গোছল ছাড়া ৬০ বছর!!!
লিখেছেন লিখেছেন বঙ্গ বাবা ১০ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৫২:৩৯ রাত
ঘটনাটি ইরানের এক প্রত্যন্ত গ্রামে।ইরানের দক্ষিণ অবস্থিত দেগজাহ নামক এক গ্রামে "আমোউ হাজি" নামের এক ছন্নছাড়া ভবঘুরের বাস, যে কিনা ৬০ বছর ধরে স্নান করেনি।
তার এই অবস্থার কারন হিসেবে ধরা হয়, তরুন বয়সে তার মনোজগতে কোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন যা তাঁকে পুরোপুরি মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্থ করে দেয়।
একবার কিছু লোক তাকে ধরে নিয়ে আসে গোছল করার জন্য; কিন্তু গোছল করলে অসুস্থ হয়ে যায় এমনটা দাবি করে সে পালিয়ে যায়।
খাদ্য হিসেবে সে মৃত পশুপাখির পচা মাংস উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করে।পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খাবার আর পানি খেতে দিলে সে
হঠাৎ রেগে যায়।
ধূমপানের জন্য সে কাগজ কুড়িয়ে নিজেই সিগেরেট তৈরি করে। কিন্তু এতে তামাকের পরিবর্তে সে পশু পাখির পায়খানা বর্জ্য ব্যবহার করে। আর একসাথে সে প্রায় ৫ থেকে ১০ টা সিগারেট ধরায়।
মাথায় সবসময় একটি শিরস্ত্রাণ পড়তে দেখা যায়, তবে তা আত্মরক্ষার জন্য না, ঠাণ্ডা বাতাস থেকে বাচার জন্য!
তার গুটি কয়েক থাকার জায়গা আছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে কবর অপরটি ইটের আস্তাকুর। কবরে থাকার কারণ হিসেবে সে জানায়, এতে নাকি সে জীবনের মর্মার্থ বুঝতে পারে।
নিজের চেহারা দেখার জন্য সে আয়না ব্যবহার করে, এই আয়না গুলো সে রাস্তার পাশে গাড়ি থামলে গাড়ির সাইড মিরর ভেঙ্গে যোগার করে।
মাসে একবার সে চুল ছোট করে, তবে কোন দামি সেলুনে গিয়ে নয়, আগুনে পুড়িয়ে।
আমাদের দেশে ইদানিং কিছু ভাবুক ভাবুক ছেলেপেলে ভবঘুরে স্টাইল নিয়ে রাস্তায় হাটতে দেখা যায়, যাদের মুখ ভর্তি দাড়ি, চুল বড়। ঢিলা ঢোলা জামা, মুখে সিগেরেট, মাঝে মাঝে "গাঞ্জা" কারোর আবার শরীরে চেগুয়েভারার টি শার্ট। এরকম সস্তা পার্ট না নিয়ে "আমু হাজির" হইতে পারলে আমি নগদে তাকে ১ লাখ টাকা দিবো।
বিষয়: বিবিধ
২৩৪৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন