কোরআন কুইয (২য় পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন যুমার৫৩ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১০:০২:২২ রাত
এই কুইয সিরিজের প্রথম পর্বটি এখানেঃ
http://www.first-bd.net/blog/blogdetail/detail/2998/zumar53/74592#.VtMZy5wrKM8
এবারে দ্বিতীয় পর্ব। ফরম্যাট আগের মতোই। নিচের আয়াতগুলো কারো না কারো উক্তি বা মন্তব্য। বলতে হবে কে কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।
১। "তোমরা আমার এ জামাটি নিয়ে যাও। এটি আমার পিতার মুখমন্ডলের উপর রেখে দিও, এতে তাঁর দৃষ্টি শক্তি ফিরে আসবে।"
২। ''আমরা পানি পান করাতে পারছি না যে পর্যন্ত না রাখালরা সরিয়ে নিয়ে যায়, আর আমাদের আব্বা খুব বুড়ো মানুষ।’’
৩। ''হে হারূনের ভগিনী! তোমার বাপ তো খারাপ লোক ছিলেন না এবং তোমার মা’ও পাপিষ্ঠা নয়!’’
৪। ''তোমাদের প্রভু এই গাছের থেকে তোমাদের নিষেধ করেন নি এই জন্য ছাড়া যে তোমরা ফিরিশ্তা হয়ে যাবে কিংবা তোমরা হবে চিরজীবীদের অন্তর্ভুক্ত।’’
৫। "তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর। অন্যথায় সুলায়মান ও তার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পিষ্ট করে ফেলবে।"
৬। "এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন্ খাদ্য পবিত্রতম। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়।"
৭। ''আর তুমি যখন তোমার বাগানে প্রবেশ করতে তখন কেন বললে না -- 'মা-শা-আল্লাহ্, আল্লাহর কাছে ছাড়া কোনোই শক্তি নেই’?
৮। ''আমি থামব না যে পর্যন্ত না আমি দুই নদীর সঙ্গমস্থলে পৌঁছি, নতুবা আমি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকব।’’
৯। "হে আমার পিতা, যে শোনে না, দেখে না এবং তোমার কোন উপকারে আসে না, তার এবাদত কেন কর?"
১০। "দূর হ, তোর জন্য সারা জীবন এ শাস্তিই রইল যে, তুই বলবি; আমাকে স্পর্শ করো না...."
******************************************
উত্তর আগামীকাল ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১৪২৯ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১ । সূরা ইউসুফ ৯২ নং আয়াতে তার ভাইদের উদ্দেশ্যে একথাটি বলেছিল ।
২ । সূরা কাসাস ২৩ নং আয়াত : মূসা (আঃ) যখন মাদইয়ানের কুয়ার কাছে পৌছাঁলেন তখন দেখতে পেলন অনেক লোক তাদের পশুকে পানি পান করাচ্ছেন । একদিকে তাদের থেকে আলাদা হয়ে একদিকে দুজন মেয়ে তাদের পশুকে আটকে রেখেছে ।মূসা (আঃ) তাদের জি
জিঙ্গেস করলেন ,তোমাদের অবস্থা কি ? তখন মেয়ে দুটি একথা বলেন ।
৩ । সূরা মারিয়াম ২৮ নং আয়াত: মারিয়াম ( আঃ) যখন ছেলেকে নিয়ে কওমের কাছে ফিরে আসলেন তখন কওমের লোকেরা উনাকে এ কথা বলেন ।
৪ । সূরা আরাফের ২২ নং আয়াতে : আদম (আঃ) ও মা হাওয়া গন্দম ফল খাওয়ার পর আল্লাহ তায়ালা উনাদের উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেন ।
৫ । সুরা নামল ১৯ নং আয়াত : সুলায়মান (আঃ) যখন তার দল বল নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন একটি পিপড়া অন্য পিপড়াদের উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেন ।
৬ । সূরা কাহফ ১৯ নং আয়াত । এটা ( আসহাবে কাহফ )এর ঘটনা । যখন আল্লাহ তায়ালা গুহা বাসী যুবকদের জাগিয়ে দিলেন তখন তাদের একজনই একজন আন্যজনের উদ্দেশ্যে বলেছিল ।
৭ । সূরা আল কাহফ ৩৯ নং আয়াত ।
৮ । সূরা কাহফ ৬০ নং আয়াত : মূসা (আঃ) উনার খাদেমকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন ।
৯ । সূরা মারইয়াম ৪২ নং আয়া্ত : ইব্রাহীম ( আঃ) উনার পিতাকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন ।
১০ । সূরা তোয়া-হা ৯৭ নং আয়াত : মূসা ( আঃ) সামেরীকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন ।
তবে চার নম্বরটি আসলে শয়তানের মন্তব্য। সে আদম-হাওয়াকে ধোঁকা দিচ্ছিল ঐ কথা বলে। [৭:২০]
ইনশা আল্লাহ ! আগামীতে এরকম ভুল হবে না ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
******************************************
উত্তরমালাঃ
১। [১২:৯৩] ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের উদ্দেশ্যে বলেছেন। সন্তানের শোকে ইউসুফ (আ.) এর বাবা ইয়াকুব (আ.) এর চোখ সাদা হয়ে গিয়েছিল।
২। [২৮:২৩] মুসা (আ.) এর উদ্দেশ্যে দুই রাখাল-বালিকা বলেছেন। এঁরা দুই বোন। পরে এঁদের একজনের সাথে মুসার (আ.) বিয়ে হয়।
৩। [১৯:২৮] স্বামী ছাড়াই সন্তানের মা হওয়ার পরে মারিয়াম (আ.) এর উদ্দেশ্যে তাঁর নিকটজনদের বিস্ময়সূচক মন্তব্য ছিলো এটা।
৪। [৭:২০] আদম (আ.) ও তাঁর স্ত্রীর প্রতি শয়তানের প্রলুদ্ধকর উক্তি। শয়তান লোভ দেখাচ্ছিলো যে এই নিষিদ্ধ গাছের ফল খেলে মানুষ অমর হয়ে যাবে।
৫। [২৭:১৮] একটি মেয়ে-পিঁপড়া তার দলের অন্য পিঁপড়াদেরকে একথা বলেছিলো। সুলায়মান (আ.) এই পিঁপড়ার কথা বুঝতে পেরেছিলেন।
৬। [১৮:১৯] গুহাবাসিগণ ঘুম থেকে ওঠার পর নিজেদের মধ্যে এই আলাপ-পরামর্শ করছিলো।
৭। [১৮:৩৯] দুই বাগানওয়ালার মধ্যে যে মুমিন সে এই কথা বলেছিলো অপর অবিশ্বাসী ব্যক্তিকে। দাম্ভিক অবিশ্বাসীর সাজানো বাগান পরে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো।
৮। [১৮:৬০] মুসা (আ.) যুবক ভৃত্যকে বলেছিলেন।
৯। [১৯:৪২] ইবরাহীম (আ.) তার মূর্তিপূজারী পিতা 'আযার' এর উদ্দেশ্যে এই কথা বলেছেন।
১০। [২০:৯৭] গোবত্স-পূজারী 'সামেরি' কে উদ্দেশ্য করে মুসা (আ.) এই তিক্ত মন্তব্য করেছিলেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন