ইসলামী ব্যাংক কে বলছি-মাথা মোটা কর্মকর্তাদের সামলান।
লিখেছেন লিখেছেন সাদা পায়রা ২১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:৫৭:০৩ রাত
নতুন প্রজন্মের কিছু অংশ যখন শাহবাগে রাজাকারের ফাঁসির দাবির পাশা পাশী ইসলামী ব্যাংক কে নিষিদ্ধের দাবি উত্থাপিত হয় । আমাদের মত কিছু তরুণ ইসলামী ব্যাংকের পক্ষে ফেসবুক সহ বিভিন্ন গন মাধ্যমে তাদের সাধ্য অনুযায়ী কিছু করার চেষ্টা করে। কেউ আবার তার আশে পাশের মানুষটিকে বুজিয়ে শুনিয়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া থেকে বিরত রাখেন । এই সব করার জন্য ইসলামী ব্যাংক কোন তরুণ কে কোন টাকা দিয়েছে বলে আমার মনে হয় না। শুধু মাত্র ভালবাসার টানেই করেছে বলে আমার বিশ্বাস।
ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে অনেকের অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু এই সব অভিযোগ কখনো আমলে নিয়েছে কিনা আমি জানি না। এই রকম কিছু অভিযোগ আমারও ছিল। কিন্তু কখনো কাউকে মুখ খুলে বলি নাই যদি ইসলামী ব্যাংক এর কোন ক্ষতি হয়ে যায় এই ভেবে । আজ আর চুপ করে থাকতে পারলাম না কারণ কিছু মাথা মোটা ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তার জন্য যদি এই ব্যাংক টির বিশাল কোন ক্ষতি হয়ে যায় তা হলে আমাদের দেশ যেমন খতিগ্রস্থ হবে তেমনি ব্যাংকটিও ।
আজ বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের কাছে বহুল আলোচিত বিষয়ের একটি হচ্ছে অনলাইন আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং।এই আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যারা জড়িত তারা মেধাবী ও তরুণ প্রজন্ম ।সরকার গত বাজেটে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অর্থের উপর ১০ শতাংশ করারোপ করে । খবরটা ছিল সত্যি খুবি দুঃখজনক এবং হতাশাজনক। এমনিতে আমাদের দেশে যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত আছেন তাদের সমস্যার কোন শেষ নেই, তার উপর এই কর নামক নতুন বোঝা, মরার উপর খরার ঘা!! যাহুক অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করে, ফ্রিল্যান্সাররা কর নামক নতুন বোঝা মাথা থেকে সরাতে সক্ষম হন । কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং পেশার মানুষ গুলোর সমস্যার যেন শেষ নেই। বিশেষ করে সমস্যার তীর টা ইসলামী ব্যাংক এর উপর বেশী
ফ্রিল্যান্সারদের কষ্টার্জিত আয়ের টাকা ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আনতে গেলই ১০ শতাংশ করারোপ করে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ অনেক ফ্রিল্যান্সাররাই করেন। যা কিনা কেটে রাখার কোন নিয়ম নাই । অনেক ইসলামী ব্যাংকের ব্যাংক কর্মকর্তাই ফ্রিল্যান্সিং কি সেটাই জানে না। আজ এই সমস্যার মুখোমুখি হল আমার কাজিন। তার $4000 ডলার মানি-বুকারের মাধ্যমে odesk এর আয়ের টাকা ট্রান্সফার করে। ব্যাংক থেকে তাকে ফোন করে ,ব্যাংক এর এক কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে বলা হয়। ব্যাংক এ গেলে তাকে বলা হয় ১০ শতাংশ কর প্রদান করে টাকা নিতে হবে। সে ব্যাংক এর কর্মকর্তা কে অনেক বুঝাল এবং বলল দেখেন আমি তো গত ৩ বৎসর যাবত টাকা এই ব্যাংকে ট্রান্সফার করি কখনো আমাকে কর দিতে হয় নি। তা ছাড়া সরকার তো ফ্রিল্যান্সারদের উপর কর মকুফ করেছে । না সেই কর্মকর্তা কোনভাবে বুঝতে নারাজ। সে ফ্রিল্যান্সার কি সে টাও জানে না ।আগের কর্মকর্তারা ভুল করে ‘কর’ নেই নি বলে সাফ জানিয়ে দেয় । এবং গত ১ বৎসরের সব বকেয়া কর জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করার কথা বলা হয়। যে করের কথা বলা হচ্ছে সে করের টাকার পরিমাণ ৫ লক্ষাধিকের ও বেশী হবে।
উল্লেখ্য: ইসলামী ব্যাংকের কয়েকদিন পর পর কর্মকর্তার পরিবর্তন হয়। আগের অফিসার থাকা কালীন এই প্রবলেম হয়নি।এই সমস্যা টি হয় ইসলামী ব্যাংক ভি,আই, পি রোড কাকরাইল শাখায়।
এই সমস্যা এক মাত্র ইসলামী ব্যাংক এই বেশী হচ্ছে বলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে জানা যায়। এবং বিভিন্ন গ্রুপে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা ট্রানজেকশনের কথা নিষেধ করা হচ্ছে।
ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণের কথা প্রায় শোনা যায়।যদিও গ্রাহক রা এই সব বিষয়ে কখনো প্রতিবাদ করেনি। গ্রাহকদের বিভিন্ন নিয়মের বেড়াজালে হয়রানি করা হয় ।অন্নের চেক নিয়ে টাকা উত্তোলনের বিড়ম্বনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত ইসলামী ব্যাংক। আমি ব্যাংকটির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধচারী হয়ে এই লেখা লিখি নাই, শুধু মাত্র মাথা মোটা কিছু কর্মকর্তাদের জন্য ব্যাংকটির অগ্রযাত্রার রথ থেমে যেতে পারে এই সতর্ক স্বরূপ লিখা। কারণ তরুণ প্রজন্ম মুখ ফিরিয়ে নিলে আগের গ্রাহক দিয়ে বেশী দিন পথ চলা সম্ভব হবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৭১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন