‘শেখ মুজিব: দ্য নিউ মুঘল’
লিখেছেন লিখেছেন ক্ষণিকের অতিথি ১৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৫২:০৯ রাত
সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী কার্যত মুজিবুর রহমানকে দেশ নিয়ন্ত্রণ করতে অসীম ক্ষমতা দিয়েছে। এ বিষয়ে আগের টেলিগ্রামে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। মুজিব যা করতে ইচ্ছা করবেন তা চ্যালেঞ্জ করার সাংবিধানিক বাস্তব কোন পথ খোলা রাখা হয়নি পার্লামেন্ট, বিচার বিভাগ, রাজনীতিবিদ এবং জনগণের জন্য। আর সে সিদ্ধান্ত পাল্টে দেয়া তো দূরের কথা। এখন প্রশ্ন হলো মুজিব এই নতুন ক্ষমতা কোথায় ব্যবহার করেন তা নিয়ে; তার সিদ্ধান্তে অন্যদের অংশগ্রহণ ও তার সমালোচনা কতটুকু অনুমোদিত হবে তা নিয়ে।
মুজিব প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জনগণকে দেখা গেল উদাসীন। তবে দলীয় নেতাকর্মী ও সাবেক কিছু সমালোচক খুশিতে আটখানা। যারা সংসদীয় গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের কথা বলেন তারাও চুপ হয়ে গেলেন। নতুন এই পরিবর্তনে যে কর্তৃত্ববাদের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাতে আমাদের নিজস্ব নীতি বাস্তবায়নে বেশ বাধাগ্রস্ত হবে। এখন অপেক্ষা করে দেখার পালা। ১৯৭৫ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক গোপন বার্তায় এসব কথা জানানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে। এ বার্তার নম্বর ক্যানোনিক্যাল আইডি: ১৯৭৫ঢাকা০০৬৬৬-বি। সমপ্রতি সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসে প্রকাশিত হয়েছে নতুন ১৭ লাখেরও বেশি গোপন বার্তা। তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সংক্রান্ত অনেক ফাইল। এর একটি হলো এটি। এর শিরোনাম ‘শেখ মুজিব: দ্য নিউ মুঘল’। এতে মুজিবের একচ্ছত্র ক্ষমতা (মুজিবস মনোপলি অব পাওয়ার) অংশে বলা হয়, ২৫শে জানুয়ারি জাতীয় সংসদ একটি নতুন সংবিধান সৃষ্টি করেছে। তা কার্যকরও হয়েছে। এতে নতুন প্রেসিডেন্ট মুজিবুর রহমানকে ন্যূনতম আগামী ৫ বছরের জন্য রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ ও দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অসীম ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
সংবিধানে তার কর্মকাণ্ডের কোন সমালোচনার কোন সুযোগ রাখা হয় নি। তত্ত্বগতভাবে মুজিবকে সংযমে রাখতে পারে একটি মাত্র পথ। তাহলো অভিশংসনের মধ্য দিয়ে। পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বা ন্যাশনাল পার্টির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যকে এক হয়ে অভিশংসন প্রস্তাব নিয়ে স্পিকারের কাছে জমা দিতে হবে। পরে তাদেরকে পার্লামেন্ট তলব করতে পারে। কিন্তু এমনটা কি ঘটবে। সংবিধানে এমন কিছুই নেই যা মুজিবকে প্রতিরোধ করতে পারে। পার্লামেন্টে অভিশংসনবিষয়ক অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মুলতবি করা হবে। এতে যেকোন রকমের উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। কোন বিলেই মুজিবের দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে তার বিরোধিতা করার কোন পথ নেই সদস্যদের কাছে। বিরোধিতাকারী, অনুপস্থিত অথবা দলের অনুমতি ছাড়া কেউ পার্লামেন্টে অনুপস্থিত থাকলে তার অর্থ হবে তিনি পদত্যাগ করেছেন। পার্লামেন্টে যখন অধিবেশন থাকবে না তখন অধ্যাদেশ তৈরির ক্ষমতা অর্জন করেছেন মুজিব। এছাড়া, জাতীয় সংসদ যে কোন বিল যদি তার কাছে পাঠায় তাহলে তিনি তাতে ভেটো দিতে পারবেন।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু পার্লামেন্ট এমন বিষয়ও খর্ব করা হয়েছে। প্রতি চার মাস পর পর পার্লামেন্ট অধিবেশন বসবে না আর। এখন পার্লামেন্ট বসবে বছরে মাত্র দু’বার। পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশন মুজিব ২৫শে জানুয়ারি মুলতবি করলেন। বছর শেষ হয়ে যাওয়ার আগে নতুন সংবিধানের বাধ্যবাধকতায় বছর শেষ হয়ে যাওয়ার আগে আরেকবার জাতীয় সংসদ অধিবেশন ডাকার কথা থাকলেও তিনি তা ডাকেন নি। তত্ত্বীয়ভাবে শুধু পার্লামেন্টের আছে প্রেসিডেন্টকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা। এক্ষেত্রে আদালতের আছে তার চেয়ে কম ক্ষমতা। আদালতে আপিল করার অধিকার ও আদালতের সততার বিষয়কে ধ্বংস করা না হলেও অনেকাংশে ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
আগের সংবিধানে প্রেসিডেন্টকে আদালত থেকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন সে বিষয়ে বাস্তবিকই কড়াকড়ি করা হয়েছে। একচ্ছত্র শাসক হিসেবে তার কোন সমালোচনাই করা যাবে না। উপরন্তু, বিচার বিভাগের ও এর বিচারের ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে স্বাধীনতা ছিল। কিন্তু সেই অধিকার প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্ট ও পার্লামেন্টের সঙ্গে কোন পরামর্শ বা অনুমোদন ছাড়াই প্রেসিডেন্ট সব বিচারক ও বিচার বিভাগের কোন সদস্য নিয়োগ, এসাইন করতে, বরখাস্ত ও তার যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবেন। কিন্তু এটা করতে আগে সুপ্রিম কোর্ট ও পার্লামেন্টে পরামর্শ ও অনুমোদন নিতে হতো। যদিও বলা হয়েছিল বিচারবিভাগ স্বাধীন থাকবে কিন্তু এ পরিস্থিতিতে বিচার বিভাগের ক্ষমতা সামান্যই। নিম্ন আদালতের ওপর হাই কোর্টের নজরদারির স্বাভাবিক অধিকার ফিরে পায়। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টদের নির্দেশে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেসব ট্রাইব্যুনালের ওপর সেই ক্ষমতা পায় নি। বিশেষ ক্ষমতা আইন ও জরুরি আইন (ইমার্জেন্সি রুল) এখনও কার্যকর আছে। মূল সংবিধানের অধীনে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করার অধিকার সুরক্ষিত ছিল মৌলিক অধিকার হিসেবে। আদালতের এখন আর সেই ক্ষমতা নেই। তা চলে গেছে পার্লামেন্টের হাতে। এই পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্টের সৃষ্টি। একে সাংাবিধানিক আদালত, ট্রাইব্যুনাল অথবা মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের জন্য কমিশন গঠনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
মৌলিক অধিকারের বিস্তৃত তালিকাটি এখনও সংবিধানে রয়েছে। কিন্তু হারিয়েছে তা বাস্তবায়নের ক্ষমতা। সব রাজনৈতিক দল বাতিল করার ও একটি জাতীয় দল (ন্যাশনাল পার্টি) গঠনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে মুজিবকে। এর মাধ্যমে সারা দেশকে সরকারের পূর্ণাঙ্গ রাজনীতিকরণের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। মুজিবের এই দৃষ্টিভঙ্গি সংশোধিত সংবিধানে আরও দেখা গেছে স্থানীয় সরকার কাঠামো ভেঙে দেয়া, প্রজাতন্ত্রের সংজ্ঞা অনুসারে সব স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা (যা এখনও গণতান্ত্রিক বলে বর্ণিত), সরকারি কর্মচারী ও সামরিক কর্মকর্তাদের জাতীয় দলে যোগ দিতে নতুন করে অধিকার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই উপমহাদেশে সরকারি কর্মচারীদের রাজনীতিতে অঙ্গীভূত হওয়ার বিরুদ্ধ রীতি এটা।
মুজিব একদলীয় রাষ্ট্র গঠনের পুরো স্বাধীনতা পেয়েছেন। এ রকম দলের সব সদস্য, সাংগঠনিক, শৃঙ্খলা, আর্থিক ও কর্মকাণ্ডের ওপর মুজিবের রয়েছে পুরো নিয়ন্ত্রণ। সমাবেশ করার অধিকারকে চেপে ধরা হয়েছে। কোন ব্যক্তিই অন্য কোন দল গঠন, যোগ দিতে অথবা তাদের কর্মকাণ্ডে যোগ দেয়ার ক্ষমতা হারিয়েছেন।
আকার নতুন, কিন্তু বিষয়বস্তু পুরনো: আওয়ামী লীগের ওপর যেহেতু তার রয়েছে অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ এবং বিরোধীরা খুব দুর্বল তাই মুজিব সংবিধানে এখন বর্ণিত অনেক ক্ষমতাই ভোগ করবেন। নতুন ব্যবস্থায় আত্মসংশোধনের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। রাজনৈতিক পন্থায় কোন নীতি পরিবর্তনের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। আমাদের কাছে এমন কোন প্রমাণ নেই যে, মুজিব পুরোপুরি রাজনৈতিক আলোচনা বন্ধ করে দিলেন কিনা। জাতীয় দলের অভ্যন্তরীণ কাউন্সিলে কোন ব্যক্তি যদি আওয়ামী লীগের সদস্য না হন তাহলে তিনি সেখানে কোন প্রভাব রাখতে পারবেন কিনা তাও স্পষ্ট নয়।
তার একদলীয় রাষ্ট্র গঠনের মানসিকতা দেখে বোঝা যায় তিনি বাংলাদেশে তার সামান্য সমালোচনা হোক তিনি তা চান না। এবং নতুন দল গঠন করার তার সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যাচ্ছে তার আওয়ামী লীগ খুব বেশি বিশৃঙ্খল ও তার জন্য বেশ সমস্যার কারণ বলে মনে করেন তিনি। সম্ভবত সে জন্যই তিনি সুশৃঙ্খল একটি জাতীয় দল গঠনের জন্য সদস্য কারা হবেন এবং তাদের অন্যান্য উদ্দেশ্যের বিষয়ে তিনি নির্দেশনা দেবেন। এ দলেরও অভিশংসনের মতো ক্ষমতা থাকবে না বললেই চলে। একজন ‘এনকোর’-এর জন্য মুজিব কি করেছিলেন? বাংলাদেশের সমস্যা হলো অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক। মুজিব সেগুলোতে সমাধানের জন্য রাজনৈতিক পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন। মুজিবের অধিক কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য ক্ষমতার কতটুকু ব্যবহার করতে পারবেন। যদি এতে কোন উন্নতি না ঘটে তাহলে মুজিব সমস্ত ক্ষমতা তার হাতে নিয়ে নেবেন। তার সরকারে ব্যর্থদের জন্য কোন অজুহাত তোলার সুযোগ থাকবে না।
বাঙালিরা দেখছে, অপেক্ষা করছে। তারা উদ্বিগ্ন। মুজিবের প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠা নিয়ে জনগণের মধ্যে এক ধরনের সতর্কতা কাজ করছে। এর মাধ্যমে জরুরি আইনের বিষয়ে নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সে বিষয়েও জনগণ দৃশ্যত উদাসীন। এতে দলীয় সমর্থন ও বামপন্থি কিছু সমালোচক তার প্রশংসা করেছেন। তবে সংসদীয় গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিয়ে যারা কথা বলতেন তারা আওয়ামী লীগের অথবা এর বাইরের, প্রায় নীরব। অনেক বাঙালিই সংবিধান সংশোধনের যে কারণ দেখানো হয়েছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তারা বিশ্বাস করছে, মুজিব এমনিতেই অনেক ক্ষমতার অধিকারী। তা কার্যকরে কোন বাধা ছিল না। অন্যরা সীমিত আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। তারা বলেছেন, এতে দেশের অবস্থায় উন্নতি হবে। মুজিবের উদ্দেশ্য পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাকে যাচাই করা যাবে না। বেসামরিক মানুষের মুক্তির বিষয়টিকে পাশ কেটে রাখা হয়েছে। বাঙালিরা শপথ দেখতে চায়, তারা শুনতে চায় না যে, নতুন ব্যবস্থা দেশের রুগ্ণ অবস্থার উন্নতি করবে।
নতুন মন্ত্রিপরিষদ ঘোষণা নিয়ে আশা দেখা দিয়েছে। যারা একই দলের প্রতি অনুগত থেকে গত তিন বছর ধরে দেশ চালাচ্ছেন তারাই এতে থাকবেন। ঢাকার কিছু বুদ্ধিমান পর্যবেক্ষকদের মধ্যে মুজিবের এই অতিরিক্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করা, ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিক সব মতকে বাদ দেয়ার তার সামর্থ্য, স্বাধীন বিচার বিভাগকে ধ্বংস করা (অনেক সমালোচক বলেন কখনও বিচার বিভাগ স্বাধীন ছিল না), পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দমন ও কিছু বিচারককে ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে গুরুত্ব উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। একটি ব্যাপার নির্দিষ্ট। মুজিব এখন ক্ষমতার ভাণ্ডার। সম্ভবত তিনি তা ব্যবহার করবেন পরোপকারে। কিন্তু তিনি সাংবিধানিকভাবে বিরোধীদের কর্মকাণ্ড অসম্ভব করে দিয়েছেন। তার যারা সমালোচক ছিলেন তাদেরকে তিনি ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছেন। তার উদ্দেশ্য হতে পারে তিনি ক্ষমতা ব্যবহার করে দমন করবেন। সর্বোপরি বাঙালিরা দীর্ঘদিন মোমের আলোতে বিরোধীদের দেখেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বাস্তবায়ন: নতুন ব্যবস্থায় মুজিব তার ক্ষমতা ব্যবহার করে কতটা দমন করেন তার ওপর নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা অন্য দাতাগোষ্ঠীর কার্যক্রম। যখন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বন্ধুরা সংসদীয় গণতন্ত্র পাস করা নিয়ে খেদ প্রকাশ করেছেন তারা এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল তা তাদের মানানো কঠিন হবে। মুজিব যদি তার নতুন ক্ষমতা দিয়ে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া অর্থনীতি ও জনগণের জীবনমানের উন্নতি করতে পারেন তাহলে তারা তাকে ক্ষমা করে দিতে প্রস্তুত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বের হয়ে যাওয়ার স্বাভাবিক পথকে বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে মুজিব এখন বিপদের মুখে আছেন। তার কর্তৃত্ববাদ তার শাসনকে টিকিয়ে রাখতে তাকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়াতে উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি সংবিধান পরিবর্তন করেছেন স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং নিজের পায়ে নিজেকে দাঁড় করানোর প্রত্যয়ে। কিন্তু মুজিবের অতীত রেকর্ড ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রাথমিক কর্মকাণ্ড- তার আওয়ামী দলীয় মন্ত্রিপরিষদ গঠন আমাদের আশ্বস্ত করতে পারছে না যে, তার ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ দেশের বাস্তব সমস্যা সমাধানে কোন নতুন সমাধান এনে দেবে না। এর চেয়ে মনে হয় তার প্রধান উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতা নিরাপদ করা।মানব জমিন
বিষয়: রাজনীতি
১৪৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন