কাজের লোক সমাচার-২
লিখেছেন লিখেছেন উম্মু রাইশা ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১২:৫৭:৪৫ রাত
পাশের বাসার আসাদ সাহেবের গল্পটা ভিন্ন। উনি যখন প্রথম শিরিকে বিয়ে করে আনেন শিরির কাছে প্রথমেই সবকিছু বেখাপ্পা লাগছিল। বাসাটা চুপচাপ। আত্মীয়স্বজন কেউ আসেনা কখনো। শিরি ঘরগুলি ঘুরে ঘুরে দেখে। একটা রুম সম্পূ্র্ন আলাদা রুমের ভিতর একটা লেপ তোশক ছাড়া বিছানা বিছানো আর দেয়ালে একটা তালিকা টাংগানো। কতগুলি কাজ লিখা সাথে টাইম লিখা।
রুমটার ভিতর দুইটা ইলেকট্রিক তার ছিড়া। শিরি একটু ভয় পেয়ে যায়। আসাদ সাহেবকে জিজ্ঞেস করে
এরকম তার ছিড়া কেন?
দুদিন পরে টের পাবা।
একদিন সকালে শিরির চায়ের টাইম ছিল ৮:০০টায় শিরি চায়ের টাইমে চা না পেয়ে নিজেই রান্নাঘরে চলে যায় চা বানিয়ে খাবে। এমন সময় আসাদসাহেব এসে বললেন,
আমার ওয়াইফ কোনো কাজ করতে পারবেনা। ।রফিক.....
জি স্যার
চা দিতে তুমি দেরি করেছ। চল
রফিকের মুখ রক্তশূন্য হয়ে যায়। সে রুমটার দিকে এগিয়ে যায় দুজনে। রফিকের কান্না আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায়।
শিরি কিছুতে ব্যাপারটা স হ্য করতে পারছিলনা। যত মিনিট দেরী হয় ততক্ষন তাকে ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়।শিরি একদিন রফিককে বলে
তুমি চলে যাওনা কেন?
আংকেল তাহলে আমাকে র্যাব দিয়ে ধরায়। আমি দুইবার চলেগেছিলাম।দুইবারই এ ঘটনা।
শিরি আসাদ সাহেবকে বুঝানোর চেষ্টা করে। আসাদ সাহেব বলেন
তোমার পালাও আসতে পারে সামনে।সো ভেরি কেয়ার ফুল।
এরপর আসাদের দুই ছেলেমেয়ে হয়।শিরি ছেলেটাকে ভাল ছেলে হিসাবে গড়তে পারলেও মেয়ে পাপড়িকে পারেনি। ছোট থেকেই সে রফিকের কান্না শুনলে খুশী হয়ে যেত। আর একসময় সে কয়েকটা কাজ শুরু করে, টাইম খেয়াল করা, শক দেয়া আর মাকে পাহাড়া দেয়া। মাটা যে কি ?বাবা বাসায় না থাকলে রফিকের কাজগুলি করে দিতে চেষ্টা করেন।রফিকের কোনো কাজে ১ সেকেন্ড দেরী হলেই পাপড়ির মুখে হাসি ফুটে উঠে।
(আর মিলের কথা বলছিলাম দুই ফ্যামিলিতে,মিল একটাই এখানে বউদের কথার গুরুত্ব একেবারে নাই। প্রথম ফ্যামিলিটা ছিল তথাকথিত পরিচিত ইসলামিক ফ্যামিলি,কিন্তু আমার মতে সত্যিকারের ইসলাম তাদের দিলে ঢুকেনি।)
(উপরের ঘটনার পাপড়ি আমাদের স্কুলেই পড়ত।)
বিষয়: বিবিধ
২৫৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন