হেফাজত ব্যর্থ কেন

লিখেছেন লিখেছেন জেএফটি ইসলাম ০৯ মে, ২০১৩, ১০:৩৯:০৮ রাত

সবখানে চলছে হেফাজতে ইসলাম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। তবে হঠাৎ ব্যাপক আলোচনায় আসা কওমি মাদরাসাকেন্দ্রিক এ সংগঠনটির ইমেজ গত ৬ এপ্রিলের লংমার্চের পর যত উচ্চতায় উঠেছিল ৫ মে ঢাকা অবরোধের পর ততটাই নিচে নেমেছে। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থানকালে হেফাজত কর্মীদের তাড়াতে যৌথবাহিনীর ‘নির্মমতা’র চেয়ে ৫ মে দিনভর হেফাজতের ‘তাণ্ডবে’র বিষয়টি মিডিয়ায় বড় করে আসছে।

হেফাজতের অবরোধকে ঘিরে রোববার দিনভর মতিঝিল, পল্টন ও গুলিস্তান এলাকায় যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে তা দেখলে যে কারো ঘৃণা আসবে। হেফাজতের নেতারা দাবি করেছেন, এই ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্রতা নেই। প্রকাশ্যভাবে না বললেও হেফাজতের কেউ কেউ এ ঘটনার জন্য জামায়াত-শিবির এবং যুবলীগ-ছাত্রলীগের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। তবে তারা যত কথাই বলুন, যেহেতু ওইদিন কর্মসূচি ছিল হেফাজতের সুতরাং এটাকে ঘিরে যত ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে এর দায় হেফাজত এড়াতে পারে না। এজন্য গভীর রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকারে নির্মমভাবে হেফাজত কর্মীদের তাড়িয়ে দেয়ার কারণে তাদের প্রতি মানুষের যে সমবেদনা আসার কথা তা আসছে না আগের ধ্বংসযজ্ঞের কারণে। হেফাজতকে আগে যারা সমর্থন দিয়েছিলেন এখন তারাই সমালোচনা করছেন। হেফাজতের ব্যর্থতার কারণেই এই সমালোচনা।

হেফাজতে ইসলাম পুরানো কোনো সংগঠন না। ২০১০ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় অরাজনৈতিক এ সংগঠনটির জন্ম। হেফাজত ব্যাপক আলোচনায় আসে ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। এই ইস্যুটি বহুধা বিভক্ত আলেমদের এক প্লাটফর্মে এনে দেয়। গত মার্চে হাটহাজারীতে সারা দেশের আলেম-ওলামার এক বৈঠকে হেফাজতের ব্যানারে সবাই মিলে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু হাটহাজারী মাদরাসা দেশের সর্ববৃহৎ কওমি মাদরাসা এবং এর প্রিন্সিপাল আল্লামা শাহ আহমদ শফী সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরব্বি আলেম, এজন্য সবাই এই প্লাটফর্মে আসার ব্যাপারে সম্মত হন। তবে ওইদিনের পরামর্শ সভাতেই একটি বড় বিভাজন সৃষ্টি হয়ে যায়।

অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চরমোনাই পীর এই প্লাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ান। পরে অবশ্য তিনি লংমার্চে সমর্থন দেন। অভিযোগ রয়েছে, লংমার্চ পরবর্তী সমাবেশে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের কাউকে মঞ্চে উঠতে দেয়া হয়নি। এটাকে কেন্দ্র করে হেফাজতের সঙ্গে চরমোনাইপন্থীদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালেও এতে তাদের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না।

১৩ দফা দাবিতে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করে ব্যাপক আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। এই কর্মসূচির পর বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর পরিচয় অনেকটা বিলীন হয়ে যায় হেফাজতের কাছে। দলীয় পরিচয়ের চেয়ে হেফাজতের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন ইসলামী দলগুলোর নেতারা। স্মরণকালের বৃহত্তম সমাবেশ করে ‘নতুন শক্তি’ হিসেবে আবির্ভূত হয় সংগঠনটি। একটি সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। সরকারও তাদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে কিছুটা নমনীয়তা দেখায়। সরকারকে এক মাসের আলটিমেটাম দিয়ে হেফাজত ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে।

এরপর মাসব্যাপী দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্মেলন করে ১৩ দফার পক্ষে বেশ জনমত গড়ে তোলে সংগঠনটি। তবে প্রথমে আন্তরিকতা দেখালেও পরে সরকার হেফাজতের কোনো দাবিই পুরোপুরিভাবে পূরণ করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেফাজতের ঢাকা অবরোধের একদিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের প্রতিটি দাবির যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেটা আরো কিছুদিন আগে করলে হেফাজত হয়তো তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করতো। শেষ পর্যন্ত হেফাজত তাদের ঢাকা অবরোধে অটল থাকে। সরকারও এই কর্মসূচিতে তেমন বাধা দেয়নি। কিন্তু লংমার্চের কর্মসূচিতে হেফাজত যে প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছে ঢাকা অবরোধে তা পারেনি। লংমার্চ কর্মসূচিটি যত সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ ও পরিকল্পিত ছিল ঢাকা অবরোধ ছিল ততই উচ্ছৃঙ্খল, বেসামাল ও অপরিকল্পিত। এজন্য হেফাজতের আগের সব সুনাম ম্লান হয়ে যায় একদিনের অদূরদর্শী কর্মকাণ্ডে। যে সংগঠনটি অল্প দিনে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছিল কিছু ভুলের কারণে এর অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। হেফাজতের যেসব নেতা কয়েকদিন আগেও বীরদর্পে ঘুরে বেড়াতেন সর্বত্র, তারা আজ প্রায় সবাই আত্মগোপনে। সবার নামে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দুই.

