আবদুল কাদের মোল্লাকে লোহার খাঁচায় বন্দী করে সারা বাংলাদেশ ঘুরানো হোক

লিখেছেন লিখেছেন তারাচাঁদ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১১:১০:০৬ রাত

আবদুল কাদের মোল্লা বিষয়ক শেষ খবর হল তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা বা প্রাণভিক্ষা চাইবেন না।

আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করা যাক বা না যাক- এটাই তার সিদ্ধান্ত।

আত্মীয়-স্বজন ও দলের নেতা-কর্মীদের ক্ষমার অনুরূপ চিন্তা করতেও নিষেধ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।

মিথ্যা মামলায় সাজা প্রাপ্ত হওয়ায় তিনি দণ্ড মওকুফের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন করবেন না।

কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল জানান, ‘আপিল বিভাগের আদেশের ব্যাপারে শনিবার কারাগারে তার বাবা পরিবারের সদস্যদের নির্দেশনা দিয়েছেন করণীয় সম্পর্কে। তিনি আবারও নির্দোষ দাবি করেছেন নিজেকে।’

হাসান জামিল বলেন, ‘বাবা বলেছেন- নবুওয়াতের পথ বন্ধ হলেও খোলা রয়েছে শাহাদাতের দরজা। আমি শাহাদাত হিসেবেই দেখি এ ধরনের মৃত্যুকে। তাই ভয় পাই না মৃত্যুদণ্ডকে। তবে মিথ্যা অভিযোগে যারা আমাকে হত্যা করবে, তাদের বিচার হবে কিয়ামতের ময়দানে।’

আপিল বিভাগের রায়ের বিষয়ে জামায়াতের এই নেতা তার ছেলেকে বলেছেন, ‘বাবা অবাক হননি আপিল বিভাগের রায়ে। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের কারণেই। মিথ্যা মামলায় বিচারিক আদালত তাকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিলেও বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে নজিরবিহীনভাবে ওই দণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট।’

এর আগে গত রবিবার তিনি বলেন, কাদের মোল্লা বলেন, ‘মহান আলৱাহ রাব্বুল আলামীন নবুওয়াতের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন, কিন্তু শাহাদতের দরজা খোলা রেখেছেন। যতদিন ইসলামী আন্দোলনের পথে শাহাদতের ঘটনা ঘটবে, ততদিন ইসলামী আন্দোলন বেগবান হবে।

‘আল্লাহ যাদেরকে চান, তাদেরকেই শহীদ হিসেবে কবুল করেন। আমি যদি মহান আল্লাহর দরবারে শহীদ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হই, সেটাই আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ পাওনা। সুতরাং মৃত্যুদণ্ডের ভয়ে আমি ভীত নই’ যোগ করেন তিনি।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগে দুনিয়ার আদালত আমাকে শাস্তি প্রদান করে পরকালের আদালতে আমার ন্যয়বিচার প্রাপ্তির সার্টিফিকেট দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আসল ফায়সালা হবে আখেরাতের আদালতে। আজকের বিচার সেদিন আমার মুক্তির কারণ হবে। মহান আল্লাহর কাছে আমি অবশ্যই সেদিন ন্যায়বিচার পাবো। আমি কোনো অপরাধ করিনি। মহান আল্লাহ গোপন, প্রকাশ্য সকল খবর রাখেন।’

কাদের মোল্লা বলেন, ‘কোনো ব্যক্তিই আল্লাহর চোখে ফাঁকি দিতে পারবে না। যারা আমাকে মিথ্যা অভিযোগে হত্যা করতে চায়, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের ময়দানে তাদের বিচার করবেন। আমার জন্য আল্লাহর সাক্ষ্যই যথেষ্ঠ।’

তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও এদেশের মানুষ একদিন মুক্তি পাবে। আল্লাহর দ্বীন এখানে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সকল জুলুমের অবসান ঘটবে। আমি মহান আল্লাহর কাছে আল্লাহর দ্বীনের বিজয় কামনা করি।’

বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট জামাআতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার জন্য ফাঁসী বরাদ্দ করেছে । অনেকেই এতে আশ্চর্যান্বিত হয়েছেন । আগে থেকেই স্থিরীকৃত বিষয়ে আশ্চর্যান্বিত হওয়ার কিছুই নেই । তারপরও, যারা ইসলামপন্থী, তাদের কাছে বিষয়টি বেশ কষ্টদায়ক ।

ধরুন, কারো দাদা মৃত্যুশয্যায় । হাঁপড়ের মত শ্বাস নেয়া দেখে মনে হচ্ছে তার আয়ু আর বেশীক্ষণ নেই । বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখে বললেন, তার রোগ সারানোর কোন ঔষধ এই ভূবনে নেই । তারপরও তিনি আশা ছাড়েন না । আলৌকিক কোন উপায়ে তিনি যদি ভাল হয়ে যেতেন ! দিনের শেষে তাঁর মৃত্যু ঘটলে আত্মীয় স্বজনের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠে ।

সমঝোতার নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আরোহন করে ২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসে । তখন থেকেই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু । প্রায় দেড়বছর অবিরাম চেষ্টার পর ট্রাইবুনালের জন্য উপযুক্ত বিচারক, প্রসিকিউটর এবং তদন্ত কর্মকর্তা খুঁজে পাওয়া গেল । আপনারা কি জানেন, উপযুক্ত বিচারক, তদন্ত কর্মকর্তা এবং প্রসিকিউটর খুঁজে পেতে দেড় বছর লাগল কেন ? ২০০৯ সালেই আইনমন্ত্রী শফিকুল ইসলাম এর জবাব দিয়েছিলেন । তিনি বলেছেন, আমরা ট্রাইবুনালে এমন সব বিচারক নিয়োগ করব, যাতে কোন ক্রমেই বিচারের রায় 'যুদ্ধাপরাধীদের' পক্ষে না-যায় । স্বল্পভাষী এই মানুষটি কথায় এবং কাজে এক । তার মধ্যে কোন মুনাফেকী নেই । ছাত্রজীবনে তিনি করতেন নাস্তিক্যবাদী ছাত্র ইউনিয়ন । এই নাস্তিক্যবাদীরা আর কিছুই পারুক বা না্-পারুক, তাদের শত্রুদেরকে খুব ভাল করেই চেনে । তারা খুব ভাল করেই জানে, এদেশে সেক্যুলারিজম এবং কমিউনিজম কায়েমের সবচেয়ে বড় শত্রু জামাআতে ইসলামী । তাই যে করেই হোক এ শত্রুকে শেষ করতেই হবে । দেশের আইনমন্ত্রী শফিক আহমদ, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, জাতীয় সংসদের শিক্ষাবিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা রাশেদ খান মেনন সবাই খাঁটি কমিউনিস্ট । এই কমিউনিস্টরা কোনদিনই ইসলাম রক্ষার অতন্দ্র প্রহরীদের নির্মূল করতে পিছপা হয়নি । জামাআত বা শিবিরের কর্মীদের অনেকেই এই মনে করে আত্মতৃপ্তি লাভ করেন যে, তারা তাদের সংগঠনের জন্য অনেক (পরিমাণ) সময়, শ্রম এবং অর্থ ত্যাগ করে থাকেন । তারা হয়ত জানেন না, শুধুমাত্র তাদের বধ করার জন্য সেক্যুলার এবং কমিউনিস্টরা তাদের চেয়েও অনেক বেশী ত্যাগ স্বীকার করে । সেই সেক্যুলার কমিউনিস্টরা যখন ক্ষমতায় আসীন হল, তখন তাদের সারা জীবনের সাধ না মিটিয়ে তো ছাড়বে না ।

আমাদের আইনমন্ত্রী তার ওয়াদা খেলাপ করেননি । তিনি ঠিকই উপযুক্ত ব্যক্তিদেরকে ট্রাইবুনালে নিয়োগ দিয়েছেন ।

এক. সরকার পক্ষের উকিলগণ যেখানে পঁচিশজন সাক্ষী আনেন, তখন ট্রাইবুনালের বিচারকগণ 'যুদ্ধাপরাধীদের' পক্ষে পাঁচজন সাক্ষী মঞ্জুর করেন । । এডভোকেট মিজানুর রহমানরা সরকারী সাক্ষীদের বেশী প্রশ্ন করলে বিচারকগণ তাদের থামিয়ে দেন অথবা সময় সীমাবদ্ধ করে দেন । সাক্ষী-গুমের মন নজীর স্থাপন করা হয় যে, অভিযুক্তরা আর সাক্ষীকে জীবিত ফিরে আসার ভরসা দিতে পারে না । সুতরাং সাক্ষীও পাওয়া যায় না ।

দুই. সাঈদী সাহেবের সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীকে কোর্টপ্রাঙ্গন থেকে অপহরণ করে গুম করা হল । এডভোকেট তাজুল ইসলাম যখন কোর্টে দাঁড়িয়ে এর প্রতিবাদ করলেন, তখন সরকারী প্রসিকিউটর টিপু বেমালুম অস্বীকার করে বললেন, কোর্ট প্রাঙ্গনে অপহরণের কোন ঘটনা ঘটেনি । চল্লিশ বছর বয়স্ক এডভোকেট তাজুল ইসলাম তার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া অপহরণকে বেমালুম অস্বীকার করায় গোলাম আরিফ টিপুকে বললেন 'আপনি মিথ্যাবাদী' । আর যায় কোথায় ? তাজুল ইসলামকে কোর্ট থেকে আড়াই মাসের জন্য বহিস্কার করা হল । সরকারী উকিলরা না-হয় মিথ্যা বলেই ফেললেন । তারা তো সরকার পক্ষের লোক । তাই বলে তাকে মিথ্যাবাদী বলতে হবে ?

সপ্তাহ তিনেক আগে সরকার পক্ষের দুই উকিল বললেন, 'মিজানুর রহমানের মত আইনজীবি আমাদের পেশাবের সাথে ভেসে যাবে' । এডভোকেট তাজুল ইসলাম এর প্রতিবাদ করলেন । তখন বিচারকগণ বললেন, তারা এ কথা শুনতে পাননি । এভাবেই সেদিন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হল ।

তিন. স্কাইপে কেলেঙ্কারীর কথা তো সবাই জানেন । দূরদেশে বসে এক লোক রায় লিখে দেন । আর নিজামুল হক নাসিম সে অনুযায়ী বিচার করেন । উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেই ফেললেন, 'আমরা ন্যায়বিচার করব না ' ।

চার. ১৯৭২ সালে যুদ্ধাপরাধীদের যে তালিকা প্রণয়ন করা হয়, সে তালিকায় আবদুল কাদের মোল্লা বা সাঈদী কারও নাম ছিল না । তাদের কারও নামে কোন মামলা তো দূরের কথা সাধারণ কোন অভিযোগও কেউ কোন দিন করেনি । তারা কোন অপরাধ করে থাকলে সেদিন কেন তাদের নামে অভিযোগ উথথাপন করা হয়নি, সে প্রশ্নের জবাব প্রসিকিউটর বা বিচারক কেউই দেননি ।

সরকারের মন্ত্রী এবং নেতাগণ শুরু থেকেই বলে আসছিলেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ফাঁসী দেয়া হবে । শেষ পর্যন্ত তা-ই হল । সরকারের আশা পূরণ হল । যে দেশের সরকার, পুলিশ বিভাগ, বিচার বিভাগ একটি রাজনৈতিক দলকে নির্মূল করার জন্য একজোট হয়, তখন 'ন্যায়বিচারে' মোল্লাদের তো ফাঁসী হবেই । তারপরও নিশ্চিত মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধ দাদার মৃত্যুর পর কান্নাকাটির মত এ শোক বেশ কষ্ট দেয় ।

এখন আসি আসল কথায় ।

১৮৫৭ সাল আমাদের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ । আমাদের ভাষায় আজাদী আন্দোলন, আর ইংরেজদের ভাষায় 'সিপাহী বিদ্রোহ ।

সেই আজাদী আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা ছিলেন আল্লামা জাফর আহমদ থানেশ্বরী । তার আত্মজীবনী 'আন্দামান বন্দীর আত্মকাহিনী' পড়েছিলাম আজ থেকে পনের বছর আগে । এখন সে বইটি হাতের কাছে নেই । তবে অনেকদিন পর যেটুকু মনে আছে, তা হল, স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম তথা ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দায়ে জাফর আহমদ থানেশ্বরীকে অভিযুক্ত করা হল । ইংরেজ জজের কোর্টে জাফর সাহেবের ফাঁসীর আদেশ হয় । ফাঁসীর আদেশ শুনে জাফর আহমদ থানেশ্বরী মুখ বিকৃত করে বলে উঠলেন, 'জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে । দেখ, কার মৃত্যু আল্লাহ আগে লিখে রেখেছেন !' বিচারক তার সর্বশেষ তীরটি (অর্থাৎ ফাঁসীর আদেশ) আগেই জাফর আহমদের দিকে ছুঁড়ে মেরেছেন । এখন তার আর করার কিছুই নেই । কী আর করা ! রাগে গজরাতে গজরাতে বিচারক উঠে চলে গেলেন । কিছুদিন পর বিচারক ( কোন অসুখে নাকি আততায়ীর হাতে তা আমার মনে নেই ) মারা গেলেন ।

ফাঁসীর আদেশপ্রাপ্ত জাফর আহমদ থানেশ্বরীকে লোহার খাঁচায় পুরা হল । উদ্দেশ্য হল, তাকে জনতার সামনে অপদস্থ করা এবং তার করুণ দশা দেখিয়ে মানুষদেরকে সতর্ক করা । তারপর সেই খাঁচা নিয়ে যাওয়া হল শহরের মাঝখানে । খাঁচায় ছিলেন তিন স্বাধীনতাকামী । মানুষ এসে ভীড় করল তাদের দেখার জন্য । দেখা গেল, খাঁচার ভেতর তারা নামাজ পড়ছেন, কোরআন তিলাওয়াত করছেন, তাদের দেখতে আসা মানুষজনের সাথে হাসিমুখে কথা বলছেন । দুশ্চিন্তার সামান্যতম ছাপ তাদের চেহারায় দেখা গেল না । ফাঁসীর আদেশ যেন তাদের জন্য শাহাদাতের বাণী নিয়ে এসেছে, আর সেই শাহাদাতের সুধা পান করার আকাঙ্ক্ষায় তারা যেন দারুনভাবে খুশী । তাদের চারপাশে যারা জমা হওয়া জনতার সাথে তারা নিশ্চিন্তে কথা বলতে লাগলেন । দর্শকদের ভয় পাওয়া তো দূরের কথা, বরং নতুন প্রেরণায় তারা উজ্জীবিত হল । ইংরেজরা দেখল, তাদের ফাঁসী দিলে এদেরই শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে । আবার সাধারণ মানুষের মধ্যে এর একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে । শেষে সিদ্ধান্ত হল, বন্দীদেরকে ফাঁসী না-দিয়ে হাজার মাইল দূরে কালাপানির দেশ আন্দামানে নির্বাসন দেয়া হবে । শেষে তাই হল । আল্লামা জাফর আহমদ থানেশ্বরী নির্বাসিত হলেন । জীবনের শেষ সময়ে তিনি মুক্তি পেয়ে বাড়ী ফিরলেন, এবং লিখলেন ছোট্ট অথচ অসাধারণ প্রেরণাদায়ক এক বই 'আন্দামান বন্দীর আত্মকাহিনী '

সে জন্যই আমি বলছিলাম, সরকারের অনেক চেষ্টা, অনেক সাধনার পর আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসীর আদেশ দেয়া হয়েছে । এখন তাঁকে এবং সাঈদী সাহেবকে লোহার খাঁচায় বন্দী করে সারা বাংলাদেশে ঘুরানো হোক । খাঁচার উপরে লিখে দেয়া হোক, এই দুজনকে কয়দিন পর ফাঁসীকাষ্ঠে ঝুলানো হবে । আর আমরা দেখতে চাই, আবদুল কাদের মোল্লা তাঁর স্বভাবসুলভ ভাষায় বলে উঠুন " 'আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন । আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য ইসলামী আন্দোলনের সব কর্মীই শহীদ হতে চান। আমিও সব সময় আল্লাহর কাছে শাহাদাতের নেয়ামত কামনা করেছি। তিনি যদি আমাকে সেই নেয়মাত দেন, তবে আমি সম্মানিত বোধ করবো ।" অথবা বুলন্দ গেয়ে উঠবেন

মরতেই হবে যখন শহীদি মরণ দিও আমাকে

জনতা তখন গাইবে, দিন এলো আবার / রক্ত ঝরাবার / জীবন দিয়ে শহীদ হয়ে / বিজয় নিশান উড়াবার

এত শহীদ রক্ত ঢালে / তবু কেন তোমার বিবেক কথা বলে না "

আমরা খাঁচায় বন্দী বাঘ দেখতে চাই, যে বাঘের মুখে থাকবে নিশ্চিত প্রিয়-মিলনের মিষ্টি হাসি ।

শহীদের চোখের ভাষা, মুখের কথা আর মিষ্টি হাসি তরুনদের মাঝে শাহাদাতের তামান্না ছড়িয়ে দিবে । সে প্ররণায় ইসলামী সমাজের স্বপ্ন দেখবে নতুন প্রজন্ম ।

তার কণ্ঠে আবারো শুনতে চাই,

"‘মহান আলৱাহ রাব্বুল আলামীন নবুওয়াতের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন, কিন্তু শাহাদতের দরজা খোলা রেখেছেন। যতদিন ইসলামী আন্দোলনের পথে শাহাদতের ঘটনা ঘটবে, ততদিন ইসলামী আন্দোলন বেগবান হবে।

‘আল্লাহ যাদেরকে চান, তাদেরকেই শহীদ হিসেবে কবুল করেন। আমি যদি মহান আল্লাহর দরবারে শহীদ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হই, সেটাই আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ পাওনা।
"

পাদটিকাঃ ১৮৫৭ সালের আজাদী আন্দোলনের দুই বীর আল্লামা জাফর আহমদ থানেশ্বরী এবং ফজলে হক খায়রাবাদীর আত্মজীবনী দুটির নাম যথাক্রমে 'আন্দামান বন্দীর আত্মকাহিনী' এবং 'আজাদী আন্দোলন ১৮৫৭' । বই দুটি বেশ বড় নয় । যারা আগে পড়েছেন এবং যারা এখনও পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন ।

বিষয়: বিবিধ

৩২২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File