আজ আওয়ামী কমিউনিস্টরা যতটুকু খুশি হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট শেখ মুজিবের মৃত্যুতে দেশের মানুষ খুশী হয়েছিল তার চেয়েও অনেক বেশি ।
লিখেছেন লিখেছেন তারাচাঁদ ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:৫৬:৪০ রাত
আজ আবদুল কাদের মোল্লাকে শহীদ করা হয়েছে । কুফরী মতবাদ সেক্যুলারিজমের অনুসারীরা শুধুমাত্র ইণ্ডিয়ার পরামর্শে এবং অর্থায়নে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন করে । সেখানে ঘাতক হিসাবে নিয়োগ করা হয় বিচারক নিজামুল হক নাসিম, ওবায়দুল হাসান সহ বেশ কয়েকজনকে । ইণ্ডিয়ান 'র' এর পরামর্শে, আইনমন্ত্রী শফিক আহমদের পরিকল্পনায়, এক বছরের বেশী সময় জল্পনা কল্পনা করে ঘাতকদের ট্রাইবুনাল এবং সুপ্রীম কোর্টে নিয়োগ দেয়া হয় । এই দেশের সরকার, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন সবাই মিলে কয়েকজন মানুষকে বিচারিক হত্যা করার চেষ্টা করে । শেষ পর্যন্ত ভুয়া সাক্ষী এনে, প্রতারণার মাধ্যমে বেশ কয়েকজনকে ফাঁসীর আদেশ দেয়া হয় । আজ আবদুল কাদের মোল্লাকে শহীদ করা হয়েছে । একটি হত্যাকাণ্ডে দুটি পক্ষ থাকে । একপক্ষ হল জালেম, যারা তাদের জুলমের কারণে জাহান্নামে পতিত হবে, আর একপক্ষ হল মজলুম, যে আল্লাহর উপর আস্থা থাকার কারণে জান্নাতে যাবে ।
শেখ মুজিব মারা গিয়েছেন ৫৫ বৎসর বয়সে, একদল দেশপ্রেমিক মুক্তিপাগল মুক্তিযোদ্ধার সাথে ক্রসফায়ারে । তার মৃত্যুতে মানুষ এতটাই খুশী হয়েছিল যে, চারিদিকে মানুষ মিষ্টি বিতরণ করে, মিলাদ পড়ে । সেদিন যেন এক মুক্তির আনন্দ মানুষকে পেয়ে বসেছিল । সারা বাংলাদেশের কোথাও শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কোন প্রতিবাদ বা মিছিল বের হয় নি । শেখ মুজিবের মৃত্যু সাধারণ মানুষকে আনন্দিত করলেও শেখ হাসিনাকে করে প্রতিশোধপরায়ন । এই প্রতিশোধের স্পৃহায় উন্মত্ত হয়ে তিনি ২০০৯ সালের ফেরুয়ারীতে সেনাবাহিনীর ৫৭ জন মেধাবী অফিসারকে হত্যা করান ।
আজ আবদুল কাদের মোল্লা শহীদ হয়েছেন ৬৫ বছর বয়সে । তিনি ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিসের রোগি ছিলেন । ১৫ বা ১৬ বছর আগে হৃদপিণ্ডের রক্তবাহী নালীতে অবস্ট্রাকশনের কারণে তার করোনারী বাইপাস সার্জারী করা হয় । এই ষোলটি বছর তিনি বেঁচে ছিলেন, এটাই তার জন্য ছিল বোনাস সময় । ২০০৯ বা ২০১০ সালের শিবিরের সদস্য সম্মেলনে চার বা পাঁচ হাজার সদস্যকে তার শাহাদাতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে বাধ্য করেন । সেদিনের নেকবান্দাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করেছেন । আবদুল কাদের মোল্লা'র প্রশান্ত আত্মা আল্লার সন্তুষ্টির জন্য তার দেহকে ছেড়ে চলে গেছে, এমন অবস্থায় যে তিনি আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট, আল্লাহও তার উপর সন্তুষ্ট ।
আজ ইসলামী আন্দোলনের সৈনিকরা রাষ্ট্রীয় জুলমের প্রতিবাদে বেদনায় এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে । অন্যদিকে সেক্যুলার এবং কমিউনিস্টরা আনন্দে নর্তন কুর্দন করছে । তাদের মনে রাখা উচিত, ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট জাতিকে মুক্ত করেছিলেন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা । সারা জাতি আনন্দে মেতে উঠেছিল । মজলুমের জন্য সেদিন যেন ঈদের দিন ছিল ।
সেদিনের সে আনন্দের শতভাগের একভাগ আনন্দও শাহবাগীরা করতে পারছে না ।
(আমার এ লেখার কোন কপিরাইট নেই । যে কেউ যে কোন মাধ্যেমে তা ছড়িয়ে দি্তে পারেন । )
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন