ ইঊসুফ আল কারদাভি । কিন্তু অন্য একজনের লেখা বই আমার বেশ ভাল লেগেছে । ডঃ আব্দুর রহমান আল মুওয়াল্লা আল লাওয়াহিক-এর একটি বই লিখেছেন "আল গুলু ফিদ দীন ফিল হায়াতুল মুসলিমইন ফিল মাআছিরাহ" নামে । মূল বইটি তিনি লিখেছেন আরবিতে, মুহাম্মাদ বিন সাউদইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করার সময় । আমি এর ইংরেজী অনুবাদ পড়েছি ।
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন ।
কোথায় যেন পড়েছিলাম-চেনা ,জানা এবং মানা এই তিনটি তে মিল না থাকলে মানুষ ভারসম্যহীন হয়ে পড়ে। ধন্যবাদ।
সহমত। ভালো লাগ্লো...
এই ক্ষুদ্র লেখা আপনার ভাল লাগায় আমি প্রীত ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন