দেখুন তো ছালাত আদায় করার ক্ষেত্রে হারামাইনের ইমামগণ হাত বুকের উপর রাখেন কিনা
লিখেছেন লিখেছেন জেএফটি ইসলাম ০১ মার্চ, ২০১৪, ০৯:৩১:০৬ রাত
ছালাত আদায় করার ক্ষেত্রে বুকের উপর হাত না
রেখে হারামাইনের সমমানিত ইমামগণ কি ভুলভাবে নামায পরিচালনা করতেছেন? আমি মাজহাবি, লা মাজহাবি, আহলে হাদীস এসব বুঝিনা। ১৪০০ বছর
পরেও সহীহ হাদীস কি উনাদের নজরে আসেনি?
দেখুন তো ছালাত আদায় করার ক্ষেত্রে হারামাইনের ইমামগণ হাত বুকের উপর রাখেন কিনা
বিষয়: বিবিধ
১৮৯২ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই নিয়মে হারামাইনের কোন ইমামকেই ছালাত আদায় করতে দেখা যায় না।
ব্লগ ও ফেসবুকে কিছু লোক শুদ্ধ হাদিস এর উপর দুর্বল হাদিসের প্রাধান্য দিতে গিয়ে বিভিন্ন আরব ইমামের ছবি কে কৌশলে ব্যবহার করে। আসলে নাভির উপরে আর নাভির নিচে এই দুটো কাছাকাছি বিধায় ওরা ছবি দেখিয়ে বলে যে, ”ওই যে মক্কার ইমাম নাভির নিচে হাত বেধেছে!”
আসলে কিন্তু মক্কার ইমাম নাভির নিচে নয় বরং নাভির উপরে হাত বেঁধেছেন যার দলিল সহিহ মুসলিম।
মূলত নাভির উপর থেকে শুরু করে বুকের উপর পর্যন্ত জায়গায় যেকোনো খানে সালাতে হাত বাধা যায়। এর মধ্যে বুকের উপর হাত বাঁধা হচ্ছে সর্বাধিক শুদ্ধ – বুখারী, আবু দাউদ, ইবনে খুযায়মা।
নাভির নিচে নয় বরং উপরে হাত বাঁধতে হবে- এ হাদিস সহিহ মুসলিমের।
নাভির নিচে হাত বাধার হাদিস এসেছে আবু দাউদ এ, ইবনে শায়বা তে – কিন্তু সে হাদিস বা আছার গুলো দুর্বল।
ইমাম আবু দাউদ স্বয়ং তাঁর আবু দাউদ কিতাবে উল্লেখ করেছেন নাভির নিচে হাত বাধার হাদিস দুর্বল।
এবং এর পর তিনিই উল্লেখ করেছেন বুকের উপর হাত বাধার হাদিস।
যখন সর্বাধিক শুদ্ধ বা বিশুদ্ধ বা শুদ্ধ হাদিস পাওয়া যাবে তখন এগুলো বাদ দিয়ে দুর্বল হাদিস নিয়ে বাড়াবাড়ি করা নিতান্তই দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি!
আমলের ক্ষেত্রে দুর্বল হাদিস গ্রহণ যোগ্য নয় – এটাই সকল মুহাদ্দিস ও হাদিস গবেষকদের ও মুফতিদের মূল নীতি !
আল্লাহু আ ‘লাম।
আপনার বিশুদ্ধ হাদিসটি উনাদের নজরে এখনো আসেনি। এজন্য আমি আশচরয হই!
আপনাকে ধন্যবাদ।
কিছু ক্ষেএে মুসলমানদের মাাঝে ফিতনা ছড়াচেছ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
কিছু ক্ষেএে মুসলমানদের মাাঝে ফিতনা ছড়াচেছ। ধন্যবাদ বাহার ভাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন