সিমির কোরান ভাবনা-১

লিখেছেন লিখেছেন উম্মু রাইশা ২৫ জুলাই, ২০১৩, ১০:১২:১৬ রাত

আমিরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল শেষ পর্যন্ত স্বীকার করল যে ৭০ এর দশকে যে পোলিও ভ্যাকসিন দেয়া হত তাতে ৩০ মিলিয়ন আমিরিকানের ক্যান্সার হবার রিস্ক বেড়ে গেছে এই ভ্যাকসিনে সিমিয়ান ভাইরাস থাকার জন্য।

হেপাটাইটিস ভাইরাস ভ্যাকসিনের সাথে প্যাকেজ ইনসার্ট আছে তাতে সাইড ইফেক্ট লিখা আছে অটিজম। আমিরিকায় গত বছর দুটা বাচ্চাকে ক্ষতিপূরন দিয়েছে ভ্যাকসিন ইনজুরির কারনে অটিজমে আক্রা্ন্ত হওয়ায়।

জিএমএ ফুড বাজারের ছাড়া হওয়ায় আর সস্তা হওয়ায় সমানে মানুষ কিনছে। ফলে আমিরিকানদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম।

সিমি যখন কোরান পড়ত কিছু কিছু ঘটনা পুরানো হয়ে গেছে মনে করে পড়ত। তার মধ্যে একটি ছিল মুসার(আঃ) আমলের ঘটনা। রাষ্ট্রীয়ভাবে পুত্রসন্তান হত্যা করার ঘটনাটি। সিমির মনে হত এটা এখন আর সম্ভব না। এখন তার মনে হয় এটা সম্ভব। এখন যদি কেউ ভালভাবে জেনেশুনে ভ্যাকসিন না দেয় তার জন্য এসব দেশে লাইফটা কঠিন। সিমিকে শুনতে হচ্ছে সে ভাল মা না,ডাক্তারদের মুখ বেজার,তাদের মুখে সেই একঘেয়ে উক্তি,অটিজমের সাথে ভ্যাকসিনের সম্পর্ক নাই,যদি সে রিসার্চ আর্টিক্যাল দেখায় ওরাও পাল্টা গুলি দেখাবে যে রিসার্চগুলি ওষুধ কোম্পানীর ফান্ডে করা। এখানে আমিরিকায় ফান্ড দিলে তার পক্ষে কাজ কথা বলার মানুষের অভাব থাকেনা। সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হল কোনো ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে কেস করা যায়না। সিস্টেমের বিপরীতে গেলে আপনাকে রীতিমত সমস্যায় পড়তে হবে।আপনারা হয়ত বিশ্বাস করবেননা যারা ভ্যাকসিনের বিপরিতে চলে তাদের ফোন কল পর্যন্ত চেক করা হয়।একেবারে মুসা(আঃ)র আমলের মত। আর আইরনিক্যালি এসবের ভুক্তভোগী বেশীর ভাগ হল পুত্রসন্তান। সিমির মনে পড়ে বিল গেইটসের সেই বিখ্যাত উক্তি ,'আমরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন করব, আর ভ্যাকসিন হল তার একটি উপায়' ওয়াও।

সিমির আরো মনে হয় আল্লাহ ত বলেছেন তিনি মানুষকে সর্বোত্তমভাবে সৃষ্টি করেছেন,তাহলে ভ্যাকসিন দেয়ার মানে কি এ কনসেপ্ট টা অস্বীকার করা না?অনেকটা শরীরটা আল্লাহ ভালভাবে পাঠাননি, ভ্যাকসিন দেয়া লাগবে।সিমি নিজে ভুক্তভোগী হয়ে এচিন্তাগুলি বুঝে। আগেও তার মনে হত,কিন্তু সিস্টেমের ষ্ট্রেস নিতে পারেনি সে। এখন নিতে হচ্ছে চরম মূল্য দিয়ে।

বিষয়: বিবিধ

১৮০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File