মিডিয়া সিন্ডিকেট ভাঙ্গার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে আমার দেশ।

লিখেছেন লিখেছেন আমলক ৩০ মার্চ, ২০১৩, ০৮:৫৭:৩৯ রাত

http://www.bdtomorrow.net/pressreviewdetail/detail/86

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ এক নতুন অধ্যায়ে উপনীত হয়েছে। রাজনীতির সাথে মিডিয়া ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। কোন সংবামাধ্যম মেরুকরনের বাইরে যেতে পারে নি। শাহবাগের পর আবির্ভাব হল হেফাজতে ইসলামের।

বাংলাদেশের সামাজিক টায়ারগুলো এখন স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। মিডিয়ার বড় অংশটি অবস্থান নিয়েছে সরকারের পক্ষে। শাহবাগ, সরকার এবং মডিয়ার সমান্তারাল অবস্থানের বিপরীতে হেফাজতে ইসলামকে মোবিলাইজ করা হয়েছে। হেফাজত যে ইস্যুতে সামনে এসেছে তার সারবত্তা অঅছে। কিন্তু এদের সংগঠিত করার পেছনে যে জামাতিরা আছে তাতে সন্দেহ নেই। যেমন শাহবাগীরে পেছনে সরকার।

শাহবাগ অনেকটাই নিস্তেজ করে দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সরকার হেফাজতে ইসলামকে নিউট্রাল করার একটা পথ খুজছিল। সে পথে তারা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে তারা সক্রিয় করে। ২৪ মার্চ একটি বড় সমাবেশ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ধারণা করা হয়েছিল এ সমাবেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার একটি ভারসাম্যমুলক অবস্থানে আসবে।

২৫ মার্চ এ সমাবেশের খবরটি প্রথম আলো ৬ নম্বর পাতায় দুই কলামে, ‘জামায়াত-শিবির ব্লগারদের চেয়েও বড় ‘নাস্তিক-মুরতাদ’- শিরোণামে খবরটি দিয়েছে। পত্রিকাটি লিখেছে, জামায়াত ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সমালোচনা করে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেছেন, তারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে কটুক্তিকারি ব্লগারদের চেয়েও বড় ‘নাস্তিক-মুরতাদ’। কথিত ‘ধর্মদ্রোহী ও রাস্ট্রোদ্রোহীদের’ মুখোশ উন্মোচন ও মুলৎপাটনের লক্ষে ওলামা-মাশায়েখ-তৌহিদী জনতা পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

প্রথম আলো প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে উল্লেখ করেছে সমাবেশে দুই হাজার মানুষ উপস্থিত হয়। কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল সমাবেশটি লাইভ প্রচার করেছে। প্রতিবেদনটি ছোট করেই করেছে পত্রিকাটি। এ খবরের নিচে প্রথম আলো একটি উপশিরোণাম করেছে- ‘মাসউদের সমাবেশ প্রত্যাখ্যাত হয়েছে’। বিবরনে লেখা রয়েছে, ‘নাস্তিকদের’ পক্ষ নেওয়ায় মাওলানা মাসউদের সমাবেশ হাক্কানি ওলামা-মাশায়েখ ও ইমানদার মুসলমানেরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছে ৩৩টি ধর্মভিত্তিক সংগঠন। গতকাল শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।’

মানব জমিন, ইনকিলাব এবং আমার দেশ এখবরটি এমনভাবে তৈরি করেছে যাতে মাওলানা মাসউদ এবং সরকার উভয়ের মর্যাদা দারুণভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। মানব জমিন প্রথম পাতায় এক কলামে শিরোণাম করেছে, ‘পাঁচ লাখ লোকের সমাবেশ এবং...’। পত্রিকাটি লিখেছে, ঘোষণাই সার। বাস্তব অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

এক কোটি টাকার বাজেট গুটিকয়েক মানুষের ‘মহাসমাবেশ’ হয়ে গেল রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে। তাও আবার জাতীয় শোক দিবসে। এই সমাবেশকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ছিল ব্যাপক প্রস্তুতি। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়। ছিল বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বিরামহীন তৎপরতা। সংবাদ মাধ্যমে সরব উপস্থিতি। আশপাশের এলাকাজুড়ে লাগানো হয় ১০০ মাইক। দক্ষিণে টিকাটুলি মোড়, উত্তরে আরামবাগ আলহেরাল মোড়, পশ্চিমে দৈনিব বাংলা মোড়, পুর্বে কমলাপুর বাজার রোড পর্যন্ত তৈরি করা হয় নিরাপত্তা বলয়। তুলে দেয়া হয় ফুটপাতের সব দোকান। বন্ধ করে দেয়া হয় সবধরনের যনচলাচল।

নিরাপত্তার জন্য বসানো হয় আর্চওয়ে। শাপলা চত্বরের মোড়ে তৈরি করা হয় সুসজ্জিত মঞ্চ। পিচঢালা পথে বিছানো হয় কার্পেট। প্রায় দুসপ্তাহ ধরে চলে প্রচার প্রচারণা। ঘোষণা দেয়া হয় ৫ লাখ লোকের মহাসমাবেশ করার। সকাল ১১ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলার কথা ছিল সমাবেশ। কিন্তু শুরু হয়েছে ২টায়। বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ প্রহরায় একটা সাদা মাইক্রোবাসে চড়ে সমাবেশস্থলে যান মহাসামবেশের উদ্যোক্তা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। এরপর পত্রিকাটি মাসউদের জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার আসামী হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তিনি দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত শোলাকিয়ার ইমাম। মানবজমিনের আগে মাওলানা মাসউদের এসব বিতর্কিত তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আমার দেশ।

মানব জমিন এবার মুল সমাবেশের বিবরন দিল। তখন মঞ্চ এবং এর আশপাশ মিলে আড়াই শ থেকে তিন শ লোকের সমাগম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের উপস্থিতি খানিকটা বাড়ে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু কর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। তবু শেষ পর্যন্ত হাজারের কোটা অতিক্রম করেনি এমন অনুমান প্রত্যক্ষদর্শীদের। প্রথম আলো প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরনে এ সংখ্যাকে দুই হাজার বলেছে। বিরোধী পক্ষের অপপ্রচার আর হুমকি ধামকির কারনে লোকজন আসেনি বলে মন্তব্য করেন মাসউদের ঘনিষ্ট লোকজন। সরকারের এত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরও কিভাবে হুমকি ধমকি দেওয়া হল সে প্রশ্নটি সম্ভবত মানব জমিন করেনি।

এরপর পত্রিকাটি সমাবেশ নিয়ে পথচারি, পুলিশ এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মন্তব্য তুলে ধরে। পত্রিকাটি বিশাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এ প্রতিবেদনে টার্গেট ছিল সরকারের ইসলাম মোকাবেলার সমালোচনা তুলে ধরে। প্রতিবেদনের শেষের দিকে আরেকটি উপশিরোণাম করে, শোকের দিনে মহাসমাবেশ। এখানে কঠোর সমালোচনা করা হয় মাসউদসহ উদ্যোক্তাদের। রিপোর্টের একেবারে শেষে এসে মহাসমাবেশে দেয়া মাসউদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

আমার দেশ এবং ইনকিলাব এ সমাবেশ নিয়ে দুটো করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আমার দেশের একটি শিরোণাম, ‘মাওলানা মাসউদের কয়েকশ’ লোকের কথিত মহাসমাবেশ!’। হ্যঙ্গার করা হয়েছে, সরকারের এক আয়োজন নিষ্ফল। এর পাশে এক কলামে শিরোণাম করা হয়েছে, ‘বিশাল সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ।’ শোল্ডারে লেখা রয়েছে, ‘বিবিসির হাস্যকর দাবি’। এ রিপোর্টে পত্রিকাটি বিবিসি বাংলা সার্ভিসের বিশ্বাসযোগ্যতা ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। মাসউদ তার বক্তৃতায় ইসলামী ব্যাংকের সমালোচনা করেন। পরদিন আমার দেশ আরেকটি রিপোটর্ট করে।

ইসলামী ব্যাংকেই মাওলানা মাসউদের অ্যাকাউন্ট?- এ শিরোণামে বিস্তারিত বিবরনে আমার দেশ লিখেছে, ‘শাহবাগি আলেম হিেিসবে চিহ্ণিত মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ইসলামী ব্যাংকে টাকা লেনদেনকে হারাম ঘোষণা করলেও তার নিজেরই অ্যাকাউন্ট রয়েছে ব্যাংকটিতে।

সম্প্রতি বিরোধী দলী নেত্রীর কঠোর আন্দোলন ঘোষণার পর বাংলাদেশের রজানৈতিক পরিস্থিতি আরেক দফা পরিবর্তন হল। এর প্রভাব পড়েছে সংবাদমাধ্যমে। ইত্তেফাক শাহবাগ আন্দোলনের বড় সমর্থক। পত্রিকাটি শাহবাগে বিরিয়ানি সরবরাহ করেছে কালের কণ্ঠের সাথে পাল্লা দিয়ে।

কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার শাহবাগের বিপরীতে পত্রিকায় লিখে জনমতকে নতুনভাবে গঠন করার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশের মিডিয়ার বৃহত অংশ, বুদ্ধিজীবী ও সরকারের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। তার চিন্তাধারা ছড়িয়ে দিতে কলাম লিখছেন নয়া দিগন্তে। কয়দিন পর দেখা গেল এসব কলামে ভিন্ন শিরোণামে একইদিন ছাপছে ইনকিলাব। তারও কিছুদিন পর দেখা গেল দৈনিক ইত্তেফাক এগুলো রিপ্রিন্ট করছে।

সর্বশেষ দেখা গেল ফরহাদ মজহারের কলাম ইত্তেফাক ফাস্ট পোস্ট করছে। এ পোষ্ট আগেই নয়া দিগন্তে ছাপা হয়। ইত্তেফাকের আরো পরিবর্তন দেখা গেল বৃহস্পতিবার প্রথম পাতার প্রথম কলামের একটি খবর। তারা শিরোণাম করেছে, ‘সেনাবাহিনীকে অবশ্যই দেখতে হয় দেশ কোন দিকে যাচ্ছে : অধ্যাপক শাহীদুজ্জামান’। বিস্তারিত বিবরনে পত্রিকাটি লিখেছে, সম্প্রতি সেনাবাহিনীর দায়িত্ব বিষয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যকে সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শহীদুজ্জামান।

তিনি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া যা বলেছেন, এটা তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বাস্তবধর্মী চিন্তাশক্তি এবং প্রচর গবেষণার ফল। কারণ, এই কথাগুলো তিনি এমন একটা সময় বলেছেন, যখন দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে মারাত্মক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় তার কথা থেকে ভবিষ্যতের ব্যাপারে অন্তত একটি ইঙ্গিত পাওয়া যায়। মঙ্গলবার মধ্যরাতে একটি টিভি চ্যানেলের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রা নামের অনুষ্টানে তিনি এ বক্তব্য দেন। তিনি প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়ার সেনাবাহিনী সংক্রান্ত দেয়া সাম্প্রতিক বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি তর্ক তুলে ধরেন। যে বক্তব্যটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে সরকারের পাশাপাশি মিডিয়ার বৃহত অংশ তাকে এতটা যুতসই করে করে অন্য কেউ উপস্থাপন করেনি।

ইনকিলাব আরো একধাপ এগিয়ে গেল। নয়া দিগন্তের নিয়মিত কলামিস্ট মিনা ফারাহ এর কলামকে প্রথম পাতায় ছাপিয়ে দিল। পত্রিকাটি ফরিদ উদ্দিন মাসউদের বিপক্ষে কঠোর অবস্থান সবাইকে অবাক করেছে। মতিঝিলে ‘মহাসমাবেশ’ নিয়ে পত্রিকাটি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে মাসউদের সাথে সাথে সরকারের অবস্থানও জনগনের কাছে দুর্বল করে দিয়েছে পত্রিকাটি। এবার মিনা ফারাহ এর কলাম ছাপানোর মাধ্যমে তারা আরো একধাপ সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেলেন। মিনা ফারাহ সম্প্রতি ডিগন্ত টিভি ও নয়া দিগন্তে সংখ্যা লঘুদের ওপর সাক্ষাৎকার দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। ইনকিলাবে প্রকাশিত কলামের শিরোনাম, ‘হিন্দরাই হিন্দুদের শত্রু’। মিনা ফারাহ বেশ কিছুদিন ধরে বলতে চাইছেন বাংলাদেশে চলমান যুদ্ধাপরাধের বিচার সঠিবভাবে হচ্ছে না। বিশেষ করে তার বাড়ি শেরপুরের বাসিন্দা জায়াতি নেতা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো যথার্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সংখ্যালঘু পরিবারের সন্তান এবং একজন শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি প্রশ্নগুলো তুলছেন।

মিডিয়া সিন্ডিকেট ভাঙ্গার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে আমার দেশ। ব্লগারদের ধর্মবিরোধী কাজ বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রচার করার বিষয়টি গৃরুত্বপূর্ণ। ইনকিলাব অত্যন্ত উৎসাহ এবং বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে তা করেছে। এটি ছিল শাহবাগ মিডিয়ার টাই ভাঙ্গার ক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্ট। ভুমিকা রেখেছে নয়া দিগন্ত ও মানব জমিন। এ পত্রিকাগলো ইসলামের আবেগ নিয়ে পাঠককে প্রভাবিত করতে চায়। অন্যদিকে বাঙ্গাালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা মুক্তিযদ্ধের বিষয় নিয়ে এরা সচেতন নয়।

২৬ মার্চ প্রথম আলো প্রথম পাতার উপরে চার কলামের একটি ছবি ছাপে। বাংলাদেশের পতাকার ওপর কতগুলো কচি হাত। ছবিটি দেখেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। পত্রিকটি বিশেষ দিনটিতে একটি বিশেষ কিছু করতে চেয়েছে। ছবিটি দেখে পাঠকের সেটা মনে হবে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি একাত্ম হবে।

আমার দেশ, নয়া দিগন্ত এবং ইনকিলাব গতানুগতিভাবে স্টোরি করেছে। পুরনো ছবি ছাপিয়ে দিনটি তারা উদযাপন করছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি নিখাদ ভালোবাসা দেখানোর প্রয়োজন মনে করেনি তারা।

ক্যান্টনমেন্টে সশস্ত্রবহিনীর এক সমাবেশে বৃহস্পতির প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ভাষন দিয়েছেন। শুক্রবার নয়া দিগন্ত খবরটি থার্ড লিড করেছে। অনেক পত্রিকা এখবরটি প্রধান শিরোণাম করেছে। নয়া দিগন্ত এ নিয়ে যে ছবি ছেপেছে তার আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। সেনা সমাবেশে পাশাপাশি বসে আছেন প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান। ছবিটিতে প্রমিনেন্স করা হয়েছে সেনা প্রধানকে। এ ছবি দেখে যেকেউ মনে করতে পারেন এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেনা প্রধান। ইত্তেফাকের ছবিতে একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেল।

যুগান্তর একই খবর শেষের পাতায় দিয়েছে। সেখানে সেনাপ্রধান যে প্রধান অতিথি নন ছবি দেখে বোঝা যায়। ডেইলি স্টার এ খবর প্রধান শিরোনাম করেছে। তবে তারা শুধু শেখ হাসিনার ছবি ছেপেছে। মঞ্চে উপবিষ্ট সেনা কর্মকর্তাদের ছবি ছাপানোর প্রয়োজন মনে করেনি। একই ধরনের কাভারেজ দিয়েছে কালের কণ্ঠ। প্রথম আলো প্রথম পাতায় এক কলাম খবের হাসিনার ছবিটিই শুধু দিয়েছে।

এদিন হরতালের খবর পত্রিাকাগুলো গুরুত্ব দেয়নি। হরতালে খোলা কেন, বলেই দুই বিদ্যালয়ে হামালা- কালের কণ্ঠ তিন কলামে ছবিসহ প্রথম পাতায় দিলেও হরতালের খবরটি দিয়েছে পাতার একদম নিচে দুই কলামে। ডেইলি স্টার সরাসরি হরতালের খবর দেয়নি। প্রথম পাতায় তিনটি খবর দিয়েছে, সেগুলোর শিরোণাম যথাক্রমে, আউটরেজাস, লেট আস নো (শহড়)ি এবং হোয়াটস মাই ফল্ট। প্রথম খবরটি কালের কণ্ঠে প্রকাশিত স্কুল আক্রমনের। ছবিসহ এটি প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় খবরটি গাড়ি পোড়ানোর। তৃতীয় খবরটি একটি স্কুল শিশুর ওপর পিকেটারদের আক্রমনের। মেয়ে শিশুটির একটি চোখ আহত হয়।

হেফাজতে ইসলাম নিয়ে নয়া দিগন্ত এবং মানবজমিন গুরুত্ব দিয়ে খবর ছেপেছে। মানবজমিন এটি প্রধান খবর করেছে। নয়া দিগন্ত করেছে দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম। ৬ এপ্রিল ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ সামনে রেখে হেফাজতে ইসলামের প্রধান আহমেদ শফির বক্তব্য ছেপেছে তারা।

বিষয়: বিবিধ

১৩৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File