হেফাজতে ইসলামের প্রথম ব্যর্থতা হলো তাদের নেতৃত্বে যথেষ্ট দুর্বলতা ছিল। সংগঠনটির আমির আল্লামা আহমদ শফী বয়োবৃদ্ধ আলেম, অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। রাজনৈতিক কূটচাল তিনি ততটা বোঝার কথা না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রজ্ঞাপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিলেও বিভিন্ন সময় আশপাশের লোকদের দ্বারা প্রভাবিত হন বলে রটনা আছে। আল্লামা শফী নিতান্তই দ্বীনের স্বার্থে এ আন্দোলনে জড়িয়েছেন-এটা তার শত্রুরাও স্বীকার করবেন। কিন্তু তাকে যারা প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন কিংবা দ্বিতীয় সারির নেতারা যাদের নানা বৈষয়িক চিন্তা জড়িয়ে আছে এ আন্দোলনের সঙ্গে, তাদের দ্বারা নিঃস্বার্থ কোনো খাঁটি আন্দোলন সাফল্যের দোড়গোড়ায় পৌঁছা কঠিন। লংমার্চের পর হেফাজতের লেনদেন সংক্রান্ত নানা গল্প বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। আমার ধারণা, এর সিংহভাগই বানোয়াট ও অতিরঞ্জিত। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলোর আংশিক সত্যতার কথাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।

হেফাজতের এই আন্দোলনের প্রথম সারিতে হঠাৎ এমন কিছু নেতার আবির্ভাব ঘটে আগে যাদের কেউ চিনত না। ইসলামি আন্দোলন সংগ্রামের চেয়ে বৈষয়িকতাকে গুরুত্ব দেন এমন নেতাকেও দেখা গেছে হেফাজতের নেতৃত্বে। সত্য-মিথ্যা যাই হোক, কয়েকজন ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য হেফাজতকে কাজে লাগিয়েছে এমন অভিযোগ চারদিক থেকে শোনা যাচ্ছে। হেফাজতকে কাজে লাগিয়ে ইসলামী দলের কয়েকজন নেতা আগামী নির্বাচনে একটি জোটের মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে চান-এমন কথাও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। মধ্যমসারির কয়েকজন নেতা ব্যক্তিগত স্বার্থে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে যা প্রথম সারির নেতারা জানতেন না। অনেক ক্ষেত্রে সংগঠনের আমিরসহ প্রথম সারির শীর্ষ নেতাদের অন্ধকারে রেখে মধ্যমসারির নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ৫ মে ঢাকা অবরোধকালে এই শ্রেণীটির কিছু ভুল সিদ্ধান্তই হেফাজতে ইসলামকে ডুবিয়েছে।

৫ মে ঢাকা অবরোধকালে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত না থাকলেও একদিন আগে সমাবেশের কথা জানানো হয়। সমাবেশ করলেও অবস্থানের কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না বলে জানা গেছে। কর্মসূচির আগের রাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া হয় হেফাজতের। মতিঝিলের সমাবেশে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া ‘আলেমরা বসলে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত উঠবেন না’ বলে একটি ইঙ্গিত দেন।

খালেদা জিয়া নিজের দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে না বসে আলেম-ওলামাদের বসিয়ে ফায়দা লুটতে চেয়েছিলেন বলে কারো কারো অভিযোগ। তবে এতে হেফাজতের সবার না হলেও কয়েকজন নেতার ব্যক্তিগত দেনদরবার ও লাভ-ক্ষতির হিসাব ছিল বলে শোনা যায়। ঈমানী আবেগ ও তাড়নায় গড়ে উঠা একটি আন্দোলনের সূচনাপর্বে যথেষ্ট নিষ্ঠা ও সততা থাকলেও শেষ দিকে তা পার্থিব দেনাপাওনায় পর্যবসিত হয়ে যাওয়ায় হেফাজতের আন্দোলন বুমেরাং হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে বসে পড়ার মতো হঠকারি সিদ্ধান্তের কথা আল্লামা শফী আদৌ জানতেন কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাকে অন্ধকারে রেখে অনেক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। মূল নেতৃত্ব সচেতন ও রাজনৈতিক কূটচালের সঙ্গে পরিচিত হলে হেফাজতের আন্দোলন এভাবে দিকহারা হতো না।

হেফাজতে ইসলাম যে ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে তাতেও তাদের যথেষ্ট অপরিপক্কতা ছিল। দাবির সংখ্যা ১৩টি না হয়ে পাঁচটিও হতে পারতো। ১৩ দফা দাবি বর্তমান আওয়ামী লীগ যে মানেনি শুধু তাই নয়, আমি নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় এলেও দাবিগুলো মানবে না। এমনকি আল্লামা শফীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিলেও রাতারাতি এসব দফা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। কারণ বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়, চলমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়েই তাকে চলতে হয়। ‘১৩ দফা মেনেই সরকারে থাকতে হবে বা আসতে হবে’ এ জাতীয় বক্তব্য যেমন বাচালতা, তেমনি ‘১৩ দফা না মানলে ৬ মে থেকে দেশ চলবে হেফাজতের কথায়’ এটাও চরম কাণ্ডজ্ঞানহীন ও গোয়ার্তুমি মার্কা কথা। যারা এমন আবেগী স্লোগান দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে নাড়া দিয়েছিল শাপলা চত্বরে অভিযানকালে তাদের কাউকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।

‘নাস্তিক’ ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে ‘ইসলামী রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা’র উচ্চাভিলাষী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কারণেই হেফাজত বিতর্কিত হয়েছে। সরকারকে চাপে রেখে সীমিত আকারে হলেও কিছু কিছু দাবি পূরণ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু নেতাদের হঠকারী সিদ্ধান্ত, ব্যক্তিগত লাভক্ষতির হিসাব এবং নেতৃত্বের ব্যর্থতায় আজ ‘হেফাজতি’ শব্দটি একটি গালিতে পরিণত হয়েছে। সংগঠনের কর্মীরাই আজ প্রশ্ন তুলছেন, সেদিন অবরোধের পর সমাবেশ করার কি খুব প্রয়োজন ছিল? সমাবেশ করলেও অবস্থানের সিদ্ধান্ত কার স্বার্থে? অবস্থান করলেও হামলা এলে তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা কি ছিল হেফাজত নেতাদের কাছে? সারা দেশ থেকে আসা কোমলমতি মাদরাসা ছাত্রদের অন্ধকারে মতিঝিলে ফেলে রেখে নেতারা কোথায় ছিলেন? এই আন্দোলনে এসে যারা হতাহত হয়েছেন তাদের হিসাব বা কোনো খোঁজখবর কি রাখেন নেতারা? ওই ঘটনার পর হাওয়ায় নানা গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই কেন? এমনকি তাদের কতজন কর্মী হতাহত হয়েছেন এর হিসাব কোথাও নেই। এমন নিয়ন্ত্রণহীন আন্দোলন সাফল্যের মুখ দেখবে না- এটাই স্বাভাবিক।

তিন.

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় ইসলামপন্থীদের উত্থান হয়েছে। ইসলামি আন্দোলন ও সংগ্রামের ধারা বহুধা বিভক্ত থাকলেও কিছু কিছু ইস্যুতে তারা একটি প্লাটফর্মে এসেছে। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে সাফল্য বয়ে আনার পর্যায়ে কখনো পৌঁছেনি এদেশের ইসলামি জাগরণ। আশির দশকে হাফেজ্জী হুজুরের নেতৃত্বে কওমি মাদরাসাকেন্দ্রিক আলেমদের একটি উত্থান ঘটেছিল। তওবার রাজনীতি নামে হাফেজ্জী হুজুর যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন আলেমদের প্রায় সবাই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আলেমরা আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও পারস্পরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে জন্ম নেয় কয়েকটি ইসলামী দল।

৯০’র দশকে নাস্তিক-মুরতাদবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইসলামি দলগুলো আবার এক প্লাটফর্মে জড়ো হয়। ইসলামী ঐকজোট নামে প্রথম ইসলামি জোট গঠন হয় তখনি। কিন্তু আন্দোলনের পরপরই এই ঐক্য ভেঙে যায়। প্রত্যেকেই আবার নিজ নিজ অবস্থানে চলে যান।

২০০১ সালে হাইকোর্টের ফতোয়াবিরোধী রায়কে কেন্দ্র করে আলেমরা আবারো একমঞ্চে জড়ো হন। তারা রক্ত দেন, জেলজুলুম সহ্য করেন। সে সময় চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পেছনে তাদের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। কিন্তু জোট সরকারের পাঁচ বছরে আলেমদের কোনো দাবিই পূরণ হয়নি। ক্ষোভে-দুঃখে কেউ কেউ জোট থেকে বেরিয়ে যান।

অনেক দিন পর ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের শাস্তির দাবিকে কেন্দ্র করে হেফাজত নামক একটি প্লাটফর্মে আলেম-ওলামা জেগে ওঠেছিলেন। তাদের এই জাগরণ সাধারণ মানুষের মধ্যেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু বরাবরের মতো তারা তাদের ফসল গড়ে তুলতে পারলেন না। অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতার কারণে তাদের পিছিয়ে যেতে হলো আরো অনেক বছর।

সূএ:- নতুন বার্তা

http://www.natunbarta.com/opinion/2013/05/09/25191/f1833d3f977ea74f028a7f407a113fcd

বিষয়: রাজনীতি

১৩৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File