টিকাদান নিয়ে কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন উম্মু রাইশা ১৩ মার্চ, ২০১৩, ০৬:৫৩:৫০ সকাল
উপরের ছবিগুলিতে দেখা যায় যে একসময় ডাক্তাররা স্মোকিংকে সেফ বা নিরাপদ বলতেন। তারা কিন্তু রিসার্চ করেই তা বলতেন। শেষপর্যন্ত একজন ভুক্তভোগী মামলা করার পর এ ধারনায় পরিবর্তন আসে।
গতবছর এম এম আর ভ্যাকসিনের জন্য অটিজমে আক্রান্ত হয়েছে এমন একটা বাচ্চাকে মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরন দিয়েছে ইউ এস কোর্ট।লিংকটা দেখুন
http://www.huffingtonpost.com/david-kirby/post2468343_b_2468343.html
নীচের লিনকটায় গেলে দেখতে পাবেন ভ্যাকসিন গুলি কি দিয়ে তৈরি। এর মধ্যে যেমন হারাম জিনিষ আছে, তেমনি স্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান আছে।সবচেয়ে ভয়াব হ উপাদান
প্রানির টিস্যু যাতে ডিএনএ আর আর এন এ আছে।
http://www.vaccinetruth.org/muslims.htm
*নীচের লিংকে একটা খবর দেয়া হল। অটিজম রিসার্চ ফান্ডের টাকা চুরি করেছেন একজন বিজ্ঞানী।
http://articles.mercola.com/sites/articles/archive/2011/05/22/cdc-autism-researcher-indicted-for-fraud.aspx
আমার সন্তানের ঘটনা
আমার ছেলে আখদান নরমালি ডেভেলপ করে ১৮ মাস পর্যন্ত। সে সবগুলি ডেভেলপমেন্ট স্কিল অর্জন করে সময়ের সাথে, কথাও বলতে শুরু করে, বোনের সাথে খেলত। ওর বোন স্কুল থেকে আসলে খুব খুশী হয়ে যেত। মানুষজন বাসায় আসলে খুশীতে দৌড়াদৌড়ি শুরু করত। ডিটইএপি দেয়ার পর একটু বদলেছিল।এম এম আর ভ্যাকসিনটা দেবার সে পুরাই বদলে গেল। তার আগে কানে ইনফেকশন হতনা। প্রতি মাসে কানে ইনফেকশন, পেটে ব্যথা,রাতে না ঘুমানো এগুলি শুরু হয়ে গেল। সাথে সাথে দেখলাম নতুন মানুষ দেখলে গুটিয়ে যেত, নিজের মনে খেলা শুরু করল, কথা বলাটা ভুলে গেল।সে কাদত দিনরাত।হাত ফ্লাপ করা, কাগজ ছিড়া শুরু করল।আর প্রচন্ড সেন্সরী বাচ্চায় পরিনত হল। বোনকে দেখলে রাগ হয়ে যাওয়া শুরু করল, বাবার আওয়াজ পর্যন্ত স হ্য করতে পারতনা। শুধু আমি তাকে ধরতে পারতাম। তারপর ডাক্তার অটিজম ডায়াগনোসিস করল দুই বছরে। শুরু হল আমাদের সংগ্রাম। নীচের লিংকে আরো হাজার মায়ের ভ্যাকসিনের ফলে বাচ্চাদের ক্ষতির ঘটনা জানতে পারবেন।
http://www.followingvaccinations.com/
ডাক্তাররা কন্ডিশনড
নীচের লিংকে গেলে জানতে পারবেন কিভাবে মাবাবাদের কন্ডিশন করা হয় ভ্যাকসিন নেয়ার ব্যাপারে আর এখানে ডাক্তারদের কিভাবে ব্যব হার করা হয়।
http://vactruth.com/2013/04/06/media-propaganda-vaccines
আমরা মনে করি ভ্যাকসিন দেবার পর রোগটা আর হবেনা। আমি নীচের খবরটা দিব, যাতে লিখা আছে কিভাবে নিউইয়র্ক বা নিউজার্সিতে মাম্পস এর মহামারীর মত হয়েছিল সেসব বাচ্চাদের যাদের মাম্পসের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছিল।সাথে আরো কিছু ভ্যাকসিন যেগুলি এফেকটিভ হয়নি।
http://naturalsociety.com/exposing-vaccination-for-immunity-fraud/
[b] রিসার্চ ফর অটিজম[/b
এখন এটা ব্যাপক ডিমান্ডে পরিনত হয়েছে , কিন্তু যারা ভ্যাকসিন তৈরী করে তারাই যদি রিসার্চ করে তাদের টাকা বানানোর জন্য তাহলে ত হবেনা। কিন্তু এর বাইরেও অনেক রিসার্চ হয়েছে যা প্রমানিত।আমি কিছু লিংক দিছ্ছি
১।http://www.regardingcaroline.com/pubmed
২হেপাটাইসিস বি ভ্যাকসিন অটিজমের রিস্ক বাড়িয়ে দেয়।
http://articles.mercola.com/sites/articles/archive/2009/10/08/hepatitis-b-vaccine-triples-the-risk-of-autism-in-infant-boys.asp
অটিজমের মেন সমস্যাটা এখন ডাক্তাররাও ধরতে শুরু করেছেন। এটা মানসিক সমস্যা না, নি্উরোলজিক্যাল সমস্যা, যা গাটের সাথে সম্পর্ক রাখে।মেন সমস্যা হল অটিষ্টিক শিশুদের ইমিনিউটি এত কমে যায় যে তার আর ডিটক্স করতে পারেনা, যার জন্য শরীরে হেভী মেটাল, উপাদান থাকলে তা আর বেরুতে পারেনা। ভ্যাকসিন ছাড়াও আরো ইনভারনমেন্টাল কারনে তা হতে পারে, তবে ভ্যাকসিন তা অনেক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে।
আর ডাক্তাররা কি আমাদের সাথে নাই?
এখন অনেক ডাক্তাররাই আমাদের সাথে একমত পোষন শুরু করেছে। ডাক্তার টেনপ্যানি এনিয়ে অনেক রিসার্চও করেছেন। তার পেজ দেখুন
http://drtenpenny.com/about-dr-tenpenny/
আমি পারসোনালি কয়েকজনকে জানি তারা ভ্যাকসিনকে অপ্রয়োজনীয় আর ক্ষতিকর মনে করেন।ডাক্তার নাসিম শরীফ, (স্কলার নোমান আলি খানের শ্বাশুড়ি) ডেভেলপমেন্টাল পেডিট্রিসিয়ান। উনি বললেন আমি কখনই বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেয়া সাপোর্ট করিনা। উনার সাথে মিলে আমার মত স্পেশাল নীড পেরেন্টদের একটি ননপ্রফিট অরগানিজশন খোলার প্রচেষ্টা চলছে।
ডাক্তারদের ব্যাপারে আমার অবসারভেশন হল তারা এখনো অটিজম নিয়ে বেশী জানেননা।আমার আখদানের ডাক্তারত সব দোষ আমার উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। আমি নাকি কথা বলিনা তাই ও কথা বলেনা। কত কম জানলে একজন এমডি একথা বলতে পারেন। গবেষনা করা তাদের কাজ নয়, তাদের কাজ হল চিকিৎসা সেবা দেয়া, তারা তাই নিষ্ঠার সাথে করে থাকেন। স্মোকিংকে যখন নিরাপদ বলা হত তখনো তারা এগিয়ে আসেননি প্রথমে। আমার উদ্দেশ্য কিন্তু ব্লেম গেম খেলা নয়, কিন্তু মাবাবার উদ্দেশ্যে একটাই কথাই বলব আপনার বাচ্চা যদি আপনার সচেতনতার অভাবে অটিজমে ভুগে তাহলে ভুগতে হবে আপনাকেই, কোনো ডাক্তারকে নয়।
আমার একজন ফ্রেন্ড আছেন যার ২০ বছরের একটি অটিষ্টিক বাচ্চা আছে। তারা ছিল যমজ, এম এম আর দেবার পর মেয়েটা অটিষ্টিক না হলেও ছেলেটা অটিষ্টিক হয়ে যায়। মেয়েটারও কিছু সমস্যা দেখা দেয়। ছেলেতার ১০৬ ডিগ্রী জ্বর উঠে সিজার হয়ে যায়। আর ওর সিজার গুলি অনেক সময় ধরে হত। সেও বলে এরপরে ট্রাডিশনাল ডাক্তারদের কথামত হাজার ড্রাগ দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। ডাক্তাররা বলে দিয়েছিল ও কখনো কথা বলতে পারবেনা, পটিট্রেইনড হবেনা, কোনো স্কিল হবেনা, মেলিন্ডা ছিল অনেক সাহসী। সে ডাক্তারদের কথায় কান না দিয়ে অল্টারনেটিভ লাইনে দেখা শুরু করে, ষ্টেম সেল অপারেশন করার পর তার অটিজম স্কোর ১০০ এর নীচে নেমে আসে।অটিজম স্কোর হল যত কম হয় তত ভাল, ২০ এর নীচে হলে হাইফাংশন বলে। এখন ও হোমিওপ্যাথি, বায়োমেডিক্যাল করে তার স্কোর হল ৩৫। ষে বলে যে ডাক্তারদের কথা শুনে যদি বসে থাকতাম তাহলে আমার ছেলে আজ কথা বলতে পারতনা, পটিট্রেইনড হতনা। সে হল আমাদের কাছে প্রেরনার মত। আমি নিজেও দেখেছি যখন আমি নিজে পড়াশুনা করে ওর চিকিৎসা র কোন লাইনে গেলে ভাল হবে বের করেছি তখন থেকে ওর উন্নতি শুরু হয়েছে। আখদানের স্কোর হল ৭১, প্রথমে ছিল ১০০ এর কাছাকাছি।
বাংলাদেশ এখনো সৌভাগ্যবান কারন এখনো পেরেন্টরা চাইলে ভ্যাকসিন নাও দিতে পারেন। আপনারা ভ্যাকসিন দিবেন কি না দিবেন সেটা আপনার ব্যাপার, তবে নেক্সট টাইম দেবার আগে একটু ভেবে নিন, একটু জেনে নিন।
[img]http://www.bdtomorrow.net/blog/bloggeruploadedimage/raisha/1367419505.jpg[/img
অটিজম বিষয়ে আরো দুয়েকটি কথা বলব। যত কম বয়সে ধরা যায় তত তাড়াতিড়ি উণ্নতি করে বাচ্চারা। যদি দেখেন আপনার বাচ্চা আপনার চোখের দিকে তাকায়না, মানুষ আসলে পছন্দ করেনা, একা খেলে, রেসপন্স করেনা, খেললেও নিজের মত খেলে(আমার ছেলে যেমন গাড়ি চালিয়ে খেলেনা, চাকাটা খালি ঘুরায়),খেলনা সাজিয়ে রাখে , বিনা কারনে হাসে, এসব দেখলে ডায়াগনোসিস করতে চলে যাবেন। আর থেরাপীর ব্যাপারে আমার একটাই পরামর্শ, এবিএ থেরাপী হল একমাত্র থেরাপী যা কাজ করে, স্পিচ থেরাপী, অকুপেশনাল এগুলি সাথে করেন বা না করেন, এবিএ মাষ্ট।
বিষয়: বিবিধ
৩১১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন