সিপিবি-বাসদের সভায় বক্তারা : যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে শেয়ারবাজার হলমার্ক পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি চাপা পড়বে না : জাহানারা ইমামের সঙ্গে বেঈমানি করে জামায়াতের সঙ্গে সখ্য গড়েছিল আ.লীগ

লিখেছেন লিখেছেন জানাজানি ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:৫৮:৪৯ সকাল

30

পরের সংবাদ»

সিপিবি ও বাসদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রবীণ বাম নেতারা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধ ইস্যুর কারণে দেশের মানুষ শেয়ারবাজার থেকে ক্ষমতাসীনদের হাজার কোটি টাকা লুট, পদ্মা সেতু মহাদুর্নীতি, ছাত্রলীগের তাণ্ডব, হলমার্ক কেলেঙ্কারি ও বিশ্বজিত্সহ অসংখ্য হত্যার ঘটনা ভুলে যাবে না। মানুষ ঠিকই সময়মত এর জবাব দিতে প্রস্তুত আছে। তারা বলেন, ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে বেঈমানি করে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ দাবিদার দল আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করেছিল। বৃহত্ দু’দলই ক্ষমতার রাজনীতির কারণে জামায়াতকে কাছে টানার চেষ্টা করছে। কাদের মোল্লার সাজা যে সরকারের পাতানো খেলা, সেটা দেশের মানুষ বেশ ভালো করেই জানে। দ্বিদলীয় বৃত্ত ভেঙে ১৫ দফা দাবিতে বাম বিকল্প ঐক্য গড়ে তুলতে গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এ মহাসমাবেশের আয়োজন করে।

মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। বাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজের পরিচালনায় মহাসমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন সিপিবির সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবির পলিট ব্যুরোর সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, বাসদের নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।

মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শুধু আমেরিকার তোষামোদ নয়, এ চেতনা হলো জনগণের তোষামোদ। এক খুনের জন্য যদি ১০ জনের ফাঁসি হতে পারে, শত শত খুনের জন্য কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় জনগণ মানে না। এটা যে আঁতাতের রায়, তা এখন জনগণের কাছে স্পষ্ট। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের মতো আমেরিকাও বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল। এখন আমেরিকা জামায়াতের সঙ্গে সরকারকে সংলাপের পরামর্শ দিচ্ছে। আমেরিকার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে কাছে টানতে চায়।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন সরকার জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে বেঈমানি করে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ দাবিদার দল আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করেছিল। আজ স্বাধীনতার ৪২ বছর পর সে দলটি ক্ষমতায় থেকে আবার জামায়াতের সঙ্গে গোপন আঁতাত করার চেষ্টা করছে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের মানুষ বোকা নয়। তারা জেগে উঠেছে। শাহবাগের গণজাগরণ এখন আর ঢাকায় সীমাবদ্ধ নয়, সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতের সঙ্গে গোপন আঁতাতের চিন্তা বাদ দিন। অন্যথায় শাহবাগের স্রোতে আপনারা হারিয়ে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশ আজ ভয়াবহ সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। জামায়াত গৃহযুদ্ধের ডাক দিয়েছে। ব্লগার রাজীব খুন হলো। শেয়ারবাজার, ডেসটিনি, হলমার্ক, পদ্মা সেতু, সীমান্তহত্যা, বিশ্বজিত্ হত্যা দেশের মানুষ ভোলেনি। যদি মনে করেন, যুদ্ধাপরাধ ইস্যুর কারণে মানুষ এসব ভুলে গেছে, তাহলে ভুল করবেন। তিনি বলেন, দেশের জনগণের আওয়ামী লীগের ওপর কোনো আস্থা নেই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে স্বৈরাচার আর বিএনপির সঙ্গে জামায়াত। তিনি দেশের সব বাম দলকে একসঙ্গে থেকে লড়াই-সংগ্রামে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।

বিষয়: বিবিধ

১০১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File