সাহিত্য যখন হারিয়ে যায়
লিখেছেন লিখেছেন উম্মু রাইশা ৩১ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:৪৩:৫০ রাত
আমরা যখন বুয়েট ভর্তির জন্য রেডি হই তখনই সাহিত্য আমাদের মাথা থেকে বের হয়ে যেতে থাকে।কিভাবে? মনে আছে যারা কলেজে স্কুলে অংক করেন মনে করি না লিখলে ২ নম্বর কাটা, প্রমানিত না লিখলে অনেকে ০ দিয়ে দিতেন,তাই তখন অংক করতে গেলেও ভাষার দিকে নযর দিতে হত।বুয়েটভর্তি পরীক্ষার অংশগ্রহন করতে গেলে ভাষাটা বাদ দিতে হয়। তখন খালি সময় বাচানোর চিন্তা। আমাদের চোখের সামনে দুই পৃষ্ঠার অংক হয়ে যায় ৪ লাইনের। আর মনে করি আর প্রমানিত লিখার সময় কোথায়? এগুলি সব সাবজেক্টে হতে থাকে।
কল্পনা কিন্তু কমে না শুধু কল্পনার প্রকাশটা কমে যায়।ব্লগে যখন লিখা দেখি আকাশ বাতাসের বর্ননা তখন সেইগুলি বাদ দিয়ে শুধু মূলটা খুজে বের করার বদভ্যাস চলে আসে।সে সমস্যা এমনকি কথা বলার সময়ও চলে আসে। দেখা যায় সুচনা,উপসংহার বাদ দিয়ে যখন খালি মূল কথাটা বলি তখন অনেকেই বুঝতে পারেনা।যার জন্য আমরা যখন যেখানে যাই বুয়েট আর ননবুয়েট ভাগ হয়ে যায়। আমরা মিশতে চাইলেও যারা ননবুয়েট তারা এত মজা পায়না।
সাহিত্য আমরা শিখব কেন,ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাস যখন আমাদের স্বপ্ন ভিড় করে,আকাশের বদলে যখন ক্যামিকেলসের ছবিগুলি ভাসতেই থাকে মনের পাতায়, ডাইনিং এ গল্প করার সময় সাবজেক্ট হয় ফ্লুয়িড মেকানিকসের ডিজাইন।
আমার উনি আবার আরো এক ডিগ্রী বেশী। পাঠ্যবইয়ের বাইরে কোনো গল্পই পড়েনি জীবনে। মেয়ে যখন রুপকথার গল্প শুনতে চায় হাতিয়ে পাতিয়ে পাঠ্যবইয়ের গল্পই বলতে পারে।কেউ হাসাহাসি করলে বলে আমরা এরকম বলেই কাজের কাজ করতে পারি।
আমাদের বোকা মনে করে ননবুয়েটরা। আমরা এমনকি নিজের গুন গানটাও করতে পারিনা, পরচর্চা করাটা ও ঠিকমত করতে পারিনা, কেউ নিজের গুন গান করলেও হাস্যকর লাগে। এই ব্লগের অনেককে দেখি আমি এই করেছি সেই করেছি আবার তাকে তাল দিয়ে যায় তারই স্বামী।
সত্যের সন্ধান আমরাও পাই। সাহিত্যকে না পেলেও। তাই দেখা যায় আমার হাজবেন্ডের যে বন্ধু একসময় ছাত্রইউনিয়ন কত, ছাত্র অবস্হায় শিবিরের রুম তছনছ করেছে আজ এ ঘটনার জন্য আফসোস করতে,যে ছেলেটিহয়ত নামাজ পড়া ব্যাকডেটেড মনে করত সেই এখন নামাজ পড়ার মাসালা জানতে আর অভ্যাস করতে।কিন্তু ধর্মের ভিতর সাহিত্যকে বাদ দিতে আমাদের মত এক্সপার্ট একজনও নাই।
বিষয়: বিবিধ
১৮৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন