উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমার দিনগুলো--১

লিখেছেন লিখেছেন জয়নাল আবেদীন টিটো ১১ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:৩৫:১০ রাত

২০০৩ সালের জ্যোষ্ঠ মাস । খবর পেলাম, আমার সরকারী চাকুরীর প্রথম পোস্টিং হয়েছে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে । মিঠামইন হাওড় এলাকা । কিশোরগঞ্জের ভাষায় ভাটি অঞ্চল । বর্ষাকালে মাঠ-ঘাট-সমতলভূমি পানিতে প্লাবিত হয়; মাইলের পর মাইল অথৈ জলরাশি সাগরের রূপ ধারণ করে । তখন সাগর আর হাওড়ের মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না । কার্তিক মাসে মাঠ-ঘাট-সমতলের পানি শুকিয়ে যায় । তখন আঁকা-বাকা রেখার মত শুধু নদীগুলো জেগে থাকে । শ্রাবণ মাস হোক বা মাঘ, হাওড়ে যাতায়াতের একমাত্র উপায় নৌকা । বর্ষাকালে যে পথ চলে সরল রেখায়, মাঘে সে পথচলে সাপের মত এঁকে বেঁকে । আষাঢ়ে যেখানে পৌঁছা যায় একঘন্টায়, শীতে আঁকা বাঁকা পথে সেখানে পৌঁছতে লাগে তিন ঘন্টা । আচার্য দীনেশচন্দ্র সেনের সংগৃহীত 'মৈমনসিংহ গীতিকায়' গল্পে ভাটির মানুষদের হাসি কান্না আনন্দ বেদনা ফুটে উঠেছে নিপূণভাবে । হুমায়ুন আহমদও তার উপন্যাসে এবং চলচ্চিত্রে ভাটি এলাকার অনেক চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন ।

একটা ছিল সোনার কন্যা মেঘবরণ কেশ /

ভাটি অঞ্চলে ছিল সেই কন্যার দেশ /

দুচোখে তাহার আহারে কি মায়া /

নদীর জলে পড়ল সে কন্যার ছায়া


মিঠামইনে পোস্টিংয়ের কথা শুনে আমি বিষ্মিত হলাম । কী যেন হারানোর বেদনা আমার মনের কোণে বেজে উঠল । আমার অনেক দিনের আবাস শাহবাগ, পিজি হোস্টেলের 'এ' ব্লকের লাইব্রেরীতে পড়াশোনা, কাঁটাবন-নীলক্ষেত-নিউমার্কেটের বইয়ের দোকান, গাছ গাছালির শ্যামলিমায় আর পাখ-পাখালির কলকাকলীতে মুখরিত রমনা পার্ক, আর কয়েক বছরে গড়ে উঠা বন্ধুবান্ধবের উষ্ণ সম্পর্ক, সব ছেড়ে যেতে হবে হাওড়ে ! কেমন করে আমার সময় কাটবে ? কার সাথে আমি মন খুলে কথা বলব !

বিভাগীয় পরিচালকের অফিস হতে পোস্টিং অর্ডার পেয়েই ফোন করলাম ডা. ওমর ফারুক ভাইকে । কয়েক বছরে তিনি হয়েছিলেন আমার আড্ডার সাথী এবং বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন সংকটে আমার পরামর্শদাতা । তিনি বললেন, "আল্লাহর নাম নিয়ে চলে যাও । সেখানে গিয়ে তোমার নিজের ক্যারিয়ার build up, spiritual build up, আর যারা তোমার সংস্পর্শে আসবে তাদের সুশিক্ষা দিও ।" পরবর্তীতে কোনদিন তার এই তিনটি পরামর্শ আমি ভুলিনি ।

পোস্টিং অর্ডার হাতে নিয়ে চলে গেলাম বাড়ীতে । আম্মা আমার ছোট ভাইকে আমার সাথে দিলেন, যেন যাত্রা পথে কোন অসুবিধা না-হয় ।

'চামড়ার ঘাট' নামে স্থানীয় একটি নৌবন্দর আছে । আশে পাশের পাঁচ-ছ্য় উপজেলা সদর এবং বিভিন্ন গ্রাম থেকে নৌকা এসে থামে এখানে। ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইন উপজেলার হাওড়ের মানুষগুলো চামড়ার ঘাট দিয়েই জেলা সদরে যাতায়াত করে ।

চামড়ার ঘাট গিয়ে ইঞ্জিনের নৌকায় চড়লাম । গন্তব্য মিঠামইন । প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুবিধার জন্য চড়ে বসেছি নৌকার ছইয়ের উপর । নৌকা চলতে লাগল সর্পিল পথে এঁকে বেঁকে । জ্যোষ্ঠের খররৌদ্র মাথার উপর । আষাঢ় আসতে মাস খানেক বাকী । বরষার পানি তখনও মাঠ-ঘাট-সমতল ছাপিয়ে উঠেনি । জলরাশি তাই নদীর দুকূলের মধ্য দিয়েই সুবোধ বালকের মত বয়ে চলছে । নৌকার ছইয়ের ( ছাদের ) উপর দাঁড়ালে গ্রামীণ বাংলাদেশ দেখতে পাওয়া যায় । সেখানে দাঁড়িয়ে দেখি, দূরে, অনেক দূরে, অনেক মাইলে দূরে আকাশ আর জমিন এক রেখায় মিশে গেছে । এরই মাঝে মাঝে একটি দুটি গ্রাম নিঃসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে । নদী বয়ে চলছে গাঁয়ের পাশ দিয়েই । তখন জ্যোষ্ঠ মাসের সবে শুরু । ধান কাটা হয়ে গেছে । মাইলের পর মাইল জমিন মাঠের মতন । রবিঠাকুরের ভাষায় "ধানকাটার পর মাঠটার মত অপ্রয়োজনীয় জিনিষ আর নাই" । না, মোটেও অপ্রয়োজনীয় নয় । সে মাঠেই কৃষক আবার স্বপ্নের বীজ বুনবে । মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই ছিল ধান ক্ষেত; জসিমউদ্দিন যেমন বলেছেন, "ক্ষেতের পর ক্ষেত চলেছে, ক্ষেতের নাহি শেষ........" । দিগন্ত বিস্তৃত ধানকাটা মাঠের উপর কোথাও সারি সারি হিজল গাছ । দূর থেকে পাখি উড়ে এসে হিজল গাছে বসে, আবার উড়ে পালিয়ে যায় ।

হিজল বনে পালিয়ে গেছে পাখি /

যতই তারে করুণ কেঁদে ডাকি /

দেয়না সাড়া নীরব গহীন বন /

বাতাসে তার ব্যাথার গুঞ্জরন


কোথাও বক দাঁড়িয়ে আছে এক পায়ের উপর ভর করে, আরেক পা উঁচু করে, ধার্মিক ঋষির মত কিছুটা অর্ধনিমিলিত চোখে । নড়তে চড়তেও ভুলে গেছে । বক নয়, যেন সাদা সাদা বকের মূর্তি । বেখেয়ালী মাছ যখনই পাশ দিয়ে যাবে, তখনই উপরে তুলে রাখা পা দিয়ে মাছটিকে চেপে ধরবে । তারপরই টুপটাপ করে গিলে ফেলা । ধার্মিকের মত চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকা বকের পাশ দিয়ে যাওয়া মাছ কোনদিন প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারেনা । মাছের গন্ধ পেলে বক হয়ে যায় ধার্মিক, আর বিড়াল হয়ে যায় তপস্বী ।

মাঝে মাঝে মাছরাঙা চক্কর দেয় আকাশে । চমৎকার সবুজ রঙের পাখিগুলো যখন আকাশে উড়ে, তখন তার গায়ে সূর্যের আলো পড়ে সোনালী-সবুজ রঙের বিচ্ছুরণ ছড়ায় । মাছরাঙার রঙ আর তার মাছ শিকারের দৃশ্য পুরোটাই আলাদা । বকের মত সে ধার্মিকের ভান করে দাঁড়িয়ে থাকে না । পানির নিচের মাছ সে অনেক উপর থেকে দেখতে পায় । তারপর তীরের মত দ্রুত ছুটে আসে । চোখের পলকে মাছকে দুঠোঁটের চিপাকাঠিতে ধরে মুহূর্তের মধ্যে পালিয়ে যায় । তারপর চিকন ডালের বসে দোল খেতে খেতে মাছ গলাধরণ করে । দাঁত নেই, তবু কী সুনিপুণভাবে কাঁটা সহ আস্ত মাছ গিলে ফেলে ।

চিল আবার অন্যরকম । আমি যে চিল দেখেছি, সে চিল জীবনানন্দের 'সোনালি ডানার চিল' নয়, শঙ্খচিল নয়, গাঙচিলও নয়, একেবারে বাদামী রঙের মোরগের মত শিকারী চিল । চিলের দৃষ্টি হল একেবারে শ্যেন দৃষ্টি । অনেক উপর থেকে নদীর পানিতে মাছের অবস্থান বুঝতে পারে । চিল আকাশে চক্কর দিতে থাকে । আকাশেই স্থির হয়ে ভেসে থাকে । স্থির থেকেই মাছের অবস্থান সম্বন্ধে ধারণা নেয় । মাছের দর্শন পাওয়া মাত্রই উপর থেকে খাড়া নিচে এসে চিলের মত ছোঁ মেরে মাছ ধরে । মাছ ছাড়াও সাপ হল চিলের প্রিয় খাদ্য । দুচোয়ালের মাঝে সাপকে এমনভাবে চেপে ধরে যে, শরীর বাঁকিয়ে অনেক মোচড়া-মোচড়ি করেও চিলের চোয়াল থেকে বের হতে পারেনা । তখন শুরু হয় দংশনের চেষ্টা । প্রাণ বাঁচানের জন্য আপ্রাণ যুদ্ধ করে করে শেষে আত্মসমর্পণ করে চিলের গলার ভিতর ঢুকে যায় বিষধর এই প্রাণীটি । চিলের সংখ্যা যত বেশী থাকবে, আমাদের বিষাক্ত শত্রু ( সাপ) ততই কমতে থাকবে । অন্যকে দিয়ে নিজের শত্রু বিনাশ করতে পারলে ক্ষতি কী ? আত্মঘাতী মানুষ এটা বুঝতে পারল না ।

গাছে পাখির ডাক শুনে শুনে, সোনালী-নীল মাছরাঙার মাছ ধরা দেখতে দেখতে, আঁকা বাঁকা পথে নৌকা এগিয়ে চলল । নৌকার ভিতরে বসলে প্রখর রৌদ্র থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বটে, কিন্তু দিগন্তের কিছুই দেখা যায়না । আবার নৌকার ছইয়ের উপর উঠলে দিগন্তের সবকিছুই উপভোগ করা যায়, কিন্তু রৌদ্রের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না । অচেনা মানুষের সাথে একটু ভাব জমিয়ে কথা বলতে শুরু করলে, তার ছাতার ছায়ার শেয়ার পাওয়া যায় । তখন ফুরফুরে হাওয়া গায়ে লেগে মনটাও ফুরফুরে হয়ে উঠে ।

নদীপথে যেতে যেতে দেখলাম ছোট ছোট অনেক ছেলেমেয়ে গোসল করছে নদীতে । নদীতে যারা গোসল করতে অভ্যস্ত নন, তাদের জন্য ছোট ছোট বাচ্চাদের ডুবসাঁতার দিয়ে লুকোচুরি খেলার দৃশ্যটি বড়ই উপভোগ্য । গায়ে কারও একরত্তি কাপড় নেই । এমনি জন্মদিনের পোষাক পরে উপর থেকে লাফ দিয়ে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে । এক শিশু আরেক শিশুকে বলে, 'আমাকে খুঁজে বের কর তো', তো অন্যজন বলে, 'পারলে আমাকে ধর' । এই বলেই দেয় ডুব । ডুবসাঁতার দিয়ে অনেক দূর চলে যায় । অন্য শিশুটি ডুব দিয়েই তাকে খুঁজে । রবিঠাকুর যখন শিলাইদহে বোটে করে ঘুরে বেড়াতেন, তখন তিনি এসব দৃশ্য বেশ উপভোগ করতেন । তিনি তার এ স্মৃতিগুলো 'ছিন্নপত্রে' লিখে রেখেছেন । আমি রবিঠাকুর নই । ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের দাপাদাপিকে সরল, প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণনা করার সেই শক্তি আমার নেই ।

গ্রামের শিশুগুলো ঘুম থেকে উঠে খুব সকালে । তারপর মক্তবে গিয়ে একস্বরে চিৎকার করে কোরআন পড়ে । গ্রামের মাঠে দৌড়াদৌড়ি, পাতাফুলে লুকোচুরি,, গাছের ডালে দড়ি বেঁধে দোলনা বানিয়ে দোল খাওয়া,, নদীতে দল বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়া, বিকালে কানামাছি খেলা----এমন শৈশব যে শিশু পায়নি, সে শিশু কতটুকুই তার জীবনের প্রারম্ভকে উপভোগ করতে পেরেছে ? গ্রামের প্রতিটি স্কুলের সামনে থাকে মাঠ । ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে সে মাঠেই শিশুরা মেতে উঠে কানামাছি, দাড়িয়াবান্ধা খেলায় । পড়ার ফাঁকে ফাঁকে খেলায় ব্যস্ত থাকায় তাদের মনে হতাশা বিষন্নতা বাসা বাঁধতে পারে না । মনের সাধ মিটিয়ে খেলতে না-পারলে তারা অপেক্ষা করে ছুটির । বহুদিন পরও সেই ছুটির কথা তারা ভুলতে পারে না ।

কখন ছুটি হবে /কখন বাজবে সেই ঘণ্টা /

ছোট্ট বেলার পাঠশালার ওই শাসন ভেঙ্গে আনচান যে করত মনটা /

ছুটি, কতনা মধুর ছিল ছুটি /

শুধু ইচ্ছে মত ধূলায় লুটোপুটি


এসব দেখতে দেখতে মিঠামইন গিয়ে পৌঁছলাম । ঠিক মিঠামইন বাজার ঘাটে নয়, কামালপুর গ্রামের ঘাটে । বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের বাড়ীর সামনে নৌকা থেকে নামলাম। তারপর মেঠো পথ দিয়ে হেঁটে হেঁটে চললাম আমার নতুন গন্তব্যস্থলের দিকে । চারিদিকে অচেনা সব নারীপুরুষ । এই অচেনারাই ধীরে ধীরে আমার চেনা হয়ে উঠেছিল । কোথাও বিরাট বিরাট কালো মহিষ বাঁধা, কোথাও খড়ের গাদা, কোথাও বা ধান স্তুপ করে রাখা । এ যেন চিরকালের চিরচেনা বাংলাদেশ । একে ওকে জিজ্ঞেস করে করে হাসপাতালে পৌঁছলাম । দীর্ঘ নদীপথ পাড়ি দিয়ে যখন হাসপাতালে এসে পৌঁছলাম, ততক্ষণে অফিস সময় পার হয়ে গেছে ।

উপজেলা হাসপাতাল, কিন্তু বেশ বড় ক্যাম্পাস । কাউকে যদি বলা হয়, হাসপাতাল ক্যাম্পাসের দেয়ালের ভিতর চারিদিকে দৌড়ে আসতে, তাহলে সে রীতিমত হাঁপিয়ে উঠবে । হাসপাতালের কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারটি বেশ চমৎকার । ডাক্তারদের জন্য ডক্টর্স কোয়ার্টার, তৃতীয় ও চতুর্থশ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য আলাদা আলাদা কোয়ার্টার ।

আমার এক মামা (আম্মার চাচাতভাই) সে হাসপাতালে চাকুরী করতেন । তিনি থাকতেন তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারীদের কোয়ার্টারে । অগত্যা তার বাসায় গিয়ে উঠলাম । থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত হল ।

পরদিন কাজে যোগ দিলাম । সদ্য বিসিএস পাশ আরও দুজন ডাক্তার নতুন চাকুরীতে যোগ দিলেন । আমার থাকার জন্য বরাদ্দ হল ডক্টর্স ডরমিটরী । ষোল ফিট বাই বার ফিটের বেড রুম । এর সাথে বাথরুম এবং কিচেন সংযুক্ত । পেছনে ছোট্ট একটা বারান্দা । একা একা এত বড় একটি রুম পেয়ে আমি বেশ খুশি হলাম । সেই খুশি বেশি দিন স্থায়ী হলনা । । আমি যোগদান করার কিছুদিন পর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডাক্তার ছুটি নিলেন । তার ছুটি আর শেষ হয় না , এ যেন মহাছুটি । শুরু হল আামার দুর্দিন.....

বিষয়: বিবিধ

১৮১২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

280386
০১ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৯
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : ভালো লাগল। অনেক ধন্যবাদ
০১ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫৬
223981
জয়নাল আবেদীন টিটো লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ।
293561
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৪৯
কাহাফ লিখেছেন :
'তোমার জমিনে ভ্রমন করে মহান কুদরতের অপার সৌন্দর্য্য-পরাক্রমশালীতা উপলব্ধি কর!'
জীবনের প্রয়োজনেই ভ্রমন করতে হয় কত জায়গায়,যদিও তা কষ্টকর।কিন্তু অনুভূতির দরজা খোলা থাকলে অর্জনের পাল্লা ভারীই হয় শুধু!
অনেক অনেক ভাল লাগল!পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়....... অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহু খাইরান জানিয়ে!! Rose Rose Rose

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File